| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজীব নুর
আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।
'And all night long we have not stirred,
And yet God has not said a word!'
রাজনীতি খুব খারাপ জিনিস।
যে-ই রাজনীতি করতে আসবে, তার কপালে দুঃখ আছে। তাকে অবশ্যই জেল, জুলুম সহ অনেক রকমের কষ্ট সহ্য করতে হবে। এমনকি অপঘাতে জীবনও যেতে পারে। শুধু যে খারাপ রাজনীতিবিদ মারা যাবে তা নয়, একজন ভালো রাজনীতিবিদও জেল জুলুম আর অত্যাচার থেকে বাচতে পারবে না। মহাত্মা গান্ধীর মতো মানুষকেও নির্মম ভাবে মরতে হয়েছিলো। শেখ মুজিব, গ্রেট নেতা। তাকেও কি করুন ভাবে মৃত্যু বরন করতে হয়েছিলো। রাজনীতিতে শান্তি নাই। আরাম নাই। আছে দুঃখ কষ্ট, অপমান আর অবহেলা। আছে মৃত্যু। যে কোনো সময় মৃত্যু। যে-ই রাজনীতিতে আসবে, তার কপালে দুঃখ আছে। জন এফ কেনেডিকে মরতে হয়েছিলো, অপঘাতে। কাজেই রাজনীতিতে আরাম নাই, শান্তি নাই। এর চেয়ে একজন স্কুল শিক্ষক বা চাকরিজীবির জীবন অনেক আনন্দময়। অন্তত অপঘাতে মৃত্যুর ভয় নেই। এই যে হাদি মরলো। যদি সে রাজনীতিতে না আসতো তাহলে তাকে মরতে হতো না।
১৮৫৫ সালে কবিতাটি প্রকাশিত হয়।
কবিতার নাম The patriot। কবিতায় দেশ প্রেমিককে গনমঞ্চে তোলা হয়। তার ফাঁসির হয়ে যাবে। প্রকৃত দেশপ্রেমিকের করুণ পরিণতির কথা এই কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে। কবি রবার্ট ব্রাউনিংয় লন্ডনের উপশহর ক্যাম্বারওয়েলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মূলত একজন ব্যবসায়ী। অনেকে বলেন তিনি ব্যাংকার ছিলেন। অথচ ব্যাংকে কাজ করতেন কবির বাবা। বিয়ের পর কবি তার স্ত্রীর সাথে ইটালি চলে যান। সেখানেই জীবনযাপন করেন। কবির মৃত্যু হলে লার লাশ লন্ডন নিয়ে আসা হয়। এই কবির মা ছিলেন একজন পিয়ানো বাদক। কবির বাবার ছিলো বিশাল এক লাইব্রেরী। কবি বলতেন এটা শুধু লাইব্রেরী নয়, এটা একটা টাইম মেশিন। বই হাতে নিয়ে আমি অতীতে চলে যেতে পারি।
কবিতায় দেখা যায়-
একলোককে বিশাল সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। বিশাল মঞ্চ। পুরো মঞ্চ ফুল দিয়ে সাজানো। চারিদিকে অসংখ্য মানুশ। একজন মানুষকে আজ সম্মান জানানো হবো। এই মানুষটিকেই এক বছর পর ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সবার চোখে মুখে ঘৃণা। মানুষের সহ্যে কুলাচ্ছে না। মানুষ তাকে পাথর ছুড়ে মারছে। কবিতায় দেখানো হয়েছে- যাকে বীর বলে সম্মান করা হচ্ছে। বছর খানিক পর তাকেই শত্রু ভাবা হচ্ছে। কবিতাটির প্রথম লাইনটি এই রকমঃ "এক বছর আগে এই দিনে/ ছিল শুধু গোলাপ, গোলাপ চারিদিকে" (It was roses, roses, all the way, / A year ago on this very day)।
'প্রেট্রিয়ট' একটি দারুন নাটকীয় কবিতা।
সাধারণ জনগণ যেমন দেশপ্রেমিকদেরকে সর্বোচ্চ শিখরে স্থান দিতে পারে, তেমনি মাটিতেও মিশিয়ে দিতে পারে। রাজনীতি নেশার মত। কেউ একবার জড়িয়ে পড়লে এর থেকে আর বের হতে পারে না। আওয়ামীলীগের পতন আমাকে এই কবিতাটি বারবার মনে করিয়ে দেয়। এই কবিতাটি যেন বহু বছর আগে আওয়ামীলীগের জন্যই লিখে গিয়েছেন। যাইহোক, অনেকদিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। একজন শিল্পী একটা ছবি আঁকবেন। ছবিটা হচ্ছে একজন ফেরেশতা। এখন ফেরেশতা দেখতে কেমন সেটা মানুষ জানে না। তখন শিল্পী এক মানব শিশু দেখলো। ভাবলো। ফেরেশতারা ঠিক এরকমই হবে। সহজ সরল নিষ্পাপ। এই শিল্পী বহু বছর পর এক শোয়তানের ছবি আকতে চাইলো। কিন্তু শয়তান দেখতে কি রকম সেটা শিল্পী জানে না। তখন সে একজন লোককে দেখতে পায়। দেখতে বিশ্রী। চোখ গুলো লাল। দাত গুলো মুখের বাইরে চলে এসেছে। শিল্পী এই লোকের ছবি আকলো। অথচ শিল্পী জানলো না, বহু বছর আগে সে যে দেব শিশুর ছবি একে ছিলো ফেরেশতা মনে করে, সে-ই আজ শয়তানের রুপ ধারন করেছে।
মূল কবিতাটি-
The Patriot - by Robert Browning
I.
It was roses, roses, all the way,
With myrtle mixed in my path like mad:
The house-roofs seemed to heave and sway,
The church-spires flamed, such flags they had,
A year ago on this very day.
II.
The air broke into a mist with bells,
The old walls rocked with the crowd and cries.
Had I said, ``Good folk, mere noise repels---
But give me your sun from yonder skies!''
They had answered, ``And afterward, what else?''
III.
Alack, it was I who leaped at the sun
To give it my loving friends to keep!
Nought man could do, have I left undone:
And you see my harvest, what I reap
This very day, now a year is run.
IV.
There's nobody on the house-tops now---
Just a palsied few at the windows set;
For the best of the sight is, all allow,
At the Shambles' Gate---or, better yet,
By the very scaffold's foot, I trow.
V.
I go in the rain, and, more than needs,
A rope cuts both my wrists behind;
And I think, by the feel, my forehead bleeds,
For they fling, whoever has a mind,
Stones at me for my year's misdeeds.
VI.
Thus I entered, and thus I go!
In triumphs, people have dropped down dead.
''Paid by the world, what dost thou owe
Me?''---God might question; now instead,
'Tis God shall repay: I am safer so.
২|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: কবিতাটি কলেজে পাঠ্য তালিকায় ছিলো।আমি গরগঙ্গা কলেজের ছাত্র ছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়লাম৷