নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজীব দে সরকার - এর বাংলা ব্লগ

রাজীব দে সরকার

আমি চাই ঝড় থেমে যাক বৃষ্টি আসুক... আমি চাই কান্না ভুলে সবাই হাসুক...

রাজীব দে সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই তো সুযোগ! আসুন ডাক্তারদের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে দেই, সাংবাদিক ভাইয়েরা আওয়াজ দিয়েন /:)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

১। ভুল চিকিতসায় টাঙ্গাইলে ৪ শিশুর মৃত্যু

২। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় ৪ শিশুর মৃত্যু

৩। ইনজেকশন দেয়ার পর ৪ শিশুর মৃত্যু

৪। চিকিতসকের ভুলে টাঙ্গাইলে ৪ শিশুর মৃত্যু

এবং অন্যান্য ...



এগুলো ছিলো গত ২ দিনে আমাদের সাংবাদিক ভাইদের করা একটি আলোচিত ঘটনার শিরোণাম, যা দেখে আপনার নিশ্চয়ই এটা বুঝতে বাকি নেই যে আর যাই হোক টাঙ্গাইলে ব্যাটা ডাক্তারের চিকিতসা ত্রুটির কারনে জীবন দিতে হয়েছে ৪ শিশুকে - অনেক সেনসিটিভ ইস্যু!



একটু পেছনে ফিরে তাকাইঃ



গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনীতিতে স্থবিরতা চলছে, নতুন কোন আলোচিত ঘটনা ঘটছে না। কোন রাজনৈতিক নেতা কিংবা রাজনৈতিক-কাম-ধর্মীয় নেতা আহামরি কোন বয়ান দিচ্ছেন না, আবার আওয়ামীলীগ বিএনপিও কোন আশানুরুপ রাজনৈতিক কাঁপানি তুলছে না - বিপদে আছেন আমাদের সাগবাদিক ভাইয়েরা। কারন উত্তেজনা ছাড়া তারা থাকতে পারেন না।



অগত্যা বেছে নিতে হলো সর্বকালের হিট টপিক - ডাক্তারদের বাঁশ বাগান ঘুরিয়ে আনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কতো টাকার বিনিময়ে ল্যাব-এইডের ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে আমি জানিনা, তবে কম্প্রোমাইজ যে হবে এটা তো সবাই জানতোই ...



যাই হোক, একটা খবর দরকার ছিলো - গরম খবর - মিলেও গেলো

টাঙ্গাইলে মারা গেলো মুমুর্ষ ৪টি শিশু



এবার একটু ভেতরে ঢুকি আসুনঃ

যে ৪টি শিশুর মারা গেছে আসুন তাদের কেইস সামারি জানি



- প্রথম শিশু

(নাম রাখা হয়নি)

মায়ের নাম - মোর্শেদা

২৮ সপ্তাহে জন্ম নেওয়া শিশু (৩৭-৪২ সপ্তাহ কে নরমাল ধরা হয়)

ওজনঃ ১.৩ কেজি

রোগের নামঃ প্রি-টার্ম ভেরী লো-বার্থ ওয়েট উইথ সেপটিসেমিয়া

[Pre-term with VLBW with Septicemia]





একটি শিশু জন্মানোর সময় নূন্যতম ২.৫ কেজি ওগন থাকতে হয়, নাহলে আমরা তাকে লো-বার্থ ওয়েট বেবী বলি, যার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্য যেকোন শিশুর চেয়ে অনেক কম থাকবে, কিন্তু এখানে শিশুটির ওজন ১.৩ কেজি! [লো-বার্থ ওয়েট ১.৫-২.৫ কেজি, ভেরি লো-বার্থ ওয়েট ১.০-১.৫ কেজি এবং ভেরী ভেরী লো-বার্থ ওয়েট ১.০ কেজির নিচে] সাধারণত ৩৭ সপ্তাহের নিচে জন্মে নেওয়া শিশুরা অপুষ্টি ও রোগে বেশী ভোগে, আর এখানে শিশুটির গর্ভাকালীন সময় ছিলো মাত্র ২৮ সপ্তাহ! সুতরাং এখান থেকে কি একটুও অনুমেয় না যে ঐ শিশুটির ক্নিনিক্যাল কন্ডিশন কেমন ছিলো।



সাথে ছিলো সেপটিসেমিয়া -

অর্থাৎ অতিরিক্ত মাত্রায় ইনফেকশন। যা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে আরো ক্ষীণ করে তোলে



এবার আসুন কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়াই -



ঐ চিকিতসক কিংবা সেবিকা কি জীবনে এই প্রথম এরকম কোন রোগী দেখছেন? তারা কি এর আগে এরক্অম কোন রোগের চিকিতসা দেন নি? সেগুলোর কোন নিউজ কি আপনারা টিভি-পত্রিকায় দেখেছেন? ধরে কি নেওয়া যায় তাহলে ঐ শিশু গুলো হাসি-মুখেই তাদের মা-বাবা'র কোলে ফিরে গিয়েছিলো? ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন যে ভুল ছিলো তা সাংবাদিক সাহেব কি করে জানলেন (জার্নালিজমের সিলেবাসটা জানতে মন চায়)? ঐ হাসপাতালে ইনজেকশন জনিত কারন ঐ দিনই আরো অনেক শিশুর কি মারা যাবার কি কথা ছিলো না? ঔষধ এর যদিও মেয়াদ ছিলো, তারপরো ঔষধের মেয়াদ দেখা কি ডাক্তারের কাজ? যারা সাংবাদিক দের রিপোর্ট কপি-পেস্ট করে ফেইসবুক আর ব্লগ ফাটিয়ে দিচ্ছেন তাদের কয়জন জানেন ঐ শিশু কিংবা তার রোগ - রোগের চিকিতসা - রোগের পরিণতি সম্পর্কে?



- দ্বিতীয় শিশু

(নাম রাখা হয়নি)

মায়ের নাম - হোসনে আরা

২৮ সপ্তাহে জন্ম নেওয়া শিশু

ওজনঃ ১.৮ কেজি

রোগের নামঃ প্রি-টার্ম লো-বার্থ ওয়েট উইথ সেপটিসেমিয়া



- তৃতীয় শিশু

(নাম রাখা হয়নি)

মায়ের নাম - বিথী

৩৪ সপ্তাহে জন্ম নেওয়া শিশু

ওজনঃ ২.২ কেজি

রোগের নামঃ প্রি-টার্ম লো-বার্থ ওয়েট উইথ পেরি-ন্যাটাল অ্যাসফিক্সিয়া ইউথ সেপটিসেমিয়া



- চতুর্থ শিশু

নামঃ লামহা

৩৭ সপ্তাহে জন্ম নেওয়া শিশু

ওজনঃ ২.৫ কেজি

রোগের নামঃ পেরি-ন্যাটাল অ্যাসফিক্সিয়া উইথ সেপটিসেমিয়া



যে রোগগুলো নিয়ে কথা বললাম, বাংলাদেশের এই সব রোগে শিশু মৃত্যুর হার শতকরা ২২% (গুগল তো আছেই, মিলিয়ে নিয়েন), এবং বাংলাদেশের মতো দেশের এসব মৃত্যুর জন্য অনেক গুলো সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত কারন আছে - এবং আশার কথা এই যে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে - এগুলো নিশ্চয়ই হেলথ কেয়ার যারা দিচ্ছেন তাদেরই সম্মিলিত কৃতিত্ব [একটু কষ্ট করে খোঁজ নিয়েন পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পরিসংখ্যানটা কি রকম]



দেখুন - যেকোন মৃত্যুই অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক, কারন যে মায়ের কোন খালি হয়েছে তার ব্যাথা বোঝার সামর্থ্য আর কারো নেই, না সাংবাদিকের না ডাক্তারের - আমরাও সমব্যাথী



তবে ভেবে দেখুন একজন চিকিতসক তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন একটি মৃত্যুকে প্রতহত করতে, কারন এই কাজটা পেশাগত কারণে কেবল তারই জ্ঞানের পরিসীমায় আছে - কিন্তু দূর্ঘটনা তো দূর্ঘটনাই তাই না। একটি মৃত্যুর পর আমরা যদি গিয়ে চিকিতসকেরই চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করার সংগ্রামে নেমে যাই তবে এর পরিণতি খুব একটা মঙ্গলজনক কারো জন্যেই হবে না। টাঙ্গাইলের মতো একটি জায়গায় যেখানে অনেক প্রতুলতা সত্তেও ডাক্তাররা কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে এভাবে কোনঠাসা করে দিলে এরপর থেকে কেউই আর মুমুর্ষ কোন রোগীর চিকিতসা করার দুঃসাহস করবেনা - সব রোগী রেফার করে দিতে বাধ্য হবে তারা



সুতরাং সাংবাদিক ভাইদের সাবধান হওয়া প্রয়োজন - জবাবদিহিতার নামে স্ক্রু বেশী টাইট দিয়েন না - প্যাঁচ কেটে গেলে বিপদে পড়ে যাবেন - আর সর্ব বিষয়ে আপনাদের জ্ঞান মাঝে মধ্যেই আমাদের মুগ্ধ করে - চাইলে একটা মেডিকেল কলেজ খুলে ফেলতেই পারেন!



চিকিতসকদের একটি সংগঠন আছে- বি,এম,এ ; অন্য পেশার মানুষদের জন্য আনন্দের বিষয় এই যে আমাদের এই সংগঠনটি নিতান্তই অথর্ব এবং ভোদাই গোছের, কিন্তু ভাবুন তো যদি সত্যি বিএমএ কোনদিন জাগ্রত হয় অনেকেরই ধোঁয়া বের হয়ে যাবে!



পরিশেষে মন থেকে সমবেদনা জানাচ্ছি সেই মায়েদেরকে,

অন্যান্য দিনের মতো যাদের কোলে আমরা তাদের সন্তানদেরকে তুলে দিতে পারলাম না - সৃষ্টিকর্তা আপনাদের সহায় হোন

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: ভাই সাংবাদিকদের মর্মজ্বালা একটু বোঝার চেষ্টা করেন! এদের কেউ মেডিকেলে চান্স পাইলে কি সাংবাদিক হইত। ডাক্তারী পড়তে না পারাটা সাংবাদিকদের একটু বেশিই কষ্ট দেয় তাই ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ওদের লাফালাফিটাও একটু বেশি। এইটা যেহেতু ওপেন সিক্রেট তাদের এইভাবে ন্যাংটা না করলেও চলে। বেচারারা!!!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

রাজীব দে সরকার বলেছেন: ভালো বলেছেন !!

কমেন্টে +++

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

টুম্পা মনি বলেছেন: ন্যূনতম মেডিক্যাল নলেজ না রেখে আমাদের দেশের সাংঘাতিকরা ডাক্তারদের সমালোচনা করেন। এখানেই দুঃখ! কবে যে এদেশে হলুদ সাংবাদিকতার অবসান হবে!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

রাজীব দে সরকার বলেছেন: সাংবাদিক রা জানে না এমন কোন সাবজেক্ট আছে নাকি দুনিয়ায়??

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

নেক্সাস বলেছেন: এদেশের ডাক্তারেরা তো একেকটা কসাই।



রিয়াদের সৌদি জার্মান হসপিটাল। আমি ভর্তি হলাম সামান্য জ্বর আর শ্বাসকস্ট নিয়ে। ডাঃ ওমর ফারুক। কনভার্টেড জার্মান মুসলিম। ডাক্তার আর নার্স দের সেবা, পরিচর্যা আর আন্তরীকতায় আমি মুগ্ধ হলাম। আমার রোগ নিয়ে হাজার প্রশ্ন। কিন্তু মিঃ ফারুকের কোন বিরক্তি নেই। হাসি মুখে আমাকে জানানোর চেষ্টা করছেন এটা ওটা। নার্স ইনজেক্সান পুশ করবে। তার আগে কি কোমল তার প্রস্তুতি। অদুরে দাঁড়িয়ে সব পর্বেক্ষন করছেন ডাঃ ফারুক.... সামন্য জ্বর আর শ্বাসকষ্ট তবুও ডাক্তার নার্সদের সেকি পরিচর্যা। আমি খেতে পারচিলামনা। আমাকে সযতনে খাইয়ে দিচ্ছিলেন নার্স। যেন আমার মায়ের পেটের বোন। আমি একটু কঁকিয়ে উঠলে ছুটে আসছে নার্স।

রাজধানী ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতাল। কিডনীর অপারেশনের জন্য ভর্তি হলাম। আমাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হল। খুব নির্মমভাবে নার্স বা আয়া এসে শক্ত হাতে আমার হাতে স্যালাইন পুশ করলেন। এ্যানেসথেসিয়া এক্সপার্ট এসে ভয়ঙ্কর কাসাইয়ের মত আমার স্পাইনে এ্যনেসথেসিয়া প্রয়োগ করলেন। অবচেতন আমি পড়ে থাকলাম আঢা ঘন্টা। অপারেশেনর ডাঃ তখনো তৈরি হননি। আমার অপারেশন ডাঃ শুরু করে মাঝ পথে দায়িত্ব দিলেন আরেকজন নবীশ কে। এ্যনেসথেসিয়ার প্রভাব আর এসির থান্ডায় আমি কাঁপছিলাম। আমাকে ধমক দিচ্ছেন ডাক্তার। আমাকে এক অপারেশনের সীট থেকে স্ট্রেচারে সরানো হবে। যেন তুচ্ছ ভাবে আমাকে উঁচিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হল।

আমি রিকিভারিতে। আমার ঘুম আসছেনা। আমার প্রচন্ড পিপাসা লেগেছে। আমার প্রস্রাব রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে কিন্তু কেউ নেই আমাকে একগ্লাস পানি দিবে। আমি কোঁকাচ্ছি। অদুরে কয়েকজন নার্স প্রেম ভালবাসার আলাপে ব্যাস্ত। রিকভারির খালি সীটে ডিউটি ডাঃ ঘুমাচ্ছেন। কয়েকজন আয়া আসন্ন ইদের বেতন বোনাস নিয়ে আলাপচারিতায় ব্যাস্ত। আমার ভাই আসলেন .।আমাকে পানি খাওয়ালেন। আমি প্রস্রাব করলাম। ঘুমিয়ে পড়লাম।

আমার অপারেশনের পর আমার সার্জন একবার আমার খোঁজ নেয়নি। তার টিকিটিও দেখিনি। কিন্তু টাকা কেটে নিয়েছে লক্ষাধিক। অপারেশনের পর বাসায় আসলাম। আমার মাথায় সমস্যা দেখা দিল। আমার ডাক্তার কাছে ফোন দিই। তিনি বিরক্ত হোন বা ফোন ধরেন না। অবশেষে ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম। আমাকে দেখে ডাক্তারের গাম্ভির্যে কোন পরিবর্তন নাই। তিনি একবার নিজ থেকে জিজ্ঞেস করলেন না কি হয়েছে আমার।

এরাই বাংলাদেশের ডাক্তার। ডাক্তারেরা মানুষের বন্ধু হওয়ায় নিয়ম আর এদেশে ডাক্তারেরা হয় মুই কি হনুরে.....

যারা এদেশের ডাক্তার তাদের বলি আপনরা উন্নত বিশ্বের নার্স হওয়ার যোগ্যতাও রাখেন না। খালি বড় পাস দিলে ডাক্তার হওয়া যায়না। ডাক্তার হতে হলে মানুষ হতে হয়। আপনাদের তো অনেক টাকা। জীবনে একবার উন্নত বিশ্বের কোন হাসপাতালে নার্সের জব করে আসবেন আর শিখে আসবেন কিভাবে আর্তের সেবক ডাক্তার হতে হয়।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

রাজীব দে সরকার বলেছেন: আপনি তো ভাই ভুল করছেন
সৌদি তে অপারেশনটা করালেই পারতেন

কসাইদের হাতে পড়তে গেলেন কেন?
হায় হায়!!

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমরাই ভাল আছি এক রানা প্লাজা ছারা আমাগো কুনু স্কান্ডাল নাই। /:) /:) /:)

ডাক্তার গুলা তো ডাকাত। হালারা আমার পকেটের বহুত ক্ষতি সাধন করছে। কিন্তু কামের কাম কিছুই হয় নাই।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

রাজীব দে সরকার বলেছেন: আপনার পেশাটা বুঝতে পারলাম না ভাই
রাজমিস্ত্রি? না ঠিকাদার? না গার্মেন্টস কর্মী আপনি?

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: চোরেরও চুরি করার লজিক থাকে। আর ডাক্তার নামধারী কসাইদের কত্ত যে লজিক! ৪ টা মৃত্যু দূর্ঘটনা??? তোর মত অমানুষ ডাক্তারকে কিছু বলার ভাষা নাই। এইসব কুত্তাদের দ্বারাই অপচিকিৎসা করা সম্ভব।
তবে আমি সঙ্কিত! কিসব বাসছাল পোলাপাইন পকেটের জোড়ে ডাক্তারি পড়তাছে, তাতে ঘরে ঘরে মাতম শুরু হইতে বেশি দেরি নাই!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

রাজীব দে সরকার বলেছেন: আপনার ভাষায় এটা দূর্ঘটনা না??

তা হলে কি পরিকল্পিত কোল্ড ব্লাডেড মার্ডার?????
ভাই উত্তর এর আশার রইলাম!

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: নেক্সাস ভাই, আপনি যে সউদি জার্মান হাসপাতালের কথা কইলেন সেই রিয়াদ শহরের প্রাণকেন্দ্রে ৭ বছর সরকারী চাকরি কইরা আসছি এবং টেনশন নিয়েন না... আমার সার্টফিকেটে তাঁদের মূল্যায়ন হচ্ছে "EXCELLENT"

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

রাজীব দে সরকার বলেছেন: হুমম

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

গেন্দু মিয়া বলেছেন: কোন কিছু একতরফা দেখা ঠিক না। ঢালাওভাবে ডাক্তারদের বদনাম করার আগে পিছনের কাহিনী জানা দরকার।

ভাই, @পাস্ট পারফেক্ট, যাদের কসাই বলছেন তারাও কিন্তু আপনার আমার মতো সাধারণ পরিবারের সাধারণ মানুষ। খারাপ মানুষ সব পেশাতেই আছে। এটা মানুষের দোষ, পেশার নয়।

আর যারা বিদেশের ডাক্তারদের প্রশংশায় উর্ধবাহু হয়ে নৃত্য করছেন, বলেন তো দেখি আমাদের দেশের ওপেন হার্ট সার্জারি করতে কত টাকা লাগে? আর আপনার রিয়াদে একটা ফোঁড়া কাটতে কত টাকা লাগে? জবাবটা নিজেই উপলব্ধি করবেন আশা করছি।

@রাজীব, ভালো লিখেছিস।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

রাজীব দে সরকার বলেছেন: চেনা চেনা লাগে, কমেন্টের কন্য থ্যাঙ্কস

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: দু:খজনক।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

রাজীব দে সরকার বলেছেন: হুম

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৯

টুম্পা মনি বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু নিয়ে এক ভাইয়ের একটা লেখা কপি পেস্ট করছি ঃ

হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুঃ প্রফেশনাল নেগ্লিগেন্সি নাকি সিস্টেম ফল্ট

আজ প্রফেসর শাহাদাত হোসেন স্যারের (প্রফেসর অফ কোলরেক্টাল সার্জারী, BSMMU) কাছে শুনলাম কিছু ট্রাজেডীক সত্যি কথা । তাও আমাদের প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু নিয়ে। তার চিকিৎসা বিভ্রাট নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও সত্যিটা আসলেই নির্মম ছিল।

প্রথমত, তার কোলোনিক ম্যালিগন্যান্সি তে “ডিস্টাল এন্টেরেক্টমি” করে কেন “ileostomy” করা হলো না। এই উত্তর হয়তো যে অপারেশন করেছে সে দিতে পারবে। নাকি পেটের মধ্যে দিয়ে পায়খানার রাস্তা হবে সেটা হুমায়ুন আহমেদ মেনে নিতে পারবেন না। তাই ডাক্তার বাধ্য হয়ে “প্রাইমারী রিপেয়ার” করেছে- সেটাও অনিশ্চিত।

এনাস্টোমোসিস লিকেজ হলো ৮তম দিনে। এবং সেটা হওয়াই স্বাভাবিক। প্রথম সপ্তাহের পর লিকেজ হতে পারে এটা বই পুস্তকের কথা। কিন্তু সকাল বেলা হুমায়ুন আহমেদ যখন পেটে ব্যাথার কথা বললো (মানে তখন পেরিটোনাইটিস ডেভেলপ করে গেছে) , তখন ৯/১১ ইমার্জেন্সি নাম্বারে ফোন করা হলো। যেই এম্বুলেন্স আসলো , তারা লোকাল এক হসপিটালের ইমারজেন্সি তে নিয়ে গেলো। হুমায়ুন আহমেদের লোকজন “বেলভিয়ু” (যেখানে হুমায়ুন আহমেদের অপারেশন হয়েছিল) তে নিয়ে যেতে চাইলো, হস্পিটাল কর্তৃপক্ষ জানালো- এখানকার এম্বুলেন্স রোগী নিয়ে আসে, কিন্তু রোগী নিয়ে যায় না। ওখানকার মাথা ফুলা ডাক্তার রা হুমায়ুন আহমেদ কে সিটি স্ক্যান করার জন্য কিছু “contrast material” খাইয়ে দেয়। এই কন্ট্রাস্ট দেয়ার কোনো মানেই ছিলো না। কারন পেরিটোনাইটিস এর রোগীর এমনিতেই Gut motility নাই। কন্ট্রাস্ট কিভাবে পাস করবে এটা একবারো চিন্তা করে নাই ।

বিকেলের দিকে প্রাইভেট এম্বুলেন্স ভাড়া করতে হলো। এরি মধ্যে চলে গেছে ৮ ঘন্টা। লেখকের অবস্থা আরো অবনতি হতে শুরু করেছে ততক্ষণে। যখন হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে বেলভিয়ু তে পৌছলো, ততক্ষণে তার অবস্থা সংকটাপন্ন। আর শেষ পরিনতি কত টা করুন হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি।

আমেরিকার মতো দেশে যদি সিস্টেমের এই অবস্থা হয়, আর চিকিৎসা ব্যাবস্থার এই শ্রী হয়। আমি মনে করি আমাদে কুঁড়ে ঘরে বসে ডাক্তাররা হাজার গুন ভালো চিকিৎসা দেয়। সেবার জন্য মানসিকতা অনেক জরুরী। অবশ্য এই দেশের মানুষ যেই সেন্সিটিভ, সেবার চেয়ে তারা ফকফকা একটা কেবিন পেলেই খুশি। হুমায়ুন আহমেদ যদি এই সব ভুল চিকিৎসার জন্য এই দেশে মারা যাইতো, তাহলে আজ হাসপাতালে হাসপাতালে আগুন জ্বলত।

বাঙালি জাতি হিসেবে অকাজে সেন্সিটিভ, কিন্তু প্রকৃত সত্যি বুঝার মানসিকতা খুব কম জনেরি আছে। শুধু বাঁশ দিতে ব্যস্ত সবাই। বাঁশ বাগানের মালি, একেকজন বাঙালি।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

রাজীব দে সরকার বলেছেন: হুমম ঘটনা টা আমিও জানি
তবে ঐ দেশের কোন দোষই দোষ না

যতো দোষ দেশী ডাক্তারদের!

১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:



সব ডাক্তার কে সম্মান জানিয়েই বলছি। সবাই খারাপ তাও বলছি না। সাংবাদিক এই ঘটনার ক্ষেত্রে যা লিখেছে তা সত্যিই দুঃখজনক। তবে ডাক্তাররা যে বিভিন্ন হাসপাতালে বিশেষ করে উপজেলাগুলোতে কর্তব্য অবহেলা করছে না তাতো অবান্তর নয় ! মিথ্যা আর গুজব ও আছে এর মধ্যে কিন্তু সব নয়। গুগল এ লাখো লিঙ্ক পাবেন ডাক্তারদের অবহেলার। আমি কয়েকটা স্যাম্পল দিলাম।

Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link


Click This Link


http://www.comillaweb.com/2012/11/20/19685/#

Click This Link

Click This Link

Click This Link


Click This Link


http://munshigonj24.com/2011/04/05/42129/


Click This Link



মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: ভাই সাংবাদিকদের মর্মজ্বালা একটু বোঝার চেষ্টা করেন! এদের কেউ মেডিকেলে চান্স পাইলে কি সাংবাদিক হইত। ডাক্তারী পড়তে না পারাটা সাংবাদিকদের একটু বেশিই কষ্ট দেয় তাই ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ওদের লাফালাফিটাও একটু বেশি। এইটা যেহেতু ওপেন সিক্রেট তাদের এইভাবে ন্যাংটা না করলেও চলে। বেচারারা!!!


মোঃ খালিদ আপনাকে বলছি আগে মানুষ হন। সাংবাদিকদের সাফাই গাইছি না কিন্তু আপনি কি ধরনের অহংকার করলেন একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখবেন।

আমার কথাটা বলি ডাক্তার হবো না বলে এইচ এস সি তে ফোর্ট সাবজেক্টও আমার জীববিজ্ঞান ছিলো না পরিসংখ্যান নিয়েছিলাম।


তবে পরিশেষে একটা সত্য কথা বলি আমাদের দেশের অধিকাংশ ডাক্তারই অনেক অনেক ভালো মানুষ এবং অনেক ভালো ডাক্তার। একটা চক্রের মাঝে আটকে গেছে তাড়া। সিষ্টেমই গলদ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

রাজীব দে সরকার বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ

যদিও সহমত নই

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

এম আর ইকবাল বলেছেন: আমরা যে সমাজে বাস করি, ডাক্তার সাংবাদিক ও সেই সমাজের ।
আমরা যার যার জায়গায় সঠিক ভাবে দ্বায়িত্ব পালন করছি কি ?
ক্ষমতা ও টাকার এক অন্ধ মোহে আমরা কি হারিয়ে যাইনি ?
কোন কোন সাংবাদিক আর কসাই ডাক্তার একই পদের ।
সুযোগ সন্ধানী সাংবাদিকের মোটর বাইকে "সাংবাদিক" কথাটা চোখে পড়ার মত করে লেখা থাকে ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১৩

রাজীব দে সরকার বলেছেন: দারুন অবজারভেশন!

১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

ফ্যাট পান্ডা বলেছেন: বাংলাদেশে এখন যারা সাংবাদিক পেশায় আছে তারা যদি মেডিক্যালে চান্স পেত এবং ডাক্তার হত তাহলে আসলে পাবলিক বুঝত চিকিৎসা কারে কয় কত প্রকার ও কি কি।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১৩

রাজীব দে সরকার বলেছেন: ভালো বক্তব্য

১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৮

ফ্যাট পান্ডা বলেছেন: ডাক্তারদের ভেতর অনেক খারাপ মানুষ আছে। স্বীকার করি। তারা রোগীর সাথে বাজে ব্যাবহার, কমিশন খাওয়া, অবহেলা এগুলা করে থাকে। সবাই জানে। নতুন কিছুনা।
কিন্তু এই ৪টা বাচ্চার ক্ষেত্রে বলতে চাই যে এই বাচ্চাদের কি হয়েছিল সেটা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা যদি কারো থাকে তাহলে বুঝবেন যে এটা দুর্ঘটনা নয়। এসব বাচ্চার বাচার সম্ভাবনা খুব কম।
এসব বাচ্চার জন্য চিকিৎসার থেকে বেশী যেটা দরকার হয় সেটা হল সাপোর্ট। ইনকিউবেটর, সার্বক্ষণিক নার্স। ওষুধগুলা কাজ করতেও কিছু সময় লাগে। অন্তত সেই সময়টুকু সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়।
কিন্তু ইনকিউবেটর জেলা হাসপাতাল গুলতে থাকেনা। মেডিক্যাল কলেজগুলোতে থাকে। কিন্তু অনেক রোগী থাকে বিধায় সবাইকে দেয়া সম্ভব হয়না। সরকারী মেডিক্যালে প্রতিদিন যেসব বাচ্চা মারা যায় তার বেশীরভাগ থাকে low birth weight, perinatal asphyxia ও septicaemia.
যে যত কথাই বলুক যদি উপরের তথ্যগুলো ঠিক থাকে তাহলে ডাক্তার হিসেবে আমি বলব যে এই বাচ্চাগুলোর মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়। এতো সিরিয়াস ৪টা বাচ্চা একসাথে ভর্তি হওয়াটা দুর্ঘটনা হতে পারে কিন্তু এই বাচ্চাদের মারা যাওয়াটা দুর্ঘটনা নয়।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১৪

রাজীব দে সরকার বলেছেন: ভালো বিশ্লেষণ

১৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৫

মিঠুন বলেছেন: যেসব ভাই ব্রাদার উন্নত বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার তুলনা করতে চান , তাদের বলবো ভাইয়েরা একটু মাথা খাটান । বাংলাদেশের সাথে ওইসব দেশের কি অন্য কোনদিক দিয়ে তুলনা চলে ? বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে অন্য দেশের তুলনা তখনই হবে যখন সব সেক্টরেই বাংলাদেশ সেসব দেশের সাথে তুলনীয় হবে ; তার আগে না । শুধু আমেরিকাতে হুমায়ূন আহমেদ এর চিকিৎসা খরচটা ভেবে দেখেন ।
আমাদের সাংবাদিকরা কোন কারনে রোগীর মৃত্যু হলেই মনে করে ডাক্তার দায়ী । নিউজ সেভাবেই করে । এইজন্য যেসব ঘটনায় ডাক্তারদের দোষ থাকে, সেসব ঘটনায়ও ডাক্তাররা বেঁচে যান; অন্ততপক্ষে এখন পর্যন্ত শাস্তির কোন খবর পাই নাই ।
ল্যাবএইড এর খবর যে পেপারে আসছে , এইটাই তো বড় ঘটনা । কারন উনাদের অনেক টাকা , আর টাকা দিয়ে কিনা হয় বলেন ! সাংবাদিকও ম্যানেজ হয়ে যায় !

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১৭

রাজীব দে সরকার বলেছেন: ভালো লিখেছেন!

ল্যাব-এইডের ঘটনায় তো শত শত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ইনভল্ভ ছিলো? তারা কোথায় গেলো? ভাই বাংলাদেশে সবই ম্যানেজ হয়

সাংবাদিক সাহেব রা চেম্বারে কোন সিরিয়াল মানতে চান না
তাদের কথা, তারা সাংবাদিক, তারা কেন ওয়েট করবেন??

১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৬

ফ্যাট পান্ডা বলেছেন: নেক্সাস বলেছেন: এদেশের ডাক্তারেরা তো একেকটা কসাই।
.........
হাসপাতালে যেসব সুযোগ সুবিধা থাকা দরকার তা দেন। পর্যাপ্ত নার্স ও অন্যান্য কর্মচারী দেন। আমার পক্ষে যতজন রোগীর সেবা করা সম্ভব ততজন রোগী আমাকে দেন। তারপর দেখেন। হাসির দেখছেন কি ভাই? জার্মানি সৌদিদের থেকে কি আমরা কি কম হাসতে পারি নাকি কম আলাপ করতে পারি? আপনারে দেখলেই সেরাম একটা হাসি দিয়া "কাইফা হালুকা-গুটেন মরগেন" বইলা কোলাকুলি করমু। আমার হাসি দেইখা আপনার রোগ অর্ধেক ভালো হয়ে যাবো। কসম!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১৯

রাজীব দে সরকার বলেছেন: একেবারে মুখে ঝাঁটা মেরে দিলেন নেক্সাস এর

যাই হোক, ভালো
উনি আবার সৌদি যাচ্ছেন শুনলাম, কমেন্ট করার পর থেকেই ওনার কিডনীর ব্যাথাটা আবার বেড়েছে!

১৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৫

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: সাধারন মানুষ হিসেবে, ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়ে একবার নিজের পরিবারের গুরুতর অসুস্থ কারও চিকিৎসা করিয়ে আসুন, তার পর দেখব কয়জন মানুষ ডাক্তারদের পক্ষে কথা বলে।

ডাক্তারদের (সবাই না, তবে বেশির ভাগ) জন্য কষাই ট্যাগ সামান্য, আরও নিকৃষ্ট কোন দিলেও ভুক্তভোগীদের কষ্ট মিটবে না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২১

রাজীব দে সরকার বলেছেন: ঢাকা মেডিকেলের মতো ব্যস্ত একটি ইউনিটে আপনি কি চান? ডাক্তার আপনার রোগীর হাত ধরে বসে থাকবে? পরিবারে কেউ ডাক্তার থাকলে জেনে নিন, ঢাকা মেডিকেলের কোন ডাক্তারের কি রকম দৌড় এর উপর সময় কাটে!

১৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৭

নষ্ট ছেলে বলেছেন: বাংলাদেশে ডাক্তাররা ছাড়া কেউ ডাক্তারদের ভাল বলে না। রোগ তো কম বেশি সবারই হয় তাই ডাক্তাররা এক একটা কি মাল তা সবাই জানে।
হ্যাঁ ভাল ডাক্তার আছে সেটা ৫% এর বেশি হবে না। একটা বাগানে ৯৫% আম গাছ আর ৫% নারিকেল গাছ থাকলে সেটাকে কি নারিকেল বাগান বলব?

সাংবাদিকদের নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই। চালুনি বলে সুইরে তোর পাছায় ছিদ্র!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২৫

রাজীব দে সরকার বলেছেন: দুর্দান্ত যুক্তি দেখিয়েছেন!

ভাই আপনাকে পার্সোনালি একটা রিকোয়েস্ট করি

যদি বৈধ জন্ম হয়ে থাকে, কখনো কোন ডাক্তারের চেম্বারে / হস্পিটালে গিয়ে আপনার ডাক্তার সম্পর্কে এরকম মূল্যায়নের কথা ডাক্তারকে জানায়েন

দেখবেন উনি তারপরও আপনার চিকিতসা করবেন

আসলে সমাজে দুই-একটা শুয়োর থাকবেই, সেটা বেশী না ৫%~
তাই একটা বাগানে ৯৫% আম গাছ আর ৫% নারিকেল গাছ থাকলে সেটাকে কি নারিকেল বাগান বলব?

যাই হোক পারলে বিদেশে গিয়া তোমার রোগের চিকিতসা করিও ভাই, যেহেতু এদেশের উপর তোমার আস্থা নাই

১৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২৬

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
হুম।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫০

রাজীব দে সরকার বলেছেন: হুম

১৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ঢাকা মেডিকেলের কোন ডাক্তারের কি রকম দৌড় এর উপর সময় কাটে!

ভালা কতা কইছেন, দারুন যুক্তি, ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তাররা অনেক ব্যাস্ত, তবে চিকিৎসার কাজে নয়, রুগীদের ভোগন্তিতে ফেইলা টাকা উদ্ধার করার জন্য।

গত কয়েকদিন আগে এক রুগী টাকা দিতে পারেনাই এজন্য হাসপাতালের বারান্দায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। এরকম হাজারো ঘটনা আছে।

ওরা মানুষের সেবা করতে আসে নাই, ওরা আসছে ব্যাবসা করতে, রুগীদের বিপদে ফেইলা কোটি কোটি টাকা ইনকাম করতে ।

সব শালাদের জুতাপেটা করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া উচিৎ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০২

রাজীব দে সরকার বলেছেন: মামুন সাহেব
পারলে একজন ডাক্তারের সাথে একটি দিন কাটান
অনেক কিছুই জানবেন তাদের জীবন ও ব্যস্ততা সম্পর্কে

জ্ঞানহীন মন এ আলো ঢুকবে

২০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫০

রাজীব দে সরকার বলেছেন: গত কয়েকদিন আগে এক রুগী টাকা দিতে পারেনাই এজন্য হাসপাতালের বারান্দায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। এরকম হাজারো ঘটনা আছে।

ভাই চাপা একটু সাইডে গিয়া মারেন
আপনি বোধয় জানেন না যেকোন সরকারি মেডিকেলে নাম মাত্র মূল্যে চিকিতসা করা হয়, যেমন আউটডোর প্রেসক্রিপশন ১০ টাকা!!
ঐ রোগী কি কারনে মারা গেছে তা আগে জেনে আসেন!

সব ডাক্তারদের জুতাপেটা করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া উচিৎ - তাহলে হাসপাতাল কে চালাবে? সাংবাদিক রা নাকি তোমার ভগ্নিপতিরা??

২১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আমরা বিদেশে যেয়ে চিকিৎসা করবো কেন, আপনার মতো ডাক্তারদের দেশের মানুষ ঘৃণা করে, আপনারা বিদেশ যায়া কষাইয়ের কাজ করেন।


যদি বৈধ জন্ম হয়ে থাকে, কখনো কোন ডাক্তারের চেম্বারে / হস্পিটালে গিয়ে আপনার ডাক্তার সম্পর্কে এরকম মূল্যায়নের কথা ডাক্তারকে জানায়েন, দেখবেন উনি তারপরও আপনার চিকিতসা করবেন


আপনেরা টাকার সন্তান, টাকাই আপনাদের মা - পা। টাকার বিনিময়ে আপনার অনেক কিছুই করতে পারেন,। টাকা না দিলে চিকিৎসা করপে, এইরাম কোন কষাই আছে নাকি ?

আপনে যেইরাম কইরা ছাগলের মতো ম্যা ম্যা যুক্তি দেহায়া, সকলের মন্তব্যের উত্তর দিতাছেন, তা দেইখা আপনের প্রতি করনা হচ্ছে।

আপনার মতো চামড়াহীন বস্তুরা ডাক্তার খেতাব ধারন করে বলেই, আজ ডাক্তার নামক মহৎ পেশাকে মানুষ ঘৃণা করে।


ডাক্তার হওয়ার আগে মানুষ হতে শিখুন, মানবতার মূল্য দিতে শিখুন, তারপর বুঝবেন আপনার মতো ডাক্তারদের মানুষ কেন ঘৃণা করে।

আপনার মতো নিম্নমানের কষাইয়ের সাথে কথা বলার রুচি নেই, এটাই আমার শেষ মন্তব্য।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০০

রাজীব দে সরকার বলেছেন: আমাদেরকে কসাই বলতেই তো এতো কথা!
ডোন্ট ওরি, এরপরও মানুষের পাশে আছি থাকবো

কারন আফসোস, সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যোগ্য মনে করলে আপনাকেই মানুষের সেবা করার সুযোগ দিতেন

গালিগালাজ করে পালিয়ে যাওয়া তো হিজড়াদের কাজ
কই গেলেন ভাই?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

রাজীব দে সরকার বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটা মিথ্যার এবং অভিযোগের জবাব দিয়েছি
এটাই আমার সান্ত্বনা

২২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:১৩

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: কারন আফসোস, সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যোগ্য মনে করলে আপনাকেই মানুষের সেবা করার সুযোগ দিতেন

ধন্যবাদ, সৃস্টিকর্তা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন কিনা জানিনা, তবে বিকেকের তাড়নায় নিজের পকেটের টাকা খরচ করে সাধ্যমত মানুষের সেবা করার চেষ্টা করি, এই পর্যন্ত বহুবার বহুভাবে মানুষের সেবা করেছি এবং এখনও করছি, বর্তমানেও বিশাল এক জনগোস্টিকে নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

বহু সুযোগ এসেছে, তার পরও আজ পর্যন্ত কাউকে সেবা করার বিনিময়ে এক পয়সাও নেই নি, বরং বিনা লাভে মানুষের সেবা করতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছি অনেক সময় বিপত্তিতে পড়েছি।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

রাজীব দে সরকার বলেছেন: ডায়াগনস্টিক নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন

তাহলে তো চরম (!) সেবা করছেন ভাই

আপনাকে দূর থেকে সালাম, আপনি তো ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার থেকেও অনেক অনেক মেধাবী!!!!!!!

২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:১৯

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আমি কোথাও মিথ্যা বলিনি, কোন ডাক্তারের সাথে আমার ব্যাক্তিগত শত্রুতা নেই, যা জেনেছি, যা দেখেছি, তাই বলেছি।

ডাক্তারী হচ্ছে মহৎ পেশা, এরকম একটা পেশায় সম্পৃক্ত হতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার, কিন্তু দুংখজনক হলেও ‍কিছু অমানুষের কারনে মানুষ এখন এই পেশাকে ঘৃণা করে।

আমি আপনাকে আবারও বলছি, ডাক্তার হওয়ার আগে মানুষ হতে শিখুন, মানবতার মূল্য দিতে শিখুন, তারপর বুঝবেন আপনার মতো ডাক্তারদের মানুষ কেন ঘৃণা করে।

আর মন্তব্য করবোনা বলে ভেবেছিলাম, তার পরও মন্তব্য করলাম।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৬

রাজীব দে সরকার বলেছেন: উপদেশ এর জন্য ধন্যবাদ, আপাতত আপনার ডায়াগনস্টিক এর কর্মচারীদের জন্য তুলে রাখুন
ডাক্তারকে উপদেশ দেবার যোগ্যতা অর্জন করুন,
তারপর আসবেন

২৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

প‌্যাপিলন বলেছেন: বিএমএ মোটেও ভোদাই গোছের না। ক্ষমতাসীন দলের পশ্চাতদেশ চেটে নিয়োগ, বদলী বানিজ্য, নির্বাচনে ব্যালট ছিনতাই কাজে তারা খুবই পারদর্শী।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৭

রাজীব দে সরকার বলেছেন: সহমত
পরিবর্তন দরকার মানসিকতার!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.