নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Scorpion

আমি, আমি এবং শুধুই আমি.....

েমাঃ মামুনুর রশীদ (রাজীব)

I believe that I have miles to go before I sleep.\nI feel extremely proud when I sense that I have the power to think, love

েমাঃ মামুনুর রশীদ (রাজীব) › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ তুমি হামাস এবং ইসরাইলের হাত থেকে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষা কর। পথভ্রষ্টদের জন্য আর নিরীহ মানুষদের শাস্তি দিও না। ফিলিস্তিনিদের জন্য একমাত্র তুমিই যথেষ্ট। হামাস ধ্বংস হোক ইসরাইল ধ্বংস হোক।

২৮ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

***কেন হামাসের বিরোধিতা?? কারণ মুসলিম জাতির সত্যিকারের কোন নেতাই এমন অস্ত্র আর ক্ষমতার জন্য অন্ধ হয় নি... হতেও পারেনা... হামাসের মত অস্ত্রধারী খমতালোভীরা সবসময় যুদ্ধ ডেকে এনেছে এবং সেখানে নিরীহ মুসলিমরাই হতাহত বেশি হয়েছে। হামাস ফিলিস্তিনের অনেকের কাছেই নেতৃত্ব হিসেবে স্বীকৃত না। সেখানে সমগ্র মুসলিম তো প্রশ্নই ওঠেনা। ইসলামে ইয়াজিদের হাত দিয়ে অস্ত্র আর রক্তের মাধ্যমে ক্ষমতায় দখলের সুচনা ঘটে। সাধারণ মানুষ হত্যার মধ্যদিয়ে ইসলাম বাস্তবায়িত হতে পারেনা। ইসলামের নেতা আল্লাহ নির্ধারণ করেন। যারা সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে পারেন না তারাই নিজেরা নিজেদের নেতা বা খলিফা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে অস্ত্র দিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায়। যেটাকে আমি ইসলাম বলতে পারিনা।



***হামাসের তুলনা ইসরাইলের সাথে দিলে যে অবস্থান দাড়ায় সেটাতে অবশ্যই হামাস সঠিক। কিন্তু ইসলামের সাথে হামাসের তুলনা দিলে হামাস সঠিক নয়। তাদের জনপ্রিয়তা তাদের কট্টর পন্থী বানিয়েছে। এর ফলে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে তালেবানদের মত করে শাসন করতে যেয়ে ইসরাইলকে নিরীহ মানুষ হত্যার উছিলা বানাতে সাহায্য করছে। আমার ক্ষমতার দরকার নাই বেঁচে থাকা দরকার। আর সেখান থেকেই আমি তাদের ধ্বংস চেয়েছি। হামাসের মত দল গুলো যতদিন থাকবে এরা ক্ষমতার জন্য নিরীহ মানুষদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবে। ইসরাইলের বিভিন্ন চক্রান্ত আর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে ২৫ জনকে হত্যা করলে ওরা ২৫০০০ মেরে ফেলে। বারবার ইসরাইল তাই করছে। এই রোজার মাসেও তাই করলো। সাধারণ মানুষ এইসব স্কোয়াডে থাকেনা অথচ তারাই মারা যায়। থাকনা মানুষ গুলো বেঁচে থাক। ক্ষমতা দিয়ে কি হবে যদি সবাই মারা যায়। কট্টরপন্থা ইমানের সাথে করবো মানুষের জীবনের সাথে না। যেখানে হামাস ছিলনা সেখানে ইসলাম প্রবেশ করেনি?? সারাবিশ্বে ইসলাম ছড়িয়ে পরার পিছনে কোন হামাসের দরকার হয়নি। কিন্তু ইসলামফোবিয়া ছড়িয়ে পরা, অস্ত্র আর ক্ষমতার রাজনীতি, হত্যাকাণ্ড আর রক্তপাত সৃষ্টি এগুলোর পিছনে এইসব হামাস জাতীয় দলগুলো রয়েছে। এরাই অন্যদের সুযোগ করে দিয়েছে ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক বা সন্ত্রাসী শব্দটি ব্যবহার করার।

***তালেবানদের একসময় আদর্শ মানা হয়েছে। আজ আমরা জানি রাশিয়ার কাছ থেকে আফগান অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র আর অর্থ দিয়ে তালেবান বানিয়েছে। এই তালেবানের জন্য কত নিরীহ আফগান মারা গেল?? আলকায়েদা বাদ দিলাম। সাদ্দাম হোসেন?? তাকেও আমরা আদর্শ মানতাম। তিনি যে পরিমান মানবাধিকার লংঘন করেছেন তার খেসারত সাধারণ ইরাকিরা দিল। পাকিস্থান??? চরম কট্টরপন্থী খমতালোভি গোষ্ঠী আর সামরিক বাহিনী সাধারণ পাকিস্থানি জনগনের হত্যাকাণ্ড ডেকে এনেছে। আমি অবশ্য এটাকে আল্লাহর বিচার বলে মনে করি। ৭১ সালে নিরীহ মানুষ হত্যার বিচার যদি পাকিস্থান করতো আল্লাহ এইরকম গজব নাজিল করতো না। এই ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকাংশের অর্থ আর অস্ত্র দেয় কার?? আরবের ঐ সব ব্যবসায়ী ধনকুবের যারা ইহুদিদের সাথে সুদের ব্যবসা করে। ইমানের চাইতে টাকা আর বিলাস নিয়ে মত্ত থাকে কিংবা ঐসব কাফিররা যারা বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে অস্ত্রের ব্যবসা করে অর্থনীতি দাড় করায়। কিংবা বিভিন্ন চক্রান্ত করে ক্ষমতা দখলকরে থাকতে চায়। আর ইসলাম কায়েম করানোর স্বপ্ন দেখিয়ে টাকা আর অস্ত্র দিতে থাকে। আমরাও যারা রক্ত গরম, ক্ষমতা পাওয়ার লোভে মত্ত, কিসের আল্লাহ খলিফা পাঠাবেন? কবেই বা পাঠাবেন?? আমি কি কোরআন হাদিস কম জানি বা মানি?? এইসব কিছু না ভেবে ওদের সেই বিছানো ষড়যন্ত্রে পা দেই। আর ইসলাম কায়েম করার নামে সাধারণ মুসলিমদের উপর ইঙ্গ-মার্কিন, ইসরাইল, ভারতীয় সেনাবাহিনী ডেকে আনি। সারা বিশ্বের অমুসলিমদের কাছে ইসলামকে সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরি।

হযরত আলী(রাঃ) মৃত্যুর পরে... খিলাফাতের দ্বন্দ্ব শুরু হলে নবীজি(সাঃ) খুব কাছের সাহাবাগণ জীবিত থাকলেও কেন তারা সে সময় রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে না ধরে ক্ষমতা গ্রহণের লালসা বাদ দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে জীবন জাপন অত্যন্ত কঠিন এবং সম্পুর্ণ ভিন্ন পরিবেশে চলে গেলেন অনেকে যুদ্ধও করলেন কিন্তু কখনোই খমতার দিকে তাকালেন না। সারা জীবন পার করলেন আর সেখানেই শায়িত হলেন। আজ পর্যন্ত সেই সব সাহাবাদের এবং তার অনুসারীদের কেউ সন্ত্রাসী বলতে পারলো না। সকল ধর্মের মানুষ তাদের কাছে নিরাপত্তা পেত। তাদের মেনে চলতো। আব্বাসিয়, উমাইয়া, ফাতিমিদ বংশ সম্পর্কে আমরা জানি, তাদের মেলা কৃতিত্ব। কিন্তু কিভাবে আফ্রিকায়, ভারতে, ইন্দোনেশিয়াতে, চীনে, বলকান অঞ্চলে, মালয়েশিয়াতে এবং সারা বিশ্বে এতো মুসলিম হয়ে গেল?? কোন হামাস?? কোন তালেবান?? কোন ব্রাদারহুড?? কোন হিজবুল্লাহ?? এই মুসলিম বিশ্ব তৈরি করেছে?? তারা কেউ করেনি। তাহলে কেন তাদের ইসলামিক নাম ধারী মানবসৃষ্ট রাজনৈতিক কর্মকান্ডে এইসব নিরীহ মুসলিমরা মারা যাবে?? কেন এইসব বেদাত (নতুন) সিস্টেমের ধ্বংস চাইবো না। আমার নবী (সঃ) বেদাত থেকে সাবধান থাকতে বলেছেন কারণ বেদাত এর মধ্য দিয়ে শয়তান প্রবেশ করে। আর কত হত্যা আর রক্তপাত হলে এইসব হামাস দের বিশ্বাস হবে যে তাদের ডেকে আনা বেদাতের মধ্যদিয়ে শয়তান নিরীহ মুসলিমদের হত্যা করছে... ধ্বংস হোক এরা...



*** মুসলিম জাতির সত্যিকারের কোন নেতাই এমন অস্ত্র আর ক্ষমতার জন্য অন্ধ হয় নি... হতেও পারেনা..." - ইসলামিক ইতিহাস কী তাই বলে ? মুহাম্মদ কি ক্ষমতা চান নি......? ক্ষমতার উত্তরাধিকার নিয়ে কি খোদ মুহাম্মদের নিকটজনের মধ্যে লড়াই বাঁধে নি??



***কাউকে ডেকে নিয়ে বসানো... এবং সকলের সম্মতিতে বসা... অস্ত্রের মাধ্যমে শক্তি প্রয়োগ করে বসা এক নয়... ইসলামের ইতিহাস আর মুসলিম শাসকদের ইতিহাসের মাঝে পার্থক্য আছে... যদিও আমরা গুলিয়ে ফেলে নাম দিয়েছি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি... মুহম্মদ (সঃ) ক্ষমতা চাননি... মদিনা সনদ এবং মক্কা বিজয় তার প্রমাণ... সেই সাথে উত্তরসূরি নির্ধারণ না করে দিয়ে তিনি চূড়ান্ত প্রমাণ দেন তিনি ক্ষমতার জন্য পৃথিবীতে আসেন নি। ক্ষমতা তার জন্য সাধারণ কিছুই ছিল। তার পরবর্তী চারজন উত্তরসূরির মাঝে সমস্যা ছিল না। চার জনের একজনকে নিয়ে কিছু বিপথগামী সমস্যা তৈরি করেছিল। যারা আজও বিপথগামী... হযরত আলী (রাঃ) তাদের অনেক চেস্থা করেও, রাজধানী মদিনা থেকে কুফা তে নিয়েও ফেরাতে পারেননি। তারা প্রথম ইসলামে ভাঙ্গন তৈরি করে...। ক্ষমতার লোভে অন্ধ আমরা আজ যাদের আদর্শ মনে করি অথচ তারা বাতিল... এরা হচ্ছে শিয়া... (ইরান)। মুসলিমদের ইতিহাসে ের পর যারা এসেছে তারা কেউ আর ইসলামের ইতিহাস না। সবাই স্বঘোষিত খলিফা আর ক্ষমতা লোভি। সুতরাং তাদের প্রসঙ্গ আলাদা...

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

আসাধারন সুন্দর লিখেছেন ভাই। একে বারে মনের কথা গুলো লিখেছেন। এই বোধ গুলো মুসলিম সমাজে উদয় না হলে সামনে আরো খারাপ দিন। (আল্লাহ না করুন)

" আল্লাহ তুমি হামাস এবং ইসরাইলের হাত থেকে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষা কর। পথভ্রষ্টদের জন্য আর নিরীহ মানুষদের শাস্তি দিও না। ফিলিস্তিনিদের জন্য একমাত্র তুমিই যথেষ্ট। হামাস ধ্বংস হোক ইসরাইল ধ্বংস হোক। "

কেউ খেয়ালই করেনা যে ইরান কোন স্বার্থে হামাস কে ইন্দন দেয় ??? আমারতো মাঝে মাঝে মনে হয়, ইরানই ইজরাইলের গোপন বন্ধু !!! ছোটকাল থেকে শুনতেছি ইরান আমেরিকা ঝগড়া !!!! অথচ দেখেন এতগুলা দেশ ধবংশ করে ফেলল মধ্যপ্রাচ্চের কিন্তু ইরানে কোন দিন একটা বোমাও ফুটলনা !!! ইরানের কি আর ২০-২৫ বছর আগে থেকেই নুক আছে ?????? ইরান হামাস কে সাহায্য করে গাজাকে ইসরাইলিদের দখলের জন্য ক্রমেই উনমুক্ত করেছে বলেই আমার সব সময় মনে হয়। আর ইরান ইসরাইল টেনশন হল নাটক !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


আসসালামুয়ালাইকুম

ঈদ মুবারাক

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

েমাঃ মামুনুর রশীদ (রাজীব) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই..। দেখেছেন নিশ্চই..। এই শুভবোধের কথা বলায় মোসাদে চাকরীর জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে। গালাগালি যে করে নাই আমি তাতেই খুশি.।.। কিভাবে হবে বোধোদয় জানিনা.।

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

েমাঃ মামুনুর রশীদ (রাজীব) বলেছেন: ঈদ মোবারক.।.।.।.। ভালো থাকবেন.।.।.।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: এই বল গার কে, মোসাদে নেওয়ার জোর তলব করা উচিত!

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

েমাঃ মামুনুর রশীদ (রাজীব) বলেছেন: ভাই আমাকে ইহুদি বলেন নাই এই অনেক!!! লেখাটা সম্পুর্ণ পড়েই মন্তব্য করেছেন নিশ্চই। আমার লেখার কয়েকটা যুক্তি খণ্ডন করেন না। আমি কোথায় কোথায় মিথ্যা বলেছি একটু ধরিয়ে দিন। এইখানে কোথায় কোথায় মিথ্যা বলা হয়েছে??

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২

রিফাত হোসেন বলেছেন: ফিলিস্তিন কারউ সাথে পরিচয় আছে ?
ফিলিস্তিন বাদ দিলাম, ইরানী বা ইরাকী, কুয়েতী বাদ দিলাম কোন আরবীর সাথে উঠা বসা আছে ?

হাজার মাইল দূরে থেকে হাজার মাইল দূর সম্পর্ক রেখে বই আর মিডিয়া আউলিয়ে তো হয় না ।---

আপনার অধিকাংশ তথ্য সঠিক তবে কিছুটা করাপ্ট ।
আমি বাড়তি কথায় যাব না, বটম পয়েন্ট বলি ..

বর্তমান পরিস্থিতির জন্য হামাস দায়ী নয় । দায়ী পুরো মুসলিম বিশ্ব বা আরব সমাজ ।

হামাস এখন প্রতিরোধ ও আক্রমন (যা বোকামী হলেও এটাই করতে পারে বীরের মত) এর সর্বাত্নক চেষ্টা করছে

fight or die ! এই মতবাদ তাদের মাথায় ।

ফিলিস্তিন এর প্রত্যেকটা শিশুর জন্ম হয় যোদ্ধা হিসেবেই যাতে তারা শহীদ হতে পারে । শুধু হামাস বলে না..... কিন্তু :(


ঘরে বসে ব্লগান ভাল, যুদ্ধের মধ্যে থাকতেন বুঝতেন ! ১৯৭১ সালে জন্ম হলে টের পেতেন । কপাল খারাপ যে মুসলিম নাম নিয়ে ফেনা আউড়িয়ে করাপ্ট হাদীস দিয়ে গণিমতের মাল হিসেবে আমাদের মা বোনের ইজ্জত যেভাবে নিয়েছে ঠিক তেমনি ফিলিস্তিন এ ইসরাইল পন্থী মুসলিমও আছে যারা জয়ী পক্ষের অনুগত হয়ে বাচঁতে চায় !

--------- আরে সাহেব যেখানে কিছুই করা যাচ্ছে না সেখানে fight or die ! পন্থাই অবলম্বন করবে । যেভাবে হোক স্বাধীনতা আদায় করা

একটুবার চিন্তা করুন তাদের হয়ে আপনি যেখানে ধীরে ধীরে জেল খানায় বন্দী হয়ে যাচ্ছেন ।

সেখানে তারা ফ্রিক হয়ে যাবে স্বাভাবিক । কারন তাদের লক্ষ্য মুক্তি


*** মুসলিম জাতির সত্যিকারের কোন নেতাই এমন অস্ত্র আর ক্ষমতার জন্য অন্ধ হয় নি... হতেও পারেনা..." - ইসলামিক ইতিহাস কী তাই বলে ? মুহাম্মদ কি ক্ষমতা চান নি......? ক্ষমতার উত্তরাধিকার নিয়ে কি খোদ মুহাম্মদের নিকটজনের মধ্যে লড়াই বাঁধে নি??
- কথা সত্য কিন্তু এই বলে ...

আপনি হাল ছেড়ে দিবেন ? আমি তো বললাম ই হামাস, বিএনপি,আওয়ামেলীগ অমুক তমুক পার্টি পৃথিবীর সব কিছু সম্পূর্ণ সত নয়, তারা মনে করে নিজেরা ভাল গড়ে তুলতে পারবে কিন্তু নিজেরাই ক্ষমতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ।

তবে বর্তমান বিচারে হামাস/ফিলিস্তিন বনাম ইয়াহূদী মুক্তি সংগ্রাম সঠিক ।

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জনতা কে এক করতে পেরেছিলেন কিন্তু কেন বাকশাল তৈরী করলেন.. অনেকটা এক নায়কের দিকে ধাবিত হলেন ? কেন অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছিল,.... ক্ষমতার জন্য, ব্যবহার অপ‌ব্যবহার হয়ে যাচ্ছিল , তিনি কম , তার দলের লোক বেশী ।.....

কিন্তু এই বলে ১৯৭১ সালে তার অবদান কে কি খাট করে দেখতে পারি ?

আপনি বলেন ?

তাই হামাস যেভাবনে যাই করেছিল বা করতে চাচ্ছিল কিন্তু বর্তমানে তারা তথা সমগ্র ফিলিস্তিন মুক্তি চায় ,, নিজেদের কিছু চায় । তা তাদের দিয়ে দেওয়া উচিত ।



জেনারেল জিয়াও দেশের জন্য ক্ষমতা ধরে রাখারা জন্যই হত্যা করেছিল তবে তিনি দেশের ক্ষতি না করে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য হত্যা করেছিলেন তার বাধাঁ গুলিকে ।
মানুষ যদি স্বতসফূর্তভাবে ভাবে তাকে পছন্দ করার সুযোগ দিত তাহলে সেও বেচে থাকত, ক্ষমতাই তাকে ধ্বংস করেছে, অর্থকড়ি নয় ।

আরব ইয়াহূদী যুদ্ধ হয়েছে এর আগেও তার পরেও মিশর আর বাকি আরব দেশের সাথে ইসরাইলের দহরম মহরম ! পিলিজ কেউ আমারে মাইরালা !
একবারও বললেন না,, আরব দেশ ধ্বংস হোক আর ইজরাইলও ধ্বংস হোক !
---

যদি বিশ্বাসী হন তাহলে বলব ইয়াহূদীরা ধ্বংস হবে না সহজে, থাকবে অনেকদিন ।

হামাস চেষ্টা করে যাবে, ফিলিস্তিনরা সংগ্রাম করে যাবে ।

কিন্তু আপনার বদ দোয়া ভাল লাগল না । তাই বললাম ,. আপনি মোসাদে যোগ দেওয়া উচিত ।


সহজ ব্যাপার বুঝতে না পারলে ... আপনার যুক্তি নিয়েই থাকেন ।



তবে মনে কষ্ট নিবেন না, যদি আমার কথা বুকে গেথে থাকে । নানা মুনির নানা মত :)






৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

েমাঃ মামুনুর রশীদ (রাজীব) বলেছেন: ভাই সমস্যা কিন্তু ঐ নানা মুনির নানা মত থেকে। মুনি যখন বেশি হয় তখন জাতি বিভ্রান্ত হয়ে ঐক্য হারায় এবং ধ্বংস হয়। যা বর্তমান মুসলিমদের ক্ষেত্রে সত্য।
“বানী ইস্রায়েলরা ৭২ ফির্কায় বিভক্ত হয়েছিল আর আমার উম্মত ৭৩ ফির্কায় বিভক্ত হবে। তন্মোধ্যে ৭২টা ফির্কা জাহান্নামে যাবে এবং একটি ফির্কা জান্নাতে প্রবেশ করবে। ঐ জান্নাতি ফির্কা তারা যারা আমার এবং আমার সাহাবাদের আদর্শে কায়েম থাকবে” (তিরমিযী, আবু দাউদ, আহমাদ, মিশকাত)।
সুতরাং নানা মুনির মত মানতে যেয়েই আমাদের পথ জাহান্নামের দিকে যাবে এবং দুনিয়াতে অশান্তি আসবে।
ভাই আপ্নিতো আল্লাহ চাইলে বিশাল জিনিস... ফিলিস্তিন, ইরানী বা ইরাকী, কুয়েতী এবং আরবীর সাথে উঠা বসা আছে আপনার। বলকান থেকে আফগান, আরব থেকে আফ্রিকা সবার সাথে সেই যোগাযোগ। আমি তুচ্ছ মানুষ এত পারবো ক্যামনে। তবে ফেইসবুকের কল্যানে বসনিয়া, চেচনিয়া, আফগান, কাশ্মীর, তুরস্ক, আজারবাইজান, ফিলিস্তিন, মিসর, ইরাক, আজারবাইজান, সার্বিয়া, কসভো, ইস্রাইলি, তিউনিসিয়া, মরক্ক, লেবানন, ইরান সহ আরও অনেক দেশের একাধিক ফ্রেন্ড আছে। ইসরাইলের তার্কিশ ত্রানবাহী জাহাজে আক্রমণের সময় থেকে এই যোগাযোগ শুরু হয়, আরব বসন্তের সময় তা আরও শক্ত হয়। আর এখন পর্যন্ত আছে এই আরকি। আমার এই ফ্রেন্দলিস্টের মাঝে কয়েকজন আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। অধিকাংশই যার যার দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের সাথে আমার নিয়মিত কথা হত। যে এখন আর ফেইসবুকে নাই। লাস্ট সে জানিয়েছিল গোয়েন্দা তার পিছনে লেগেছে সে কিছুদিন নেট ব্যবহার করবেনা। সবচেয়ে মজার বিষয় সেই গোয়েন্দারা নাকি মুসলিম এবং ফিলিস্তিনি বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য। সে আর যোগাযোগ করেনি।
আমার বসনিয়ান এক ফ্রেন্ড ওকে ফিলিস্তিন থেকে বসনিয়া নিয়ে যাওয়ার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। খুব গভীর রাতে ও আমাদের সাথে চ্যাট করত এবং দেখিয়েছে ফেসবুক লাইভ চ্যটে কিসের মাঝে তারা থাকে।
যাই হোক এটা সত্য যে আমি যুদ্ধের দেশে বা ৭১ এ জন্ম নেই নি। কিন্তু আপনার জন্ম যে ৭১ এর আগে সেটা জেনেই আমার আনন্দ লাগছে। আপনি কত অভিজ্ঞ!!! মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন বোধকরি করেছেন ও। এখন গাজায় বসে বসে লিখে আমার ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু আপনার যুদ্ধের দেশের মানুষ ক্যামন হয় সে বর্ননা বুঝলাম না। ৭১ এর সাথে ফিলিস্তিনের সম্পর্ক করলেন অথচ আমি যতদূর জানি রক্ত আর মৃত্যুর মিল ছাড়া এ দুজাগায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পুর্ন ভিন্ন। আমি ভুল জান্তেই পারি যেহেতু আপনার মত যুদ্ধের ময়দানে বসে লিখছিনা। হাজার হাজার মাইল দূর থেকে বই আর পত্রিকা আউরিয়ে লিখছি। পুর্ব পাকিস্তানে ইস্লামিজমের চর্চাকারিরা ৭১ এ করেছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা, আর ফিলিস্তিনের ইস্লামিজমের চর্চাকারি হামাস করছে সেখানকার মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন। কিসের সাথে কি???
যাই হোক, হামাসের মত, হিজবুল্লার মত, কাদিয়ানির মত, শিয়াদের মত ইত্যাদি ইত্যাদিই সমস্যা। আপনি তো মানবেন না আগেই বলেছেন। আর আমার মত নিয়ে আমাকে থাকতে বলেছেন। তার পরেও অনর্থক চেষ্টা।
আপনার লেখায় যে সমস্যা রয়েছে সেটা হচ্ছে আপনার হামাস কেই ফিলিস্তিন মনে করা। যুদ্ধের ময়দানে গাঁজায় লেখা এজন্য এটা হতে পারে। হামাসের মত অসংখ্য ছোট বড় দল ফিলিস্তিনে অবস্থিত। হামাসের জনপ্রিয়তা গাজায় বেশি। এবং হামাসের মত কিন্তু হামাস নয় এমন দল ও আছে। ইয়াসির আরাফাত অসংখ্য বার তাদের একত্রে এনে এক ডিসিশন নিতে চেয়েছে। তারা কখনই এক হতে পারেনি। এখনও হামাস তার মত অস্ত্রধারী দল গুলোকে এক করতে পারেনি। হামাসের অনুসারীরা চায় ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে। ইসরাইল ক্ষমতা আমার কাছে দিবে আমি রক্ষণশীল ইসলামিক রাষ্ট্র বানাবো। ইসরাইল চায় এমন হুমকির কাছে ফিলিস্তিন নামক কোন গ্রামও আমি ছাড়বো না। ফিলিস্তিন যদি কোনদিন হয়ও সেটা হবে ডেমোক্র্যাটিক ইউরোপের দেশগুলোর মত। ফাতাহ সহ অন্যান্য দলগুলো এইখানে আপোষ করে স্বাধীনতা চায়। তারা চায় ইসরাইলের কাছ থেকে আগে স্বাধীন হওয়া দরকার, পড়ে অন্য কিছু। সেখানে আবার সীমানা নিয়ে সমস্যা। ইসরাইল কিছুই ছাড়বে না যা দখল করার করেছে। তখন ফিলিস্তিনের ঐ দল গুলির কিছু করার থাকেনা। ইসরাইল ও সারা বিশ্বকে দেখায় ফিলিস্তিনিরাই এক না। এরকম সঙ্কটের মাঝে এই সশস্ত্র দলগুলো আবার অস্ত্র আর খাবার এর জন্য আশেপাশের দেশগুলোর সাহায্য নেয়। মাঝে মাঝে হামলা করে ইসরাইলে। কিংবা ইসরাইল আতঙ্কে থাকে কখন এরা অনেক শক্তিশালী হয়ে যায়। যখন বোঝে এরা বেড়ে যাচ্ছে তখন নিরাপত্তার নাম নিয়ে ৬৭ জনের বিরুদ্ধে ২০০০ নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। হামাসের মত দলগুলো কখনোই ঐক্য তৈরি করেনি। ফিলিস্তিনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আব্বাসকেও তারা মানে না। নিজেদের মত চলতে চায়। ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিততে হলে অস্ত্র নয় কৌশলী হতে হবে। তার প্রমাণ আরব ইসরাইল যুদ্ধ। ডলার ডিপ্লোম্যাসি আর অয়েল ডিপ্লোম্যাসি ঐ যুগে প্রমাণ করেছে ইসরাইল কি জিনিস। কিভাবে আনোয়ার সাদাত খাম্বা হয়ে গেল। মাত্র এক সপ্তাহ যদি যুদ্ধটা চলত তাহলে আজ পৃথিবীতে ইসরাইল বলে কিছু থাকতো না। এইবার নিশ্চই জানতে চাইবেন না আমি আরব ইসরাইল যুদ্ধের সময় জন্মাইছি কি না। যা হোক সে যুগ তো বাসি হয়েছে। এযুগে আবার নতুন পাগলের আমদানি। ১০টা একে৪৭ আর পঞ্চাশটা রকেট লঞ্চার। এই নিয়া স্বাধীন হবে হামাস। ভাত নাই, পানি নাই, কাপড় নাই, নিরাপত্তা নাই। এর মধ্যে আবার একশ দল, কেউ গাজা শাসন করব, কেউ পুর্বতীর, কেউ গণতন্ত্র, কেউ ইস্লামিজম। এই হচ্ছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনিদের প্রধান সমস্যা ঐক্য নাই। আর যারা ঐক্য আনতে চায়না তারা অস্ত্রধারী জিহাদি। মরবো রক্ত ঝরাবো কিন্তু ক্ষমতার বিষয়ে আপোষ করবো না। যদি সত্যি এইসব অস্ত্রধারী রা না থাকতো তাহলে সেখানে ঐক্য আসতো। ইসরাইল যাই করুক ফিলিস্তিনিদের এইভাবে মরতে হত না। এই জন্য আমি হামাসেরও ধ্বংস চেয়েছি। হামাস মানে সমগ্র ফিলিস্তিন না। হামাস ফিলিস্তিনিদের একটা সশস্ত্র গ্রুপ। অস্ত্রের মাধ্যমে যারা ক্ষমতা ধরে রাখা ও ইসরাইলকে সরাতে চায়। জীবন দিতে চায়। কিন্তু সমগ্র ফিলিস্তিন তাদের এই পন্থা বিশ্বাস করেনা। সেটা তারা মানতে চায় না। তারা তাদের পথে সবাইকেই আনতে চায়। এটাই সমস্যা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.