নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুস্থ বিবেক সুস্থ মানুষ গড়ে তোলে। আর সেই সুস্থ মানুষই সভ্য মানুষ।

রাজিবুল ইসলাম রাজু

সাদা সিধে মানুষ হয়ে হেটে চলতে চাই জীবনের শেষ মুহুর্তের দিকে।

রাজিবুল ইসলাম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত এবং আমাদের ভবিষ্যৎ

২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২২

বড় রাষ্ট্রের দ্বারা ছোট রাষ্ট্র আগ্রাসনের শিকার হবে এটাই স্বাভাবিক। কারন সবলরা সব সময় দূর্বলদের শোষণ করতে চায়। তেমনি বাংলাদেশও বৃহৎ রাষ্ট্র ভারতের কাছে খুবই ছোট্র একটি রাষ্ট্র। এই কারনে বাংলাদেশ নামক ছোট্র রাষ্ট্রটি ভারত নামক বৃহৎ রাষ্ট্রের আগ্রাসনের শিকার। তাই বাংলাদেশ ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অবশ্যই বাংলাদেশের অবিভাক্ত ভারতের সাথে যুক্ত হওয়া যুক্তিযুক্ত মনে হয়। এতে করে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা হারাবে কিন্তু বৃহৎ রাষ্ট্রের সাথে যুক্ত থাকার সুফল ভোগ করবে। যেমন বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনে প্রবাসীরা দেশের বাইরে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া এই অঞ্চলে শিক্ষা এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে বলা যায়। ছোট রাষ্ট্র হবার কারনে পৃথিবীর ধনী এবং বড় রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন সময়ে এই দেশে আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করে। যার ফলে প্রকৃত অর্থনৈতিক সুফল থেকে এই দেশের মানুষ বঞ্চিত হয়।

যদিও জানি এই কথাগুলো শুনতে কারো কাছেই ভাল লাগবে না। কারন কয়েক লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশের স্বাধীনতা। কিন্তু আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে আমরা এখন চাই আর না চাই একদিন না একদিন এই রাষ্ট্রটি তাদের অধীনে নেবার চেষ্টা করতে চাইতে পারে যা প্রতিহত করার মত কোন ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। তবে আমার কেন যেন মনে হয় ভারত বাংলাদেশের ভার নিতে রাজী হবে না। তারা এখানে তাদের একছত্র বাজার তৈরির করার চেষ্টা করবে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক আগ্রাসন বা শোষনের চেষ্টা করবে এবং অনুমান করাই যায় তাদের সেই প্রচেষ্টা ১০০% সফল হবে। এতে করে বাংলাদেশ আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই সিকিমের মত অবস্থায় বাংলাদেশের জন্য ভাল।

কিছু দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে যে ভাবে ভারতকে জড়িয়ে আলোচনা চলছে তাতে করে আমি ব্যক্তিগতভাবে আতঙ্কিত। ভারতের ওয়েব সাইটে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ভারতীয় তালিকায় থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের ফায়ার সার্ভিস এ নিয়োগ, সংখ্যালঘুদের রক্ষায় নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ কামনা। এই সব ঘটনা খুব ভাল কিছুর ইংগিত দেয় না।

প্রভু রাষ্ট্রের প্রতি নির্ভরশীলতাই প্রমান করে বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিধারা। সর্বশেষ বলাই যায় পাকিস্তানের শোষন থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি ঠিকই কিন্তু প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্রের আগ্রাসনের কবলে এই দেশ। বাংলাদেশের রাজনীতি, নীতিনির্ধারনী সিদ্ধান্ত থেকে সব কিছুই ভারত নিয়ন্ত্রন করতে চাইছে। যারা ফলাফল কি হবে তা ভাবার সময় মনে হয় এখন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪০

সুব্রত দত্ত বলেছেন: অাপনার অাশঙ্কা অামার মনে হয় ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বাজার সম্পূর্ণভাবে ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এমনকি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ তো সেই কবে থেকেই। বঙ্গবন্ধু এটা চাননি কিন্তু তবু এটাই হয়েছে। বটবৃক্ষের পাশে অন্য কোন বৃক্ষের স্থান নেই। তাই বলে যে অন্য বৃক্ষগুলোকে পরগাছা হতে হবে তা অামি মনে করি না। একমাত্র সাংস্কৃতিক ভাবেই ভারতের অাগ্রাসন কিছুটা ঠেকানো সম্ভব। কিন্তু সে অাশাও দুরাশা। হিন্দি সিরিয়ালে ভক্ত শ্রেণি, তাদের সন্তানদের মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা-ইংলিশ-হিন্দির দারুণ মিকচার তৈরি করছেন। তবু যার যার অবস্থান থেকে এই অাগ্রাসনের প্রতিবাদ করা উচিত বলে মনে করি। বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাষ্ট্র হোক- এমন চাওয়ার অামি কোনরকম সমর্থন করি না। যুক্তি এখানে সম্পূর্ণ অচল। দরকার হলে চিরজীবন দাসত্ব করব কিন্তু মাকে বিক্রি করতে পারব না। বলবেন, অাপনার চাওয়াতে কী অাসে যায়, রাষ্ট্র তো পরোক্ষভাবে দেশটাকে বেচেই দিয়েছে। তবু অামি বলব, প্রত্যক্ষ অপমান সহ্য করা অসম্ভব।

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৪

রাজিবুল ইসলাম রাজু বলেছেন: আপনার মন্তব্য অবশ্যই যৌক্তিক। আমিও এটা মানতে পারি না এই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ভূলুণ্ঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় আমিও আপনার মত অনেক বেশি শঙ্কিত। আর আপনি যথার্থই বলেছেন সাংস্কৃতিক বিপ্লব প্রয়োজন। সাংস্কৃতিক বিপ্লব ছাড়া এমন আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাবার অন্য কোন উপায় নেই।। ভাল থাকবে

২| ২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




সিংগাপুর ও হংকং ও ভতাটিকানের এর উপর আমরা প্রভাব বিস্তার করবো; ঐ ৩ টা ছোট আছে

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৫

রাজিবুল ইসলাম রাজু বলেছেন: আপনার বোঝায় হয়তো ভুল আছে। ভারত তার নিজের প্রয়োজনেই আগ্রসন চালাতে চায় বাংলাদেশে। যেহেতু তার ক্ষমতা আমাদের থেকে অনেক বেশি তাই তার সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করছে বাংলাদেশে। রাজনীতির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা তাদের আগ্রাসনের প্রক্রিয়া পাকাপোক্ত করছে। এর সাথে আপনার মন্তব্যের কোন মিল খুঁজে পাচ্ছি না আমি। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৩| ২২ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৬

কল্লোল পথিক বলেছেন:




তাহলে কিউবা কি আমেরিকার সাথে যুক্ত হবে!
এই কথা বলার সাহস আপনার হয় কি করে,
র এর দালাল দেশদ্রোহী!

২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৩

রাজিবুল ইসলাম রাজু বলেছেন: বিনিত ভাবে বলবো, আমি 'র' এর সদস্য না এবং ভারতের দালালও নই। শুধু বাস্তব অবস্থায় আমার দৃষ্টিগোচরে এসেছে তাই লিখলাম। এখানে হয়তো আপনার দ্বিমত থাকতে পারে তাই বলে কাউকে 'র' এর এজেন্ট বলা কতখানি সঠিক একটু ভেবে বলবেন। ভাল থাকবেন।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

প্রবালরক বলেছেন: মুসলমানী আগ্রাসন থেকে বাঁচতে হিন্দুবাদী-আধিপত্যের খপ্পরে পড়া বেচারা বাংলাদেশ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.