নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক নই আমি। কোন চলচ্চিত্র দেখা মাত্র মনের কথা গুলি লিখে ফেলি আর কি।

রাজিন

আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ

রাজিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজিন রিভিউ: Captain America: Civil War

১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪



আগের থেকেই বলে রাখি। এটি কোন রিভিউ নয়। কিছুটা আমার ব্যক্তিগত মন্তব্য বলতে পারেন। Captain America: Civil War নামক মুভিটির ঘোষণাতে যখন আয়রন ম্যানের অন্তর্ভুক্তি করা হয় তখন থেকেই বেশ রোমাঞ্চিত অনুভব করতে থাকি। এই এভেঞ্জারসগুলা তে দুনিয়ার চরিত্র। এইটাতে আশা করি শুধু ক্যাপটেন ম্যারিকা এবং আয়রন ম্যানই থাকবে। কিন্তু না। মার্ভেলের চুলকানির কারণে এই মুভিতে এভেঞ্জারস মুভিগুলা থেকেও দ্বীগুণ চরিত্র! এতগুলি চরিত্র নিয়ে কোন মুভিই স্বাভাবিকভাবেই ভাল হবার কথা নয় তবে সকল রিভিউয়ারদের প্রশংসার ফ্যানা দেখে বেশ সন্দেহ হলো :”আসলেই কি ভালো হয়েছে মুভিটি?”। সেটাই বিশ্লেষণের চেষ্টা করি।

কাহিনী জানা যাক। আগের মুভিগুলাতে এভেঞ্জারসদের তান্ডবে দুনিয়া রক্ষা পেলেও বেশ অনেক মানুষ মারা গেসে। সব দুষ এভেঞ্জারসদের। জাতিসংঘ ঠিক করলো আর চুদুর বুদুর চইলতো ন। বহুত হইসে ছাত্রলীগ ছাত্রলীগ খেলা এখন আওয়ামী লীগের হয়ে খেলো। আয়রন ম্যান রাজী হয় কিন্তু ক্যাপটেন আমেরিকা রাজী হয় না। লাগে গ্যান্জাম। আবার ক্যাপ্টেনের দোস্ত উইন্টার সোলজার এখন ফেরারী আসামী। তাকেও উদ্ধার করতে হবে। তাকে উদ্ধার করলে তো ক্যাপ্টেনও আসামী। আরও গ্যাঞ্জাম! গ্যাঞ্জাম থেকে গ্যাঞ্জাম। তারপরে হঠাৎ নির্দেশকদের মনে পড়ে যে এই মুভির একটি ভিলেন লাগবো। যাও পাশের রাস্তার ফুচকাওয়ালারে নিয়ে আসো। ব্যস ! কাহিনী শেষ।

মুভিটি প্রায়ই আড়াই ঘন্টা লম্বা। হয় বকবক দৃশ্য অথবা মারামারি। মাঝামাঝি কিছু নাই। মুভিটির মূল যুক্তি হলো ক্যাপ্টেন এবং আয়রন ম্যানের দ্বন্দ্ব। কিন্তু আয়রন ম্যানের পক্ষ নেওয়াটাই আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। ক্যাপ্টেনের বন্ধুর জন্য ভালোবাসার জন্য অন্যদের বলিদান দেওয়াটা ঠিক হজম হয় নাই।
অনেক রিভিউয়ারদের মতে ক্যাপ্টেনের যুক্তি হলো সরকারের নিচে থাকা মানে ভুল নেতৃত্বে থাকা, যেটা আগের মুভিগুলিতে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এইখানে আমার আরেক সমস্যা। এক মুভি দেখতে হলে আগের সব মুভি দেখতে হবে? মার্ভেলের আগের কোন মুভি যদি কেউ না দেখে এটা দেখতে বসে তবে তার জঘন্য লাগবে।
এক সুন্দরীকে হঠাৎ দেখাইলো, ক্যাপ্টেন ম্যারিকা দেখে বললো: “আরে! তুমি?”
আমি ভাবলাম:”এইডা আবার ক্যাডা?”। ভাই মুভি দেখতে আসছি। মাধ্যমিকের সামাজিক বিজ্ঞান পরীক্ষা দিতে আসি নাই।

মুভিটির মূল শ্লোগান ছিল মানুষ যেন আর না মরে। কিন্তু মানুষের বাড়িঘর ভাঙলে কোন সমস্যা নাই। কিছুক্ষণ পরপরই ধুমধাম, মারামারি, বোমাবাজি। বিরক্তিকর!! “বোমাতে বাড়িঘর ধ্বসে মরে ... মাইকেল বে এর কথা মনে পড়ে!”

ক্যাপ্টেন আমেরিকা চরিত্রটি কেন জানি আমার কাছে অজানা বলে মনে হয়েছে। দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত এক সৈন্য যদি হঠাৎ বলে ওঠে আমি যা ইচ্ছা তাই করুম তখন জানি কেমন কেমন লাগে। এরপর যদি “নায়িকা পাইলাম না তো কি হইসে নায়িকার ভাগ্নীর লগেই ....”, তখন চুল ছিড়তে মন চায়।
বুঝলাম তোর দোস্ত “বাকীর” লাইগা বহুত দরদ। কিন্তু দর্শকদের কাছে “বাকী” কী এমন কাজ করসে যার কারণে তাকে দর্শকরা সমর্থন করবে ? সেটা ঠিক বুঝলাম না।

রবার্ট ডাউনী জুনিয়রকে অসাধারন লেগেছে। তবে টনি স্টার্কের মজার দৃশ্যগুলি অনেকটাই অনুপস্থিত। সব দৃশ্যেই কেমন একটা রাগী রাগীভাব। আবেগঘন মুহূর্তগুলিতেও দারুনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

মার্ভেলের দুনিয়ার নতুন চরিত্র হিসেবে ব্ল্যাক প্যান্থার কে আনা হয়েছে। ফাটাফাটি অভিনয় করেছে চ্যাডউইক বোসম্যান। সে আসার পর মুভিটি বেশ রোমাঞ্চকর মনে হয়। এ মুভির অন্যতম প্রধান চরিত্রই ব্ল্যাক প্যান্থার।

ব্ল্যাক উইডো, অ্যান্টম্যান, ফ্যালকন, ওয়ার মেশিন ইত্যাদি চরিত্রগুলিকে ভালই লেগেছে। স্পাইডার ম্যান চরিত্রটি আসলেই দারুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছে মার্ভেল। যতক্ষণ স্পাইডার ম্যান থাকে ততক্ষণ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়।
কিন্তু রিভিউয়ারদের মতে এই স্পাইডার ম্যান সর্বকালের সেরা স্পাইডার ম্যান। সেটা আমি মানতে রাজী না। ২০ মিনিটের অভিনয় দিয়েই এটা বলতে হবে? টবি ম্যাগুয়্যার অবশ্যই আমার মতে সেরা স্পাইডার ম্যান। তবে এন্ড্রু গারফিল্ডও যথেষ্ট ভালো ছিল। এতটুকু দেখেই টম হল্যান্ডের এই স্পাইডার ম্যানকে সেরা বলা হচ্ছে ঘুষ খাওয়ার লক্ষণ।

বিরক্তিকর লেগেছে ভিশন চরিত্রটিকে। বলা উচিত “ভীষণ” বিরক্তিকর লেগেছে। স্কার্লেট উইচের সাথে তার হুদাই কিছু দৃশ্য দেখে ঘুম আসছিল। দুনিয়া আসে গ্যাঞ্জামে আর তোরা আছস রান্নায় হলুদ বেশি পড়সে নাকি মরিচ নিয়া? আরও বিরক্তিকর ছিল “হক আই”। কথা নাই কওয়া নাই আসমান থেইকা ক্যান যে টপকাইলো বুঝলাম না।
আর ভিলেন!! শালা তুই ফুচকাওয়ালা ফুচকা ব্যাচ!!

রিভিউয়াররা বিমান বন্দরের দৃশ্য নিয়ে পুরাই অজ্ঞান। সর্বকালের সেরা একশান দৃশ্য। আমার মতে দৃশ্যাটি বেশ হাস্যরসাত্মকপূর্ণ ছিল। অবশ্যই অনেক ভালো দৃশ্য। তবে আমার কাছে ক্যাপ্টেন এবং বাকী দ্বারা আয়রন ম্যানের পিটানী খাওয়ার দৃশ্যটি বেশী রোমাঞ্চকর বলে মনে হয়েছে।

এবার কিছু তুলনা করি। মুভিটি কী উইন্টার সোলজার এর চেয়ে ভালো? আমার কাছে মনে হয়নি। উইন্টার সোলজারের কাহিনীতে একধরণের শিহরণ ছিল। মুভিটি কী ব্যাটম্যান ভি সুপারম্যানের চেয়ে ভালো? আমার মতে ব্যাটম্যান ভি সুপারম্যানের অনেক ভালো হওয়ার ক্ষমতা ছিল কিন্তু সেটা করতে পারেনি। তবুও কেন জানি এই মুভির চেয়ে আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে। সবশেষে এইটা কি জুনায়েদ ভি নুরুল্লাহ ভি জাদিয়ার ইউটিউব প্যারোডি ভিডিওর চেয়ে ভালো? অবশ্যই না।

সবমিলিয়ে মার্ভেল ভক্তদের বেশ ভালো লাগবে। আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি।
একটা কথা বুঝি না। এই মার্ভেল ভক্ত জিনিসটা কী? স্পাইডার ম্যান ভক্ত হয়ে কী ব্যাটম্যানকে পছন্দ করতে পয়সা দেওয়া লাগবে?

রেটিং – ২.০ / ৫.০

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

জেন রসি বলেছেন: মজার রিভিউ।

বেশী চরিত্র থাকলে কাহিনীর গভীরতা কমে যায়।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:২৯

রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

সুমন কর বলেছেন: পাবলিক দেহি এসবই খায়.............. :(

রিভিউ মজা করে লিখেছেন। বেশ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:২৯

রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.