![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ
২০০৪ সালের সেই খেলাটির কথা এখনো মনে আছে। মাশরাফির দুর্ধর্ষ বোলিং এর সামনে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কাপাকাপি অবস্থা। ব্যাটিং এর ৭ নম্বরে নামলো পামেলা এন্ডারসনের মত স্বর্ণকেশী উইকেট কীপার “ধোনী”। তার ব্যাটিং নিয়ে অনেক সুনাম আছে। ধোনী সেদিন ভালোই খেলছিল কিন্তু মাশরাফির বলেই মাত্র ১২ রান করেই আউট। কেউ বোঝেনি যে এই পোলা পরবর্তীতে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের কারণ হবে! সেই ধোনীই হবে বর্তমানের সবচাইতে “ধনী” ক্রিকেটার! আর তাকে নিয়ে নির্মিত হবে একটি বলিউড মুভি!
ধোনীকে নিয়ে মুভি হবে জেনে খুব অবাক হয়েছিলাম। যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে ধোনীকে অনেক সম্মান করি কিন্তু আমি আবার শচিন টেন্ডুলকারের বিরাট ভক্ত। টেন্ডুলকার, গাংগুলি, কপিল দেব বাদ দিয়ে ধোনী? ধুর মিয়া। নায়ক আবার সুশান্ত সিং রাজপুত। কোথাও চান্স না পেয়ে এটাতেই ... । কিন্তু একটা ব্যাপারে বেশ আগ্রহী ছিলাম। মুভিটির পরিচালক নীরাজ পান্ডে। এই ব্যাটা যেটাতেই হাত দেয় সেটাতেই সোনা ফলে। এমনকি অনন্ত জলিলের গা হাত দিলে, জলিল IELTS এ ১০ এর মধ্যে ১১ পেয়ে যাবে।
যা ভাবলাম তার চাইতে অনেক বেশি হয়ে গেল। মহেন্দ্র সিং ধোনী নিয়ে নির্মিত এই মুভিটি এই বছরের অন্যতম সেরা মুভি। একটি চলচ্চিত্র যে একটি বিরাট প্রজেক্ট এবং একটি টিমওয়ার্ক, সেটির একটি দারুন উদাহরণ হিসেবে থেকে যাবে এই মুভিটি।
প্রথমেই প্রশংসা করতে হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের। দারুন এবং ফাটাফাটি। এত ভালো অভিনয় অনেকদিন দেখা যায়নি। নায়কদের ব্যাটিং দেখলে ক্রিকেটীয় নান্দনিকতা একেবারেই পাওয়া যায় না। কিন্তু সুশান্ত সেটা ঠিকই নিয়ে এসেছেন। ১৮ মাস ধরে কঠোর ক্রিকেটের ট্রেনিংয়ের ফলাফল ভালভাবেই বোঝা যায় মুভিটিতে। ধোনীর ট্রেডমার্ক “হেলিকপ্টার শট” এর জন্য প্রতিদিন ২০০-৩০০ বার প্র্যাকটিসের পর এখন তিনি শটটি খুব সহজেই করতে পারেন। ধোনীর চলাচল এবং আচার-ব্যবহার ছাড়াও সব মিলিয়ে সুশান্তের অভিনয় সহজেই দর্শকদের মনের সাথে যোগাযোগ তৈরী করতে পারে। নিঃসন্দেহে এ বছরের সেরা অভিনয়।
এছাড়া মুভিটিতে পার্শ্ব চরিত্রের প্রত্যেকে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। অনুপম খের, রাজেশ শর্মা, ভূমিকা চাওলা ... কারও নামই বাদ দেয়া যাবে না। নায়িকা চরিত্রে দিশা পাটানি এবং কিয়ারা আদভানিকে দারুন লেগেছে।
মুভিটির সবচাইতে ভালো দিক হলো নির্মাণ। দুর্দান্ত! নীরাজ পান্ডেকে বর্তমানে ভারতের অন্যতম সেরা পরিচালক মানতেই হবে। প্রত্যেকটি দৃশ্যকে বাস্তবতার সাথে দারুনভাবে মেলানো হয়েছে। ধোনীর ছোটবেলার বাসা, পাশের মাঠ, স্কুল, কর্মজীবনের কোয়ার্টার সবগুলিতে সেটের বদলে আসল জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে। খড়গপুর রেল স্টেশানের দৃশ্যগুলি করা কীভাবে সম্ভব হলো এখনও বুঝতে পারছিনা।
মুভিটির কাহিনী, সংলাপ খুবই দারুন। মুভিটি একটু লম্বা হলেও বোরিং লাগে না। মুভির সংগীতগুলি ফাটাফাটি না হলেও বেশ ভালো। এছাড়া অনেক দৃশ্যতেই গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো নীরাজ পান্ডে নিজেই ধোনীর ভক্ত নন। সেকারণেই হয়তো মুভিতে এতটা বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।
মুভিটির খারাপ দিক হিসেবে বলবো স্পেশাল ইফেক্ট। আসল খেলার মধ্যে ধোনীর দেহে সুশান্তের চেহারা বসানো বেশীরভাগ সময়েই ভালো লাগেনি। এছাড়া কৈশোরের এক খেলার দৃশ্যটি অতিরিক্ত বিরক্তিকর লেগেছে।
মুভিটি সবার ভালো নাও লাগতে পারে। বিশেষ করে যারা ২০১৬ এর টি-২০ বিশ্বকাপের ভাইরা-ভাইদের বলদামীর দোষ ধোনীকে দেন, তাদের হয়তো ভালো লাগবে না।
মুভিটি আমার কাছে কোন ক্রিকেটীয় মুভি নয়; বরং একটি অনুপ্রেরণা দানকারী মুভি। যতই বাধাবিপত্তি আসুক, মেধাবীরা সফলতা পাবেই। সেটার কাহিনী নিয়েই এই মুভি। সব মিলিয়ে দারুন।
রেটিং – ৪.০ / ৫.০
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১
রাজিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫৪
হাসান ইমরান বলেছেন: পুরোটা পড়িনি। কেননা এমন একজন ক্রিকেটারএর সম্পর্কে লিখাটা...যে কিনা অহংকারী আর নির্লজ্জ ।
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৫৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বরাবরের মতই রিভিউ খুব ভাল লেগেছে রাজিন ভাই।
সাবলীল উপস্থাপনা!
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩২
রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মারাত্মক রিভিও লিখেছেন । অনেক ভাল্লাগছে! ধোনীকে আমারও ভালো লাগে যদিও আমার প্রিয় ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী । ছবিটা দেখার আশা রাখি ।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪
নূর সালাম বলেছেন: আপনি কি ২০১৬ এর টি-২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় বলদামীর দোষ ধোনীকে দিতে নারাজ ? নাকি সে মুস্তাফিজকে যে ধাক্কা মেরেছিল একেবারেই হিংসের বশবর্তী হয়ে, সেই দোষটির ?
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:২১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ভারতীয়দের মাঝে টেন্ডুলকার, দ্রাবিড় ছাড়া কাউকেই তেমন ভাল লাগে না। তবে, ধোনীর ক্ষুরধার মস্তিষ্কের ফ্যান আমি। আর যেহেতু জীবনীভিত্তিক মুভি তাই মুভিটা দেখায় আগ্রহীও।
রিভিউ ভাল লাগলো। +
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩
রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৩২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আরো একজন আমাকে বলেছে ছবিটা সুন্দর হয়েছে। সে অবশ্য চেন্নাইয়ের। আর মিডিয়ায় বলা হচ্ছে ১০০ কোটি ক্লাবে ঢুকবে অচিরেই। আমি ভাই পুরানা মানুষ। আমি আজহার দেখেছি। খারাপ লাগেনি। কারণ, আজহারকে এখানে নিষ্পাপ(!) দেখানো হয়েছে। ধনি আমার পছন্দের ক্রিকেটার না হওয়াতে এই ছবি দেখার আগ্রহ অনুভব করছি না। বরাবরের মতই আপনার রিভিউ চমৎকার হয়েছে।ধন্যবাদ...