নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক নই আমি। কোন চলচ্চিত্র দেখা মাত্র মনের কথা গুলি লিখে ফেলি আর কি।

রাজিন

আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ

রাজিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজিন রিভিউ: Doctor Strange

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১১


মুভি বানায়ে পয়সা বানানোর বর্তমানে একমাত্র পন্থা হলো কমিকবুক সুপার হিরো নিয়ে মুভি বানানো। তাই বলে এত্তগুলা? এই বছর সব মিলিয়ে ছয়টি! তার মধ্যে একটি দেখে তো সুইসাইড করার ইচ্ছাও জাগে (সুইসাইড স্কোয়াড)! ভাবসিলাম, অনেক হইসে আর দেখুম না। কিন্তু ষষ্ঠ মুভিতে নায়ক হিসেবে বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচকে নিয়েই তো লাগলো ঝামেলা। না দেখে আর উপায় আছে?

কাহিনী জানা যাক। স্টিফেন স্ট্রেন্জ( বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ) একজন অত্যন্ত সফল এবং মেধাবী নিউরো সার্জন। নিজের জ্ঞান এবং সফলতার সাথে সাথে নিজের মধ্যে বেড়ে উঠেছে দাম্ভিকতা। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় তার হাতের নার্ভ এবং অস্থিতে মারাত্মক ক্ষতি হয়। হারিয়ে ফেলে ছুড়ি-কাচি ধরবার ক্ষমতা। এক নিমেষে ক্যারিয়ারের শেষটা সে কিছুতেই মানতে পারেনা। খুঁজে বেড়াতে থাকে চিকিৎসা। অবশেষে খবর পায় নেপালের কাঠমুন্ডুতে এক বিশেষ স্থানেই হবে চিকিৎসা। সেখানে সে গিয়ে দেখে যাদু-মন্ত্রের কারখানা! শিখতে থাকে যাদু বিদ্যা। হবে কী তার হাতের চিকিৎসা? নাকি পড়বে কোন ঝামেলাতে।

মুভিটি দেখতে গিয়েছিলাম শুধুমাত্র কাম্বারব্যাচের জন্য। বলতেই হবে পুরাই পয়সা উসুল। পুরাই ফাটায় ফেলসে। তার চেহারা এমন কোন টম ক্রুজের মত না। চিকন-চাকন শরীর। কিন্তু তাও পর্দায় আসামাত্রই আগুন লাগায় দেয়! পুরাই জোস। ডক্টর স্ট্রেন্জ চরিত্রটির সাথে শার্লকের অনেক মিল থাকার কারণে বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচকে দারুন মানিয়েছে। এদিকে ডক্টর স্ট্রেন্জ চরিত্রটি অন্যান্য কমিকবুক চরিত্র থেকে একটু আলাদা। তার না আছে ক্যাপ্টেন আমেরিকার মত কোন সুপারপাওয়ার কিংবা আয়রন ম্যানের মত কোন সুপার-পোশাক। আছে জ্ঞান আহরণের নেশা। পরিশ্রম করলে যে সবকিছু করাই সম্ভব সেটার একটি উদাহরণ ডক্টর স্ট্রেন্জ। নিঃসন্দেহে বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচের ডক্টর স্ট্রেন্জই বর্তমানে আমার প্রিয় কমিকবুক চরিত্র।

মুভিটি অন্যান্য মার্ভেল মুভির মতই বেশ হাস্যকর এবং সুন্দর চিত্রায়ণে ভরপুর। সবচেয়ে ভালো জিনিস হলো এভেন্জারসরা বিরক্ত করতে আসে নাই। মার্ভেলের অন্যান্য মুভি না দেখেই এই মুভি বোঝা সম্ভব। মুভিটি যাদু-বিদ্যা, যন্তর-মন্তর নিয়ে অনেক আজগুবি ব্যাপার থাকলেও সেগুলি বেশ ভালোই লেগেছে। মুভিটিকে ইন্সেপশন, ব্যাটম্যান বিগিনস এবং হ্যারি পটারের একটি সংমিশ্রণ বলা যায়।
যাদু বিদ্যা সংক্রান্ত ব্যাপারগুলির মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ডক্টর স্ট্রেন্জের পিছনের লাল কাপড়টি যেটি নিজেই একটি চরিত্র। কিছুটা আলাদিনের উড়ন্ত কার্পেটের মত।

সবাই বেশ ভালই অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে “এনসিয়েন্ট ওয়ান” চরিত্রে টিল্ডা সুইনটন। আজকাল সবকিছু নিয়েই বিতর্ক হয় তাই একজন সাধু চরিত্রে সাদা চামড়ার মহিলা কেন অভিনয় করলো সেটা নিয়েও বিতর্ক হয়েছে। যদিও আমার কাছে ব্যাপারটি একটু ভিন্ন হওয়ায় ভালো লেগেছে। পাহাড়ের পাদদেশে এক চীনা বুড়া মানুষই সবাইকে শিক্ষা দিবে? আর কেউ দিতে পারে না?

মুভিটির বেশিরভাগ ব্যাপারই ভালো লাগলেও কিছু জিনিস মনে হয়েছে অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। নায়ক ছাত্র থাকতে থাকতেই হঠাৎ পৃথিবীর রক্ষার একমাত্র মানুষ হয়েগেল কীভাবে সেটা বুঝলাম না। এছাড়া নায়কের কী এমন গুণ আছে যার কারণে সে তার শিক্ষকের প্রিয় ছাত্র হলো সেটাও বোঝা যায়নি। মুভিটি বেশ রোমাঞ্চকর হলেও কাহিনীর তেমন কোন গভীরতা নেই।

বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচের ভক্ত হয়ে থাকলে মুভিটি দারুণ লাগবেই। সবমিলিয়ে বেশ ভালো মুভি।

রেটিং – ৩.৫ / ৫.০

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

মেহেরুন বলেছেন: এখনো দেখিনি, তবে দেখার ইচ্ছা আছে। রিভিউ পড়ে তো ভালোই মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

আলী আজম গওহর বলেছেন: শুনেছি বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচকে অভিনেতা হিসেবে পাওয়ার জন্য মার্ভেলের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।রিভিউ ভালো লাগল,দেখে ফেলবো।ধন্যবাদ রাজিন ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.