![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ
২০১৫ সালের জুলাই মাসে প্রথম ট্রেলার, আর মুভিটি মুক্তি পেল ২০১৭ এর জানুয়ারিতে । “Late (মৃত) লতিফ” নিয়ে মুভি বানাইলে তো “লেট ( দেরী করা) লতিফ” হতেই হবে। তাও যদি ভালো কিছু হয়। কিন্তু এতদিন পর এই চিত্রনাট্য নিয়ে এই মুভি? এইডা কিসু হইলো?
কাহিনী জানা যাক। গুজারাটে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু তলে তলে সবই চলে। সমস্যা হচ্ছে মদ্যপানীয় চোরাচালানের মাধ্যমে আনতে হয়। সেই চোরাচালানকারীদের মধ্যে অন্যতম আমাদের নায়ক রইস ( শাহরুখ খান)। “রাইস” নামটার মধ্যে ভারিক্কি থাকলেও মুভিতে কোথাও তার পুরা নাম না বলার কারণে নাম শুনে পাড়ার মাস্তান বলেই মনে হয়। রইসের মতে চোরাচালানের নোবেল প্রাইজ তারই প্রাপ্য। পুলিশ যদি ট্রাকের মাল ধরে ফেলে তাহলে সে ভ্যানে করে মাল আনে। কী বুদ্ধি! চক্ষে পানি চলে আসে!
তার এই চোরাচালান ব্যবসার বারোটা বাজাতে আসে সৎ পুলিশ মজমুদার ( নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী)। প্রথম দিকে মজমুদার চরিত্রটি দারুন লাগলেও পরে দেখা গেল রইস এর পিছু নেওয়া ছাড়া তার কোনই কাজ নাই। পারলে রাতের বেলা ঘুম পাড়ানি গান শুনতেও রইসরে ফোন দেয়।
যাই হোক, রইস আবার সাধারণ অপরাধী না। রাতের বেলা মাস্তানী করে আর দিনে গরীব খাওয়ায়। মানুষ তার বিরাট ভক্ত। কিন্তু বেশি মানুষের উপকার করতে গিয়ে খায় ধরা। শুরু হয় তার পতন। এই পতন রক্ষার্থে চোরাচালান জিনিয়াস কী করবে?
মুভিটির একটাই ভালো দিক। সেটা হলো শাহরুখ খান। প্রতিটা দৃশ্যেই দারুন লেগেছে। কিছু কিছু একশান দৃশ্য পুরাই অসাধারণ। কিন্তু সমস্যা হলো “রাইস” চরিত্রটির সাথে অগ্নিপথের “বিজয়” এর সাথে অনেক মিল থাকলেও, সেরকম ভাব-গাম্ভীর্য্য বোঝা যায়নি। সেটা চিত্রনাট্যের ব্যর্থতা। রাইসের সকল সিদ্ধান্ত, কার্যকলাপ সবক্ষেত্রে সমর্থন করার মত নয়। সেকারণে বলা যায় চরিত্রটি তেমন রোমাঞ্চকর কিছু না।
নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী বর্তমানে ভারতের অন্যতম সেরা অভিনেতা। তিনিও দারুণ অভিনয় করলেও, একইভাবে তার চরিত্রটি পুরাই ভুয়া। এক দৃশ্যে যখন শাহরুখ –নওয়াজ মুখোমুখি হয়, তখন ভেবেছিলাম, এখন নিশ্চয়ই একটা সেইরকম দৃশ্য হবে। কিন্তু কিছুই হয় না। পুরো মুভিতেই নওয়াজুদ্দিনের চরিত্রটি শাহরুখকে কেন জানি ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করে। বলতে হবে শাহরুখ-নওয়াজুদ্দিন রসায়ন নিয়ে বিরাট সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে।
অভিনয়ে জিসান আইয়ুব, মাহিরা খান, অতুল কুলকার্নী, নরেন্দ্র ঝা বেশ ভালো করেছেন। মুভির সংগীত খারাপ না। বিশেষ করে “উড়ি উড়ি যায়” আমার ব্যক্তিগত পছন্দের।
আগেও বলেছি মুভিটির মূল ব্যর্থতা চিত্রনাট্য। পুরাটাই খাপছাড়া ধরনের। অগ্নিপথ এবং আব্দুল লতিফ এর জীবন মিলায় খিচুড়ী বানাতে গিয়ে খুন্তি দিয়ে নাড়া দিতেই ভুলে গেছে। যার ফলে পুরাই স্বাদহীন একটি মুভি হয়েছে। পুরো দোষ নির্দেশক রাহুল ঢোলাকিয়া এবং অন্যান্য চিত্রনাট্য লেখকদের নিতে হবে।
শাহরুখ খান নিজেকে যতই ষোল বছরের বালক মনে করুক না কেন , তার চেহারায় এখন অনেক বয়সের ছাপ। কিন্তু একটু বয়স্ক চরিত্রে শাহরুখকে যে দারুন মানাবে, সেটা শাহরুখ বিশ্বাস করতে চায় না। সেকারণেই হয়তো এই মুভির কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে এবং যার জন্য শাহরুখ নিজেই দায়ী।
শাহরুখ ভক্তদের জন্য মুভিটি ভালো লাগবে। এক কথায়, বেশ ভালো মুভি হওয়ার মত মাল মশলা থাকলেও টাইম পাস মুভি।
রেটিং : ২.৫/ ৫.০
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৪২
রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
চাঁদের অরণ্য বলেছেন: খুবই জঘন্য একটা মুভি। সময়টা নষ্ট হয়েছে দেখতে গিয়ে আরকি।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৫
নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: সময় পেলে দেখবো মুভিটা, ধন্যবাদ সময় নিয়ে জানিয়েছেন মুভির খবর