![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ
আগেই বলে রাখছি। এটি সম্পূর্নরুপে স্পয়লারমুক্ত রিভিউ। কাটাপ্পা বাহুবালীকে কেন মারলো তা আমি বলবোনা। মজার ব্যাপার হলো কারণটা বেশ জটিল। সেকারণে কারো কাছ থেকে এক বাক্যে শুনে থাকলেও সেটা বিশ্বাস করার কোন প্রয়োজন নেই।
মুভির বাজার বৃদ্ধির বর্তমানে একমাত্র উপায় হচ্ছে একটি মুভি তৈরীর পর তার সিকুয়েল, প্রিকুয়েল, গোটুহেল সবই তৈরী করতে হবে। প্রথম মুভি শুধু হিট খাইলেই চলবে। বাকিগুলা যতই বস্তাপঁচা হোক না কেন, দর্শকরা আশা করবে হয়তো নতুনটি প্রথমটির মতো ভালো হবে। সুতরাং টাকাই টাকা। কিন্তু কিছু কিছু মুভির পরবর্তী পর্বগুলি হয় প্রথমটির কাছাকাছি কিংবা প্রথমটির থেকে একটু ভালো হয়। এই প্রথম কোন মুভি দেখলাম যেটি নিঃসন্দেহে তার আগের মুভি থেকে কয়েকগুন বেশি ভালো। ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মুভি “বাহুবালী ২” আমাকে পুরাই অবাক করে দিয়েছে। যেখানে আগের মুভিটি আমার কাছে ভুয়া টাইপ মনে হয়েছিল।
কাহিনী কিছুই বলবোনা। কারণ কিছু বললেই স্পয়লার হয়ে যাবে। তাহলে বুঝতে পারছেন মুভিটির কাহিনী বেশ ভালো এবং জটিল। মুভিটিতে স্পেশাল এফেক্টে ভরপুর হলেও কাহিনীর প্যাঁচগুলির জন্যই মুভিটি দারুন লাগে। এতগুলি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব মুভিটিতে আনা হবে সেটা আশা করিনি। সবসময়ই একটি উত্তেজনা লেগেই থাকে। মুভিটিতে বেশিরভাগ সময়ই অমরেন্দ্র বাহুবালীর কাহিনীটি দেখানো হয়েছে যেটা বেশি মজাদার।
একটি মুভি তখনই ভালো হয় যখন দর্শকরা মুভির চরিত্রের প্রতি মায়া অনুভব করে। বাহুবালী মুভিতে দারুন সব চরিত্রে ভরা। আগের মুভিতে শুধু রাজমাতা এবং কাটাপ্পা চরিত্রটি বেশি আকর্ষণীয় ছিল। কিন্তু এই মুভিতে আগের দুজন ছাড়াও বাহুবালী, দেবসেনা, ভাল্লালদেব, কুমার বর্মা এই চরিত্রগুলি আরো বেশি খোলাসা করে দেখানো হয়েছে। যে কারণে প্রতিটি দৃশ্যতেই দর্শকরা আটকে থাকে।
চরিত্রগুলি দারুণ করার জন্য প্রয়োজন সঠিক অভিনেতা। সেটার জন্য দক্ষিণ ভারতের সেরা অভিনেতাদের নেয়া হয়েছে যারা তাদের চরিত্রের জন্য উপযুক্ত। তামিলের রজনীকান্ত, বলিউডের খান, কিংবা বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খান কাওকেই নেয়া হয়নি। প্রাভাস ( বাহুবালী), রামাইয়া (রাজমাতা শীবগামী), রানা ডাগ্গুবতী (ভাল্লালদেব), আনুশকা শেঠী ( দেবসেনা), সত্যরাজ (কাটাপ্পা), নাসির (বিজ্জলদেব) প্রত্যেকেই পুরাই ফাটায় ফেলসে। এটি মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্র গোষ্ঠীর প্রতি একটি চপেটাঘাত। যারা শুধু পয়সার পিছনেই দৌড়ায়।
দারুণ একটি কাহিনী নিয়ে এত বড় মুভি বানানোর জন্য শ্রী রাজামৌলিকে বাহবা দিয়ে শেষ করা যাবে না। বিজয়েন্দ্র প্রসাদের কাহিনীর সঠিক চিত্রায়ণ করা হয়েছে। দুই মুভি মিলে বাজেট ছিল ৪৩০ কোটি রুপি। তবুও শাকিব খানের একটি দৃ্শ্যও নেই। ক্যামনে কী? রাজামৌলির গুণ এবং সাহস দুটিই টাশকি খাওয়ার মতো। এছাড়া মুভিটির সবকিছুই ভারতীয় শিল্পীদের দ্বারা তৈরী। হলিউডের কোন ব্যক্তিত্ব নেই।
বাহুবালী মুভির প্রথম পর্ব দেখার আগে শুনেছিলাম এটির মূল আকর্ষণ হচ্ছে স্পেশাল ইফেক্ট। মুভির ৯৫ ভাগই বলে কম্পিউটারে তৈরী। আমি ভাবলাম হইসে কাম। পুরাই কার্টুন না হয়ে যায়। মুভিটি কার্টুন না হলেও স্পেশাল ইফেক্ট আমার কাছে ভুয়া লেগেছিল। নতুন মুভিটিও স্পেশাল ইফেক্ট ভারতীয় মান হিসেবে ভালো হলেও বেশ কিছু জায়গায় ভিডিও গেম হয়ে গেছে। তবে স্পেশাল ইফেক্টের আগে কিছু আর্ট ডিজাইন করা হয় যে পরবর্তীতে কম্পিউটার দিয়ে বাস্তব বানানো হয়। আর্ট ডিজাইনগুলি নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত। মুভিটিকে পুরাই Gorgeous বানায় ফেলসে।
এছাড়া মুভির সংগীতে দারুণ কাজ করেছেন এম এম কিরিবানী। আবহ সংগীতের কারণে অনেক দৃশ্যে লোম খাড়িয়ে যায়।
মুভিটির খারাপ দিক হিসেবে বলা যায় শেষের মারামারির দৃশ্যটি। অহেতুক এবং অবাস্তব মারামারি। এতটাই গাজাখুড়ি যে আগের দৃশ্যগুলিকে অপমান করে। এছাড়া শেষ মারামারির ফলাফল আগের থেকেই বুঝা যায়। সেকারণে তেমন উত্তেজনা বোধ আসে না। কম্পিউটার গ্রাফিক্সগুলি এখন মোটামুটি মনে হলেও ১০ বছর পর বেশ খারাপ দেখাবে। মুঘল ই আজম এর মতো ক্লাসিকের মর্যাদা হয়তো মুভিটি পাবে না।
বাহুবালীর দ্বিতীয় মুভিটি দেখে আমি পুরাই হতবাক। এতটা ভালো আশা করি নাই। আগের মুভিটি তেমন ভালো লাগে নাই। তবে দ্বিতীয় মুভিটির পুরা মজা পাবার জন্য প্রথম মুভিটি দেখে নেয়া ভালো। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত।
রেটিং – ৪.৫/ ৫.০
২| ০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১:৪৬
সাকিব ইফতেখার বলেছেন: ধন্যবাদ।
মুভিটির এমন রিভিউ অনেকদিন যাবত চাচ্ছিলাম।
৩| ০১ লা মে, ২০১৭ রাত ২:০৬
সুমন কর বলেছেন: রিভিউ পড়ে রাখলাম। পরে মুভিটি দেখে নেবো। ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা মে, ২০১৭ দুপুর ১:২১
প্রণব দেবনাথ বলেছেন: দেখা শেষ ।
৫| ০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১০:২০
নিশাত১২৩ বলেছেন: সিনেমাটি দেখেছি আজ । আমার কাছে ভালোলেগেছে বেশ।
৬| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১২:০৫
সোহানী বলেছেন: ও আচ্ছা নেটোফ্লিতে সার্চ দেই!!!!! দেখুমনে ভালো যখন কইছেন.............
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১:২৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: টিকেটের জন্য তিন কিলোমিটার লাইন ধরেছে