![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ
হঠাৎ দেখি আমার স্ত্রী মোবাইলে কিছু দেখে ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করে কাঁদছে। খেয়াল করে দেখলাম মোবাইলের স্ক্রীনে মেহজাবীন নেকি স্টাইলে কাঁদছে।
“কী দেখো?”
“নাটক। নাম ‘বড় ছেলে’”
“বড় ছেলে? এইটা নাম? নায়কটা কে? ঐটা অপূর্ব নাকি? সেই অপূর্ব?” (আমি মানুষটা খুবই খারাপ। বেচারার পুরান হিস্ট্রি নিয়া আমার হাসি পায়)
যাই হোক। কয়েকদিন পরে দেখি সোশাল মিডিয়াতে এই বড় ছেলে নিয়ে বিরাট হারিকেন চলছে। একবার তাহলে দেখতেই হয়।
দেখলাম নাটকটি। যাই বলেন প্রশংসার দাবিদার।
কাহিনী খুবই গতানুগতিক। মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে রাশেদ (অপূর্ব)। ছোট বোন ডিভোর্সি, ছোট ভাই ছাত্র। বাবার রিটায়ারমেন্ট ঘনিয়ে আসছে। কিন্তু রাশেদের চাকরী হচ্ছে না। টিউশানি করেই কিছু রোজগাড় হয়। এদিকে গার্লফ্রেন্ড মেহজাবিন একের পর এক বিয়ে ভাঙছে। রাশেদ একটা চাকরী পেলেই তার সাথে বিয়ে হয়ে যাবে। রাশেদ তার বাবার রিটায়ারমেন্টের আগে চাকরী পাবে তো?
নাটকটির নির্মাণ আমাকে রীতিমত মুগ্ধ করেছে। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনা এবং কামরুল ইসলাম শুভর চিত্রগ্রহণ দেখে আমি পুরাই গর্বিত। বাংলাদেশের নাটকের সাফল্যের অধ্যায়ের হয়তো শুরু। এছাড়া নাটকটির প্রাণ ছিল আবহ সংগীত হিসেবে ব্যবহৃত সাজিদ সরকারের অত্যন্ত সুন্দর একটি গান “তাই তোমার খেয়াল”।
নাটকটির প্রতিটি দৃশ্যের নির্মাণ দর্শকদের মধ্যে এক ধরনের বাস্তবতার চিত্রতুলে ধরবে। অপূর্ব- মেহজাবিন এমন কোন উত্তম সুচিত্রা নন। তবে নাটকটি দেখতে গিয়ে তাদের চরিত্রের প্রতি একটু মায়া লেগে যায়। মূল চরিত্র রাশেদের কষ্টটা আমি অন্ততঃ অনুভব করতে পেরেছি।
নির্মাণ নিয়ে আমি এত কেন লাফাচ্ছি সেটা নিয়ে একটি উদাহরণ দেই। একটি দৃশ্যে মেহজাবিন একটি আবেগীয় ধাক্কা খাবে। আমি ভাবলাম মেহজাবীনের পক্ষে কী এই অভিনয়টা সেভাবে করা সম্ভব? কিন্তু দৃশ্যটি এমনভাবে বানানো হলো যে মেহজাবীনের তেমন কোন অভিনয়ের প্রয়োজন হলো না। পুরাই অবাক হয়ে গেলাম! দৃশ্যটি বানালো কীভাবে? এছাড়া লোকাল বাসের ভেতর ক্যামেরা এমনভাবে ধরেছে যে আমি নিজেই রাশেদের কষ্টটা অনুভব করেছি।
অভিনয়ে বাবা-মা চরিত্রে খালেকুজ্জামান ও সেলী আহসান ভালো করেছেন। অপূর্ব এবং মেহজাবীনের অভিনয় অসাধারণ না হলেও শেষ দৃশ্যে চোখের পানি আনাতে অন্ততঃ সক্ষম হয়েছে। তবে সবমিলিয়ে অপূর্ব বেশ ভালোই করেছে।
কাহিনীর বাস্তবতা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠলেও আমার কাছে বাস্তবতার ভালোই কাছাকাছি মনে হয়েছে। এরকমই হয়। জীবনে সবকিছু এত সহজ না।
কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে এই নাটক নিয়ে মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা প্রচুর হচ্ছে। ভালো হোক কিংবা খারাপ, “বড় ছেলে”র কাহিনিটা এরকম না হয়ে ওরকম হতে পারতো। এই একটি নাটক নিয়ে এত আলোচনা! এটাই কি একজন নির্মাতার সাফল্য নয়?
সব মিলিয়ে বেশ ভালো নাটক। একবার দেখলে জীবন ধ্বংস হবে না।
রেটিং – ৩.৫ / ৫.০
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমিও ফেসবুকে শুনেই যাচ্ছি দেখেই যাচ্ছি বড় ছেলে বড় ছেলে।
তোমার রিভিউ পড়ে দেখতে যাচ্ছি এখুনি!
৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: রিভিউ ভাল হয়েছে।
৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: ইউটিউব রোজই নাকের উপর এই নাটক লটকে রাখে। অপূর্ব- মাহজাবিনকে দেখে ক্লিক করি না। রিভিউটা মন দিয়ে পড়েছি কিন্তু ন্যাকা অপূর্বর নাটক দেখে পোষাবে না। এই ছেলেকে আমার কাছে ইলিয়াস কাঞ্চনের আধুনিক ভার্সন মনে হয়। ধন্যবাদ লেখার জন্য।
৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: একটি দৃশ্যে মেহজাবিন একটি আবেগীয় ধাক্কা খাবে। আমি ভাবলাম মেহজাবীনের পক্ষে কী এই অভিনয়টা সেভাবে করা সম্ভব? কিন্তু দৃশ্যটি এমনভাবে বানানো হলো যে মেহজাবীনের তেমন কোন অভিনয়ের প্রয়োজন হলো না। পুরাই অবাক হয়ে গেলাম! দৃশ্যটি বানালো কীভাবে? - কোন সিকোয়েন্সের কথাটা বলছেন একটু বলবেন ? আমি একবার তাড়াহুড়া করে দেখেছি নাটকটা। আপনার উল্লেখিত দৃশ্যটা মনে হয় আমি সেভাবে খেয়াল করতে পারি নি।
তাই তোমার খেয়াল - গানটা ভাল লেগেছিল ।
রাইন রিভিউ দেখেই পড়তে এসেছিলাম। রজিন রিভিউ ভাল হয়েছে বরাবরের মতই।
৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: সব মিলিয়ে বেশ ভালো নাটক। একবার দেখলে জীবন ধ্বংস হবে না। - ভাল বলেছেন
আগের টাইপোর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। রাজিন রিভিউ লিখতে গিয়ে রাইন রিভিউ হয়ে গেছে !
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩
সোহানী বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা ...নাটক রিভিউ... ওকে দেখবো। বাট নুহাশেরটা আগে দেখতে চাচ্ছিলাম কিন্তু লিংক পাচ্ছি না।