![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ
বাংলাদেশি মুভি দেখতে গেলেই অন্যধরনের আবেগ কাজ করে। মুভিতে কোন ত্রুটি থাকলেও চোখে পড়ে না কিংবা মনে হয় এতটুকু করেছে সেটাই বা কম কী? কিন্তু তৌকীর আহমেদের মুভিতে সেটার প্রয়োজন হয় না। কীভাবে এরকম দারুন মুভি বানায় সে? হালদা সেই মুভির তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন। বলতেই হবে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেছি মুভিটি দেখে।
কাহিনী চট্টগ্রামের হালদা নদীর পাড়ে বসবাসকারী এক জেলে পরিবারের মেয়ে হাসু (তিশা) কে নিয়ে। যে নদীতে বছরের পর বছর মাছ ডিম পেড়ে যাচ্ছে, পরিবেশ দূষণের কারনে সেখানে আজ মাছ পাওয়া দায়। তিশার বাবা (ফজলুর রহমান বাবু) হালদায় মাছ না পেয়ে ট্রলার নিয়ে পাড়ি দেয় সমুদ্রে। ধরা পড়ে জলদস্যুদের হাতে। কোনমতে জীবন বাঁচিয়ে বাসায় ফেরে। কিন্তু ভাড়া করা ট্রলারের ৮ লক্ষ টাকা কীভাবে শোধ দেবে? এক বড়লোক ব্যবসায়ী (জাহিদ হাসান) প্রস্তাব দেয় তিশাকে বিবাহের জন্য। কিন্তু তিশাকে বিক্রি করে দিলেই কী মিটে যাবে সব ঝামেলা? শুরু হয় সাধারণ এক গ্রামীণ মেয়ের জীবনে জটিল সব টানাপোড়েন।
আজকাল গ্রামীণ মানুষদের জীবন নিয়ে মুভি খুব বেশি একটা হয় না। এর কারণ সব মানুষই শহুরে চাকচিক্য দেখতে চায়। কিন্তু একটি চলচ্চিত্র চাকচিক্যের জোরে তৈরী হলে বুঝতে হবে কোনভাবেই সেটি ভালো কোন মুভি নয়। কিন্তু তৌকীর আহমেদ সেইসবের ধার ধারেন না। গ্রামীণ হোক কিংবা শহুরে, মুভির চরিত্রগুলির সাথে যোগাযোগ স্থাপন এবং কাহিনীর প্রতি আকর্ষণই যে একটি মুভির প্রধান শক্তি সেটা এই ‘হালদা’ মুভি দিয়েই ভালমতোই বুঝিয়ে দিয়েছেন। তৌকীর আহমেদ বর্তমানে অবশ্যই বাংলাদেশের সেরা পরিচালক।
বাংলাদেশী মুভির অন্যতম সমস্যা হলো মুভি না হয়ে নাটক হয়ে যায়। কাহিনী থাকলেও চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ণ বেশি থাকে না। কিন্তু চিত্রায়ণেও দারুন “হালদা”। অনেকদিন পর একটি মুভি দেখলাম যেটাতে গ্রাফিক্সএর কোন কাজ নেই। হালদা নদীর উপর বৃষ্টি, বিদ্যুৎ চমকানো আকাশের তলে খুবই ভাব-গম্ভীর দৃশ্য, এক পা কাদার মধ্যে মাছ শিকার – সবই আসল। যেকারণে মুভিটি দেখতে খুবই ভালো লেগেছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে তিশার অভিনয় একেবারেই অপছন্দ করি। এর কারণ তার অভিনীত বেশিরভাগ চরিত্র হয়ে থাকে ভয়ংকর সুন্দরী এক মেয়ে যার জন্য সব ছেলে দিওয়ানা। এর কারণে চরিত্রের বাইরে তার অভিনয় চোখে পড়েনি। কিন্তু হালদা –য় তিশার অভিনয় দেখে পুরাই টাশকি! ওরে আল্লাহ! তিশা এত ভালো অভিনেত্রী! প্রত্যেকটি দৃশ্যে বলতে হবে আগুন লাগায় দিসে। মুভিটিতে তিশাকে নায়িকা না বলে “নায়ক” বলা উচিত।
ফজলুর রহমান বাবু কেও দারুণ লেগেছে। জাহিদ হাসানও দারুন করেছে। এই মুভিতে আমাদের প্রিয় আজ রবিবারের আনিস ভাইকে দেখে সবারই ঘৃণা আসবে। কিন্তু সবচেয়ে অসাধারণ লেগেছে দিলারা জামান কে। তিশা এবং দিলারা জামানের প্রত্যেকটি দৃশ্য মন ছুঁয়ে যায়। “সুরত বানু ও হাসু” কথোপকথনের দৃশ্যটি কারও খারাপ লাগতেই পারে না।
মোশাররফ করিমের অভিনয়ে একটু হতাশ হয়েছি। চরিত্রটিও বেশ বিরক্তিকর ধরণের ছিল তবুও বলবো চরিত্রটিতে তাকে মানায়নি। যদিও হতে পারে মুভিটিকে নারীপ্রধান রাখার জন্যই ইচ্ছা করেই এই ব্যাপারটি করা হয়েছে। তবুও মোশাররফ এবং তিশার দৃশ্যগুলি একটু বিরক্তিকর।
মুভিটি চাঁটগাইয়া ভাষার হলেও যথেষ্ট সহজ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে যাতে সবাই বুঝতে পারে। এমনকি চাঁটগাইয়া ভাষার কারণের সংলাপগুলি বেশি মিষ্টি শোনায়। চট্টগ্রামবাসীদের এই মুভি না দেখলে পাপ হবে।
মুভির খারাপ দিক নেই। তবুও যদি বলতে হয় তাহলে বলবো সমাপ্তি বেশ অবাস্তব হয়েছে। যদিও সমাপ্তি দেখে সবারই ভালো লাগবে।
বাংলাদেশী মুভি এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি এরকম মুভি সামনে আরও আসবে।
এক কথায় দারুন।
রেটিং – ৪.৫ / ৫.০
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: রিভিউ সুন্দর লিখছেন।
মনে হলো অর্ধেক মুভি দেখে ফেলেছি।
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২২
সত্যের পক্ষ আসুন বলেছেন: মাগনা পাইলে দেখতে পারি.
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তৌকির আহমেদ এর রুপকথার গল্প দেখে প্রথম মুগ্ধ হয়েছিলাম; এরপর ধ্রুবতারা, দারুচিনি দ্বীপ, অজ্ঞাতনামা। হালদাও ক্ল্যাসিক মনে হচ্ছে!
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: রিভিউ পড়েই দেখার ইচ্ছে বেড়ে গেল । ধন্যবাদ । খুব ভালো বলেছেন
৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১০
জাহিদ হাসান বলেছেন:
৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: দেখার আগ্রহ হলো।
৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
রাজু আহমেদ রাজ বলেছেন: রিভিউ পড়ে ভাল লাগলো
৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮
রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: BANGALI TEACHER VS STUDENTS | New Bangla Funny Video | New Video 2017
<< https://goo.gl/3mjLXw
১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
ফয়সাল রকি বলেছেন: সময় করে দেখতে হবে।
১১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮
জিয়াতুসি বলেছেন: মুভিটির লিঙ্ক কোথাও পেলাম না। যখন লিঙ্ক আসবে কেউ একটু শেয়ার করিয়েন প্লি।
১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮
জিয়াতুসি বলেছেন: মুভিটির লিঙ্ক কোথাও পেলাম না। যখন লিঙ্ক আসবে কেউ একটু শেয়ার করিয়েন প্লি।
১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২
ফাহমিদা বারী বলেছেন: মুভিটি না দেখতে পারার কষ্টে আক্রান্ত হয়ে আছি! রিভিউ পড়ে আরো কষ্ট বেড়ে গেল।
১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২১
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আপনার এই সুন্দর রিভিউটি দেখে আর তর সইছেনা।
এটা দেখতেই হবে।
১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৯
যবড়জং বলেছেন: রিভিউ পড়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটালাম , সেটাইবা কম কিসে , ধন্যবাদ
১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৭
ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হোসেন বলেছেন: সিনেমাটির লিঙ্ক হবে ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: রিভিউ পড়ে ভাল লাগলো। দেখার ইচ্ছে হলো।