নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখক নই আমি। কোন চলচ্চিত্র দেখা মাত্র মনের কথা গুলি লিখে ফেলি আর কি।

রাজিন

আমি অসাধারণ মায়ায় আবৃত সাধারণ একজন মানুষ

রাজিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজিন রিভিউ: Padmaavat

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৫


অবশেষে দেখা হলো সেই “পদ্মাবত”। প্রায় এক বছর ধরে যে মুভি নিয়ে দুনিয়ার বিবাদ, সেটা অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। আমি ভাবলাম সঞ্জয় লীলা ভানসালির মুভিতে কী আর হবে? একটু নাচ-গান, রং-চং ছাড়া কিছুই তো থাকে না। কিন্তু দুনিয়ার কন্ট্রোভার্সিতে পরার কারণে মুভিটি দেখার ইচ্ছা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিল। সাধারণত কোন মুভির প্রতি অতিরিক্ত আশা থাকলে সেটা তেমন ভালো লাগে না। কিন্তু পদ্মাবত দেখে আমি পুরাই মুগ্ধ।

কাহিনী ১৩শ সালের দিকের। ভারতের মাটির দিকে তুর্কী-আফগানদের ধীরে ধীরে দখল শুরু হয়ে গিয়েছে। বর্তমানের সুলতান, আলাউদ্দীন খিলজী (রণভীর সিং)। ভয়ংকর শয়তান এক শাসক। একটা একটা করে রাজ্য আক্রমণ করে সেই জায়গার সব নারীদের নিজস্ব হেরেমে বন্দী করে ফেলে। বাকি সারা জীবন সেই নারীদের উপর চলে অত্যাচার। আলাউদ্দীন খিলজী আবার এক্ষেত্রে একটু উদার হয়ে নিজের হেরেমে বিনোদনের জন্য পুরুষদেরকেও রাখতেন। এদিকে চিত্তরের রাজপুত রাজা রতন সিং (শহীদ কাপুর) এর রাণী পদ্মাবতী (দীপিকা পাডুকোন) এর সৌন্দর্যের কথা জানতে পারে খিলজী। তারপর শুরু হয় তার চিত্তর আক্রমণের কাহিনী।

মুভিটি মালিক মোহাম্মদ জায়াসির মহাকাব্য “পদ্মাবত” থেকে অনুপ্রাণিত। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কাহিনী তেমন কোন আহামরি নয়। তবুও চিত্রনাট্য, সংলাপ, এবং অভিনয় নৈপুণ্যের কারণে মুভিটি পুরাই ফাটাফাটি পর্যায় নিয়ে গেছেন ভানসালি। ভানসালির মুভিতে সেট ডিজাইন, লাইটিং বরাবরই ভালো হয় তবে এই মুভির তুলনায় আগের গুলি কিছুই না।
চিত্তরের দূর্গ দেখে আমি কইলাম:”ওরে আল্লাহ্! এত্ত বড়!”। এছাড়া ক্যামেরা এমনভাবে ধরা হয়েছে যেন মনে হচ্ছিল আমি নিজেই সেখানে আছি। মুভির একশান দৃশ্যগুলিও দারুণ। বিশেষ করে শেষের দিকে একটি দৃশ্য দেখেই এতটাই টাশকি খাইসি যে “ট্রয়” এর সেই দ্বৈত লড়াই এর দৃশ্যকেও চ্যালেন্জ দিবে!

অভিনয়ে অবশ্যই প্রথমে নাম আসবে রণভীর সিং এর। ওরে আল্লাহ! কী এ্যাকটিং! পুরাই ফাটাই ফেলসে। প্রতিটি দৃশ্যতে আগুন লাগায় দিসে। খিলজীর চেহারা দেখে সকল দর্শকের মনে ঘৃণা জন্মাবে। তবুও দৃশ্যগুলি বার বার দেখার মত। রণভীর সিং এর এই চরিত্রটি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বদা মনে রাখা হবে। গাব্বার সিং, মোগাম্বো, এবং এবার আলাউদ্দীন খিলজী!

মুভিটি আমি আশা করেছিলাম দীপিকা প্রধান হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। সেকারণে দীপিকার নৈপুণ্য সেরকম দারুন বলা যাচ্ছে না। তবে দারুণ লেগেছে শহীদ কাপুরকে। রতন সিং এর চরিত্রটি অনেক দুর্বল হওয়ার কারণে কেউ এই চরিত্র করতে রাজি ছিল না। আর এদিকে শহীদ কাপুর এতটাই ভাল অভিনয় করেছে যে এটাই তার সেরা অভিনয়। রণভীর সিং এর এত দারুণ অভিনয়ের সামনে পাল্লা দেওয়া এত সহজ ছিল না।

এছাড়া দুইজনের অভিনয়ে পুরাই টাশকি খাইসি। মালিক কাফুর চরিত্রে জিম সর্ভ এবং মেহরুন্নিসা চরিতে অদিতি রাও হায়দ্রী। সহ-অভিনেতাদের চরিত্র এত ভালো হওয়ার কারণে মুভিটি অনেক উঁচু পর্যায়ে চলে গেছে। রতন সিং- পদ্মাবতীর প্রেমের চাইতে খিলজী-মালিক কাফুর এর প্রেমকাহিনী বেশি রোমাঞ্চকর ছিল।

মুভির সংগীত মোটামুটি। তবে “বিনতে দিল” গানটি আমার দারুণ লেগেছে। এছাড়া কিছু সিগনেচার ভানসালি গান আছে, যেমন ঘুমার (মার ডালা) এবং খালিবালি (মালহারি) যেগুলি দেখতে বেশ ভালোই লেগেছে।

মুভিতে বলে রাজপুতদের অনেক বীর দেখানো হয়েছে। সকল রাজপুতেরাই এই মুভি দেখে গর্বিত হবে। সেকারণে হুদা কামে এই মুভির পিছনে লাগার কারণটা কিছুই বুঝলাম না। যদি কেউ এই মুভি দেখে কেউ অসন্তুষ্ট হয় তবে মুসলমানেরা হতে পারে। তবে খিলজী আসল জীবনে আরো বড় শয়তান ছিল। তার শয়তানির কিছুই দেখানো হয়নি এবং সেগুলি একটি পারিবারিক মুভিতে দেখানোও সম্ভব না।

মুভিটির খারাপ দিক নিয়ে কিছু বলি। মুভিটি একটু বেশি বড়। শেষ দৃশ্যটিই প্রায় ১০-১৫ মিনিট ধরে চলতে থাকে। কিছু ভানসালি জাকজমকতা দেখাতে গিয়ে কাহিনী থেমে যায়। এছাড়া সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মুভির কাহিনীর মূল বিষয় ছিলো রানী পদ্মাবতীর সৌন্দর্য। কিন্তু দীপিকাকে এত সুন্দরও লাগেনি। সেই জায়গায় অদিতি রাও হায়দ্রীকে বেশী সুন্দর লেগেছে।

এদিকে মানুষজন হুদাই কিছু কথা বলে। যেমন “আলাউদ্দীন খিলজিকে কেন এত শয়তান দেখানো হয়েছে?” আরে ব্যাটা! এই খিলজী হালার পুত এদিকে নারী-পুরুষ-শিশু সবার সাথেই তার যৌন লালসা মিটাইতো। এমনকি সে নিজেকে নবী বানায়ে নতুন ধর্মও বানাতে চেয়েছিল।
আবার অনেকে বলে “রণভীর সিং এর চরিত্রটি “গেম অব থ্রোনস” এর খাল-ড্রোগোর নকল”। কইলেই হইলো? যত্তসব! আবার এই মুভি বলে “সতীদাহ” প্রথাকে উৎসাহিত করছে। কিন্তু মুভিতে “সতীদাহ” দেখানো হয়নি। যেটা দেখানো হয়েছে সেটি হলো “জওহার” যা শুধুমাত্র যুদ্ধের পরাজয়ের পর পালন করা হতো।

সব মিলিয়ে এই মুভির প্রতি দৃশ্য দারুণভাবে উপভোগ করেছি। নিঃসন্দেহে সঞ্জয় লীলা ভানসালির তৈরী সেরা মুভি।

রেটিং – ৪.৫ / ৫.০

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

খালি কি মুভি রিভিউ দিলেন আমার তো মনে হয় অনেকের রিয়েকশ্যানের রিভিউ ও দিয়ে দিলেন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:০০

রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১১

বিজন রয় বলেছেন: তাই নাকি?
তাহলে তো দেখতে হবে!

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৬

রাজিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৫

নীলপরি বলেছেন: রিভিউ ভালো লাগলো । মুভিটা কি নেটে দেখলেন ?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:০১

রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ। মুভিটি থিয়েটারে দেখেছি

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৯

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
যা হোক পদ্মাবত সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা পাওয়া গেলো।
কিন্তু ইন্ডিয়ায় এই ছবি মুক্তি নিয়ে এত হট্টগোলের কারন কি?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:০৩

রাজিন বলেছেন: রাজস্থানের লোকেরা রাণী পদ্মাবতীকে দেবী মানে এবং খিলজীকে শয়তান। এদিকে এই দুই চরিত্রে অভিনেতারা আসল জীবনে প্রেমিক-প্রেমিকা। লোকজনের ধারণা ছিল কিছু প্রেমের দৃশ্য আছে। তাই অহেতুক হাঙ্গামা বাধিয়ে দিয়েছে।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুব ভাল লাগলো, ছবিটি নিয়ে সবার মত আমারো আগ্রহ ছিল, প্রাথমিক ধারনা পেলাম।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৬

রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর রিভিউ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৭

রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঐতিহাসিক কাহিনী নিয়ে ছবি বানানো খুব ঝুঁকিপূর্ণ। বিতর্ক পিছু ছাড়ে না।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৭

রাজিন বলেছেন: এটা নিয়ে রিভিউ দিয়ে ভাই বিপদে পড়েছি।

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: শুধু শুধু রাজপুতরা হাঙ্গামা করছে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৭

রাজিন বলেছেন: বাঙালীরাও কম না।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৪৭

কোলড বলেছেন: What was your source of Alauddin Kilji's perversion? Do NOT cite Indian hindu revisionists' book. Your language too is not standard I'm afraid (pun intended as I'm writing in English).

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১১

রাজিন বলেছেন: আমি ঐতিহাসিক নই। সুতরাং আমার রিভিউ থেকে ইতিহাসের সত্যতা যাচাই করা বোকামি। সামান্য একটি রিভিউ দিয়েছি মাত্র। কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৬

সোহানী বলেছেন: কালই দেখা শুরু করছিলাম, শেষ করিনি। আপনার রিভিউ দেখে দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল।++++

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৫

রাজিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

হাসান রাজু বলেছেন: নেটে কি ভাল কোন প্রিন্ট পেয়েছেন? বানসালির সিনেমা দেখা চোখের জন্য ও আরামদায়ক । এই বিলাসিতা হল প্রিন্ট দেখে মিস করা উচিৎ হবে না ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৬

রাজিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

হাঙ্গামা বলেছেন: ক্যাচাল করার কথা মুসলমানের আর করতেছে হিন্দু বোকা**দারা। =p~

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

খসরুল আলম বলেছেন: দেখি বৃহস্পতিবার সিনেমায় যাব

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৫

রাজিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

পার্থ তালুকদার বলেছেন: মুভিটি দেখার ইচ্ছা আছে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৫

রাজিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

মো: সাকিব হাসান বলেছেন: খিলজি সমাচার:
আলাউদ্দিন খিলজীকে পদ্মাবতে যেভাবে বর্বর,কামুক ও অত্যাচারী দেখানো হয়েছে,এটা নতুন কিছু না,গত দুশো বছর ধরে ভারত এভাবেই মুসলিম সুলতান/সম্রাটদের উপস্থাপন করেছে।এই রোগ ভারত পেয়েছে তার কলোনিয়াল পিতা ব্রিটিশদের কাছ থেকে,ব্রিটিশরা পেয়েছে মূলত হাঙ্গেরিয়ান-ল্যাটিনদের কাছ থেকে।
ল্যাটিনরা ছিল মধ্যযুগীয় ইউরোপের গীর্জার হর্তাকর্তা,সেই সাথে অধিকাংশ ইউরোপিয়ান রাজ রাজড়াদের সাথেও তাদের ছিল দহরম মহরম,ক্যাথলিক সম্রাট আর ল্যাটিন পোপ মিলেই চালাতেন মধ্যযুগের ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রগুলো।ইউরোপ বলে সে আধুনিক হয়েছে,সে রেনেসা ঘটিয়েছে,সে এনলাইটেনমেন্ট এনেছে।
কিন্তু এত এত বিপ্লব ঘটিয়েও তারা অটোমানদের ভুত ঘাড় থেকে নামাতে পারে নাই,মুসলিম শোনার সাথে সাথে ইউরোপিয়ান সাইকিতে দুটো টার্ম ভেসে ওঠে,এক)দ্যা টেরিবল তুর্ক,দুই)দ্যা লাস্টফুল তুর্ক।এই দুটো ব্যাধিকে কলোনিয়াল ভারতে ব্রিটিশের ধামাধরা উচ্চবর্নের হিন্দুরা মনেপ্রাণে গ্রহন করেছে।আধুনিক ভারত যতই আধুনিক হোক,মতাদর্শিকভাবে সে এই দুই ব্যাধিকে হৃদয়ে লালন করেছে বড় যত্নের সাথে।কারন রাষ্ট্র ভারত মুখে সেক্যুলার হলেও কাজে সে হিন্দুত্ববাদী।
পদ্মাবত ছবিটি আমি দেখি নি,কিন্তু বেশ কিছু রিভিউ পড়েছি,স্টোরিলাইন সম্পর্কে রিভিউগুলো থেকে যে ধারনা পেলাম তাতে আমার মনে হল,আলাউদ্দিন খিলজীর ক্যারেক্টার মেইকিংয়ে খুব স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে দুটো সাতশো বছরের পুরনো ইউরোপিয়ান স্টেরিওটাইপ,দ্যা টেরিবল তুর্ক আর দ্যা লাস্টফুল তুর্ক।মুসলিম মাত্রই বিংশ শতাব্দীর আগ তক ইউরোপিয়ান ঐতিহাসিকের কাছে তুর্ক।সে টেরিবল বা বিপদজনক,কারন তাকে যুদ্ধে হারানো অতি কঠিন।তুর্কদের কাছে তাদের গোটা দশেক ক্রুসেড হারতে হয়েছে,সেই সাথে অন্তত সাড়ে তিনশো বছর ধরে তাদের কাছে ডজন ডজন যুদ্ধে হারতে হয়েছে।মূলত সেখান থেকে এই নামটা আসে।এই একই পরাজয়ের স্মৃতি ভারতের উচ্চবর্নের হিন্দুদেরও আছে।
দ্যা লাস্টফুল তুর্ক স্টেরিওটাইপের জন্ম হয়েছে তুর্কীদের হেরেম থেকে,হেরেমের ভেতরকার মেকানিজম সম্পর্কে কোন ধারনাই না থাকায় ইউরোপিয়ানরা গোটা মধ্যযুগে একের পর এক রুপকথা রচে গেছে বটে,কিন্তু কোন উন্নতমানের গবেষনাধর্মী লেখা তারা লিখতে পারে নি,এর মূল কারন,হেরেমে তাদের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ।এইসব রুপকথারই সংকলন দ্যা লাস্টফুল তুর্ক।
দরিদ্র ইউরোপিয়ান বা নিম্নবর্নের হিন্দুদের ইতিহাস ও ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা কিন্তু উচ্চবর্নের হিন্দু বা নোবল ইউরোপিয়ানদের চাইতে আলাদা।মুসলিম শাসন তাদের দুঃসহ অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছিল,দিয়েছিল অবমানবের অবমাননাকর জীবন থেকে মুক্তি।মুসলিমরা হিন্দুস্তানকে পৃথিবীর সমৃদ্ধতম অঞ্চলে পরিনত করেছিল নিজেদের সুশাসনের জোরেই।
££££
আলাউদ্দিন খিলজীকে চিনতে হলে পদ্মাবত মুভি দেখে চেনার কোন প্রয়োজন নেই।আলাউদ্দিনকে আমরা চিনতে পারি ফাদার অফ কাওয়ালি,প্যারট অফ ইন্ডিয়া,ফাদার অফ উর্দু লিটারেচার খ্যাত আমীর খসরুর কাছ থেকে,যিনি তাকে কাছ থেকে দেখেছেন।আলাউদ্দিনকে চেনার আরো মাধ্যম হতে পারেন জিয়াউদ্দিন বারানী অথবা ফিরিশতা।আপনার যদি আমীর খসরু বা জিয়াউদ্দিন বারানীকে বায়াসড মনে হয়,আপনি ফিরিশতাকে দিয়ে ক্রস চেক করে নিতে পারেন।
যে আলাউদ্দিন খিলজীকে সঞ্জয় লীলা বানসালী বীভৎস এক শয়তানরুপে চিত্রিত করেছেন,সেই আলাউদ্দিন খিলজী প্রাণপনে মোঙ্গলদের ভারত আক্রমণ না ঠেকালে আজকে লীলা বানসালীর বানসালী অংশটুকুর জায়গায় হয়তো মোঙ্গল পদবী থাকতো।
১২৯৮ সালের দিকে চাঘাতাই মোঙ্গলরা আফগানিস্তান পেরিয়ে হিন্দুস্তানে প্রবেশ করতে এসেছিল,লক্ষ্য ছিল প্রথমে লুট করা,পরে শাসন করা,আর মোঙ্গলরা যেখানে ঢুকেছে সেখানে কি করেছে,গুগল করলেই জানতে পারবেন।ভারতে যদি তারা ঢুকতে পারতো,সো কলড বীর রাজপুত জাতি,যাদের মূল পেশা ছিল ব্যবসায়ীদের কাফেলা লুট করা,নিঃসন্দেহে ঝাড়ে বংশে সাফ হয়ে যেত,বিশ্বাস না হলে চীন বা মধ্য এশিয়া অথবা ইরানে কি হয়েছিল,গুগল করে দেখতে পারেন।
এই মোঙ্গল ঠেকানোর জন্য ভারতের উচিত সুলতান ইলতুতমিশ,সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবন,সুলতান আলাউদ্দিন খিলজী এবং সুলতান মুহাম্মাদ বিন তুঘলকের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা।
কিন্তু তারা তা করবে না।তারা বরঞ্চ তাদের ইতিহাস থেকে মুছে দেবে,অথবা দেখাবে বিকৃতকাম জানোয়ার হিসেবে।কারন,এতে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যসাধনে সুবিধা হয়।
বিজেপি বর্তমানে ক্ষমতায় টিকে আছে এই উগ্র মুসলিমবিদ্বেষ উসকে দিয়ে।ভারতে দিনকে দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হিটলারের নাজিবাদ,আর্যরাই শুধু ভারত শাসন করবে এই বিশ্বাসে উজ্জ্বীবিত হয়ে প্রথমে মুসলিম বিতাড়ন ও পরে নমশুদ্রদের পদদলিতকরনের প্রক্রিয়াকে দিনকে দিন জোরালো করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে শিবসেনা ও আরএসএসে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১১

রাজিন বলেছেন: আমি ঐতিহাসিক নই। সুতরাং আমার রিভিউ থেকে ইতিহাসের সত্যতা যাচাই করা বোকামি। সামান্য একটি রিভিউ দিয়েছি মাত্র। কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

লিমন কিবরিয়া বলেছেন: রনবীর সিং এর মুগ্ধকর অভিনয় ছাড়া আর কোনো দিক আমার কাছে তেমন ভালো লাগে নি।তবে জিমি সার্ব এবং অদিতি রাও হায়দারির ব্যাপারেও আপনার সাথে একমত

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৪

রাজিন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

সবুজ২০১২ বলেছেন: জনাব রাজিন, যথেষ্ট শ্রদ্ধা রেখেই বলছি যে আপনি বিশদ না জেনে আলাউদ্দিন খিলজি সম্পর্কে এমন হিন্দুদের কাল্পনিক পুরাণ কাহিনী থেকে তাকে উদ্ধৃত করেছেন।আফসোস এই যে আপনার মত এমন নামধারী মুসলমানেই পৃথিবী ভরে গেছে যারা উৎস না জেনেই সস্তা মন্তব্য করে খ্যাতি পাওয়ার লক্ষে অবতীর্ণ হন।মালিক মুহাম্মদ জায়সী রচিত "পদুমাবৎ" অবলম্বনে রোসাঙ্গ রাজসভার কবি আলাওল কর্তৃক অনূদিত পদ্মাবতী একটি কাল্পনিক গল্প যা মালিক মোহাম্মদ জায়সী নিজেই স্বীকার করে গেছেন যে পদ্মাবতী উনার হৃদয় মন্দির হতে উৎসরিত, কাজেই এটিকে সত্য ভাবার কোন অবকাশ নেই। ভালো থাকবেন আর করো চরিত্র স্খলনের পূর্বে তার সম্পর্কে বিশদ অবগত হবেন।বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এটি নিশ্চয় কোন কঠিন কাজ নয়..............................

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১১

রাজিন বলেছেন: আমি ঐতিহাসিক নই। সুতরাং আমার রিভিউ থেকে ইতিহাসের সত্যতা যাচাই করা বোকামি। সামান্য একটি রিভিউ দিয়েছি মাত্র। কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩০

বিবেকবা২০১৩ বলেছেন: আলাউদ্দিনকে এভাবে দেখানোতা ঠিক হয়নাই । বানসালি যে একটা সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন তা এই মুভি থেকে স্পষ্ট । আর এখন তো আরো ভালো বিজেপি সরকার ভারত শাসনে । তাই সবাই মুসলিমদের হেয় করার সুযোগ এবং মজা দুটাই পায় ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১২

রাজিন বলেছেন: আমি ঐতিহাসিক নই। সুতরাং আমার রিভিউ থেকে ইতিহাসের সত্যতা যাচাই করা বোকামি। সামান্য একটি রিভিউ দিয়েছি মাত্র। কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বানশালির টাল দেইখা ফিদা হইয়া গেছিলাম। শালা পদ্মাবৎ বানাইয়া বাইনচোতশালী হইয়াছে !!! আরেক বঙ্কিম চন্দ !খিলজির হাতে মারা খাওয়ার যন্ত্রণার প্রতিশোধ, মুভি বানাইয়া তুলতাছে ! হাতি কাদায় পড়িলে চামচিকাও লাথি মারে। শালীও মারতাছে !
পদ্মাবৎ সহ আপনার রিভিউ এ কইষা মাইনাস। আলাউদ্দিন খিলজীরে লইয়া পুরাই ইতিহাস বিকৃতি। জিয়া বারানীর 'তারিখে ফিরোজশাহী' পড়েন !

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১২

রাজিন বলেছেন: আমি ঐতিহাসিক নই। সুতরাং আমার রিভিউ থেকে ইতিহাসের সত্যতা যাচাই করা বোকামি। সামান্য একটি রিভিউ দিয়েছি মাত্র। কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

২০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

অসিতকর্মকারসুজন বলেছেন: সিনেমা টি দেখার ইচ্ছে আছে । তবে আপনার রিভিউ টি বাকীদের চেয়ে আলাদা ছিলো ।ধন্যবাদ

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৪

রাজিন বলেছেন: ধন্যবাদ

২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:১৮

starit বলেছেন: Smartchannel24.com is your Latest Entertainment News মোভিেস Website https://smartchannel24.com

২২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

সাকিব মুসতানসির বলেছেন:
ভারতে বলিউডের ‘পদ্মাবতী’ সিনেমাটা মূলত দিল্লীর সুলতান ‘আলাউদ্দিন খিলজি’ এবং রাণী ‘পদ্মাবতী’র মধ্যকার প্রেম নিয়ে লোক-কাহিনী নির্ভর এবং স্বভাবতই এই সিনেমা তৈরিতে যাদের হাত ছিল তাদের দ্বারা আরও রিফর্ম করা।

রক্ষণশীল হিন্দু সমাজ মূলত এটা মেনে নিতে চাইছে না যে, ‘পদ্মাবতী’র সাথে আলাউদ্দিন খিলজির কোনও প্রেম ছিল। এত বছর মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের প্রতিরোধ গড়ায় তাদের অনুপ্রেরণার অন্যতম এই উৎসকে তারা দিল্লীর সবচে’ প্রভাবশালী মুসলমান শাসকের প্রেমে দেখতে চান না।

বরং তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাকে যোদ্ধা হিসেবেই দেখে অনুপ্রাণিত। যদিও স্বীকৃত ঐতিহাসিক সত্য এটাই যে, ‘পদ্মাবতী’ কেবল রূপকথা। এরপরও সমগ্র ভারতে সিনেমাটা নিয়ে যে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে, হিন্দুদের মধ্যে তা ‘হিন্দুত্ববাদের’ নব উত্থানের সুস্পষ্ট সাক্ষ্য দেয়।

অপরদিকে এই সিনেমায় আলাউদ্দিন খিলজির চরিত্রকে ভয়াবহভাবে বিকৃত উপস্থাপন করা হলেও সে নিয়ে মুসলমানদের প্রতিবাদ কিম্বা প্রতিরোধের থেকে বরং সিনেমাটা দেখবার আগ্রহই যেন প্রবল হয়ে উঠেছে।

ছবিতে সুলতান এবং তাঁর সেনাপতি মালিক কাফুরকে সমকামী দেখানো হয়েছে। মূলত সুলতানকে দেখানো হইয়েছে মাদকাসক্ত এবং এবং উভকামী যৌনতাতাড়িত জালিম, অত্যাচারী রূপে। অর্থাৎ মানবীয় মন্দ গুণের এমন কোনও কিছুই বাদ রাখা হয় নি যাতে সুলতানকে ঘৃণিতভাবে উপস্থাপনের বাকি রাখে।

আলাউদ্দিন খিলজির প্রয়াণের ২০০ বছর পর সুফি কবি জায়সী রচিত 'পদুমাবৎ' তৈরি একটা চরিত্র মাত্র এই 'পদ্মাবতী'। আর এর ১০০ বছর পর রচিত বৌদ্ধ রাজার অমাত্য মাগন ঠাকুরের নির্দেশে আলাওল এর পদ্মাবতীও একই। এই দুই কখনই ঐতিহাসিক সূত্র হতে পারে না।

সেই সময়ের প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমির খসরু 'পদ্মাবতীর' উল্লেখ করেন নি। ষোল শতকের ইতিহাসবিদ ফারিশতা প্রভৃতি মুসলমান ঐতিহাসিকদের কেউই এই কল্পিত ‘হিন্দু রমণী’র অস্তিত্বের সাক্ষ্য দেয় না। নির্ভরযোগ্য হিন্দু ঐতিহাসিক দলিল থেকেও সেরকম কিছুর অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।

সেকালের গ্রীক ইতিহাসবিদেরাও এমন কারও অস্তিত্ব সম্পর্কে জানান নি। ভারতীয় ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব, ব্রজদুলাল চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ভদ্র তাঁদেরও মত, 'ইতিহাস আলাউদ্দিন খিলজি, চিতোরের রাজা রতন সিং উভয়কেই মানে এবং তাঁদের যুদ্ধের কথাও বলে। কিন্তু তাতে ‘পদ্মাবতীর’ কোনও অস্তিত্ব নেই’।

সিনেমার জন্য একটু টুইস্ট দেবার জন্য কেবল প্রেমকাহিনী ঢুকানো হয়েছে। মূলত উদ্দেশ্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণার চর্চা। সামান্য একটু প্রেমের ইস্যুতে ‘পদ্মাবতী’ হিন্দুত্ববাদীদের প্রতিরোধের মুখে পড়লেও আদতে এটা মুসলিম বিরোধী চলচিত্র। অবশ্য দুই সম্প্রদায়ের জাত্যবোধ বুঝার জন্য অনেকটা মানদণ্ড হয়ে উঠেছে চলচিত্রটি।

একটা কথা আমাদের স্মরণ রাখা উচিত আলাউদ্দিন খিলজি বিজেতা হিসেবে ছিলেন তামাম ভারতের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম। উত্তর ভারতের প্রভাবশালী রাজ্য গুজরাট, রণ-থম্ভোর, মালব এবং মেবার বিজয় করেন তিনি। এরপর তিনি মালিক কাফুরের নেতৃত্বে দক্ষিণ ভারতে অভিযান প্রেরণ করেন।

কাফুর দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজা যেমন, রামচন্দ্র, প্রতাপ রুদ্র, তৃতীয় বল্লালকে পরাজিত করেন। অধিকার করেন পান্ড্যব রাজ্য। এভাবে ক্রমে ক্রমে সমগ্র দক্ষিণ ভারত মুসলমানদের হাতে পরাজিত হয়। আলাউদ্দিন খিলজি উদারতা দেখান, কর ও শান্তির বিনিময়ে তিনি পূর্ববর্তী হিন্দু রাজাদেরই অধিকৃত রাজ্যের দায়িত্ব দেন।

মালিক কাফুর নিজেও ভারত শাসন করেছেন। আলাউদ্দিন খিলজি ও মালিক কাফুর উভয়েই মঙ্গলদের পরাজিত করেছেন। আলাউদ্দিনের হাতে পরাজিত হয়েছিল গুজরাটের রাজা কর্ণদেব, মালবের রাজা মহ্লক দেব, রণ-থম্ভোরের রাজপুত রাজা হামির দেব , মেবারের রাজা রতন সিং।

সেনাপতি মালিক কাফুরের হাতে পরাজিত হয়েছে হিন্দুদের প্রাচীন গৌরব, বরঙ্গলের কাকতীয়রাজ, দোরসমুদ্রের হোয়্সলরাজ, পান্ড্যবরাজ আর, দেবগিরির রাজা রামচন্দ্র। ফলত অত্যন্ত স্বাভাবিক ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীরা এই দুইজনের চরিত্রেই কলঙ্ক লেপন করেছে যথেচ্ছভাবে। ফলত ঐতিহাসিক ভিত্তি ছাড়াই তাঁদের চারিত্রিক কলল্কে মুড়ে দেওয়া হয়েছে।

তাঁরা সমকামী ছিলেন এই দাবিও সেই প্রক্রিয়ার অংশ। এটা একটা ঐতিহাসিক মিথ্যাচার এবং বানোয়াটকাহিনী ছাড়া আর কিছুই না। যে সুলতান তাঁর কাজিউল কুজাত (শরী'আ আইনে প্রধান বিচারপতি)র কথায় ভারতের বাইরে কোথাও নিজের শাসন সীমা বিস্তৃত করেন নি, সে মানুষ ইসলামী দণ্ডবিধি ও মৌলিক জীবনাচারের বাইরে সমকামী জীবনযাপন করবেন এটা অসম্ভব। তাঁর চারজন স্ত্রী ছিলেন।

তাছাড়া, তাঁদের মধ্যকার সমকামী সম্পর্কের ব্যাপারে যাই বলা হোক, এর কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। এসব যাবতীয় অপবাদের উদ্দেশ্য মূলত দুটো। যেন এসব ঐতিহাসিক চরিত্র থেকে মুসলমানদের শ্রদ্ধা সরে যায় আর হিন্দুদের বাড়ে আরও প্রবল ঘৃণা। অথচ আলাউদ্দিন ছিলেন সেই শাসক যিনি বাজারদর ক্রয়ক্ষমতায় রাখতে সচেষ্ট ছিলেন, জমি জরিপ করে সামন্ত ব্যবস্থার রোধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।

এবং এতকিছুর পরও বহু মুসলমান এই চলচিত্রটি উপভোগ করেছেন আর এই বিকৃতিকে সত্য মনে করছেন। পতনের এই কালে কেবল পতনের ইতিহাসই আমাদের লিখতে হচ্ছে!

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১২

রাজিন বলেছেন: আমি ঐতিহাসিক নই। সুতরাং আমার রিভিউ থেকে ইতিহাসের সত্যতা যাচাই করা বোকামি। সামান্য একটি রিভিউ দিয়েছি মাত্র। কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

২৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

রাত জাগা তারা ও আমি বলেছেন: সত্যি কি তাই........না এর পেছনে কোন পুরানো ইতিহাস আছে.........? উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম......। :(

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৩

রাজিন বলেছেন: আমি ঐতিহাসিক নই। সুতরাং আমার রিভিউ থেকে ইতিহাসের সত্যতা যাচাই করা বোকামি। সামান্য একটি রিভিউ দিয়েছি মাত্র। কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

২৪| ২০ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

কিশোর মাইনু বলেছেন: ইতিহাস/ধর্ম নিয়ে কিছু বলার আগে দয়া করে ভালমত পড়ে,জেনে,বুঝে তারপর বলুন।

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৩

রাজিন বলেছেন: আমি ঐতিহাসিক নই। সুতরাং আমার রিভিউ থেকে ইতিহাসের সত্যতা যাচাই করা বোকামি। সামান্য একটি রিভিউ দিয়েছি মাত্র। কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.