![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাবিব হত্যা কিংবা আত্মহত্যাঃ
সামুতেই লাবিব নামের একজনের পোস্টে পড়েছিলাম “এক মুঠো মৃত্যু দেবে প্রেমিকা?”
প্রেমিকা মৃত্যু দিয়েছে, তবে সেই লাবিবকে নয়, কলেজ পড়ুয়া একজন লাবিবকে।
মৃত্যুকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই, কিন্তু তাই বলে মৃত্যু কখনও কাম্য নয় আর সেটা যদি অপমৃত্যু বা অকালমৃত্যু হয় তবে তো নয়ই ।
আত্মহত্যা কোন সমস্যার সমাধানের পথ নয় বরং এটা হচ্ছে অস্থায়ী সমস্যার স্থায়ী সমাধান। যারা আত্মহত্যা করে মারা যান তারা তাদের জীবনের সমাপ্তি চান না, তারা চান তাদের যন্ত্রণা নিবারণ করতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে এক মিলিয়ন লোক প্রতিবছর আত্মহত্যা জনিত কারনে মুত্যুবরণ করেন।
এবার আসি মুল ঘটনায়,
প্রেমিকার লোকজনের হাতে পিতামাতাসহ আহত হওয়ার মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে লাবিব ইসলাম নামে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের এক মেধাবী ছাত্র।
লাবিবরা রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের ১২ নম্বর সেকশনের ৭ নম্বর সড়কের ৪০১ নম্বর বাড়িতে বসবাস করেন। তাদের দুই বোনের একমাত্র ভাই ছিল লাবিব। লাবিব পঞ্চম, অষ্টম ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। লাবিবের সঙ্গে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্রী মেহজাবিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মেহজাবিন মগবাজার টিএ্যান্ডটি কলোনিতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে বলে জানা গেছে। টানা ছয় মাস তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
মেয়েটি বহু প্রেমিকে বিশ্বাসী। তার একাধিক বয়ফ্রেন্ড আছে। সম্প্রতি লাবিবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। এ নিয়ে তার ভাইয়ের সঙ্গে মেয়েটির প্রায়ই তর্ক চলছিল। মেয়েটি লাবিবের সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চাচ্ছিল না। কিন্তু লাবিব মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী ছিল। এমন টানাপোড়েনের কারণে লাবিব ঠিকমতো পড়াশোনা করছিল না। উদাস হয়ে এদিক-সেদিক ঘোরাফেরা করছিল। বিষয়টি আব্বা-আম্মাসহ পরিবারের সবাই বুঝতে পারে।
পূর্বপরিচিত হওয়ায় আব্বা-আম্মা মেয়েটির সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল। একমাত্র ছেলে হওয়ায় এবং বিপজ্জনক বয়সের কারণে আব্বা-আম্মাও বিষয়টি নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন, যাতে ছেলের সঙ্গে মেয়েটির কোন ঝামেলা না হয়। কথাবার্তার একপর্যায়ে মেয়েটি সরাসরি কথা বলতে লাবিবকে নিয়ে বেইলী রোডের পাশে স্কাইভিউ পয়েন্টের ছাদে থাকা রেস্টুরেন্টে আসতে বলে। কথা মোতাবেক আব্বা আম্মা লায়লা ইসলাম ও ভাই লাবিব আর লাবিবের এক বন্ধুকে নিয়ে সেখানে যান।
সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেখানে সাক্ষাত করতে গেলে মেহজাবিন চিৎকার-চেঁচামেচি করে ব্যাপক শোরগোল করে। লাবিবের পরিবারকে মেহজাবিন চেনে না বলে বলতে থাকে। এ সময় সেখানে আগ থেকে বসে থাকা মেহজাবিনের অন্তত ২০ জন আব্বা, আম্মা, লাবিব ও লাবিবের বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ লাবিবের বন্ধু আর আব্বা-আম্মাকে কোনমতে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু ততক্ষণে মেহজাবিনের লোকজন লাবিবকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। পরে হোটেলের লোকজন সবাইকে উদ্ধার করে। তারা গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এ নিয়ে রাতভর বাসায় আলাপ-আলোচনা চলতে থাকে। ভোর চারটার দিকে লাবিব তার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এর কয়েক মিনিট পর থেকেই লাবিবকে ডাকাডাকি করছিলেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু কোন সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। পরে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাবিবকে উদ্ধার করে।
এটা হত্যা না আত্মহত্যাঃ
আমার মনে হয় এটার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিৎ। না হলে আজ এই মেয়ে করেছে,কাল অন্যমেয়ে সাহস পেয়ে অন্যছেলের সাথে একই কাজ করবে ( এখানে ছেলে-মেয়ে মূল বিষয় নয়)।বাবা-মা সহ পরিবারের সব সদস্যারা যখন প্রেমিকার জন্য মার খায়, তখন দুনিয়াটা সত্যিই মিথ্যা হয়ে যায়,বেচে থাকার ইচ্ছা থাকেনা। আমি এটাকে আত্মহত্যা না হত্যাই বলব!
লাবিবের আইডিঃ https://www.facebook.com/lahr.1997
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১০
একজন সেলফিস বলেছেন: সবকিছু এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কতটা যৌক্তিক।।
আর স্ব-গোত্রীয় বলতে কি বুঝিয়েছেন বুঝিনি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮
এম আর তালুকদার বলেছেন: কুকুর কুকুরীর প৾েম অতঃপর হিংস৾তা পরিশেষে ক৾ন্দন সবশেষে স্ব-গ৾োত৾ীয়দের বিলাপ খুব বিরক্তিকর।