![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে পড়ি, নতুন লিখছি, বাংলা বানান ভুলে ভরা হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য ভালোবাসার কমতি নেই। ভালবাসি এই মাটি, মানুষ, আর এই জীবন সংগ্রা
ঠিক সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা, বার ঘন্টার যশোর-মাগুরা-ঝিনাইদাহ হয়ে আবার যশোর ফিরলাম। আগের দিনের মত শুধু আমি আর মুজ্জাম্মেল ছিলাম না হুজুরের সাথে, আরো যোগ হয়েছিল আমার আরেক বন্ধু সাজিদ (যে কিনা গতবার না যেতে পেরে আফসোস করছিল) আর হুজুরের বন্ধু ,আখি অপটিকস এর (যিনি গতবার পেপে খাইয়েছিলেন) আলমগীর ভাই (ভাই না চাচা কি বলব তা জানিনা)।, সেই হিসাবে, এবারের সফর শুধু মাদ্রাসা দর্শনের মধ্যে সিমাবদ্ধ ছিলনা, তা ছাপিয়ে সবার রাজনৈতিক , সামাজিক দর্শনের সাথে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ারের সম্মেলন ঘটে। উনারা জামাত, আওয়ামিলীগ আর বিএনপি নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত মজার স্মৃতিই শুধু বললেন না, বরং তিক্ত কিছু অভিজ্ঞতার কথা শুনালেন যা আবারো ঐ দল আর তাদের দলবাজি নিয়ে ভাবালো আমাদের।
এবারের সফর শুরু হল নাসিরুল্লাহ হুজুরের বাড়ী সফর আর সেখানে পাটিশাপ্টা পিঠা খাওয়ার ভেতর দিয়ে (মাগুরায়)।, পুরা ৩ ঘন্টা কেটে গেল ঝিনাইদাহ এর ঐ মাদ্রাসা পৌছাইতে। যাত্রাপথে হুজুরের বিভিন্ন স্থান দেখিয়ে গল্পবলা, অভিজ্ঞতার শেয়ার আর তার মাদ্রাসা নিয়ে পরিকল্পনার কথা শুনছিলাম। হুজুর যশোরের আসে পাশের সব জেলা গুলাতে শুধু মাদ্রাসা বানানোর স্বপ্ন দখেন না, বিভিন্ন মাদ্রাসা কেন্দ্রিক হসপিটাল আর গাজির দর্গায় একটা ভকেশনাল কলেজও করার পরিকল্পনা আছে উনার (যতটুকু বুঝলাম)।
মাদ্রাসা শিক্ষায় একটা নামের ঐতিহ্য আছে। বিভিন্ন হুজুরকে যেখানে নাম ধরে ডাকা অসম্মান ভাবা হয়, সেখানে নামের যায়গায় পদবি বা বসস্থানের ব্যবহার স্বাভাবিক। কোন হুজুরকে যেমন ক্বারী সাহেব হুজুর, মুফতি হুজুর, হাফেজ সাহেব ডাকতাম, আবার মাগুরা হুজুর, কাশেমপুর হুজুর, বাঘাড়পাড়া হুজুর, নড়াইল হুজুর ডাকাও স্বাভাবিক ছিল আমাদের জন্য। আবার যখন দড়াটানা থেকে আলীয়াতে আসলাম তখন আবার নাম ধরে ডাকার বদ অভ্যাস হয়ে গেল (গিয়াস স্যার, গফফার স্যার ইত্যাদি)।/ আমেরিকায় প্রথম যখন ছাত্রদের (শিক্ষক থাকা অবস্থায়) বেঞ্ছের উপর পা তুলে চিপ্স খেতে ্দেখলাম, আর নাম ধরে ধরে ডা্কতে শুনলাম তার তুলনায় তখন আলীয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের বড়ই ভদ্রা মনে হচ্ছিল( তার অন্তত নামের সাথে স্যার বা হুজুরও বলে ) ।
শেখ আব্দুর রাজ্জাকে (কাওমি- আলিয়ার কারিকু্লাম মিলিয়ে মাদ্রাসা) পড়ার সময় শৈলকুপা থেকে আসা আমাদের কিছু বন্ধু ছিল। তাদের অভিজ্ঞতা থেক তখন থেকেই সেই যায়গার উপর একটা ভয় জন্মেছিল আমার ভেতর। পরে হুজুরও কাল বলছিলেন যে , সেখানে নাকি ১০-১২ জন কে এক সাথে মেরে ফেলার ঘটনা তেমন কিছুনা (যদিও এখন অনেক উন্নতি হয়েছে)।, আরো মজা পাইলাম যখন হুজুর আলমগীর ভাইকে বললেন যে, এখানে শশুর বাড়ির লোকেরা নাকি জামাইকে মারতেও দ্বিধা করেনা ( আলমগীর ভাইয়ের এখানে বিয়ে হবার কথা ছিল এক সময়)।
সেই শৈলকুপায় যে এমন অসাধারন একটা মাদ্রাসা দেখবো তা ভাবিনি। মাদ্রাসার ছাত্রদের ব্যবহার, আর চলাফেরা দেখে মনে হলো দেশের যেকোন বড় স্কুলের ডিসিপ্লিন তার সামনে হার মানতে প্রস্তুত। ১ টা দশের সময় মাদ্রাসার গেটে গাড়ী থেকে নামতেই হুজুরকে চার পাশদিয়ে ঘিরে ধরল ছাত্ররা। আগের মাদ্রাসায় যা দেখিনি এখানে দেখলাম। প্রাই সব ছাত্রই (৭ বছর থেকে ১৪ পর্যন্ত বয়সের আনুমানিক) শুধু হুজুরই না, আমাদের সবার সাথে মুসাফাহা করল , সালাম দিল। তাদের ভদ্রাতায় আমি যেন সেই রকমের সম্মানিত অনুভব করলাম নিজেকে। আর তাদের মুসাফাহর চাপে আমার দুই বন্ধু পকেট থেকে ক্যমেরা বের করে সেই অসাধারন মুহুর্ত যে ধরে রাখবে, তার ফুসরতই পেলনা। এই সব পাচকলি গোল টূপি আর লম্বা পাঞ্জাবি পরা ছেলেদের আর হুজুরদের ভেতর, আমার আর মুজ্জাম্মেলের জিন্স আর শর্ট পাঞ্জাবি যেন অখাদ্য মনে হচ্ছিল। আর আমিও লজ্জা পাচ্ছিলাম প্রতি বার, যতবার বাচ্চা ছেলেগুলা আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল।
মাদ্রাসার নাম হাসিনা-কামাল মুহিউসসুন্নাহ (প্রতিষ্ঠাতার মাতা-পিতার নামে)।, প্রতিষ্ঠাতা হাজী সাহেব হলেন মধ্যবয়স্কা একজন ইঞ্জিনিয়ার সাহেব, যিনি শুধু জমিই দেননি মাদ্রাসা কে, বরং ঢাকায় ৬ তলা একটা ফ্লাট দিয়েছেন যার ভাড়া দিয়ে হুজুরদের বেতনের নিশ্চয়তাও করেছেন। এই মাদ্রাসায়ও সুন্দর পুকুর আছে, আর আছে কিছু কবুতর (২৭ টা)।, অসাধারন পরিবেশ।
দুপুরে খেতে বসে সেই আগের মত ৩ পিস মাছ খেতে হয়নি ঠিকই, কিন্তু খাবারের আয়োজনের ব্যপকতা আর তালিকা দেখে জিন্সের প্যন্টের বেল্ট ঢিলা করার চিন্তা মাথায় আসা অস্বাভাবিক কিছুনা। সেখানকার ক্বারী সাহেবের অধীনে রান্নার দায়িত্ব। শাক, ছোটমাছের তরকারি, বড়মাছের ঝোল, মুরগি, মুরগির ডিম, খাশির গোস্ত আর তার চর্বি, প্রায় সব পদের খাবার খেয়ে যখন হাত ধুতে হবে বলে মনে হল, তখন বসার অবস্থা থেকে উঠার অবস্থায় পৌছাতে বড়ই বেগ পেতে হল। আর হুজুরতো বলেই বসলেন, আমাকে উঠায় দেবে কে? এর পর কোন এক হুজুরের বিয়ে উপলখ্যে (যতটুকু বুঝলাম) আসলো মিষ্টী খাওয়ার পালা, ৫-৬ রকমের মিষ্টী। এগুলার ভেতর ছিল ইলিশ মাছের ডিসাইনের একপ্রকার সন্দেশ, যেটা অনেককেই মজা দিয়েছে, বিশেষ করে হাজি সাহেব ও তার চাচা যখন খাচ্ছিলেন।
খাওয়া শেষে অসল দিনের মজাদার অংশ। অভিজ্ঞতা শেয়ারের পালা। আমি ঢাবিতে পড়ি শুনে, হাজী সাহেব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন, আর জানালেন আমার হল ছাড়া (এস এম হল) বাকি প্রায় সব হলেই তার খাবারের অভিজ্ঞতা। শুধু খাবারের অভিজ্ঞতাই না, কিভাবে তাদের সময়ের ছেলেরা নির্দিধায় ৮-১০ প্লেট ভাত খেয়ে ফেলতো তার বিবরন। তিনি জানালেন, তখনকার ছাত্রদের নাকি তিনটা নামে ডাকা হত, হনু , পিলু আর কলু। হনু বলাহতো অনার্সের ছেলেদের, আর পিলু বলা হত মাস্টার্সের ছেলেদের আর কলু হল ঐ ছেলেরা যারা জাতীয় থেকে বিএ পড়ে ঢাবি তে মাস্টার্স পড়তো, যাদের বেশির ভাগই বয়স্ক হত আর স্যুট টাই পরে ঘুরতো। হাজি সাহেবের মতে, এখন কার শহরে ছেলেদের পেট কম খেতে খেতে ছোট হয়ে গেছে, ১/১.৫ প্লেটের বেশি খাইতেই পারেনা, যেখানে ৬ টাকায় তারা ৫-১০ প্লেট ভাত খাইতো। আর এখন, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি আর হাকিম চত্বরে ৩৫ টাকায় দুই মুঠ ভাত আর এক পিস মুরগি খেয়েই খালাস হয়ে যায় এখনকার ছেলে মেয়েরা।
হাজী সাহেবের থেকে গল্পের হাল টেনে আলমগীর ভাই শুরু করলেন তার খাদক জীবনের কিছু স্মৃতি রমন্থন করতে। তার এলাকার ১১ সদস্যের খাদক দলের নেতা হিসাবে তার অবদান, আর ১১ জন মিলে বিভিন্ন বিয়ের দাওয়াতে ৩৩ কেজি গোস্ত খাওয়া শুধু না ( কমপক্ষে), উল্টো ঝামেলা পাকানোর বিভিন্ন কাহনী। অবাক লেগেছিল কিভাবে তিনি প্রথম শ্বশুর বাড়ি গিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তার খাদক ঐতিহ্যের কথা (৫ কেজি রাজহাসের প্রায় সবটা, ১ লিটার স্প্রাইট আর এক বোল দই খেয়ে) , ফলে আর কোনদিন তাকে খাবারের জন্য টেবিলে তা্কিয়ে হতাশ হতে হয়নি। মজা লেগেছিল তার শালিদের বৃত্তির টাকায় সাড়ে ১৬ কেজি ছাগলের ৭ কেজিই দুজন মিলে কিভাবে শেষ করলেন, আর বিয়ের বাড়ীতে পরপর ২ বার খেয়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, যার ফলে এলাকার লোক জড় হয়ে গিয়েছিল উনি বেচে আছেন কিনা (এত বেশি খেয়েছিলেন বলে) নিশ্চিত হতে। হাজি সাহেবের একটা ঘটনা সবচেয়ে মজা দেয়, ঘটনার নায়ক ৬৭ টা কলা ছুব্লা (খোসা) না খুলেই খেয়ে ফেলতে পারতো। এইসব শুনে, আমার নিজেকে হাল্কা অনুভব হল। সেই তুলনাই মনে হল, আমি দুধের শিশু অথব দুধ- ভাত । ফেরার পথে আলমগীর ভাইয়ের 7UP (পানীয়) নিয়ে মজাটা বেশ ভাল লেগেছিল। তার মতে, এখন আর সেভেন আপ নেই, বরং সিক্স ডাউন আর ওয়ান আপ হয়ে গেসে (অর্থাৎ, দুই নাম্বারির ফলে, সেভেন আপ খেলে, ৭ টা ঢেকুর ওঠেনা , বরং ৬ টা বায়ু বের হবার পর ১ টা ঢেকুর বের হয় )।
অসরের নামাজের আগে রেজাল্ট ঘোষনার জন্য সবাইকে মসজিদে আনা হলো। শুরুতে কুরআন তেলাওয়াতের জন্য ডাকা হল এক ছাত্রকে। অন্যদেরমত সে এসেই তেলাওয়াত শুরু করেনি । পিচ্চি ছেলেটা অবাক করে দিয়ে, একদম বড়দের মত করে , কুরান পাঠের ৩ টা মর্তবা ( দিলের জং মুছে যায়, আল্লাহ তায়ালার মহাব্বত বৃদ্ধি পায় এবং প্রতি হরফে ১০ নেকি) আর ২ টা অদবের কথা। তার পর শুরু করলো তেলাওয়াত। এর পর হুজুরের বয়ানের পর, হাজি সাহেব ঘোষনা করলেন রেজাল্ট। হাফেজি সহ ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ৬ বিভাগের প্রথম তিন জনের নাম ডাকেন। সব বিভাগ মিলে রেজওয়ান আহমেদ প্রথম (গড় ৯৬) , মবারক হোসেন দ্বিতীয় (গড় ৯২) আর আব্দুর রহিম তৃতীয় (গড় ৯০)। , হাজি সাহেব শেষে ঘোষনা দিলেন, যে সব বিভাগে প্রথম হবে (ফাইনালে), তাকে ১৫০০ টাকা, দ্বিতীয়কে ১০০০, তৃতীয়কে আর সকল বিভাগের প্রথমদের ৫০০ টাকা করে পুরস্কার দিবেন। অসাধারন আইডিয়া............আমি মাদ্রাসায় থাকতে কখনো এসব পাইনাই (যদিও ভল ছাত্র ছিলাম না) , আমার বন্ধুরাও তো পাইনি!!
বিকালে ঘোরাঘুরি করে সন্ধায় নামাজের শেষে আমরা ভাপা পিঠা খেয়ে রওনা দিলাম ঝিনাইদাহ এর দিকে। এর আগে, হাল্কা বয়ানে হুজুর আলি (রা) এর সেই হাদিসটা শুনালেন যাতে রাসুল (সা) তার মৃত্যু শয্যায় নসিহাত করেছিলেন। তিনটা নসিহতের ( নামাজের কথা, জাকাতের কথা আর অধীনস্থদের হক) কিছু ব্যাখ্যা দিয়ে হুজুর এলাকার মুসল্লিদের নামাজের দাওয়াতের জন্য অনুরোধ করলেন। কারন , আলি (রা) এর ঐ হাদিসে, রাসুল (সা) তিনটা নসিহাত করে, যখন আলি (রা) তার কান হুজুরের (সা) মুখের কাছে নিলেন ,শুনলেন উনি বলছেন আসসলাত (নামাজ) আসসলাত(নামাজ)।/ নামাজের এই গুরুত্ব এইকারনে, যে এই নামাজই তো কাফের আর মুসলমানের পার্থক্যকারী হিসাবে সাব্যস্থ হয়ে আছে।
ঝিনাইদাহে , হুজুরের এক ছাত্রের মাদ্রাসায় (দারুল আমাল) এশার নামাজ পড়লাম। এখানে এসে আরেক নতুন অভিজ্ঞতার কথা শুনলাম ওখানকার হুজুরের থেকে। কিভবে ছেলেরা আলিয়ার দিকে আকৃষ্ট হয় এখানে (ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কাছে বলে)।, ফলে হুজুরদের, কাওমি+ আলিয় স্টাইল একসাথে চালাতে হয়। যার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে নাসিরুল্লাহ হুজুরের মতামত। হুজুরের ্মতে, দুই নৌকায় পা দেয়ার চেয়ে, জেনেশুনে এক নৌকায় দুই পা দিয়ে থাকাই ভাল (হয় পুরা আলীয়া/স্কুল পড়ুক, নাই পুরাই কাওমি লাইন)।/ শৈলকুপা থেকে রওনা দেবার পর, আলমগীর ভাই বিভিন্ন পির আর মাজারের বিভিন্ন জিকির আর পাঞ্চ লাইন গেয়ে শুনাচ্ছিলেন। হুজুরের কাছে শুনলাম ভাইয়ের নাকি ওয়াজের শুর আর মিলাদ পড়ানোর খ্যতি আছে (উনি এক রাতে ৯ টা মিলাদ পর্যন্ত পড়িয়েছেন)।, কালিগঞ্জের কাছাকছি আসার পর, হুজুর যখন আমাদের জিজ্ঞাসা করলেন কেন আমরা ২ দিন হুজুরের সাথে ঘুরতেসি বা ঘুরলাম? তার জবাব এক কথায় দিতে পারলাম না । কিছু একটা বললাম ঠিকই, কিন্তু হয়তো বুঝাতে পারিনি কত ভাললাগার সময় আমরা পার করেছি ২ দিনে। ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসাই করতে পারিনি, কেন হুজুর আমাদের মত বখে যাওয়া ছাত্রদের এত সুযোগ দিলেন। হুজুরের জীবনী লেখার প্রস্তাব আর হুজুরের জ্বীনের কাহিনি শুনে (হুজুরের জ্বিনের কাহিনিই লিখতে নাকি ৫০০ পেজ লাগবে) যখন রাত দশটায় গাড়ীখানা রোডে এসে হাজির হলাম, তখন মনে হতে লাগল, শেষ হয়েও যেন হইলোনা শেষ। আবার কবে এমন যাত্রার সুযোগ পাব (আদৌ পাব কিনা)।
এর আগে, ঠিক যখন যশোরের কাছে আমাদের গাড়ী, আমার ভাগ্নে আমায় ফোন দিয়ে জানালো যে ধুম থ্রি (হিন্দি ছবি) নাকি অনেক ভাল হয়েছে। আর গতকাল আমার সদ্য ক্লাস ওয়ানে ওঠা ভাগ্নি জিজ্ঞাসা করে বসলো আমার ল্যপ্টপে রামলিলা (আরেকটা হিন্দি ছবি) আছে কিনা। এমন না যে এরা দুজন অ-ইসলামিক পরিবারে বেড়ে উঠেছে বলে এমন। না, আমার বোনেরা কেওই নামাজ কামায় দেয়না, তাদের পরিবারও বলতে গেলে অনেক আদর্শবান। কিন্তু সমস্যা হল বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা আর শিক্ষা ব্যাবস্থার, যার পরিবর্তন (ইসলামিকরন) ছাড়া, শুধু পরিবার ভাল হলেই এখন বাচ্চাদের সমস্যা দূরকরা সম্ভব বলে মনে হচ্ছেনা। আর আমার দেখে আসা, ওই মাদ্রাসার বাচ্চারা যখন এই রামলিলা দেখা বাচ্চাদেরকে বড় হয়ে আদর্শের কথা বলবে, নামাজের উপদেশ দেবে, নীতির কথা বলবে, তারা হয়ে যাবে জঙ্গি, হেফাজত আর না হয় শিবির। এমন দ্বিধাবিভক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের বাচ্চাদের , ভাই-বোনদের এমন দুইরকম এক্সট্রিমে নিয়ে হাজির করছে যার থেকে মুক্তি হয়তো অনেক কঠিন হয়ে দাড়াবে সামনের প্রজন্মের জন্য। আল্লাহ আমার ভাগ্না-ভাগ্নিদের সহ, সকলকে হেফাজত করুন। আমিন............
©somewhere in net ltd.