| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জনতা ব্যাংক লিঃ এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে চাকরী পাওয়ার পর বেসিক ট্রেনিং এ গিয়েছিলাম রাজশাহী ট্রেনিং সেন্টারে। প্রথমে একটু চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু উঠে মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে আমাদের চার রুম মেটদের সাথে চরম একটা সম্পর্ক হয়ে গেলো। মেহেরপুরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাগুরার নাহিদ, জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহিদ। তারপর যোগ দিল দিনজপুরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌশিক, পাবনার সেলিম, খুলনার মনজ দা, ঠাকুরগাও এর সানি, ইউনুস, বাগেরহাটের রাজু, সহ আরও অনেকে। খুব মজা করতাম আমরা সারাদিন। একসাথে সবাই ঘুম, খাওয়া, পড়া ইত্যাদি। আমরা চার পাচজন সবাইকে মাতিয়ে রাখতাম সারাদিন। আমরা স্টাডি ট্রুর এ কানসাট, সোনা মসজিদ বন্দর, সোনা মসজিদ, চামচিকা মসজিদ, পাগলা নদী, মহানন্দা নদী, বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গির এর সমাধি ইত্যাদি সব ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখলাম। আমাদের গাইড ছিল আমাদের ডিজিএম মোশাররফ স্যার, আমাদের সকলের প্রিয় হাই স্যার, একরাম স্যার, রবিউল স্যার। তারা আমাদের দর্শনীয় স্থাপনার বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছিলেন। বরেন্দ্র জাদুঘরের বেহাল দেখে মনটা খারাপ লাগলো। খুবই অযত্ন অবহেলায় রয়েছে, রেশম পল্লিতে গিয়ে পোকা থেকে সুতা তৈরী দেখে নিজের চোখে না দেখলে বোঝা বা বোঝানো যাবে না। টাকার অভাবে মিতু ও আম্মুর জন্য কিছু কিনতে পারলাম না। মনটা খারাপ হয়ে গেল। দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। আবার কি হবে দেখা তাদের সাথে? আমি মারা গেলে কি তারা সঠিক সময়ে জানতে পারবে? জানলেও কি শেষবারের মতো দেখতে আসবে কেউ?
©somewhere in net ltd.