![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হরতালের ইতিহাস পুেরােনাই। পূর্ব পাকিস্তােন ১৯৬২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ১৫ দিন হরতালের ইতিহাস পাওয়া যায়। স্বাধীন বাংলাদেশে মুজিবুর রহমান সরকার আমলে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত ৫ দিন হরতালের কথা জানা গেছে উইকিপিডিয়া সূত্র মতে। এরপর স্বৈরশাসক এরশাদ আমলে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত ৫৯ দিন হরতাল হয়। এ হরতালগুলে া ডাকে মূলত আওয়ামী লীগ আর বিএনপি।
এরপর ১৯৯৭ সালের ৭ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করে ক্ষমতায় আসে তত্ত্ববধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের অধীেন নিবর্াচিত হয়ে ১৯৯১-এর ১৯ মার্চ সরকার গঠন করেন িবএনপি েনত্রী েবগম খালেদা জিয়া হন প্রধানমন্ত্রী। িবরে াধী দলে আওয়ামী লীগ-জামায়াতসহ অন্যরা। েবগম খালেদা জিয়া সরকারের এই আমলে অথর্াৎ ১৯৯১ সালের ১৯ মাচর্ থেকে ১৯৯৬ সােলর ৩০ মাচর্ পযর্ন্ত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগ-জামায়াত মিেল ২৬৬ দিন হরতাল ডাকে (সূত্র : উইকিপিডিয়া)। এর মধে্য ১৭৩ দিন হরতাল ডাকে আওয়ামী লীগ (উইকিপিডিয়া)। এই হরতালের মূল কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নিবর্াচন করার দাবি। তৎকালীন বিএনপি সরকারের ওপর আস্থা না থাকায় ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আস্থা থাকায় আওয়ামী লীগ ও জামায়াত এক হয়ে এক ইসু্যতে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে অসহযে াগ আন্দে ালন করে। হরতাল করে সফল হয় আওয়ামী লীগ। দাবি আদায় করে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তৈরি কের। জল ঘে ালা করেও দািব মেনে নেয় বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিবর্াচন করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এই সরকােরর আমলে অথর্াৎ ২০০০ সালের ১২ জুন অবধি জাতীয়ভাবে বিএনপি হরতাল দেয় ৫৯ দিন (উইকিপিডিয়া)। যদিও এই পাঁচ বছরে মে াট হরতাল হয় ২১৫ দিন। তবে এই হরতালের সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সংশ্লিষ্ট নয়। সরকারের দুনর্ীতি, অপশাসন ও নিযর্াতনের বিরুদ্ধে হরতাল আহ্বান করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপিসহ অন্যরা।
২০০১ থেকে ২০০৬ সময়কালে বিএনপি শাসনামলে সরকারের দুনর্ীতি, অপশাসন ও নিযর্াতনের বিরুদ্ধে ১৩০ দিন হরতাল ডাকে আওয়ামী লীগ।
২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে আবারে া নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। কে ানে া ঝামেলা ছাড়াই চলছিলে া সব। নিষ্প্রাণ বিরে াধী দল বিএনপি, ১/১১ ঝড়ে বিধ্বস্ত। সুযে াগ হাত ছাড়া করলে া না সরকার। ১৩ নভেম্বর ২০১০, বিরে াধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে তার দীর্ঘ ৩০ বছরের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হলে া পাঁজাকে ালা করে। কাঁদলেন খালেদা, কাঁদালেন! বিচার চাইলেন জনগণের কাছে। দীর্ঘ দিন পরে আবার হরতালের চেহারা দেখলে া জনগণ।
৩০ জুন ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশে াধনী পাশ হলে া জাতীয় সংসদে। এই সংবিধান সংশে াধনীর দু'টি বিষয় সবচেয়ে আলে াচিত হয়। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকা র ব্যবস্থা বাতিল করা আর অন্যটি সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতা পুনর্বহাল করা। আর এতে সুপ্রিম কে ার্ট মতামত দিলে া পক্ষে। কিন্তু ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নিতে চাইলাম না। সুশীলসমাজের প্রস্তাব অগ্রাহ্য করলাম। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, সিপিডি বা সুজনের প্রস্তাব ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করলাম। প্রধানমন্ত্রী আরে া একধাপ এগিয়ে। বললেন, তাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র চলছে - এই সব প্রস্তাবনার মধ্য দিয়ে।
গত দেড় বছরে তত্ত্বাবধায়ক বা নিদর্লীয় সরকারের অধীনে নিবর্াচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জে াট হরতালের পর হরতাল দিয়েই চলছে। যা ইতে ামধে্যই ৩০ দিন ছাড়িয়েছে। দিনতে া পড়েই আছে আরে া হরতাল উপভে াগ করতে বাধ্য হবে জনগণ। তারপরও দাবিতে অনড় থাকবেই বিরে াধী দল। আর পাথর থাকবে সরকার, বিরে াধীদের করবে কঠে ার হাতে দমন, প্রয়ে াজনে আরে া একটি জেল তৈরি করবে। কতে া টাকা লাগবে আর একটা নতুন কারাগার বানােত। একটি পদ্মা সেতুর টাকা দিয়ে কয়টা জেল বানানে া যায়।
আইয়ুব খানের মতে া স্বৈরশাসক নিবর্চারে হত্যা করেও বাঙ্গালীর দাবিকে অগ্রাহ্য করতে পারেনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মরা এটা ভুলিনি, ভুলবে া না। ভাতের আর ভে াটের অধিকার রক্ষা করা ব্যক্তিগত অধিকার হিসেবে বাঙ্গালী জাতি রক্ষা করতেই একতাবদ্ধ হতেই পাের।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জানাগেল হরতালের ইতিহাস
সামনে তা বেড়ে চলবে বারমাস