নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজু আহমেদ
পৃথিবীর সকল শব্দের মধ্যে ছোট কিন্তু সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সাথর্ক একটি শব্দ।যে শব্দটি এমন একটা অর্থ বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়,যে অরথের সাথে অন্য কোন শব্দ বা অরথের তুলনা চলে ন।ভাল-মন্দ সকল প্রকৃতির মানুষের যে শব্দটা সারা জীবনে কোটি কোটি বার উচ্চারণ করতে হয় ।যে ডাক সকল ডাকের চাইতে অতি উত্তম।যে শব্দের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য কোন মানুষ একের অধিক বার ভাববে না।হাজার কষ্টের মাঝে যে নাম উচ্চারন করলে প্রশান্তিতে বুক জুড়িয়ে যায়।যে ডাক হাজার কোটি বার ডাকলেও কোন রকম ক্লান্তি ছুঁতে পারে না।এ ডাক যে ডাকতে পারে না সে নিজেকে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে হতভাগা দাবি করে।যে শব্দকে নিয়ে লেখক যে কত সাহিত্য রচনা করল তার কোন সীমা পরীসিমা নাই।কবি তার কলম অবিরাম চালিয়েছেন সে কলম যে কবে থামবে, তার দিন ঠিক করা কারও পক্ষে কোন দিন সম্ভব হবে না ।এ শব্দকে নিয়ে গান গাইতে গিয়ে গায়কের গলা বার বার ঝংকারিত হয়েছে কিন্তু কখনো থেমে যায় নি।যে ডাক একবার দেয়ার পর দ্বিতীয় বার দেয়ার জন্য জাতি ধর্ম বর্ন নিবির্শেষে সকল মানুষই সুজোগ খোঁজে।হ্যা পাঠক আপনারা ঠিকই ধরেছেন।মা.. ....মা......মা...মা..........মা..............মা...........আবারও মা।শত অপরাধ করার পর যার আদালতে বিচারের আগেই আপনি নিদোর্ষ,সে আপনার মা।শত অন্যায় করার পরেও যার কাছে আপনার কোন অপরাধই থাকতে পারে না,সে আর কেউ নয় চরম দুঃখীনি মা।আপনার ছোট অবস্থায় যখন ।আপনি ভাষা শেখেননি তখন আপনার একটু ক্রন্দন সকল কাজ ফেলে আপনার কাছে যাকে ছুটে আসতে বাধ্য করেছে সেও আপনার মা।আপনার প্রয়োজনের কথা মুখ দিয়ে বলার আগেই যিনি বুঝে নিয়েছেন, সেই মা।যিনি না খেয়ে আপনাকে খাইয়েছেন সে ত্যাগী মা।শীতের রাতে প্রস্রাব করে বিছানা ভিজিয়ে দেয়ার পর যিনি ভিজা জায়গায় শুয়ে আপনাকে শুকনো জায়গায় শুইয়েছেন সেই শান্তি ত্যাগী মা।শত কষ্ট সহ্য করার পরেও যিনি আপনার সামনে কোন কষ্ট প্রকাশ করেননি সেই মা।যে মানুষটিকে সারা জীবনে একটিও মিথ্যা কথা বলতে দেখিনি সেই তাকে শূধু আমার মুখ পানে চেয়ে মিথ্যা কথা বলতে শুনেছি।যিনি ন্যায়ধর্ম পালন করার জন্য সারা জীবন তপস্যা করেছে সেই তিনি শুধু মাএ আমার জন্য তার তপস্যা থেকে বিচ্যুত হয়েছেন।আজ আমি আমার মাকে নিয়ে কিছু কথা বলব।।অবশ্য মায়ের কথা ব্যক্ত করার পরিপূর্ন ভাষা আমার কোন কালেই ছিল না,আজও নাই।আমার জ্ঞানের পরিধির সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমার মায়ের কথা আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ কামনা করে বলার চেষ্টা করব।আমি শুধু আমার মায়ের বৈশিষ্ট্য বনর্না করলেও এই গুনগুলো সব মায়ের মধ্যে পাওয়া যাবে।আল্লাহ তায়ালা মায়ের প্রতি করনীয় প্রসংগে বলেন : যে গর্ভ তোমাকে ধারন করেছে,সে গর্ভদায়িনী মায়ের প্রতি কর্তব্য কর এবং শ্রদ্ধা নিবেদন কর।মা সম্মন্ধ্যে দাশর্নিকদের কিছু্ উক্তি দিয়ে শুরু করব ।লেডি এ্যানি বানার্ড তার মা সম্পর্কে বলেন : মা সবক্ষেত্রে সব পরিবেশেই মা। জন অস্টিন তার মা হারানোর পর মায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেণ : যে গৃহে মা নেই,স্নেহের শীতল স্পর্শ সে গৃহে নেই।যাক মূল কথায় ফিরে আসি।আমার মা আমার কাছে সব কিছু।মায়ের অস্তিত্ব ছাড়া আমার অস্তিত্ব মরীচিকার মত।আমি পৃথিবীর সব কিছু করতে পারি, আমার মায়ের জন্য।শুধু মায়ের জন্য সবার সাথে সম্পর্ক চ্ছিন্ন করতে পারি ।আবার মহাশত্রুর সাথে সম্পর্ক জুড়ে দিতে পারি।কেনইবা পারব না ।আমার মা আমার জন্য শিশুকালে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন কত সহস্রকোটি টাকার বিনিময়ে এই রকম ত্যাগী একজন মানুষ পাওয়া যায়।আমার মা সময়মত এক ফোঁটা দুধ আমার মূখে না দিলে আমার অস্তিত্ব আজ কোথায় থাকত আল্লাহ ভাল জানেন।আমার মা প্রতি ফোঁটা দুধ দিয়ে আমার শুধু মাত্র ক্ষুধা নিবারণ করেন নি,প্রতি ফোঁটা দুধের সাথে আমাকে নতুন করে জীবন দিয়েছেন।সেই মায়ের কৃতজ্ঞতা আমি কেমনে প্রকাশ করি।মা তোমার কষ্টের দিনগুলো আমি কেমনে ভুলব।আমি জানি তোমার সে দিনগুলো আমাদের মুখ পানে চেয়ে ভুলে থাকার চেষ্টা কর ।কিন্তু কোন সান্ত্বনার বলে আমরা সে দিনগুলোকে ভুলি।মা আমি তোমার কথা বলতে চেয়েও বলতে পারলাম না।মা তুমি আমাকে ভুল বুঝ না।আমার কলম কেমনে সামনের দিকে চালাব ,যতই সামনে যেতে চাই ততই তোমার সে দিনগুলোর কষ্টের কথা মনে হতেই আমার লেখার কাগজ ভিজে যায়।মা আমি পারলাম না,আমায় মাফ কর।মা তোমায় নিয়ে লিখব সেটা পড়ে পাঠকরা তাদের মায়ের স্মৃতিচারন করবে সেটা আর হলনা।মা আমি তোমাকে ভেবে ক্লান্ত।পাঠকদের ভূলবুঝতে নিষেধ করে দাও।তোমার সকল কথা খুব শীঘ্রই জানাব।মা তোমার জন্য আমি প্রাণ ভরে দোয়া করি যেমন তুমি আমার জন্য দোয়া কর।আল্লাহ আমার মাকে দুনিয়ার জীবনে এমন শান্তি দাও যে রকম শান্তি তুমি পছন্দ কর।এবং পরকালে জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করিয়া লও। আমীন..........................................................আমিন................................................আমিন
©somewhere in net ltd.