নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু আহমেদ । এক গ্রাম্য বালক । অনেকটা বোকা প্রকৃতির । দুঃখ ছুঁয়ে দেখতে পারি নি ,তবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুভব করেছি । সবাইকে প্রচন্ড ভালবাসি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারি না । বাবা এবং মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী ।

সত্যকা

সত্যকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি লাশের খরচে বাঁচানো যেত শত মানুষের প্রাণ

০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

রাজু আহমেদ ।



বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সকল মন্ত্রী এবং সাংসদদের কাছে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ বড়ই কৃতজ্ঞ।কেনইবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না ! আমরা বাঙালিরা তো অতীত স্মরণ রাখতে পারি না।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বাংলাদেশের সকল শ্রেনীর সকল মানুষের পক্ষ থেকে বাংলাদেশর পঞ্চম এভারেষ্ট জয়ী (তৃতীয় পুরুষ) প্রতিনিধির লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার মহৎ উদ্যোগের জন্য আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি।আমাদের বীর সন্তানের লাশ বিদেশের মাটিতে সমাহিত হোক সেটা ঐতিহ্যবাহী বাঙালী জাতি হিসেবে কখনোই চাইব না।তার অস্বাভিক মৃত্যু আমাদেরকে ব্যথিত করেছে।আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে যদিও শেরপার ১৫ সদস্যের স্কোয়াড এভারেষ্টের ৮ হাজার ৬০০ মিটার উঁচুতে সজল খালেদের লাশ না পেয়ে তাদের উদ্ধার কাজ স্থগিত করে নিচে নামতে বাধ্য হয়েছে।তবুও সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করতে হয়।এ উদ্ধার কাজের জন্য সরকারের মাত্র ৪৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।আমাদের ব্যাংক গুলো থেকে যে টাকা লুটপাট অথবা চুরি হয়,সে তুলনায় টাকার এ অংকটা তো খুবই নগন্য।কিন্তু আজ আমাকে কিছু কথা বলতে হবে।জানি কথাগুলো অনেকের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না।তবুও বলব।



আপনারা মনে হয় ভূলে যাননি গত ২৫ শে এপ্রিল ২০১৩ ঈসায়ী সালে সাভারের নয়তলা ভবন

‘রানা প্লাজা’ ধ্বসের কথা।এ ভয়াবহ ঘটনায় মারা গিয়েছিল মোট ১১২৬ জন এবং যারা এখনো আহত অবস্থায় বেঁচে আছেন তাদের অধিকাংশই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।আমার কথা এ বিষয়টা নিয়েও না।রানা প্লাজা ধ্বসের সাথে সাথে আটকে পড়া মানুষগুলোর প্রকটভাবে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়।কিছু সচেতন মানুষ অক্সিজেন ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সাহায্যের আর্তি জানায়।বাংলাদেশের প্রায় সকল মানুষই যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করতে থাকে।বাংলাদেশের মানুষ আবারও প্রমান করে তাদের মধ্যে নানা বিষয়ে মত-পার্থক্য থাকলেও তারা জাতীয় কোন মহাসংকটে ঐক্যবদ্ধ।সাহায্যের অনেক টাকা উত্তোলিত হলেও সময় লেগে যায় অনেক বেশি।যে সময়ের মধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে শত শত মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।অথচ এই রানা প্লাজার উদ্ধার কাজের সরাসরি তত্ত্বাবধায়ক ‍ছিলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই।যখনই কোন সরকারের মদদপুষ্ট মিডিয়া উদ্ধার কাজের সংবাদ প্রকাশ করত,তখন প্রতি কথার এ মাথায় ও মাথায় শুধু প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধার কাজ পরিচালনার কথা বলত।এত প্রচার যার কেন সেই প্রধানমন্ত্রী তার রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অক্সিজেনের টাকা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন না?কেন ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার অক্সিজেনের জন্য শত শত মানুষ তাদের জীবন রক্ষা করতে পারল না?নাকি প্রধানমন্ত্রী আপনি তাদের জীবন রক্ষা করতে দিলেন না?মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি কি রানা প্লাজায় আটকে পড়া মানুষগুলোকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ণ করেন নি?তাহলে এরা কি জাতে আসলেই শ্রমিক?খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় গুরু ‘প্রথম ফ্রান্সিস’ যে এদেরকে ক্রীতদাসের সাথে তুলনা করলেন,আপনি কি সেটার সত্যায়ন করে দিলেন?মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ আমার বার বার বলতে ইচ্ছা করছে,এভারেষ্ট জয় করলে মহাভারতের কোন অংশটা শুদ্ধ হয়ে যাবে?দেশে একটা মৃতদেহ না আনলে আপনার সরকারের কোন অংশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়ে যাবে?যারা জীবন রক্ষাকারী ২০-২৫ লক্ষ টাকার অক্সিজেন কিনে দিতে পারে না,সেই তারাই কেন,কোন স্বার্থে একটা লাশ আনানোর জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা অনায়াসে খরচ করে?বিচার করার ভার আপনাদের উপর??







মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.