নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজু আহমেদ
ঝালকাঠী এন এস কামিল মাদ্রাসা
তৃতীয় বিশ্বের ছোট্ট একটা উন্নয়নশীল দেশ আমাদেরে প্রিয় জন্মভূমি এই বাংলাদেশ।এদেশের অধিকাংশ মানুষ তিনবেলা পেটপূরে ক্ষেতে পারে না।বিজ্ঞানের নানাধরনের আবিস্কারের সৌজন্যে আজ আমরা উন্নত দেশগুলোর ভোগ-বিলাসিতা দেখে আফসোস করি।অথচ ঐ সকল দেশগুলোর মত সমৃদ্ধ আমাদের দেশটাও হতে পারত।প্রাকৃতিক ভাবেই অনেক উন্নত দেশের চেয়ে আমাদের দেশের পরিবেশ, আবহাওয়া ও জলবায়ূ অনেক বেশি যুঁতসই।ছোট্ট একটা পরিসংখ্যানের মাধ্যমে ব্যাপরটা খুব সহজে বুঝা যাবে।আমাদের দেশের চাষযোগ্য জমি উন্নত বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি জাপানের চাষযোগ্য জমির তুলনায় ৪০ গুন বেশি উর্বর।কিন্তু আমাদের দেশের জমিতে উৎপাদিত ফসলের তুলনায় জাপানিরা তাদের জমিতে ৪০ গুন বেশি ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম।কি চিন্তায় পড়ে গেলেন?ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললে আর বেশি চিন্তা থাকবেনা ।জাপানীরা তাদের জমিতে ফসল উৎপাদনে এবং পোকামাকড় দমনে নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবিত বীজ এবং ঔষধ ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু আমরা আমাদের ফসল উৎপাদনের জন্য বিদেশী বীজ এবং কীটনাশক ব্যবহার করি।সাধারণ ভাবেই একথা বুঝা উচিত ,বিদেশী বীজ বিদেশী পরিবেশ এবং আবহাওয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাছাই করা হয় এবং আমাদের ফসলের পোকমাকড় দমনে যে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তা আসে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। যা ব্যবহারের মাধ্যমে অস্থায়ী কিছু উপকার হলেও চিরতরে নষ্ট করে দেয় আমাদের জমির উর্বরা শক্তি।অথচ এই কীটনাশক তারা তাদের নিজস্ব ভূমিতে ব্যবহার করে না।এটা তাদের এমন ষড়যন্ত্র যাতে বাংলাদেশের মত সুজলা-সুফলা,শস্য-শ্যামলা দেশটাকে সারা জীবন ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়।
ছোট্ট একটা গল্প বলে মূল কথায় আসব।কোন এক ব্যক্তির ছোট্ট একটা বাচ্চা রেখে তার স্ত্রী মারা যায়। কিছুদিন পর ঐ লোক তার বাচ্চাকে লালন পালন করার জন্য আবার বিয়ে করে।সময়ের আবর্তে দ্বিতীয় স্ত্রীর কোল জুড়েও একটা বাচ্চা আসে।কিন্তু ঐ মা তার গর্ভের সন্তানের চেয়ে তার সতীনের সন্তানকে বেশী আদর করে।অর্থ্যাৎ সবসময় সতীনের সন্তানকে কোলে রাখে।অপরদিকে তার গর্ভের সন্তান প্রাকৃতিক ভাবে হেসে খেলে বড় হয়।এ অবস্থা দেখে পাড়া প্রতিবেশীরা তো মহাখুশি ,তারা পরস্পরে বলাবলি করে এমনও আশ্চর্য মা হয়! যে নিজের গর্ভের সন্তানের চেয়ে সতীনের বেশি আদর করে ।কিন্তু শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আসল ষড়যন্ত্র ।ঐ স্ত্রীর আপন সন্তানটি পরিনত বয়সে যখন হাটতে শিখল,কথা বলতে শিখল তখন তার সতীনের কথিত আদরের সন্তানটি সবক্ষেত্রে বিকলাঙ্গ ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়ে গেল।
যে সকল কারণে ইহুদী ও বিদেশী পণ্য বর্জন করা দরকার : মহান আল্লাহ তায়ালা প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ইরশাদ করেছেন –“তোমরা ইহুদী এবং খ্রিষ্টানদের বন্ধু রুপে গ্রহণ কর না”।একথা সর্বজনবিদিত যে তারা কোন অবস্থায় মুসলমানদের ভাল চায় না ,ভালো চোখে দেখে না। সকল সময় মুসলমানদের কিভাবে ক্ষতি করা যায় সে চিন্তায় ব্যস্ত থাকে ।ফিলিস্তিনের মুসলমানসহ সারা বিশ্বের মুসলমানরা আজ যেন ইহুদীদের কাছে জিম্মি।কিন্তু মুসলমানদের একটু সচেতনতা এ জিম্মি অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।আমরা যদি একটু ভেবে দেখি,কোথা থেকে ইহুদিদের অর্থনৈতিক এত শক্তি।তাহলে এর সমাধান খুঁজে পাওয়ার জন্য আমাদের বেশি দূরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।আপনি আপনার সকাল বেলার দাঁত ব্রাশের পেষ্ট থেকে শুরু করে ঘুমুতে যাওয়ার আগের ক্রীম পর্যন্ত খেয়াল করুন।কাদের এসকল পণ্য।অবশ্যই অধিকাংশ ইহুদী অথবা বিদেশী পণ্য।আমরা যখন তাদের কোন পন্য ক্রয় করি তখন তারা আমাদের থেকে দু্ইভাবে লাভ করে নিয়ে যাচ্ছে।প্রথমত পণ্যের উপর লাভ।দ্বীতিয়ত সরকার নির্ধারিত মূল্য সংযোজন কর।আর আমাদের থেকে যে টাকা লাভ করে নিয়ে যায় সে টাকাটা ব্যয় করে মানবতার মুক্তির দুত,আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন,সকলের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর বিরুদ্ধে প্রচারে ।এবং আমার ভাইদের হত্যাকরার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করে।অথচ ঐ সকল ইহুদী ও বিদেশী পন্যের বিকল্প এব্ং মানসম্মত পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদিত হলেও আমরা সেটা ক্রয় করে ব্যবহার করিনা।যার কারনে আমাদের দেশের টাকা বিদেশে চলে যায়।আমাদের সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব কর থেকে বঞ্চিত হয়।তাইতো মুসলমানদের চিহ্নিত শত্রুরা মুসলমানদের উপর আক্রমন চালানোর সুযোগ পায়।
দৃষ্টান্তমূলক উদাহরন : বাটা এক সময়ের অত্যন্ত জনপ্র্রিয় পাদুকা।কিন্তু এই বাটার নিচের অংশে আল্লাহ শব্দটি লিখে দেওয়া হত। অথচ কত নির্লজ্জ আমরা ! সেটা প্রমান পাওয়ার পরেও সেই বাটার পাদুকা আমারা এখনও ব্যবহার করি।
একটি জনপ্রিয় পানীয় PEPSI যার মূল শব্দ গুলোর ব্যাখ্যা হল : PAY EACH PANY TO SAVE ISRAIL অর্থ্যাৎ দয়া করে একটি টাকা ইস্রাইলকে রক্ষা করতে দান করুন।আপনার এই টাকা দিয়ে আপনার ভাই ফিলিস্তিনের একটা নাবালক সন্তানকে হত্যা করার জন্য ব্যবহার করবে।আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত।এরপরেও আমরা সচেতন হই না।
সংবাদপত্র বিষয়ক সতর্কতা : নেপোলিয়ান বোনাপার্ট বলেছেন“তিনটি সংবাদপত্র আমার কাছে বন্দুকের গুলির চেয়েও বেশি শক্তিশালী”।প্রতিদিনকার সংবাদ জানা আমাদের জন্য আবশ্যক।কিন্তু তাই বলে এমন খবরের কাগজ আমাদের কেনা উচিত নয় যারা আমাদের রাসূলের ব্যঙ্গচিত্র আঁকে ।যাদের কাছে মানুষের জীবনের চাইতে গাছ অধিক মূল্যবান।যারা ধ্রুব সত্যকে মিথ্যা বানাতে একবারও ভাবে না। এমন কোন সংবাদপত্র আমাদের টাকা দিয়ে কেনা উচিত কি?যারা আমাদের টাকা দিয়ে মুসলমানদের ক্ষতি করার সুযোগ খোঁজে।
কতিপয় ইহুদী পণ্যের তালিকা :
টুথপেষ্ট ও ব্রাশ-
পেপসুডেন্ট,ক্লোজআপ,কোলগেট ইত্যাদি।
সাবান ও ডিটারজেন্ট-
লাইফবয়,লাইফবয় গোল্ড,লাইফবয় প্লাস,লাক্স,ডেটল,ডোভ,স্যাভলন,জনসন বেবী সোপ,সার্ফএক্সেল, হুইল,রেক্সোনা,রবিন ব্লু,রিন ইত্যাদি।
শ্যাম্পু-
সানসিল্ক,হ্যাডজ এন্ড সোলজার,লাক্স,ক্লিয়ার,ওয়াল ক্লিয়ার,ডোভ ইত্যাদি।
কফি ও চকলেট-
ডেইরি মিল্ক,ক্যাডবেরিস,নেসলে,হরলিক্স ইত্যাদি।
কোল্ড ড্রিংকস ও অন্যান্য পানীয়-
কোকা-কোলা,স্প্রাইড,ফানটা ইত্যাদি।
ইলেকট্রনিক্স-
নকিয়া,ইনটেল,ডেল,এইচ পি, এলজি ইত্যাদি।
ক্রীম ও অন্যান্য কসমেটিকস-
ফেয়ার এন্ড লাভলী,পন্ডস,জনসন,সিন্ডেয়েলা ইত্যাদি।
মশক নিধন এরোসেল-
মরটিন,এডোমাস ইত্যাদি।
কলম ও কালী-
মনটেক্স,লাক্সার,পার্কার ইত্যাদি।
জুতা ও পাদুকা-
বাটা,এডিডাস,এ্যাকশন,নাইকি ইত্যাদি।
কাদিয়ানী পণ্য-
প্রাণের সকল ধরণের সকল পণ্য,আর এফ এল এর সকল ধরনের পন্য।
ইতিহাস থেকে বিদেশী ইহুদী পণ্যের ব্যাপারে শিক্ষা : ২২-০৫-২০০৪ ঈসায়ী সালে ভারতের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজয়ী হয়েও সোনিয়া গান্ধী সে পদ গ্রহন করলেন না।তখন তার উদারতায় খুশি হয়ে ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে তাকে একটি বিদেশী ব্রান্ডের অনেক দামী গাড়ী উপহার দেওয়া হয়।কিন্তু সোনিয়া গান্ধী সেটা ব্যবহার করতেন না। সাংবাদিকরা যখন তার কাছে সে গাড়ি ব্যবহার না করার কারন জানতে চাইল তখন তিনি বললেন,কেন আমার ভারতে তৈরি গাড়িগুলো কি ব্যবহার উপযোগী নয়।
১৯৮০ এর দশকে মালয়েশিয়ার যে মানুষগুলো কর্মের সন্ধানে বাংলাদেশে আসত,সেই মানুষগুলো কোন যাদুমন্ত্রের বলে বিশ্বের বুকে অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে মালয়েশিয়াকে প্রতিষ্ঠিত করল।এটার মূল কারন অনুসন্ধান করে যে কারন পাওয়া যায় তা হল দেশি পণ্যের প্রতি তাদের আস্থা ও ভালোবাসা।৯০ এর দশকে আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির মোহাম্মদ যখন বিদেশী পণ্য বর্জন করার ঘোষণা দিলেন তখন সকল ব্যবসায়ীরা সকল বিদেশী পণ্য রাস্তায় ফেলে দিল।সর্বোপরি ব্যক্তি পর্যায় থেকে বিদেশী পন্য ত্যাগ করল।অতএব ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরাও ইহুদী ও বিদেশী পন্য বর্জন করতে যখাসাধ্য চেষ্টা করি।
যে সকল পণ্যের বিকল্প পাওয়া যায়না : আমাদের দেশে ইহুদী,কাদিয়ানী এবং বিদেশী সহ প্রায় সকল ধরণের পণ্যের মানসম্মত বিকল্প পাওয়া যায় । তবে যে সকল পণ্যের বিকল্প একান্ত পাওয়া যায় না,সে সকল পণ্যের ক্ষেত্রে ততটুকুই শুধু ব্যবহার করব যতটুকু প্রয়োজন।তার চেয়ে মোটেও বেশি নয়।
শপথ :আজ এখন এই মূহুর্ত থেকে আমরা শপথ করি ইহুদীদের পন্য বর্জন করে মুসলমানদের ক্ষতিতে এবং হত্যায় ইহুদীদেরকে আর সহেযোগিতা করব না।এবং দেশি পণ্য কিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করব। আসুন এই স্লোগানেরে সাথে একমত হই-
দেশি পন্য কিনব,
নিজেকে করব ধন্য
E-Mail : [email protected]
FB ID: http://www.facebook.com/raju69mathbaria
©somewhere in net ltd.