নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাচীন গ্রীসে যখন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হল তখন থেকেই আস্তে আস্তে মানুষ সভ্যতার আলো দেখতে শুরু করেছে । অসভ্য মানুষকে সুসভ্য করার জন্য শিক্ষার চেয়ে মোক্ষম দ্বিতীয় কোন অস্ত্র নেই । বর্তমান বিশ্বে বিশেষত দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে । সাধারণ শিক্ষার সাথে তাল মিলিয়ে সমান তালে এগিয়ে চলছে ধর্মীয় শিক্ষা । বিশ্বের আদিম ইতিহাস থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রচলিত সকল ধর্মই তাদের অনুসারীদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে । হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর আগমনের আগ পর্যন্ত খ্রিষ্টান ধর্ম বিশ্বের বুকে তার মহিমা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল । তখন ধর্মীয় অনেক পন্তিতদের দ্বারাই গোটা বিশ্বের শাসন ব্যবস্থা প্রভাবিত হত । তারা যেমন মানুষকে ধর্মীয় দীক্ষা দিতেন তেমনি করে রাজা বাদশাহদেরকে পরামর্শ দিতেন কিভাবে নৈতিকতার মাপকাঠিতে রাজকার্য চালানে যায় । আবার অনেক ধর্মীয় পান্ডিত নিজেরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করত । প্রত্যেক যুগেই ধর্ম বেত্তাদের উপর একশ্রেনীর কথিত প্রগতিশীল মানুষ নানা রকম অন্যায় ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে । ইতিহাসে এমন অনেকর প্রমান পাওয়া যায় যারা ধর্মীয় শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করেছিল । এর পিছনে অবশ্য সুস্পষ্ট অনেকগুলো কারনও ছিল । সমাজে এমন একশ্রেনীর মানুষকে সর্বদা লক্ষ্য করা যায় যারা নিজেদের উন্নতির চেষ্টা করে না আবার অন্যের উন্নতি দেখে সহ্যও করতে পারে না । তৎকালীন যুগে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিতরা একদিকে যেমন অগাধ ধর্মীয় জ্ঞান রাখতেন অপরদিকে সাধারন বিষয়ে অন্যসকলের চেয়ে কম জ্ঞান রাখতেন না । যার ফলশ্রুতিতে সামাজিক মর্যাদার ক্ষেত্রে ধর্মীয় পন্তিতরা খুব ভালো অবস্থান তৈরি করে নিয়েছিল । যেটা তারা কোন অবস্থাতে সহ্য করতে পারত না । তাই তারা হিংসার বশবর্তী হয়ে সবর্দা তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকে । শয়তান তাদের সাহয্যকারী হওয়ায় শয়তানী কূটকৌশলে তারা ধর্মীয় শিক্ষাবিদদেরকে নানা ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে থাকে । ইতিহাসের ধারাবাহিকতা এমনি ভাবে চলে আসতে থাকে । ধারার সকল অমানিশা দূরকরার জন্য আগমন করেন মানবতার মুক্তির দুত ,আলোকবর্তিকা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ত্ব মুসলমানদের প্রানের পুরুষ ,দো’জাহানের বাদশাহ হযরত রাসুলে আকরাম (সঃ) এর । যিনি আল্লাহর নির্দেশে প্রচার করতে থাকেন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তির ধর্ম ইসলামকে । পবিত্র আল কোরআনের আলোকে তিনি মানু্ষকে আহ্ববান করতে থাকেন মুক্তির পথে । দলে দলে মানুষ গ্রহন করতে থাকে এ অমীয় সুধা । তারই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের অনুসারী । আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হয়েছে সে ধর্ম সম্পর্কে জানা । মানব প্রচেষ্ট ধীরে ধীরে সে দিকে ধাবিত হচ্ছে । সেই ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শুরু করে আজ এই একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এ শিক্ষা কার্যক্রম তুমুল গতির সাথে এগিয়ে চলছে । এবং প্রথিবীর শেষদিন পর্যন্ত চলবে । ইসলাম ধর্ম শিক্ষার এ ধারা যে একেবারে বাধাহীণ ভাবে চলে এসেছে এ কথা বলা যায় না । শতাব্দীর পর শতাব্দীতে নানা রকম বাধার সম্মুখীন হয়েছে এ শিক্ষা ব্যবস্থা । সে ঘৃনিত ঘটনাগুলো কালের স্বাক্ষী হয়ে আজও জেগে আছে মানুষের হৃদয়ে । যে সকল শাসকগন ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারের পথে দেয়াল হয়ে দাড়িয়েছে তাদের অনেকেই আজ আর পৃথিবীতে নেই । তাদেরকে কেউ আর সম্মানের সহিত স্মরনের করে না । হৃদয়ে যতটুকু ঘৃনা আছে তার সবটুকু দিয়েই তাদের কে স্মরণ করা হয় । কথিত তুর্কীবীর গাজী মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পাশা ছিলেন ইতিহাসের এমনই একজন ঘৃনিত শাসক । তিনিও ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছিলেন । ইসলাম শিক্ষাকে তিনি হারাম ঘোষণা করেছিল । সকল মাদ্রাসা মসজিদ কে সিলগালা করে দিয়েছিল । তিনি তার অন্যায় সিদ্ধান্তকে চিরস্থায়ী করতে পারেন নি । সময়ের বিবর্তন তাকে তার গন্তব্যে নিয়ে গেছে । যেখান থেকে বেঁচে আসার সাধ্য অতীতে কারও ছিল না বর্তমানেও কারও নেই । ধর্ম শিক্ষা তার আপন মহিমা অনুযায়ী আবার শুরু হল । দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়েও চলল । কিন্তু একটি অসৎ সিদ্ধান্তের কারনে নন্দিত কামাল পাশা নিন্দিত হয়ে গেল । না শুধু নিন্দিত বললে ভূল হবে চরম ঘৃনিত হয়ে গেল । আমাদের আবাসস্থল টুকু ইসলামের চরম বিদ্বেষী ব্রিটিশদের শাসনে থাকার সময়ে ধর্ম শিক্ষা মোটামুটি বাধা গ্রস্থ হলেও উল্লেখযোগ্য কোন সমস্যার উল্লেখ পাওয়া যায়না । তবে যে টুকু বাধা এসেছে তা আমরা মেনে নিয়েছি । আমাদের জাত শত্রুদের কাছ থেকে যে আচরণ পেয়েছি তা কামনার তুলনায় অনেক ভালো । হাজার চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে ছোট্ট এ ভূ-খন্ডটি অর্জন করল তার সার্বভৌমত্বের ক্ষমতা । আত্মপ্রকাশ করল নিষ্পাপ বাংলাদেশ হিসেবে । এ দেশের শতকরা প্রায় ৯০% মুসলিম জনগোষ্ঠি অধ্যুষিত একটি বড় অংশ ধর্মীয় শিক্ষার সাথে জড়িত থাকবে এটাই স্বাভাবিক । ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর প্রায় প্রত্যেক রাষ্ট্র শাসক ধর্মীয় শিক্ষার অগ্রগতির জন্য কাজ করেছে । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা , শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক সংবিধানে আল্লাহর প্রতি চরম আস্থা ও বিশ্বাস । সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ কর্তৃক শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষনা । সাবেক নেতাদের এ সকল কর্মকান্ড আসলেই মুসলামদের কাছে তাদের আসনকে চিরস্থায়ী করেছে । তাদেরকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে বাধ্য করেছে । ২০০৮ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে । অবশ্য তারা জোটভূক্ত ভাবে সরকার গঠন করে । তাদের সাথের অন্যান্য শরীক দলগুলো চরম ইসলাম বিদ্বেষী । বঙ্গবন্ধু তনয়ার ব্যক্তিগত জীবন যারা জানেন তাদের কাছে শুনেছি তিনি খুবই ধর্মভীরু । ধর্মের খুঁটিনাটি সকল বিষয় তিনি মেনে চলেন । ছোট বেলায় পাঠশালায় পড়েছিলাম “সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ ” । এ উপমাটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাইতে অন্য কারো জন্য বেশী উপযোগী নয় । কম্যুনিষ্ট ও বামপন্থীদের সাথে জোট বাধায় তিনি এখন ধর্ম এবং ধর্ম অনুসারীদের সাথে ওনাদের চেয়ে খারাপ আচরন করছে । বাংলাদেশে কতিপয় নামকাওয়াস্তের আলেম ছাড়া কেউই তার আচরনে খুশি নয় । আমাদের প্রধানমন্ত্রী যতটুকু ধর্মবিদ্বেষী তার থেকে তার পুত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় তার চাইতেও কয়েকধাপ এগিয়ে । তিনি এখনও রাজনীতিতে সক্রিয় হননি , তার আগেই ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন মাদ্রাসার ছাত্র কমাতে হবে । ক্ষমতায় আসলে না জানি আর কত কি করে বসবেন । মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু খ্রিষ্টানদের সাথে যার ওঠাবসা তার থেকে এ কথার চাইতে দামী কিছু মুসলমানদের আশা করা বোকামী !
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮
সত্যকা বলেছেন: তা তো নিতেই হবে ।তো আপনি যে ডাক্তারকে দেখিয়েছিলেন তার ঠিকানাটা বলবেন কি
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাই,আপনি একজন মানসিক ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।