নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নবম সংসদ নির্বাচনের সরকার দলীয় নেত্রী বেগম শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপনারা যা শুরু করেছেন তাতে আপনাদেরকে কিছু কথা কান খুলে শুনে নিতে হবে । আপনাদের উভয়ের বয়স সত্তর ছুঁই ছুঁই । রাজনীতি এবং রাষ্ট্রীয় জীবন জাপনে আপনাদের অভিজ্ঞতা নিছক কম নয় । আপনারা রাজনীতি শুরু করার আগেই একজন হারিয়েছেন পিতাকে আর একজন হারিয়েছেন স্বামীকে । মূলত এদেরকে না হারালে হয়ত আপনাদের রাজনীতিতে আসা হত না । আপনজনদের বিয়োগ আপনাদের জন্য রাজনীতির পথ খূলে দিয়েছে । আপন আপন দলীয় নেতাকর্মীরা আপনাদের উপর দয়া করে আপনাদেরকে নিজ দলের সভাপতি করেছে । আপনাদের পিতা বা স্বামী আসলেই যোগ্য ছিল এদেশে রাজনীতি করার জন্য । তারা এ দেশ , এ জাতি থেকে যা পেয়েছে তার চেয়ে বিলিয়েছে বেশী । তাইতো জাতি আজ তাদেরকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরন করে । দল মতের উর্ব্ধে উঠে শেখ হাসিনার পিতা এবং খালেদা জিয়ার স্বামীকে মানুষ স্মরণ করে । আপনারা যেরকম রাজনীতির মাঠকে পৈতৃক সূত্রে বা উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জন করেছেন আপনাদের বাবা বা স্বামীর কাছে ক্ষমতা কিন্ত এত সহজ ভাবে ধরা দেয় নি । তাদেরকে তাদের স্বীয় যোগ্যতা মেধা ,মননশীলতা দিয়ে নেতৃত্বের অবস্থা তৈরি করতে হয়েছিল । আপনাদের ক্রিয়া কলাপ দেখে মনে হয় আপনারা সে দিনগুলোর কথা স্মরন রাখতে চান না । আপনারা একেকজন চিরস্থায়ী ভাবে ক্ষমতাকের গলদকরণ করতে চান । আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার অধিকারী হয়েও আপনাদের বাবা কিংবা স্বামী সেটা পারেনি । সামান্য কিছু ভূল সিদ্ধান্তের কারনে বুলেটের আঘাতে তাদের সকল স্বপ্ন চূর্ণ-বিচূর্ন হয়ে গিয়েছে । সেদিনের চেয়ে আজকের বুলেটের কার্যকারিতা বেশি । আপনাদের বয়সের তুলনায় শারীরীর অবস্থা ভাল । স্বাভাবিক ভাবে মরন হয়ত খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের সামনে আসবে না । আপনারা কথায় কথায় বলেন এ আইন কেয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী । কেয়ামতের পরেও নাকি আপনাদের ক্ষমতা বহাল থাকবে ! আপনাদের বর্তমান কার্যকলাপ দেখে আমারও তাই মনে হয় । আপনারা বোধহয় অবিনশ্বর হয়ে গেলেন । আপনাদের চাইতে জার্মানীল হিটলারের ক্ষমতা কোন অংশে কম ছিল না । আপনাদের নির্দেশে যদি পাঁচ জন মানুষ হত্যা করা হয়ে থাকে তাহলে হিটলারের নির্দেশে হত্যা করা হয়েছিল পাঁচ লাখ । সেই প্রতাপশালী হিটলারও কিন্তু তার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে পারে নি । তাহলে ভাবুনতো আপনাদের পরিনাম কি হতে পারে ? অবশ্য আপনাদের সে ভাবনা মাথায় আসার কথা না । শেখ হাসিনার উপদেষ্টা আছেন সুরন্জিত বাবু , মখা আলমগীরের মত বুদ্ধিজীবি মানুষ । খালেদা জিয়ার আছে রুহুল কবীর রিজবী , আমান উল্লাহ আমানের মত মানুষ । তাহলে আর ভয় কি ? এরা থাকতে হাসিনা আর খালেদাকে ডোবাবে কে ? ইতিহাস বলে ফেরাউনের উপদেষ্টা ছিল হামানের মত বুদ্ধিজীবি । এত যৌক্তিক বু্দ্ধিও তাকে রক্ষা করতে পারে নি । অবশেষে নীল নদে ডুবে পানি খেয়ে প্রান হারাতে হল । তবুও ভাগ্য ভাল পানি খেতে পেরেছিল ? মৃত্যুর সময় আপনাদের বাবা কিংবা স্বামী জীবন মরনের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় পানি পান করে মৃত্যু বরণ করতে পারে নি । কালের বিবর্তনে আর বছর কয়েক পরেই আপনাদের গুনধর সন্তানেরা এ দেশেকে শাসন করবে । তাদের হাত ধরে বিকল্প কিছুর আবির্ভাব হবে সে আশায় অন্তত আমি বুক বাঁধি না । সামান্য ক্ষমতাই আপনাদের সন্তানদের স্বভাব কিরুপে বদলাতে পারে সেটা বিগত বছরগুলোতে দেখেছি । তবুও জাতি বার বার আপনাদের খানদানদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছে । ক্ষমার দৃষ্টি আপনাদের জন্য বোধের সূর্যদ্বয়ের নতুন দিশা হবে নাকি পুরান পেশাকে আবার শুরু করাকে উৎসাহিত করবে সেটা সময় বলে দিবে । আপনজনকে হারানোর পর আপনারা রাজনীতিতে নাও আসতে পারতেন তবুও এ জাতির ভাগ্য ভাল যে আপনারা তাদের দেখাশুনা করতে এসেছেন । চৌকিদার যেমন করে একটি গ্রামের নিরাপত্তা বজায় রাখেন তেমনি আপনারাও এ জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন দেশের নাগরিক হিসেবে এটাই কামনা ছিল । আপনাদের কর্মকান্ড ঠিক এর উল্টো পথে পরিচালিত হচ্ছে । আপনারা একবার ক্ষমতায় গেলে আর ক্ষমতা ছাড়তে চান না । গত বি এন পি সরকারে আমলে এবং বর্তমান আওয়ামী সরকারের আমলে একই কর্মের পুনরাবৃত্তি হয়েছে । আপনাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারনে শত শত মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে আরও কত মানুষকে রক্তদিতে হবে কেইবা জানে ? আপনাদের দু’জনার ক্ষমতা ভাগা-ভাগির যুদ্ধ রক্তের হলি খেলার মঞ্চ তৈরি করছে । আপনাদের দু’জনার চাইতে আপনজন হারানোর ব্যথা আর কেইবা বেশি উপলব্ধি করতে পারে ? তবুও কেন আপনাদের এ খেলা ? গত কয়েক দিন আগে স্বর্নের দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎকে হত্যার দৃশ্য টিভিতে সরাসরি দেখলাম । আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম । বারবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন করেছিলাম আমরা কি সভ্যতার যুগে বাস করি । কোথায় মানবতা ! জাহেলী যুগের মানুষও এর চেয়ে সভ্য ছিল । এরকম শত বিশ্বজিৎ আপনাদের চক্রান্তের বলি । আপনাদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে যাদের প্রাণ দিতে হল একবারও কি তাদের পরিবারের খবর নিয়েছেন ? মিডিয়াকে স্বাক্ষী রেখে মাঝে মাঝে চেক বিতরণ করেন ,তা তাদের জন্য যথেষ্ট কিনা তার কোন খবর আপনাদের কাছে আছে কি ? দেশনেত্রী শেখ হাসিনা এবং জননেত্রী খালেদা জিয়া একটা কথা কান খুলে শুনে রাখুন আপনাদের কারনে ,আপনাদের প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ নির্দেশে আর একটি প্রানও নষ্ট হয় তবে শুধু তার কৈফিয়ত জাতির কাছে দিয়ে পার পাবেন না , তার জন্য দন্ডও পেতে হবে । ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন মাত্র 147 জন মানুষ হত্যা করার কারনে ফাঁসির দন্ড পেয়েছে । আপনাদের অতীত কৃতকর্ম স্মরণ করে আপনাদের দন্ড আপনারাই নির্ধারন করুন । বাঙলী জাতি হিসেবে অসাধারণ । এরা কেবল ক্ষমাই করতে জানে । আপনারাও বাঙালীর এ দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছেন । অতীত আপনাদের পক্ষে থাকলেও বর্তমান সব সময় আপনাদের পক্ষে কথা বলতে নাও পারে । এবার হুঁশে আসুন । আপনাদের দুই দলের আক্রোশের কারনে যদি আরেকটি প্রাণ নাশ হয় তবে জেনে রাখুন এ জাতি আর আপনাদের আপনাদের ক্ষমা করবে না । তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছে আপনাদের বিদায় ঘন্টা বাজানোর জন্য ।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
ভিটামিন সি বলেছেন: ফুরব দা, লুটপাট না বলে বলে ধর্ষণ করে চলছে।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ভোটের সময় নিরপেক্ষ সরকার আসলে বিভিন্ন অনিয়মের গোমর ফাঁস হয়।ধান্দাবাজ রাজনীতিবিদ বা তাদের দোসরদের মুখোস উন্মোচিত হয়,এতে দেশের ও দেশের সাধারণ মানুষের জন্যই মংগলজনক।কিন্তু আমাদের নেত্রীদ্বয় তাদের বাঁচাতে নানা দোহাই দেন,তারা এভাবেই মুজিব আর জিয়াকে অসম্মান করেন।তাই তাদের বলছি ফন্দি-ফিকির,লোভ-লালসা,ধান্দাবাজী ছেড়ে বাংলাদেশের সাধারন মানুষের প্রানের দাবী অনুযায়ী সংবিধান পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দিয়ে সংশোধন হবার সুযোগ নিন,আর বাংলাদেশের সাধারন মানুষদের শান্তি দিন।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
সত্যকা বলেছেন: ফুরব সাহেব@আমি আপনার সাথে সহমত নই ।আপনি ঢালাও ভাবে সকলকে খারাপ বলতে পারেন না
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
সত্যকা বলেছেন: প্রয়োজনীয় ভিটামিন @ সহমত
৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
সত্যকা বলেছেন: মজিবর ভাই@ আপনার বিশ্লেষন ভালো লেগেছে । ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
ফুরব বলেছেন: বাংলাদেশের সকল মানুষ দুঃচরিত্র। আর এদের নেতা নেত্রীরা ভাল হবার যুক্তি কি। দুইটা দল পালাক্রমে দেশকে বিগত ৪০ টি বিছর ধরে লুটপাট করে চলেছে আর জনতা নির্বাচন আসলেই তাদের দুই দলকেই ভোট দিতেছে। জনতাকে সিধান্ত নিতে হবে এদেরকে রাজনীতি থেকে বিদায় করার। নইলে যেই লাউ সেই কদু।