নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু আহমেদ । এক গ্রাম্য বালক । অনেকটা বোকা প্রকৃতির । দুঃখ ছুঁয়ে দেখতে পারি নি ,তবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুভব করেছি । সবাইকে প্রচন্ড ভালবাসি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারি না । বাবা এবং মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী ।

সত্যকা

সত্যকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারানকোর সফরেই বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো । কূটনৈতিক মিশনের এক সফল সারথীর নাম । জাতিসংঘের সহকারী এ মহাসচিব সারা বিশ্বব্যাপী সাড়াজাগানো এক নাম । বাংলাদেশের মানুষের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত এ ব্যক্তিটি কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন । শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের যে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয় সে দেশেই দেখা মেলে আত্ম-প্রচারবিমূখ এ ব্যক্তিটির । জাতিসংঘের উচ্চপদে আসীন থাকার পরেও তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল বাংলাদেশকে তিনি অকৃত্রিম ভাবে ভালবাসেন । তার এ ভালবাসার কারনে সকল বাঙালী ভাষা-ভাষী জনগন তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করেছে । তিনিও বন্ধুত্বের সম্মান দেয়ার জন্য সিদ্ধহস্ত । তাইতো যখনি বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয় তখনোই শত ব্যস্ততাকে পশ্চাতে ঠেলে দিয়ে ছুটে আসেন তার অবস্থান থেকে হাজার মাইল দূরত্বের ছোট্ট এ ভূ-খন্ডটিতে ।



স্বাধীনতা পরবর্তী সময়কাল থেকে বাংলাদেশের জন্য যতগুলো প্রাণগাতী উত্তেজনাকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে জীবননাশী ঘটনার উদ্রেক হয়েছে তা অন্যতম । নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা ছেড়ে পূনরায় সাংবিধানিক নির্দেশে ক্ষমতা হস্তগত করনের পর থেকে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৮৬ জন মানুষকে রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে । গুলিবিদ্ধসহ আহত আরও প্রায় সহস্রাধিক মানুষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতি মূহুর্তে জীবন মরনের সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর সাথে আলিঙ্গন করছে । যে কোন সময়ে তারাও পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নিতে পারে । গনতান্ত্রিক নিয়মে বাংলাদেশ শাসিত হলেও অত্যন্ত দূর্ভাগ্যের বিষয় নিহত ৮৬ জন মানুষের মধ্যে ৩৬ জন মানুষ বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশ এবং সীমানা প্রহরী বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ এই দুই বাহীনির গুলিতে নিহত হয়েছে । এত নিহতের রক্তও রাজনৈতিক নেতাদের তৃষ্ণা মিটিয়ে সমঝোতার পথে আনতে পারে নি । হিংস্র জানোয়ারদের মত যেন এদের রক্তের তৃষ্ণা বেড়েই চলছে । এরা তো হিংস্র জানোয়ার থেকেও অধম । হিংস্র জানোয়ারদের ক্ষুধা নিবারণের পরিসমাপ্তি থাকে কিন্তু এদের তাও নেই । দানবের মত শুধু রক্ত চুষেই যাচ্ছে ।



পার্শবর্তী ভারতের গভীর য়ড়যন্ত্র সমঝোতার বাকী পথটুকুও বন্ধ করে দিয়েছে । সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফরে সমঝোতার পথে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে । তিনি সমঝোতার জন্য আগমন করলেও আরও সংঘর্ষ বাধার পথ উম্মুক্ত করে দিয়ে গেছেন । এক এক রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ভিন্ন ভিন্ন আদর্শের বানী প্রচার হওয়ার পর সেগুলো প্রকাশ হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । বিদায় বেলায় ভারত সরকারের বানী পৌঁছাতে গিয়ে তিনি যা বলেছেন তা বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশীরা আদৌ কামনা করে না । এ দেশের মানুষ যাকেই নির্বাচিত করুক সেটা এ দেশের মানুষের একান্তই আভ্যন্তরীণ ব্যাপার । সেখানে কারো নগ্ন-হস্তক্ষেপ বাঙালী জাতি অতীতেও বরদাশত করে নি কিংবা ভবিষ্যতে তো বরদাশতের আশাই করা যায় না ।



সরকার হটাও আন্দোলনকে বেগবান ও সফল করার জন্য বি এন পি এবং তাদের দলভূক্ত সংগঠনগুলো একের পর এক লাগাতার কর্মসূচী দিয়েই যাচ্ছে । কখনো হরতাল আবার কখনো অবরোধ । ধারবাহিক কর্মসূচীর কারনে বাংলাদেশটা পঙ্গু হওয়ার দ্বারপ্রান্তে । সামাজিক , অর্থনেতিক , আমদানি-রপ্তানি , ব্যবসায়িক , কূটনৈতিক অবস্থা প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে । জরিপে দেখা গেছে এক দিনের হরতাল বা অবরোধে বাংলাদেশের ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় [ক্ষতির পরিমান বেশিও হতে পারে ] । অর্থনৈতিক সমীক্ষার মতে এক দিনের হরতালে কেবলমাত্র পোশাক শিল্পে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয় । বি এন পি যদি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের কল্যানেই কাজ করে তবে এমন কর্মসূচী কেন ? আপাত দৃষ্টিতে এ রকম লাগাতার কর্মসূচী ফলপ্রসূ হিসেবে বিবেচিত হলেও সূদুঢ় ভবিষ্যতে তা হিতে বীপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশী ।



গনতান্ত্রিক উপায়ে অথবা স্বৈরতান্ত্রিক যে সকল শাসক বাংলাদেশকে শাসন অথবা শোষন করেছে তাদের কেউ শিক্ষাকে যথার্থভাবে মূল্যায়ণ করেন নি । ছাত্রদের যথাযথ মঙ্গল নিয়ে কেউ কোনদিন মাথা ঘামান নি । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা মারাত্মক রকমের বেশি হওয়ায় সেশনজট লেগেই আছে । বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহে যে ব্যাচেলর সার্টিফিকেট অর্জন করতে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন বছর লাগে সেখানে বাংলাদেশে ব্যাচেলর সার্টিফিকেট অর্জন করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সময় লাগে ছয় বছরের কিছু বেশি । ডিসেম্বর মাস বছরের শেষ মাস হওয়ার কারনে প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সময়ে তৃতীয় সেমিষ্টার বা ইয়ার ফাইনাল চলে । সরকারী দল কিংবা বিরোধীদল যেন বেছে বেছেই এ সময়টাকে নির্ধারন করেছে । যে শিশুরা আগামীর দেশ পরিচালক হবে তাদের জীবনের শুরু্তেই যদি এমন ধাক্কা পায় তবে তাদের শাসনামালে এ জাতি কি আশা করতে পারে ? তাইতো জাতিসংঘের জরিপ কমিশন থেকে প্রকাশিত রিপো্র্টে প্রকাশিত হয়েছে বর্তমান ছাত্ররা এবং তরুন প্রজন্ম আগামীদিনের রাজনীতিতে আসতে চায়না । রিপোর্টের শেষাংশে উল্লেখ করা হয়েছে , বর্তমান রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে তারা খুবিই চিন্তিত কেননা এ প্রজন্ম থেকে যদি দক্ষ রাজনৈতিক বের না হয় তবে জাতি মেধাশূন্য রাজনৈতিক পাওয়ার কারনে দেশ মারাত্মক হুমকির মূখে নিপতিত হবে ।



আওয়ামী নেতৃত্বাধীন ১৪ দল বার বার ঘোষনা করেছে তাদের সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার কোন অধিকার নেই । সংবিধানের পঞ্চোদশ সংশোধনী অনুযায়ী তত্ত্ববধায়ক ব্যবস্থার বিলূপ্তি আওয়ামী লীগ গনতন্ত্রকে সুরক্ষার জন্য গ্রহন করলেও বিরোধীদল এবং সুজন প্রতিনিধিরা সেটাকে গনতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে নিয়েছে । তাই বিরোধীদল কোন অবস্থাতেই সর্বদলীয় সরকারের অধীনে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সরকারের প্রধান থাকবেন সে সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না । আওয়ামী সরকার সংবিধানের উপর যতোটা প্রধান্য দিচ্ছে তার চেয়ে তাদের কাছে এখন প্রেষ্টিজ ইস্যু বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে । আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বার বার জানানো হয়েছে শেখ হাসিনাকে সর্বদলীয় সরকারের প্রধান করা হবে । এ থেকে এক চুলও নড়া হবে না ।



সরকারী দল যদি আওয়ামীলীগ সভাপতি যদি তার নেতৃত্বের কথাকে এত প্রধান্য দিয়ে এ পথটি ছাড়তে নারাজ হন তবে জাতীর প্রশ্ন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলেন তার কতভাগ পূরণ করতে পেরেছেন ? কোথায় আপনাদের পদ্মাসেতু ? জনগন কি এখন দশটাকায় চাল পাচ্ছে ? সারের দাম কেমন একবারও কি খোঁজ নিয়েছেন ? এত সব কল্যানমূলক কাজ যদি করতে না পারেন তাহলে জাতির জীবন নিয়ে খেলছেন কোন আশায় ? বিগত পাঁচবছর আপনাদের শাসনে মানুষ যদি খুশি থাকে তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচনে আসতে ভয় কি ? সংসদে আপনাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে জনগনের আশা আকাঙ্খাকে বলি দিয়ে আপনাদের দলের স্বার্থ মত সংবিধান সংশোধন করতে পারেন না । একটা কথা আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে “ সংবিধান প্রনীত হয় নাগরিকের কল্যানের জন্য , সংবিধানের জন্য নাগরিক নয়” ।



সরকার দলীয় সভানেত্রী বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু-কন্যা । বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের শেষমূহুর্ত পর‌্যন্ত এ দেশ এ জাতির জন্য কাজ করেছেন । সেই তার কন্যা মানুষের জীবন নিয়ে আত্মগাতী খেলায় মেতে উঠবেন এটা আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তবতা কিন্তু তার স্বাক্ষ্য দিচ্ছে না ।



দেশের যা অবস্থা তাতে সেনাশাসন আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র । কেননা দেশের প্রত্যেকটা সংকটজনক অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহীনি সন্তোষজনক ভূমিকা পালন করেছে । শেখ হাসিনা সেনা-শাসনকে মারাত্মক ভাবে ভয় পান । তার মতে সেনা শাসন আসলে , তাদের দুই নেত্রীকে আবারও সেলে যেতে হবে এবং নানাধরনের নির‌্যাতনের মুখোমূখি হতে হবে । অবশ্য এ ব্যাপারে আমারও ততোটা সন্দেহ নেই । তাদের বিগত দিনগুলোর কাজসমূহ তাদেরকে জেলের দিকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে । তবুও আওয়ামী সরকারের জন্য আশারবানী এটুকু যে তারা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সেনাদের সহায়তা এবং তাদের শাসন কালের বৈধতা দেয়ার শর্তেই ক্ষমতায় আসতে পেরেছিল । অথচ ভয় পাওয়ার কথা বি এন পির কেননা বি এন পির যুগ্মমহাসচিব তারেক রহমানকে যেভাবে শারীরিক নির‌্যাতন করা হয়েছে তাতে তিনি সারা জীবন পূর্ণ সূস্থ হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে তিনি নিজেও সন্দিহান । তারপরেও খালেদা জিয়া সেনা শাসনের কামনা করেন । কেননা গনতন্ত্র যেভাবে পদ-দলিত হয়েছে তাতে গনতন্ত্রকে পূনুরুদ্ধার করার জন্য সেনাশাসন একান্ত আবশ্যক ।



অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বি এন পি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় ঐক্যজোট এবং নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত ১৮ দলীয় মহাজোট ক্ষমতার মসনদে কাটায় । নির্বাচন পূর্ব সময়ে দুই দল হরতালের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলেও ক্ষমতায় আসীন হয়ে কেউ হরতালের বিরুদ্ধে আইন করে না । গত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী সতন্ত্রভাবে ২৩২ টা আসন পেয়ে সংবিধানের দুই তৃতীয়াংশ পরিবর্তন করে ফেললেও হরতাল বিরোধী কোন আইন বা এ বিষয়ে কোন প্রস্তাব উত্থাপন করে নি । দেশের জন্য এত বড় ক্ষতিকারী হরতালের বিরুদ্ধে কোন সরকারই কথা বলে না । ক্ষমতায় আসার জন্য মিথ্যা প্রলোভন অনেকেই দেখান । কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর সেটা সরকারের মনেই থাকে না । সরকারী দল এবং বিরোধীদল উভয়েই জানে বিরোধীদল থাকা অবস্থায সরকারী দলের কাছে তাদের দাবি পৌছানোর জন্য হরতাল বা অবরোধ ছাড়া বিকল্প কোন পথ থাকে না । সুতরাং হরতাল বন্ধ করার বা এর বিরুধ্যে কোন আইন প্রনয়ন বা বাস্তবায়ন করার ইচ্ছা কোন সরকারের ছিল না ।



সাধারনত হরতালে যারা প্রাণ হারায় তার আধিকাংশই থেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ । যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন ভাবেই রাজনীতির সাথে জড়িত নন । হরতাল বা অবরোধে হতাহত হয়েছেন তাদের অধিকাংশের তথ্য নিয়ে জানা গেছে রাজনৈতিক দলের নেতারা বা কর্মীরা আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহন করেন না । তাইতো তাদের মধ্য থেকে যারাও হাতে গোনা দ’একজন নিহত বা আহত হয় তাও নামকা ওয়াস্তে । হতাহতদের অনেকেই আবার স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত ।



নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যতনাটক আবর্তিত হয়েছে তার প্রত্যেকটা নাটকের মূলচরিত্রে অভিনয় করেছেন ৯০ এর দশকের প্রতাপশালী স্বৈর শাসক হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ । তিনি কখনও সরকারী দলের পক্ষে আবার কখনও বিরোধীদলের পক্ষে কথা বলেছেন । তার অবস্থা অনেকটা বাংলা ছিনেমার জোকারের মত । তার কথার বিভ্রান্তিতে জাতি তার উপর মোটেও আস্থা রাখতে পারছে না । কয়েকদিন আগে যখন তার অতীতের সকল কথাকে ছাপিয়ে নির্বাচনে যাবেন ঘোষণা করলেন তখন তার বিরুদ্ধে সারা দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠেছিল । এমনকি তার জন্মস্থান রংপুরের মানুষও তাকে ধিক্কার জানাতে ভূল করেননি । অবশ্য ‘রামের সুমতি’ ছবিতে রামের যেখানে সুমতি আসতে অনেক সময় লেগেছিল তেমন করে এরশাদের সুমতি আসতে ততোটা সময় লাগে নি । জাতীয় পর্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরের নির্বাচন বিরোধীতার কারনে এবং অনেক নাটকের পরিসমাপ্তির শেষে হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ আবারও বেঁকে বসলেন । তিনি তার স্বভাব-সিদ্ধভাবে পূর্ববর্তী ঘোষনা থেকে ফিরে এসে আবারও জানালেন তিনি কোন অবস্থাতেই নির্বাচনে যাচ্ছেন না । সবাই আবারও তার পক্ষ নিলেন । কেননা এরশাদ সাহেবের নিজ দল নিয়ে ক্ষমতায় আরোহন করার আপাতত অবস্থা না থাকলেও কোন একদলকে তিনি ক্ষমতার মসনদে আরোহন করাতে সক্ষম ।



অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর ভূমিকা সকল সময়েই ব্যাপক প্রশংসনীয় । তবে বাংলাদেশের বর্তমান যে অবস্থা তাতে তারনকো কতটুকু সফল হবে তা সময় বলে দিবে । তবে দুই নেত্রীর যা অবস্থান তাতে সফলতার বিপক্ষে তিনি বাংলাদেশ সম্মন্ধ্যে খারাপ ধারনা নিয়ে যান কিনা সেটাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হযে দাঁড়িয়েছে ! জাতিসংঘের মহাসচিব বানকিমুনের দীর্ঘ টেলিফোনালাপ যেখানে ব্যর্থ হযেছে সেখানে সহকারী মহাসচিব ফার্নান্দেজ তারানকোর ভূমিকা যাতে সন্তোষজনক হয় সেটাই কাম্য । জাতিসংঘের সহকারী মহাচিব তারানকো গতকাল এরশাদ , খালেদা জিয়া , শেখ হাসিনা এবং সুজন সমাবেশের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপচারিতার মাঝে , বাংলাদেশকে নিয়ে জাতিসংঘ যে পরিকল্পনা করেছেন তা প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছেন । জাতিসংঘ চায় সবদলের অংশগ্রহনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন । তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছেন নির্বাচনের তফসিল পূনরায় ঘোষণা করা যায় কিনা এবং নির্বাচন পেছানো যায় কিনা । অবশ্য এ নিয়ে তারানকো নির্বাচন কমিশন প্রধান কাজী রকীবউদ্দীন আহমেদের সাথে আজ আলোচনায় বসবেন । এর আগে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , বিরোধীদলীয় নেত্র্রী খালেদা জিয়া , জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এবং সুসীল সমাজ প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেছেন । সিরিজি বৈঠকে মূলত তিনি সকলের মতা মত নিয়েছেন । তিনি যে তত্ত্ব নিয়ে এসেছেন সেটা আগামীকাল জানাবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে । কি হবে তার সিদ্ধান্ত পেন্ডুলামের মত দুলছে । তারানাকো সবার কথা শুনে অবশ্যই একটা সমাধান প্রস্তাব করবেন । এটা আওয়ামীলগের পক্ষে অথবা বি এন পির পক্ষে যেতে পারে । তবে তিনি অযৌক্তিক কিছু বলবেন না সে বিষয়ই মোটামুটি নিশ্চিত । তারানকো যেহেতু জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছেন সুতরাং সমাধান তার কাছ থেকেই আসবে এটা এদেশের সকলের কাম্য । বাংলাদেশীদের জন্য তারানকোর আগমন উচ্চ পর‌্যায়েরর কোন প্রতিনিধি দলেরর শেষ বার্তা , এতে যদি সমাধানের রাস্তা উম্মুক্ত না হয় তবে বাংলাদেশের কপালে খারাবী আছে । সে খারাবী যে কতটা গভীর হবে তা সহজেই অনুমেয় । তারানকো ব্যর্থ হলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সেনাবাহীনিকে ক্ষমতা দখল করার জন্য আদেশ দেয়া হতে পারে । অথবা শান্তি মিশনে কর্মরত সেনাসদস্যদের দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে । জাতিসংঘের সদস্য পদ সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হতে পারে । অথবা বিদেশের সাথে বাংলাদেশের সকল আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হতে পারে । উপরে বর্নিত সকল কথাগুলোই ধারনা মুলক । আমিও জানি এত কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে না । বাংলাদেশের সমসাময়িক সমস্যা অতিশীঘ্র তারানকোর মধ্যস্থতায় সমাধান হয়ে যাবে । কখনো কখনো মানুষ যা কামনা করে তার সবটুকু পূরন না হয়ে ব্যতিক্রমী কিছু হতে পারে । সন্দেহের উপরে যেহেতু কোন ঘটনা ঘটে না সুতরাং এরকম কোন অঘটন যদি বাংলাদেশের মানুষকে মোকাবিলা করতে হয় তবে সেটা সহ্য করা বাঙালির জন্য মৃত্যুসম কঠিন হবে ।







মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

মোহাম্মদ আনোয়ার বলেছেন: Click This Link

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: তারানকো বারানকো কিছু করতে পারবে না; শেখ হাসিনা জেনে শুনে আবার গ্রেনেড খেতে যাবে না।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নিজেদের মধ্যে আমাদের আত্ববিশ্বাস নাই, কোথাকার কোন তারানকোর মধ্যস্থতার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়........সত্যিই সেলুকাস !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.