নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রচার চালানোর সময় আওয়ামীলীগের সভাপতি দেশনেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা যতগুলো অঙ্গীকার করেছিলেন , তার মধ্যে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করে বাঙালীদের ক্ষতি করেছিল , তাদের বিচার করার প্রতিশ্রতি ছিল অন্যতম । বাংলাদেশকে যারা ভালবাসেন তারা , অতীতের সেই পুরানো ক্ষতকে ঘুচানোর জন্য আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছিলেন যাতে , বিগত ৩৮ বছর ধরে পুষে রাখা মনের সে অদম্য কামনাকে পূরণ করার সুযোগ পায় । আওয়ামী সরকারও তাদের দেয়া ওয়াদা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের ধরে বিচারের মূখোমূথী দাঁড় করায় । তবে আওয়ামী সরকার যে সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মূখোমূখী দাঁড় করায় তারা কেবল মাত্র বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট পার্টি ( বি এন পি ) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ । তখন থেকেই জনমনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করে । দানা বাধে নানা জল্পনা কল্পনার । তাহলে কি আওয়ামীসরকার তাদের বিরুদ্ধ মনোভাবাপন্ন কোন দলকে ধ্বংস করার জন্য এ সকল ব্যক্তিবর্গকে বিচারের মুখোমূখি করেছে । সাধারণ জনগনের মাথায় এ প্রশ্ন আশা অস্বাভাবিক কিছু নয় । কেননা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুজিব সরকারের শাসনামলে রাজাকার , আল-বদর , আল-শামস ও শান্তি কমিটির থেকে যে ১৯৫ জনের নাম তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাদের মধ্য থেকে এক জনকেও এই বিচারের মূখোমূখি করা হয় নি ।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র মূলত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ । সেই স্বাধীনতার ঘোষক , মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যারা অপরাধ করেছে তাদের সাধারণ ক্ষমা করে দিলেও তার কন্যা তাদেরকে ক্ষমা করতে পারেন নি । অবশ্য এর অন্তরালে অনেকগুলো কারনও ছিল । অনেকে মনে করেন , শেখ হাসিনা এখনও বিশ্বাস করেন তার পরিবারকে হত্যা করার পিছনে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাত রয়েছে । এ সকল বিতর্কিত বিষয়ের দালিলিক কোন প্রমান না থাকার কারনে বুদ্ধিমান মাত্রেই এ বিষয়টাকে এড়িয়ে যাবেন ।
সাংবিধানিক আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে , অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কথিত মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে । যাদের বিচার প্রক্রিয়া এখনো বাকী আছে , সরকার প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে তা যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করার । ইতোমধ্যে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ করার অভিযোগে মিরপুরের কসাই নামে খ্যাত কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে । আওয়ামীলীগের সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির মতে কসাই কাদের মোল্লা আর যাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে সে কাদের মোল্লা এক ব্যক্তি নন । জেলবাসের সময়ে কাদের মোল্লা প্রেরিত একখানা চিরকুট থেকে গোলাম মাওলা রনির নাকি এটাই মনে হয়েছে ।
গোলাম মাওলা রনির ধারনাকে সত্য ভেবে যদি আগাতে চাই তবে দেশে চলমান দন্ধের সাথে আরও বিপত্তি যোগ হয়ে মহাক্ষোভের সৃষ্টি হবে । সুতরাং দেশের সূধীজনেরা এ নিয়ে নতুন বিতর্কে যেতে চাইবেন না । ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানী হানাদার বাহীনি এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা মিলে প্রায় তিরিশ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রম হরণ করেছে । পাকিস্তানী হায়েনারা আমাদের নাগালের বাইরে থাকলেও এ দেশীয় দোষীদেরকে শাস্তি দিব না , সেটা কি করে হয় ?
অপরাধীর শাস্তি প্রদানের ধারাবাহিকতা স্বরূপ গত ১২ই ডিসেম্বর দিবাগত রাতে এ অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হিসেবে কাদের মোল্লাকে রাত ১০ টা ০১ মিনিটে ফাঁসি দেয়ার মাধ্যমে প্রথম প্রতিশোধ নেয়া হল । বিজয়ের মাসে তাকে ফাঁসি দেয়ার ফলে শহীদদের হত্যার পূর্ণ বিচার সম্পন্ন করতে না পারলেও অনন্ত কিছুটা কলঙ্ক মুক্তির স্বীকৃতি মিলল এ জাতির কপালে । জাতির কলঙ্ক মুক্তির পিছনে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার অবদান সবচাইতে বেশী । কেবলমাত্র তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ জাতি কলঙ্ক মুক্ত হতে পেরেছে । সেজন্য তিনি ধন্যবাদ দাবী করতেই পারেন । তাছাড়াও নির্বাচনী ইশতেহারে যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সিংহভাগ বাস্তবায়ন করতে না পারলেও অন্তত জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করতে পেরেছেন , সেটাই বা কম কিসে !
সাংবিধানিক পথ ধরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার ২৪ অক্টোবর ক্ষমতা ছেড়ে কিছু দিনের ব্যবধানে সর্বদলীয় সরকার গঠনের নামে বাংলাদেশের নিবন্ধিত চল্লিশটি রাজনৈতিক দলের মধ্য থেকে মাত্র চারটি দল নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠন করে । সর্বদলীয় সরকারের আদেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে । সে থেকেই বাধে বিপত্তি । মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে রাজনৈতিক সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের জীবন প্রদীপ চিরতরে নিভে যায় । যেটা শান্তিপ্রিয় বাঙালীর কাছে থেকে বাঙালীরা এবং বিশ্ব নেতারা কখনো আশা করে না ।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে গনতন্ত্রের মানস কন্যা , শান্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত শেখ হাসিনার কাছে এদেশের মানুষ সবিনয়ে নিবেদন করে , আপনি যে ভাবে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার কথা বলে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করলেন ঠিক সেই ভাবে এদেশকে কলহমুক্ত করুন । এদেশের মানুষ জানে , আপনি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না । আপনার রাজনৈতিক জীবনের একমাত্র লক্ষ্য মানবকল্যান । সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হিসেবে বলবৎ থেকে এ কলহ মিটানো কোন প্রকারেই সম্ভব নয় , সেটা জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বারবার বলে গেছেন । আপনি বিবেকবান মহীয়সী । এ দেশের জনগন চাইলে আপনি আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য এ দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন । সুতরাং মাত্র তিনমাসের প্রধানমন্ত্রীত্বের জন্য মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করা উচিত হবে কি ? এ দেশের কোটি কোটি মানুষ মনপ্রাণ উজাড় করে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রার্থণা করে “ মাননীয় শেখ হাসিনা আপনি যেমন করে দেশকে কলঙ্কমু্ক্ত করেছেন ঠিক তেমনি ভাবে দেশেকে কলহমুক্ত করুন ” ।
লেখক : রাজু আহমেদ । শিক্ষার্থী , কলামিষ্ট ও প্রাবন্ধিক ।
সরকারী বি এম কলেজ , বরিশাল ।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: @লেখক,
আপনি লিখেছেন:
"বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র মূলত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ "
আওয়ামী লীগ জিয়ার প্রশাসন চালু রেখেছে; জিয়া আর শেখ সাহেব এক নন।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯
দিশার বলেছেন: তরা কোনদিন ঠিক হবিনা . যেখানে পাকিস্তানে কাদের মোল্লা কে, বদর কর্মী, জাতীয় বীর, ঘোষণা দিসে, পাকিস্তান এর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত বিবৃতি দিসে, সেখানে তর মত আবাল দের কাজ হোল জনগনের মাঝে খালি বিভ্রান্তি ছড়ানো . এই কাদের সেই কাদের না, এই দেলু ওই দেলু না , তর বাপ ও তর বাপ না .
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
সত্যকা বলেছেন: সব মন্তব্যের জবাব দিব না । তবে দিশার ভাইয়ের কথায় আমার খুব লেগেছে । বাবা মায়ের ব্যাপার তুলে আপানি আপনার জাতকে চিনালেন । রাজনীতির মাঠে ভিন্ন মত অস্বাভাবিক কিছু নয় । এটা না হলে গনতন্ত্র টিকে না । তাই বলে আপনি বাবাকে নিয়ে বলবেন । মূখ থাকলেই সব কথা বলা যায় না । আপনি আমার চেয়ে হাজার গুন শিক্ষিত হতে পারেন তবে আমি কখনোই আপনার বাবাকে তুলে কিছু বলতাম না্ । আপনার বাবা যে আমার বাবার বয়েসী হবেন । ধন্যবাদ ভাই ভূল হলে মার্জনা চাই । দয়া করে আমার পরবর্তী কোন লেখা আপনি পড়তে আসবেন না । এটুকু পালন করলেই ধন্য হব। ধন্যবাদ । আপনার ভবিষ্যত জীবন মঙ্গলময় হোক । আলোর ঝলসানিতে ভরে থাক আপনার আপাদমস্তক ।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩
আমি হিটলার বলছি বলেছেন: @দিশার : এই কাদের সেই কাদের কি'না , এই দেলু ওই দেলু কি'না ------ এটি এই লেখার মূল বিষয়বস্তু ছিল না ( আমার মনে হয়েছে ) । এই লেখার মূল বিষয়বস্তু ছিল সমকালীন কিছু বাস্তবতা । ইচ্ছা হলে সেগুলো নিয়ে কিছু বলুন ।
লেখকের উদ্দেশ্যে : ভাল লেগেছে লেখাটি ।
৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
সালটু বলেছেন: দিশার সাহেবের জ্ঞানের পরিধি ওনার মন্তব্য পড়লেই বোঝা যায়। এই গুলা ইগনর করাই ভালো না হলে উনারা মাথায় উঠবো। আর পাঠক ১৯৭১ তো সবসময় থাকে ছাগু নিয়ে।
যাহক আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো। গনতন্ত্রের মানস কন্যা, ,শান্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরধ, আপনি একটি প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের বাব্যস্থা করেন, জনগণ আপনাকে ভট দেবে আর শান্তির জন্য নোবেলের ব্যাপারে আমরা আন্দলন করবো, কথা দিচ্ছি। আপনি তো জানিয়ে ছিলেন আপনার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আমাদের তো আছে, সেটি হচ্ছে শান্তি আর একমাত্র আপনিই পারেন সেটি দিতে, যদি কিছু দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেন । জাতি আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে, দরকার হলে আমরাও নোবেলের মত পুরস্কারে প্রচলন করব। আপনিই হবেন তার প্রথম দাবিদার, রক্ষা করুন আমাদের।
৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১২
সত্যকা বলেছেন: পাঠক ১৯৭১ ভাই । আমি শেখ হাসিনাকে কলহবাজ মনে করতাম না । কিন্তু বর্তমান কলহ যদি নিজ উদ্যোগে সমাধান না করেন তবে আপনার ধারনার সাথে আমার ধারনা মিলে এককার হয়ে যাবে ।
৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৫
সত্যকা বলেছেন: দ্বিতীয় মন্তব্যের উত্তরে বলতে চাই শেখ সাহেব আর জিয়া অবশ্যই এক ব্যক্তি নয় তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এ দুজনেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে ।
৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৭
সত্যকা বলেছেন: হিটলার ভাই লেখা ভালো লাগার জন্য যথেষ্ট । দিশার ভাইয়ের কথায় ব্যাপক কষ্ট পেয়েছি । ওনার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে চেয়েছিলাম । শেষ পর্যন্ত করলাম না ।
১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৮
সত্যকা বলেছেন: সালটু ভাই কবে যে এদেশের শাসকদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে সে আশায় প্রহর গুনছি । ভাল আছেন ণিশ্চয়ই ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আগে উনাকে নিশ্বাস নিতে দেন, উনি নিজেই কলহবাজ।