নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু আহমেদ । এক গ্রাম্য বালক । অনেকটা বোকা প্রকৃতির । দুঃখ ছুঁয়ে দেখতে পারি নি ,তবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুভব করেছি । সবাইকে প্রচন্ড ভালবাসি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারি না । বাবা এবং মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী ।

সত্যকা

সত্যকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্চ ফর ডেমোক্রেসি : উম্মুক্ত হোক গনতন্ত্রের নতুন দিগন্ত

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১১

মার্চ ফর ডেমোক্রেসি : উম্মুক্ত হোক গনতন্ত্রের নতুন দিগন্ত



গত কয়েকদিন থেকেই আওয়ামীলীগের কিছু অতি উৎসাহী নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ তাদের দলীয় প্রতীক নৌকার সাথে হযরত নূহ (আ:) এর নৌকার তুলনা করেছেন । সে কারনে এই সকল লোকদেরকে ইসলাম ধর্মবেত্তারা সময়ের শ্রেষ্ট ‘আহম্মক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন । কথায় বলে “কোথায় শেখ সাদী আর কোথায় ছাগলের লাদি” । যে সকল নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগন নূহ (আঃ) এর নৌকার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকাকে তুলনা করেছেন তারা মূলত “শুনিয়া (হুইন্না) মুসলমান” টাইপের । ধর্মের সামান্যতম জ্ঞানও তাদের নেই । তারা কি জানে না যে , হযরত নূহ (আঃ) এর নৌকায় তার স্বীয় পুত্র কেনানও আশ্রয় পায় নি । কেনান স্রষ্টার একত্ববাদের প্রতি অবিশ্বাসী থাকার কারনে হযরত নূহ (আঃ) স্বীয় কলিজার টুকরাকেও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন নি । তৎকালীন সময়ের কোন খোদাবিদ্বেষী লোকও হযরত নূহ নবীর নৌকায় আশ্রয় পায় নি । মানুষ আশ্রয় না পেলেও সকল প্রজাতির এক জোড়া করে জানোয়ার সে নৌকায় স্থান পেয়েছিল । আওয়ামীলীগের নৌকায় কিছু ভাল মানুষ আশ্রয় নিলেও অধিকাংশ মদ-গাঁজাখোর , জুয়াকার , খোদাদ্রোহী , যেনাকার , দূর্নীতিবাজ , টেন্ডারবাজ , চাঁদাবাজ, খূনী , সন্ত্রাসী , অর্থ-আত্মসাকারী , অর্থ-পাচারকারী এবং মানুষ পাচারকারী দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ স্থান পেয়েছেন । হযরত নূহ (আঃ) এর কিস্তির সাথে আওয়ামীলীগের প্রতীকের তুলনা করতে হলে অবশ্যই আওয়ামীলীগের নেতাদের খোদাভীরু হতে হবে । তবে সেরকাম কাউকে দেখা যায় না । সুযোগ পেলেই তার ইসলাম ধর্মকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে । অবশ্য দু’একজন যে খোদাভীরু নাই সেকথা বলা চলে না । কিন্তু অন্যরা সকলেই যে মারাত্মক দোষে দুষ্ট । সে দোষী ব্যক্তিরা তো এত মর্যাদাবান নৌকায় স্থান পেতে পারে না । তবে কি তারা নূহ (আঃ) এর নৌকায় আশ্রিত জন্তু-জানোয়ারের স্বরুপ ? নূহ (আঃ) এর নৌকায় মানুষের জন্য ক্ষতিকর , মানবতার জন্য হানিকর সকল শ্রেণীর জানোয়ারেরাই স্থান পেয়েছিল । তবে কি , যে সকল অন্যায়ের সমর্থক ও সংগঠনকারী মানুষেরা আওয়ামীলীগের নৌকায় স্থান পেয়েছে তারা জানোয়ার তুল্য ? নৌকার মাঝি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার নৌকায় আশ্রিত যাত্রীদের মধ্যে কে ভালো আর কে কোন শ্রেণীর জানোয়ার সেটা জনগনের সামনে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে । এটা করতে পারলে নূহ (আ:) এর নৌকা এবং আওয়ামীলীগের প্রতীক নৌকার মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না !







বাংলাদেশের যে সকল মানুষেরা স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিল , তাদের আত্মত্যাগী যুদ্ধের মূল লক্ষ্যই ছিল গনতন্ত্রের ধারাকে সমুন্নত করা । ১৯৭১ সালে দেশের ভৌগলিক বিজয় অর্জিত হলেও গনতন্ত্র লাভের ক্ষেত্রে বাঙালীরা আজও পরাধীন । বার বার গনতন্ত্রের উপর আঘাত আসার কারনে গনতন্ত্র কখনোই তার আপন মহিমায় শির উঁচিয়ে দাঁড়াতে পারে নি । কখনও বাকশাল , কখনও স্বৈর-শাসন আবার কখনও ক্ষমতার লিপ্সা গনতন্ত্রকে যুগে যুগে পিষে মেরেছে । গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কম মানুষকে তাদের মূল্যবান জীবন উৎসর্গ করতে হয় নি । শহীদ নূর হোসেন , ডাক্তার মিলন সহ হাজারও মানুষ তাদের অমূল্য জীবন দিয়ে প্রমান করে গেছে গনতন্ত্রের দাম । স্বাধীনতার পরে দুই দশক বাংলাদেশেকে অনেক চড়াই-উৎড়াই পোহাতে হয়েছে । স্বৈর-শাসক হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের পতনের পর জাতি আশায় বুক বেধেছিল , এখন বুঝি প্রকৃত গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে । আসলে তা হয়নি । প্রতিটি নির্বাচিত সরকার তাদের শাসন আমলের শুরুতে কিছুটা গনতন্ত্রের পূজা করলেও শাসন আমলের শেষ দিকে , যখন ক্ষমতা ফুরিয়ে আসে তখন গনতন্ত্রকে পদাঘাত করতে শুরু করে । ভূলে যায় সকল ওয়াদা । পরবর্তী নির্বাচনে কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে সেই ফন্দি ফিকির নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরে । তাতে গনতন্ত্র থাকল কি গেল তাতে কিছুই যায়-আসে না । ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া গনতন্ত্রকে পদাঘাত করে যে রাস্তায় হেঁটেছিল ২০১৩ সালের শেষ দিকে এসে সেই একই রাস্তায় হাটতে শুরু করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা । গনতন্ত্রের মানস কন্যা হিসেবে খ্যাত নবম জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতাকে স্থায়ী করার জন্য গনতন্ত্রকে ইতোমধ্যে দেশ থেকে নির্বাসিত করেছেন বলে মনে করছেন দেশে বিশিষ্টজনেরা ।



গোটা দেশের জনমতকে উপেক্ষা করে মাননীয় শেখ হাসিনা মাত্র কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে এখন উল্টা পথে হাঁটছেন । এরকম করে কতক্ষন হাটারমত শক্তি থাকবে তা কেবল তিনি এবং তার সঙ্গীরা জানেন । দেশের বুদ্ধিজীবিদের মতকে উপেক্ষা করে তিনি যখন তার অবস্থানে স্থির ভাবে অবস্থান করছেন তখন বাংলাদেশের প্রধান বিরেধী দল হরতাল এবং অবরোধ দিয়েই চলছেন । কোন কিছুতেই যখন শেখ হাসিনা তার অবস্থান থেকে নড়ছিলেন না তখন বিরোধীদল ৩৫১ ঘন্টা অবরোধ শেষে ১৮ দলীয় জোটের নেত্রী গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘোষনা দিলেন “ মার্চ ফর ডেমোক্রেসির” । সারা দেশ থেকে সকল শ্রেণী , পেশার মানুষকে ২৯ শে ডিসেম্বর ঢাকাস্থ বি এন পির কেন্দ্রীয় কার্যালায়ের সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন । সকল মানুষকে দেশের পতাকা সাথে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন । তার এ ঘোষনায় দেশের পতাকার সাথে গনতন্ত্রের যোগসূত্রিতা আছে সেটা আবারও প্রমান হল । স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা কেবল স্বতন্ত্র পতাকা পাওয়ার জন্য লড়াই করি নি । গনতন্ত্রের ভিত্তিকে সুদৃঢ় এবং শক্তিশালী করা জন্যও লড়াই করেছিলাম ।



মার্চ ফর ডেমোক্রেসিকে কেন্দ্র করে যখন সারা দেশে উৎসাহের উৎসব পড়ে গেছে তখন সরকার যৌথবাহীনি দিয়ে গনগ্রেফতার শুরু করেছে । সরকারের কয়েকজন শীর্ষ-স্থানীয়মন্ত্রী বাসমালিক সমিতি এবং অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমের মালিকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন যাতে ২৮ এবং ২৯শে ডিসেম্বর কোন যান চলাচল না করানো হয় । এছাড়াও ঢাকাস্থ সকল আবাসিক হোটেলের উপর অঘোষিত কার্ফিও দেয়া হয়েছে তারা যাতে নতুন করে এ দুই দিন কোন সিট বুকিং না দেয় । এ সকল কাজ করেও সরকার নিশ্চিত হতে পারে নি । এবার তারা তাদের আসল পোশাকে রুপান্তরিত হয়েছে । আওয়ামীলাগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন মটর শ্রমিক লীগ দিয়ে আহ্বান করিয়েছে টানা ৭১ ঘন্টার হরতাল । এতদিন লক্ষ করেছি , বিরোধীদল তাদের দাবী পূরনের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করতে হরতাল আহ্বান করে কিন্তু এখন দেখছি তার ব্যতিক্রম । সরকারী দল কাদের বিরুদ্ধে হরতাল ডেকেছে সেটা পরিষ্কার নয় । তাহলে কি বিরোধী দল শক্তির ক্ষেত্রে সরকারী দলের সমান এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিরোধীদলের ক্ষমতা বেশী ! ২০০৪ সালে বি এন পির শাসনে অতিষ্ট হয়ে আওয়ামীলীগ টেকনাফ থেকে তেতুঁলিয়া পর্যন্ত মানবপ্রাচীর দিয়ে মানববন্ধন করেছিল । বর্তমান আওয়ামীলীগের শাসন আমলে অতিষ্ঠ হয়ে সেরকম কোন আন্দোলন বি এন পি করতে পারবে না কেন ? যে মোটর শ্রমিকরা এতদিন বিরোধীদলের ডাকা অবরোধ এবং হরতালের জন্য বিরোধীদলের বিরুদ্ধে স্লোগন দিয়েছে এবং তাদের গালাগালি করেছে , হরতাল অবরোধে গাড়ি চালাতে না পারলে তাদেরকে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হয় বলে দাবী করেছে , তারা আগামী ৭১ ঘন্টার হরতাল দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরে বসে পেট পূরে খেতে পারবেন ! সকলেই যে যার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে দেশের চলমান পরিস্থিতির বিচার করছেন । দেশটা যে অর্থনৈতিকসহ সব দিক দিয়ে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে সে দিকে কারও কোন ভ্রক্ষেপ নাই ।



হরতাল , অবরোধ বা দেশকে অচল করে দেয়ার হুমকি নিজেদের স্বার্থেই গ্রহনযোগ্য না । এসময়ে দেশের যেমন আর্থিক ক্ষতি হয় তেমনি জীবনও হুমকির মুখে পড়ে । গত দুমাসের হরতাল ও অবরোধের কারনে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসানের সাথে প্রায় দুই শতাধিক মানুষকে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে । দুই নেত্রীর কেউ এ সকল মৃত্যের দায়ভার নেবেন না । একজন আরেক জনকে দোষারোপ করেই খালাশ । একজন এ দেশটাকে তার বাবার আরেকজন স্বামীর সম্পত্তি মনে করেন । তাইতো তাদের দু’জনের মধ্যে যে ক্ষমতা পায় সেই দাবী করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় একজনের বাবার আরেক জনের স্বামীর ভূমিকাই সব । তাদের এ চুল ছেড়া-ছেড়ীর কারনে বর্তমান প্রজন্ম স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস ভূলতে বসেছে । একদলের শাসনামলের পাঁচ বছর স্বাধীনতার যে ইতিহাস পড়ানো হয় পরবর্তী অন্য দলের পাঁচ বছর পড়ানো হয় ঠিক তার উল্টো ইতিহাস । যে কারনে স্বাধীনতার তাৎপর্য আজ হুমকির সম্মুখীন ।



বি এন পি বা আওয়ামীলীগের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান করে নয় , দেশের বিশিষ্টজনদের মতের প্রতি একাত্মতা ঘোষনা করে ২৯শে ডিসেম্বরের “গনতন্ত্র রক্ষার অভিযাত্রার” পক্ষে অবস্থান নিতে হয় । বঙ্গবন্ধু যাকে ছেলের চেয়ে বেশি ভালবাসতেন সেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকিও আজ ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসির’ পক্ষে । দেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসির’ বিপক্ষে অবস্থান করার প্রশ্নই ওঠে না । আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে প্রহসন শুরু হয়েছে তা রুখতে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রাসি’ এখন সময়ের দাবি । হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া গোটা বিশ্ব বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন । বিভিন্ন গনমাধ্যমের জরিপ অনুযায়ী দেশের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাচন কালীন সরকার দাবী করলেও আওয়ামীলীগ জনতার সে দাবীকে প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন দিতে যাচ্ছে । লক্ষ লক্ষ ভোটার-যারা জীবনে প্রথমবার ভোট দেয়ার স্বপ্ন দেখেছিল তাদের ভোট ব্যতীত অনেক আসনের জনপ্রতিনিধি মনোনীত হয়ে গেছেন । জনতা ছাড়া জনপ্রতিনিধি ! যা বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে আরও একবার হাসালো । সরকারের তৎপরতা দেখে অনুমিত হচ্ছে ২৯শি ডিসেম্বরের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ বহ্যিক ভাবে সফল হবে না । শত শত মাইল ‍দুরত্বের গন্তব্যে যদি পৌঁছানোর বাহন না থাকে তাহলে সেখানে পৌঁছানে সত্যিকারেই অসাধ্য ।





শুরুতে হযরত নূহ (আঃ) এর কথা বলার কারনে শেষও করতে চাই একজন রাসূলের কথা দিয়ে । হযরত মূসা (আঃ) এর নবুয়তী জীবনে ফেরাউন দ্বিতীয় কাবশা এর সাথে কোন অবস্থায় পেরে উঠছিলেন না । বারবার ফেরাউনকে সত্যের দাওয়াত দিলেও ফেরাউনের উপদেষ্টারা সেটার ভূল ব্যাখ্যা করে ফেরাউনকে সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে রেখেছিল । মূসা এবং হারুন (আঃ) সত্য ধর্মের দাওয়াত দিতে দিতে এক সময় কিছু লোক তাদের অনুসরণ করতে লাগল । ফেরাউনের উপদেষ্টারা এসকল অবস্থা দেখে মনে ভাবলেন সর্বনাশ । এরকম আরও কিছু দিন চলতে থাকলে মূসা (আঃ) এর শক্তি ফেরাউনের চেয়ে বেশি হয়ে যাবে । তাই ফেরাউনের উপদেষ্টারা ফেরাউনকে পরামর্শ দিল মূসা (আঃ) এবং তার বাহিনীর উপর আক্রমন করতে । যেই ভাবা সেই কাজ । ফেরাউন মুসা (আঃ) এর বাহিনীর উপর আক্রমন করল । মূসা (আঃ) এর বাহীনির শক্তি কম থাকায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হল । ফেরাউনের বাহীনি মূসা (আ:) এর বাহীনিকে ধাওয়া করতে করতে নীল নদের তীরে নিয়ে গেল । মূসা (আঃ) এর সাময়িক পিছু হটা দেখে ফেরাউন তো মহাখুশি । ফেরআউন ভেবেছিল তাদের বিজয় নিশ্চিত । এই বুঝি মূসা (আঃ) ফেরআউনের বাহীনির কাছে ধরা পড়ে গেল ! তাহলেই ফেরাউনের খোদায়ী দাবীর পিছনে আর কোন বাধা থাকবেনা । ফেরআউনের কেউ বিরোধিতা করবে না । সকল পরিকল্পনার ফল যে অনূকুলে আসে না সেটা বুঝতে ফেরআউনের বেশি সময় লাগে নি । হযরত মূসা (আঃ) এবং তার বাহিনী আল্লাহর সাহায্যে নীলনদ পার হয়ে গেলেও ফেরআউন এবং তার বাহিনীকে আল্লাহ তায়ালা চরম শাস্তি দিয়ে মেরেছেন । পানি খেতে খেতে এক-একজনের পেট ঢোলের সাইজ হয়ে গিয়েছিল । সকল সহজ কথা তো আর সহজে বলা যায় না । আমাদের যত দ্রুত সহজবুদ্ধির উদয় হবে আমাদের মঙ্গলের জন্য সেটা ততোটাই ফলপ্রসূ হবে ।



লেখক : রাজু আহমেদ । শিক্ষার্থী , কলামিষ্ট ও প্রাবন্ধিক ।

সরকারী বি এম কলেজ , বরিশাল ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

হাসিব০৭ বলেছেন: হাসিনা তো ভয়েই কাইত তাইতো নিজেই এইবার অবরোধ আর হরতালের ডাক দিছে। পৃথিবীর কোন দেশে মনে হয় না সরকারীদল অবরোধ বা হরতালের মত কর্মকান্ড দেয়। বড়ই হাস্যকর এই দেশ এবং দেশের মানুষগুলো।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

সত্যকা বলেছেন: হাসিব ভাই শুভ সকাল । এটা বাংলাদেশ বলে এখানে সবই সম্ভব । আশ্চার্য হওয়ার কিছুই নাই । দুই চোখে যাই দেখিব তা্হাই সহিতে হইবে । মূখ খূলিয়া কিছু বলিতে গেলেই ফান্দে আটকা পড়িতে হইবে

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

বিডি আইডল বলেছেন:

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

সত্যকা বলেছেন: আপনি পাশে থাকতে পারবেন না একথা বলেলে তো হবে না । গনতন্ত্রের মুক্তির মিছিলে আপনাকে নেতৃত্ব দিতে হবে । আমরা আসছি আপনারাও আসুন

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

মীর মফিজুল ইসলাম মানিক বলেছেন: আম্লিগের পতন কত নির্মন হয় তা দেখার প্রতিক্ষায় থাকলাম।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

সত্যকা বলেছেন: আওয়ামীলীগ বা বি এন পির পতনের কথা নয় ভাই দেখতে হবে অন্যায়কারীদের ,গনতন্ত্রকে যারা পদদূলিত করল তাদের পতন হয় কিনা্ । আপনার মত আমিও প্রতিক্ষায়

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

হাসিব০৭ বলেছেন: ‘দিস ইজ বেয়াদবি, এক্কেবারে বেয়াদবি’ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

সত্যকা বলেছেন: বেয়াদবদের জন্য কঠিন শাস্তি নির্ধারিত আছে

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

উপপাদ্য বলেছেন: মীর মফিজুল ইসলাম মানিক বলেছেন: আম্লিগের পতন কত নির্মম হয় তা দেখার প্রতিক্ষায় থাকলাম।

পতন খুব শীঘ্রই হবে ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশের মাটিতে মিররজাফরেরা বেশীদিন ক্ষমতার মসনদে থাকতে পারেনি পারবেনা। ইতিহাস তাই বলে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

সত্যকা বলেছেন: আমিও আপনার সাথে একমত । ইতিহাস আমাদেরকে এমন ইঙ্গিত দেয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.