নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০১৪ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসের ৫ তারিখে দাঁড়িয়ে স্মৃতিচারণ করছি আজ থেকে ঠিক একবছর পূর্বে ২০১৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসের ৫ তারিখকে । মাস এবং তারিখ মিলে গেলেও বদল হয়েছে কেবল সালের এবং দিনের । ২০১৩ সালের আজকের এ দিনটা ছিল মঙ্গলবার আর ২০১৪ সালে সেটা এসে দাঁড়াল বুধবারে । আজকে বাংলাদেশের আন্দোলনের ইতিহাসে নবযুক্ত শাহবাগের গণজাগরন মঞ্চের বর্ষপূর্তি পালিত হল । সকল আন্দোলন যেখানে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে গঠিত হয় সেখানে গণজাগরণ মঞ্চ কেবল একটিমাত্র ইস্যু নিয়ে তার পথচলার সূচনা করে । তবে পরিনামে সেটা ধরে রাখতে পারে নি । আস্তে আস্তে গণজাগরণ মঞ্চের ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে । প্রথমদিকে সম্পূর্ণ অ-রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন শুরু করলেও তার সে ধারা বেশিদিন স্থায়ী করতে পারেনি । সময়ের আবহে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তির সম্মূখীন হতে হয়েছে বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর হৃদয়কাঠি নাঁড়িয়ে দেয়া ছোট্ট একটি মঞ্চের ব্যাপ্তি । দিনেদিনে গণজাগরণ মঞ্চের জনপ্রিয়তা যেমন বেড়েছে তেমনিভাবে সমালোচনাও কম হয়নি । দেশের একশ্রেণীর মানুষ দিনের পর দিন, রাতের পর রাত গনজাগরণ মঞ্চে অবস্থান করে দৃঢ়চিত্তে প্রকাশ করেছে তার হৃদয়ের আকুলি-বিকুলি তেমনিভাবে অন্য একটিদল সরকারকে বারবার আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলণের এ মঞ্চকে তুলে দেয়ার জন্য । সরকারের আন্দোলনের সাথে এ মঞ্চের আন্দোলনের কিছুটা যোগসূত্র থাকার কারনে সরকার বিরোধীপক্ষের সে আল্টিমেটামকে কেবল অগ্রাহ্য করে নি বরং গনজাগরণ মঞ্চ এবং এর সাথে সম্পর্কিত সকলকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এবং তাদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছে । গণজাগরণ মঞ্চের জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বিভাগীয় এবং জেলা শহরে বিরুদ্ধবাদীদের চরম হুমকির মুখেও গনজাগরণ মঞ্চের শাখা খোলা হয়েছে । গনজাগরণ মঞ্চ তাদের আন্দোলন এবং দাবীকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচী দিয়েছে এবং দেশবাসীর একাংশে সে সকল কর্মসূচী একসাথে পালন করেছে । তবে গণজাগরণ মঞ্চে জাতীয় দাবীসমূহের যে দিকগুলো ফুটে উঠেছে সেসকল দাবী আদায়ের পরিকল্পনায় অনেক ত্রুটি লক্ষ্য করা গেছে । হাজারও সমালোচনার পরেও শাহবাগের গনজাগরণ মঞ্চ বাংলাদেশের আন্দোলনের ইতিহাসে অন্যতম উজ্জ্বল অর্জনে পরিনত হয়েছে ।
সমাবেশের কারণ : যুদ্ধপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবীতে এই সমাবেশ, যেখানে সোচ্চার হয়েছে সাধারণ মানুষ ।
বিক্ষোভের সূচনা : ৫ই ফ্রেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাগ মোড়ে সর্বপ্রথম এই বিক্ষোভের সূচনা করে ব্লগার ও অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম । এরপর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ আন্দোলনে যোগ দেয় । লাখো জনতার মহাসমুদ্রের কেন্দ্রবিন্দু শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের নবজাগরণ মঞ্চ থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণ দেয় জনগন ।
প্রজন্ম চত্বর নামকরণ : মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি আদায়ে শাহবাগ থেকে এর যাত্রা শুরু । রাজধানীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শাহবাগ চত্বর । যার চার রাস্তার মোড়টিকে ঘিরে নতুন প্রজন্ম যেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনকে দিয়েছে নতুন মাত্রা । পাকিস্তানী সেনারা আত্মসমর্পণ করেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে । এমনকি ১৯৯২ সালে শহীদজননী জাহানার ইমাম যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে গণ-আদালত বসিয়েছিলেন এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই । সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে শাহবাগ চত্বরে যুদ্ধপরাধীদের অসমাপ্ত বিচার সমাপ্ত করার জন্য এই প্রতিবাদ । তাই অনেকে নাম দিয়েছেন প্রজন্ম চত্বর । আবার কেউবা নাম দিয়েছেন শাহবাগ স্কয়ার, বাংলাদেশের তাহরির স্কয়ার । রাতে মশালে মশালে প্রতিবাদের অগ্নিশিখা শাহবাগ চত্বরকে আলোকিত করে রাখে । সেখানে কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চায় জনগন । দেশেকে রাজাকারমুক্ত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তরুন প্রজন্ম । ব্যঙ্গকারীদের অনেকে প্রজন্ম চত্বরকে আবার প্রজনন চত্বর বলেও সম্বোধন করে ।
শাহবাগ চত্বরের গনজাগরণ মঞ্চের কল্যানে অনেকে তারকা খ্যতি পেয়েছেন আবার অনেকে হয়েছেন নিন্দিত । গণজাগরণ মঞ্চের মূখপাত্র ডা: ইমরান এইচ সরকার, স্লোগান কন্যা খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী লাকি আক্তারদের আজ পুরো দেশবাসী একনামে চেনে । গনজাগরণ মঞ্চের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছে দেশের ধর্মীয় নেতারা এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট । সাধুবাদ জানিয়েছে যুদ্ধকালীন সময়ে হতা-হতের পরিবারবর্গ এবং সরকারী দল আওয়ামীলীগ এবং তাদের সমর্থকরা । সব বয়সের মানুষকেই এ আন্দোলনে শরীক হতে দেখা গেছে । বিশেষ করে পিতা মাতার সঙ্গে বাচ্চাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনী্য় । ছোট ছোট বাচ্চারা আন্দোলনে শরীক হতে আসা মানুষদের প্রেরণা যুগিয়েছে । তবে সবমানুষ যে শাহবাগ চত্বরে আন্দোলনের সাথে সংহতি জানাতে গিয়েছে সেটা বলা যায় না । অনেকে গিয়েছে উপভোগ করতে আবার কেউবা সখের বশে । আন্দোলনের প্রথমদিকে দেশের কিছু বিশিষ্টজনরা গনজাগরণ মঞ্চে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনের সাথে তাদের একাত্বতা প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত হওয়া শুরু করলে, তারাও আস্তে আস্তে গনজাগরণ মঞ্চ থেকে মূখ ফিরিয়ে নেন ।
আন্দোলনের প্রারম্ভে মঞ্চে আওয়ামীলীগের কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের বক্তৃতা দেয়াকে কেন্দ্র করে তুমুল হট্টগোল বাধলে সেখানে ব্যাপক মারামারি হয় । এ সংঘর্ষে লাকি আক্তার চরম ভাবে আহত হয় । আন্দোলনকারীরা তাদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক ছায়ামুক্ত রাখার চেষ্টা করলেও সময়ের পরিবর্তনের সাথে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি । ধীরে ধীরে শাহবাগের আন্দোলন আওয়ামীলীগের ছায়াতলে চলে যায় । আন্দোলনের স্ব;তুস্ফর্তার স্থলে যখনি ফ্রি বিরিয়ানী এবং প্রতিদিন কিছু নির্দিশ্ট অঙ্কের টাকার প্রচলন হয় তখন এ আন্দোলন তার নির্দিশ্ট পরিসর থেকে অনেকটাই বিচ্যুত হয় । এরপর থেকে শুরু হয় বাংলাদেশের পুরনো সংস্কৃতির চর্চা । বিভিন্ন ইস্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ‘স্বেচ্ছায় বাধ্যতামূলক’ উপায়ে নিয়ে আসা হয় শাহবাগে ।
দিন তার আপন গতিতে বইতে থাকে । একশ্রেনীর লোক শাহবাগে আন্দোলনে অংশগ্রহনকারীদের নানাভাবে হুমকি দেয় । একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র হামলা চালায় গনজাগরণ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ব্লগার রাজীবের উপর । আক্রান্ত স্থলেই রাজীবের মৃত্যু ঘটে । বাংলাদেশের দুইবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী শেখ হাসিনা রাজীবের বাসায় গিয়ে তার পরিবারকে যথাসাধ্য স্বান্তনা দিয়ে রাজীবকে দ্বিতীয় মু্ক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে ঘোষণা করে । প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনায় ক্ষেপে যায় দেশের লাখো লাখো ধর্মপ্রাণ জনতা । কেননা রাজীব পরপারে পারি জমানোর আগে একটি মহৎ কর্ম(!) সাধন করে গিয়েছে । ইসলাম ধর্ম এবং এর প্রচারক হযরত মুহাম্মদ (স সম্পর্কে এমন কিছু জগন্য নোংরা কথা লিখে গিয়েছে যা ভাষায় ব্যক্ত করার অযোগ্য । শাহবাগের আন্দোলনকারীদের উপর এমন হামলা রোধ করার জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষথেকে গ্রহন করা হয় কঠোর পদক্ষেপ । গনজাগরণ মঞ্চের নেতা-নেত্রীদেরকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দিয়ে রাখা হয় বিভিন্ন বিলাসবহুল আবাসিক হোটেলে ।
গণজাগরণ মঞ্চ তাদের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় প্রদান করে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচী । এর মধ্যে সারা দেশে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বিকাল চারটায় এক মিনিট নিরাবতা পালন, কালো পতাকা মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশসহ আরো অনেক অনেক । এমনকি কোন ব্যক্তি যদি ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করে তবে তাকে ভিসা প্রদানের জন্য যে সকল শর্তারোপ করা হয় তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপ্রদান করা হয় শাহবাগ থেকে ঘুরে আসতে হবে । সরকারের একনিষ্ঠ বিশ্বাসযোগ্যসঙ্গী এবং আন্দোলনকারীদের পক্ষ্যে সর্বত প্রচার-প্রচরণা চালানো পত্রিকা ‘প্রথম আলো’ ভূলবশত একবার লাকি আক্তারকে ইঙ্গিত করে একটি রম্য গল্প ছেপে বসে । এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গনজাগরণ মঞ্চ একেবারে তেঁতে যায় । অবশেষে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থণা করে নতুন প্রজন্মের রোষানাল থেকে রক্ষা পেতে হয় । সরকার এতদিন পুষে আসলেও গনজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের ভাষায় ধর্মীয় ‘মৌলবাদীদের’ চাপের মূখে একবার গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়া হয় । গণজাগরণ মঞ্চভেঙ্গে দেয়ার কিছু দিন পর কোন এক দাবীকে কেন্দ্র করে গণজাগরণ মঞ্চ মিছিল বের করলে সেখানে কোন এক অজানা কারনে পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে । এতে গনজাগরণ মঞ্চের কিছু নেতা উত্তেজিত হয়ে পুলিশদেরকে রাজাকারের বাচ্চা বললে, পুলিশ বেদমভাবে নেতাদের উপর লাঠি-পেটার ছোট্ট একটি জটিকা অভিযান চালায় । তাতেই অনেকে সজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন ।
অবশেষে আসে গনজাগরণ মঞ্চের আনন্দ মিছিল করার উপলক্ষ্য । যে কাদের মোল্লার রায় ফাঁসি না হওয়ায় গণজাগরণ মঞ্চ গঠিত হয়েছিল সেই কাদের মোল্লার জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করে আপিলে তাকে ফাঁসির রায় দিয়ে পরবর্তীতে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয় । এখন চলছে অন্যান্য আসামীদের দন্ড এবং তা কার্যকর করার অপেক্ষা । শত বাধায় যে সংঘঠন প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল তার এখন শুধু আনন্দ মিছিল করার সময় । তবে একটু পরিবর্তন এসেছে গনজাগরণ মঞ্চে । প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য থেকে অনেক বিচ্যুত হয়েছে তবে প্রাপ্তি ঠিকই থাকল । আগামী বছরের এমন একটি দিনে তার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তীতে গনজাগরণ মঞ্চ কোন অবস্থানে থাকবে সেটাই এখন দেখার বিষয় ।
রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।
[email protected]
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪০
সত্যকা বলেছেন: শুরুর দিকে তেমনটা ছিল হয়ত তবে এখন আর তেমন নাই ।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: লাগাতার কর্মসূচী দেশ এবং জাতীর জন্য হুমকি , এদের জন্য বাংলাদেশের সব স্থানে সব দলের সাঙ্ঘটনিক ভেঙ্গে যাচ্ছে ।।
দেশ দুই বড় দলের ফাঁড়াকে আফগান ইরাকের মত সহিংসতা
বাড়ছে ।।
ডাঃ এইছ এম ইম্রান সরকারের বাবার নয় অথবা হাছিনা সরকারের
বাবার নয় । দেশ ১৬ কোটি মানুষের ।।
ভাবনা তাই শান্তি রক্ষায় একাত্মতা চাই ।।
একটি দেশে ছোট বড় সব দল তাদের নাগরিকতার স্বাধীনতা পাবে
তাই মানবিক অধিকার ।।
মানবাধিকার নঙ্গন করে কেউ জনতার কাণ্ডার বা দেশের কাণ্ডার
হলে সেটা সেবা নয় সেটা হয় স্বৈরতন্ত্রী ।।
পোস্টে ধন্যবাদ
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪২
সত্যকা বলেছেন: যথেষ্ট যৌক্তিক বলেছেন । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: একটি রাজনৈতিক অভিমত
******
: লাগাতার কর্মসূচী দেশ এবং জাতীর জন্য হুমকি , এদের জন্য বাংলাদেশের সব স্থানে সব দলের সাঙ্ঘটনিক ভেঙ্গে যাচ্ছে ।।
দেশ দুই বড় দলের ফাঁড়াকে আফগান ইরাকের মত সহিংসতা
বাড়ছে ।।
দেশ ডাঃ এইছ এম ইম্রান সরকারের বাবার নয় অথবা হাছিনা সরকারের
বাবার নয় । দেশ ১৬ কোটি মানুষের ।।
ভাবনা তাই শান্তি রক্ষায় একাত্মতা চাই ।।
একটি দেশে ছোট বড় সব দল তাদের নাগরিকতার স্বাধীনতা পাবে
তাই মানবিক অধিকার ।।
মানবাধিকার নঙ্গন করে কেউ জনতার কাণ্ডার বা দেশের কাণ্ডার
হলে সেটা সেবা নয় সেটা হয় স্বৈরতন্ত্রী ।।
রাত ৭ ,৪০ মিরপুর ১২
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৩
সত্যকা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোন দেশেই ছোট বড় সব দল তাদের নাগরিক বা রাজনৈতিক স্বাধীনতা পায় না।
ইরানে বামপন্থি বা মধ্যপন্থিরা রাজনীতি করতে পারেনা,
ইউরোপে মৌলবাদিরা বা যুদ্ধাপরাধ সমর্থক নিও নাৎসিরা রাজনীতি করতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রে মৌলবাদিরা ও বর্নবাদ সমর্থক দল রাজনীতি করতে পারে না।
আমাদের দেশের মৌলবাদিরা এককাঠি উপরে।
এরা ৭১ এ পাকি হানাদার বাহিনীর সাথে একাত্ত্ব হয়ে খুনখারাপিতে লিপ্ত ছিল এবং পরাজয়ের আগেরদিন ভয়াবহ বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। এজন্য তারা মোটেও অনুতপ্ত নয়। বরং ঘোষনা দিয়েছিল - "৭১এ ভুল করিনি, আমাদের ভুমিকা সঠিক ছিল"
মৌলবাদের কথা বাদই দিলাম, যারা দেশটির স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বলে, "আমাদের ভুমিকা সঠিক ছিল" তারা কোন দেশের জন্য রাজনীতি করবে?
এই ফ্যাসিষ্ট মৌলবাদি দলটির রাজনীতি তো দুরের কথা এদেশে থাকারই কোন অধিকার নেই।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৮
সত্যকা বলেছেন: সবাই মিলে এমন একটি জোট করে ভাবতে হবে এদের কোন দ্বীপে নির্বাসনে পাঠানো যায় । শিবিররাও কি রাজাকারের অন্তভূক্ত হবে । আপনার মতামত জানাবেন ?
৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: এটিও পড়ুন
Click This Link
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৬
সত্যকা বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা । খুব ভালো লেগেছে ।
৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
"৭১এ ভুল করিনি, আমাদের ভুমিকা সঠিক ছিল"
তাদের এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়ে দুঃখ্য প্রকাশ করলে এবং নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত্ব গঠনতন্ত্রের একটি আপত্তিকর ধারা সংসোধন করে নিলে জামাত ও শিবির এদেশে রাজনীতি ও নির্বাচন করতে কোন বাধা নেই।
বাঙ্গালিরা অনেক উদার।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
সত্যকা বলেছেন: জামাতের কয়জন নেতা রাজাকার তা জানি না তবে রাজাকার ছাড়াও বহু নেতা আছে । আমিও আপনার সাথে একমত তাদের এ সংশোধণী টুকু আনা প্রয়োজন ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৩
অশনি-সংকেত বলেছেন: শাহবাগ কখনও ঘুমায় না। আজ হয়ত প্রজন্মের যোদ্ধারা আগের মত শাহবাগে উপস্থিত হয় না। কিন্তু আবার দেশের প্রয়োজন হলেই প্রজন্মের সৈনিকরা ছুটে যাবেন সেখানে। শাহবাগ কোন সংগঠনের আন্দোলন না। শাহবাগ কেবল গণজাগরণ বা প্রজন্মের না। শাহবাগ একটি চেতনা। যেটা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের চেতনা। এটা কখনও শেষ হবে না।