নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যসব দিনের থেকে আজকের দিনটা আমার জন্য তেমন কোন ব্যতিক্রম ছিল না । তবে আজ ছিল শুক্রবার । সাধারণত ঘুম থেকে একটু সকালেই জাগতে হয় । মাঝে মাঝে সকালে না ঘুমালেও শুক্রবার নিয়ম করে লম্বা ঘুম দেয়া হয় । সকালের নাস্তা গ্রহন করে ফেসবুকে প্রবেশ করতেই লক্ষ্য করলাম আজ বিশ্ব ভালবাসা দিবস । আমার ফেসবুক ওয়ালে ভালবাসার পক্ষে লেখা থেকে ভালবাসা দিবসের বিরুদ্ধেই বেশি লিখা দেখলাম । তার মধ্য থেকে কয়েকটিকে বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়লাম । লেখার বিষয়বস্তু গুলো প্রায় একই রকম হওয়ার পরেও তথ্যগত অনেক ভিন্নতা পরিলক্ষিত হল । আজকের দিনটিকে অনেকে ভালবাসা দিবস হিসেবে উল্লেখ করলেও অনেকেই বলেছেল বিশ্ব বেহায়া দিবস হিসেবে । এক বন্ধুর লেখার শিরোনামে দেখে চোখ আটকে গেল । তিনি লিখেছেন আজ বিশ্ব কোরবানী দিবস বা তার থেকেও বেশি কিছু । সম্পূর্ণ লিখাটা পড়ার পর কোরবানী দিবস নামকরনের কারন খুঁজে পেলাম । বন্ধুটি খুব ভালভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেছে আজকের দিনে অনেক বোনেরা তাদের মহামূল্যবান সতীত্বকে কোরবানী দিবেন । একমত না হয়ে উপায় কি বলুন । আমিও ব্যক্তিগত ভাবে ভালবাসা দিবসের বিরুদ্ধে অনেক প্রচার চালিয়েছি । তাতে কাজের কাজ কিছু্ই হয়নি । বরং এ দিনটি সম্পর্কে যারা অবগত ছিল না তারা মহাসমারোহে আজকের দিনটাকে উদযাপন করার আয়োজন করেছে ।
সে যাই হোক দুপুর বারটার মধ্যেই জুমু’আর নামায আদায়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আযানের সাথে সাথে মসজিদে উপস্থিত হলাম । সাধারণত এত তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া হয় না তবে আজকে একটু আগেই গিয়েছিলাম । ইচ্ছা ছিল মসজিদের ইমাম সাহেবের মূখে আজকের দিনের অপকারিতা সম্পর্কে কিছু শুনব । সে সৌভাগ্য আর হল না । ইমাম সাহেব আলোচনা করল হালাল-হারাম নিয়ে । বিষয়টা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ । তবে আজকের আলোচ্য বিষয় এটা হওয়া উচিত ছিল না । মন খারাপ করেই মসজিদ থেকে বাসায় আসলাম । দুপুরেরর খাবার খেয়ে খুব তাড়াতাড়ি বিছানায় গেলাম কারন বিকাল পাঁচটায় বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে । গত বুধবারের প্রথম ম্যাচটি দেখে খুব আফসোস করেছিলাম সাথে সাথে বাংলাদেশের জন্য গর্বে বুকটা ভরে গিয়েছিল । ছোট বেলা থেকে অর্থ্যাৎ ২০০২ সাল থেকে ক্রিকেট খেলা দেখা শুরু করেছি । ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনে কোন ক্রিকেট ম্যাচ প্রচার হয়েছে হোক না সেটা আন্তর্জাতিক অথবা জাতীয় তার কোনটাই অদেখা রয় নি । বাংলাদেশের প্রতিটি হারে তখন খুব কষ্ট পেতাম । কয়েকবছর আগে জিম্বাবুয়ে সফরে শেষ ওভাবে মাশরাফি ১৭ রান দিয়ে ম্যাচ হেরেছিল । সেদিন কষ্টে আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছিল । সেদিন রাতে ভাত খেতে পারিনি এমনকি সারা রাতে এক মূহুর্ত সময় ঘুমাতে পারিনি । আজও বাংলাদেশ হেরেছে তবে সেটা সম্মানজনক হার । বাংলাদেশের কোন হারেই এখন আর কষ্ট হয় না । কেমন যেন অনুভূতি শুন্য হয়ে যাচ্ছি । দিন দিন কেমন মূর্তির দিকে পা বাড়াচ্ছি । জানি না ভবিষ্যতে কি হবে ? আগামীকাল কলেজে যেতে হবে । কিছু পড়া বাকী আছে এখন আর পড়তে ইচ্ছা করতেছে না অথচ পড়া এখনও শেষ করতে পারিনি । কাল সকালের জন্য রেখে দিয়েছি । জানিনা আগামীকাল সুস্থ থাকব কিনা ? অসুস্থ হওয়ার আগে কেন সুস্থথাকে কাজে লাগাচ্ছি না সেটা আমিও জানি না । কোন যে একটু বোধ-বিবেচনা হবে সেটা জানতে খুব ইচ্ছে করছে ? জানি দোয়া চেয়ে কোন লাভ নাই যদি নিজ থেকে দাওয়া না আসে । সবার শুভ কামনায় ।
রাজু আহমেদ
[email protected]
©somewhere in net ltd.