নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু আহমেদ । এক গ্রাম্য বালক । অনেকটা বোকা প্রকৃতির । দুঃখ ছুঁয়ে দেখতে পারি নি ,তবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুভব করেছি । সবাইকে প্রচন্ড ভালবাসি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারি না । বাবা এবং মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী ।

সত্যকা

সত্যকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনালী ব্যাংক, অর্থমন্ত্রী এবং জাতির শিক্ষা

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৫

বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী ব্যাংক অন্যতম । এ ব্যাংকটি গত কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন কারনে আলোচনার শীর্ষে আছে । দেশের অন্য সকল ব্যাংক নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে তার কয়েকগুন বেশি আলোচনা হয়েছে সোনালী ব্যাঙ্কের তিনটি শাখা ও একটি বুথ নিয়ে । বিভিন্ন মেয়াদে ২০১২ সালের ৩১শে মে পর‌্যন্ত জালিয়াতির মাধ্যমে হলমার্কগ্রুপ ২ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা এবং পরবর্তীতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়, সুড়ঙ্গ কেটে কিশোরগঞ্জ শহরের সোনালী ব্যাংক থেকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা চুরি, এটিএম বুথের পাসওয়ার্ড হ্যাক করে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং সর্বশেষ বগুড়ার আদমদিঘিতে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সোনালী ব্যাঙ্কের ভল্ট থেকে ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা চুরি হয়েছে । টাকা চুরি যাওয়ার পর অর্থমন্ত্রী ঘটা করে ঘোষণা দিয়েছেন চুরি যাওয়া টাকার পরিমান তেমন কিছু না । টাকা চুরি গিয়ে বরং উপকার হয়েছে এ থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহন করতে পারব । বাংলাদেশের স্বনামধন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে টাকার পরিমান খুবই নগন্য হলেও দেশের গরীব প্রজাদের সঞ্চয়ের ক্ষুদ্র সংখ্যায় সেটা বিশাল । চুরি করে চোরেরা একেবারে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারে নি । দরগাহে চাল মানত করেও শেষে রক্ষা হয়নি । চুরি যাওয়া টাকা থেকে যে পরিমান এখন পর‌্যন্ত উদ্ধার হয়েছে তবে সেটা খোয়া যাওয়া অঙ্কের তুলনায় একেবারে যৎকিঞ্চিত । সোনালী ব্যাংক থেকে চার কিস্তিতে যে পরিমান টাকা চুরি হয়েছে তার সিংহভাগ টাকাই কিছু অসৎ কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহোযোগিতায় হলমার্ক গ্রুপের কর্মকর্তারা হাতিয়ে নিয়েছে । হলমার্কগ্রুপের চেয়ারম্যান আটক থাকলেও জামিন পেয়েছে কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতা হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যানের স্ত্রী জেসমিন ।



নিজের কাছে টাকা জমিয়ে রাখা অনিরাপদ এবং অ-লাভজনক ভেবে গ্রাহকরা ব্যাংকে টাকা আমানত রাখে । এতে ব্যাংক এবং গ্রাহকরা উভয়েই লাভবান হয় । যখন রক্ষক ভক্ষক হয়ে যায় তখন কিংবা বলার থাকে । কথায় বলে সন্তান হারানোর চেয়ে সম্পদ হারানোর ব্যথা বেশি পোড়ায় । গ্রাহকরা যখন টাকা হারিয়ে হায়-হুতাশে ব্যস্ত তখন আমাদের সফল অর্থমন্ত্রী হাসি-ঠাট্টায় ব্যস্ত । এক একবার টাকা জালিয়াতি বা লুট হওয়ার পর তিনি স্বাভাবিকভাবে বলেছেন, এঘটনায় আমাদের অনেক শিক্ষা আছে, জালিয়াতি হওয়া টাকার পরিমান কিছুই না । অর্থমন্ত্রীর মত বিত্তশালীদের কাছে এ টাকার অংকটা একেবারে নগন্য হতে পারে কিন্তু দিনমজুর, রিকশাচালক, গার্মেন্টসকর্মীদের, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজির সমন্বয়ে জমাকৃত টাকার পরিমানটা তাদের কাছে বিশাল কিছু । এটাই তাদের সারা জীবনের সঞ্চয় । মানুষ ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমা করে কারন তার প্রয়োজনের সময় টাকাটা তুলে প্রয়োজন মিটাতে পারবে । যাদের জমানো টাকা থেকে চুরি হয়েছে তারা যে টাকা ফেরত পাবেনা তা কিন্তু নয় । তবে প্রয়োজনের সময় টাকা না পেলে ভোগান্তির সীমা থাকেনা ।



রিটায়ার্ডপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তার পেনশানের টাকা তুলতে গিয়ে শুনতে পাচ্ছে ব্যাংকে টাকা নাই । রিকশাওয়ালা মেয়ের বিবাহে জমানো টাকা খরচ করবেন বলে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারছে টাকা পেতে কিছুদিন দেরী হবে । দিনমজুর তার ছেলের চাকরির জন্য ঘুষের টাকা দিবেন বলে ব্যাংকে চেক দিয়ে চেক ফিরিয়ে নিচ্ছেন । দিনমজুরের বেকার ছেলেটা বেকারই রয়ে গেল । অর্থমন্ত্রী শেষ বয়সেও শিখেছেন আরও শিখবেন । দেশবাসীও তাকে অনুসরণ করবে । শেখার কোন বয়স নাই । তবে মুখস্ত জিনিস পুনরায় পড়া যায় কিন্তু মুখস্ত জিনিসকে ইচ্ছা করে ভূলে পূনরায় মুখস্ত করার প্রবনতাকে শিক্ষা বলা যাবে কিনা সেটাও ভেবে দেখতে হবে ।



সুশানই কেবল দেশেকে সামনে এগিয়ে নিতে পারে । যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে এখন থেকেই শিক্ষা নিতে হবে । পরবর্তী কোন ঘটনা ঘটার পরেও আমরা সেটাকে যেন শিক্ষা হিসেবে না নেই । ব্যাংকের সাথে সংশ্লিষ্ট অসৎ অফিসারদের চাকরি থেকে অব্যহতি দিয়ে বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেক্টরকে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার এখনই উপযুক্ত সময় । শুধু অর্থমন্ত্রী নয় চলমান সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে । দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার সকল শাখাগুলোর উপর জরিপ চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শাখাগুলোকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে । এটিএমবুথ পরিচালনার জন্য যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা হয় সেটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে । ভবিষ্যতের সঞ্চয় যেন বৃথা না যায়, সে দিকে সজাগ ‍দৃষ্টিরাখা সবার নৈতিক দায়িত্ব ।



রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।

[email protected]







মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: এত নিকৃষ্ট অদক্ষ দুর্ণীতিবাজ অ.ম.. দুনিয়াতে নেই!

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

সত্যকা বলেছেন: দুনিয়ার সকল অর্থমন্ত্রী সম্পর্কে জানিনা তবে ইনি যোগ্য নয় ।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

আলী খান বলেছেন: অর্থমন্ত্রী শেষ বয়সেও শিখেছেন আরও শিখবেন । দেশবাসীও তাকে অনুসরণ করবে । শেখার কোন বয়স নাই । তবে মুখস্ত জিনিস পুনরায় পড়া যায় কিন্তু মুখস্ত জিনিসকে ইচ্ছা করে ভূলে পূনরায় মুখস্ত করার প্রবনতাকে শিক্ষা বলা যাবে কিনা সেটাও ভেবে দেখতে হবে ।

এই অংশটাকে সুপার লাইক... ;) ;) ;) ;)

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

সত্যকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । আগামীতেও সাথে থাকা আরজি জানাচ্ছি ।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

উদাস কিশোর বলেছেন: মাল মন্রি রাবিশ

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

সত্যকা বলেছেন: তার মন্তব্যে সেরকমই মনে হয় । রাবিশ, খাবিশ,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.