নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনি মেধাবী হতে পারেন । প্রতিটি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সফলতার স্বাক্ষর রেখে ছাত্রজীবনের ইতি টানতে পারেন । তাই বলে আপনি সহজে চাকরি পাবেন ভেবেছেন ? আপনার যোগ্যতা বলে আপনি ইচ্ছা করলেই আপনার পছন্দ কিংবা অপছন্দের সরকারি চাকরি পাচ্ছেন না । সফলতার সাথে ছাত্র জীবন শেষ করা আপনার দায়িত্ব ছিল । এখন রাষ্ট্র আপনার জন্য আরও কিছু বাড়তি দায়িত্ব নির্ধারণ করে দিবে । আপনার পিতা কিংবা দাদা কি মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন ? যদি উত্তর না হয় তবে আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা ৩০% হারালেন । আপনি যদি নারী না হন তবে আরও ১০% হারালেন । যদি আপনি দেশের ২১টি বিশেষ জেলার জন্মগ্রহন না করেন থাকেন তবে আরও ১০% হারালেন । সর্বশেষ আপনি যদি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কিংবা আদিবাসিদের অন্তর্ভূক্ত না হন তবে আরও ৫% হারালেন । অর্থ্যাৎ দেশের সর্বোচ্চ সম্মানের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি মাত্র ৫৫% সম্ভাবনা হারিয়েছেন ! ভাবছেন আপনার যে মেধা তা দিয়ে বাকী ৪৫% বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়ে আপনি ঠিকই আপনার অবস্থান তৈরি করতে পারবেন । এখানেও কিছু গোপন কথা আছে। মাত্র ৪৫% সুযোগের মধ্যে আপনাকে আরও কিছু সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে । চাকরির ক্ষেত্র্ উপরোক্ত ৫৫% অধিকার আপনার কাছ থেকে রাষ্ট্র কেড়ে নিলেও বাকী ৪৫% রাষ্ট্র কেড়ে নিচ্ছে না । প্রথা, স্বজনপ্রীতি এবং অনৈতিকতা এখানে অন্তরায় সৃষ্টি করে রেখেছে । আপনি সহজ কিছু প্রশ্নের উত্তর না মিলাতে পারলেই আপনার কপালে চাকরি জুটছে না । প্রথম প্রশ্ন- আপনার বাবার ব্যাংক-ব্যালেন্স কতটা স্বাস্থ্যবান ? যদি স্বাস্থ্যবান হয় তবে চাকরি পাচ্ছেন আর যদি রোগা হয় তবে আপনাকে দুঃসংবাদ শোনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে । দ্বিতীয় প্রশ্ন- আপনার কোন মামা-চাচা আছে কি ? আপনি যদি ভেবে থাকেন এরা সংকীর্ণ অর্থের মামা-চাচা তবে আপনার ভাবনাকে বদলাতে হবে । এ মামা-চাচাকে অবশ্যই বিশেষ অর্থের মামা-চাচা হতে হবে । আপনাকে চাকরি দেয়ার ক্ষমতা কিংবা আপনার জন্য সুপারিশ করার ক্ষমতা এদের অবশ্যই থাকা চাই । উপরোক্ত সবগুলো কিংবা গুরুত্বপূর্ণ দু’একটি যোগ্যতা যদি আপনার থেকে থাকে তবে আপনি এদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত । যদি উত্তর নৈতিবাচক হয় তবে আপনার শিক্ষা জীবনে অর্জিত সনদ চেয়ে চেয়ে দেখা এবং যত্ন করে কোন গোপন স্থানে তালাবদ্ধ রাখা ছাড়া অন্য কোন উপকার করতে পারবে না । এটাই আপনার জন্য দেশের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় বাস্তবতা । উপরোক্ত যোগ্যতা যদিও দেশের হাতে-গোনা কিছু মানুষের । তবে সেই অল্পসংখ্যক মানুষের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে রাষ্ট্র অবলীলায় সিংহভাগ মানুষের অধিকার হরণ করেছে ।
শিক্ষা জীবন সমাপান্তে চাকরি চরম আরাধ্য বিষয় । শিক্ষা অর্জনের প্রকৃত লক্ষ্য, উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসম্মত সরকারী চাকরি লাভ । একটি চাকরি একটি পরিবারকে প্রতিষ্ঠা দেয় । ব্যক্তি জীবনকে উন্নতকরে । সকল যোগ্যতা থাকার পরেও একজন শিক্ষার্থী যখন তার আকাঙ্খিত চাকরি লাভে ব্যর্থ হয় তখন তার উপর রাজ্যের সকল হতাশা ভর করে । সৎ পথে জীবিকা নির্বাহ করার সুযোগ হারানোর পর অন্ধকার জগৎ তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে । ন্যায়ের পথে থেকে যেভাবে যশ-খ্যাতি, টাকা-পয়সা অর্জন করা সম্ভব তার চেয়ে অনেক সহজে, অতিদ্রুত অবৈধভাবে সব কিছু অর্জন করা যায় । কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে নামকরা ছাত্রটি রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হওয়ায় অনেকে অবাক হন । তার বিপথে যাওয়ার মূল কারন অনেকেই খোঁজেন না । প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার অর্জিত শিক্ষা এবং বিবেক কাজে লাগিয়ে ন্যায়ভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে চায় । কিন্তু জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ন্যায়ের সকল রাস্তাগুলো যখন তার জন্য রুদ্ধ হয়ে যায় তখন সে হিংসাত্মক এবং আক্রমনাত্মক হয়ে পড়েন । সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি ঘৃণা জন্মে । এ ঘৃণা তাকে এমন কতগুলো কাজ করতে প্রলুব্ধ করে যার বদৌলতে শুধু ব্যক্তিই ক্ষতিগ্রস্থ হয় না বরং পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রও মারাত্মকভাবে হুমকীর সম্মূখীণ হয় । অন্যায়কারীকে ঢালাওভাবে আমরা সকলেই দোষ দিতে থাকি কিন্তু কেন সে অন্যায় করছে তার প্রকৃত কারন আমরা কখনও খুঁজি না । বর্তমান সময়ে দেশের মোট দক্ষ জনসংখ্যার প্রায় ৩০% বেকার । যাদের সংখ্যা প্রায় কোটির কাছাকাছি । দক্ষ, অর্ধদক্ষ বেকারের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি । সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপের তথ্যমতে আগামী ১০ বছর পরে বেকারের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৬ কোটি । দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ সংখ্যক বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অসম্ভব নয় । যোগ্য নেতৃত্ব এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহনের মাধ্যমে যদি বেকারদেরকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হয় তবে নিকট ভবিষ্যতে দেশের অভ্যন্তরে সকল বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব । বাংলাদেশের জনশক্তির জন্য বিদেশের শ্রম বাজার প্রায় উম্মুক্ত । সামান্য কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে বিপুল সংখ্যক জনশক্তির জন্য শ্রম বাজার সৃষ্টি করে দেশের অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধি আনয়ণ করা সম্ভব । কাজেই দেশে দেশের বাইরে বেকারদের এবং যোগ্যদেরকে তাদের প্রাপ্য স্থানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিতে পারলে দেশের সর্ববৃহৎ সমস্যার যেমন সমাধান হবে তেমনি দেশ অর্থনীতিকভাবেও গতিশীল হবে।
সরকারী চাকরি লাভের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা । স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ ৪১ বছর শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা কোটা পদ্ধতির সুযোগ পেলেও দুই বছর পূর্বে নবম জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষাণা করেছিলেন, শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা নয় বরং তাদের নাতি-নাতনীরাও কোটা পদ্ধতির আওতায় পরবে । প্রধানমন্ত্রীর সে ঘোষণানুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীরা চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগ পাচ্ছে । প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা রাষ্ট্রের আইন । একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে তার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তা মেনে নেয়া আবশ্যক । কিন্তু দেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত ? সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে যেভাবে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়ছে তাতে আগামী কয়েকবছরের মধ্যে ৪০ উর্ধ্বদের সকলে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেও বিস্মিত হওয়ার সুযোগ থাকবে কি ? ২০১৪ সালের ৮মে ‘দৈনিক সংবাদে’ প্রকাশ পায়, ফেনী জেলায় ৪ হাজার তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা । অথচ তারা রাষ্ট্রের আর্থিক সুবিধাসহ সকল সুবিধা গ্রহন করছে । ২০১০ সালের ২৭শে অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘দেশে ৬০ হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে’ । একই সমাবেশে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অমুক্তিযোদ্ধা রয়েছে । এদের চিহ্নিত করে সনদ বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে । মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা গ্রহনকারী অমুক্তিযোদ্ধার সন্ধান পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিকভাবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে’ । মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়ার পিছনে অতিরিক্ত সময় চাকরি করার লোভও কাজ করেছে । সরকার যখন মুক্তিযোদ্ধাদের ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছর অর্থ্যাৎ দুই বছর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে তখন বিভিন্ন দফতরের কিছু অসাধু ব্যক্তি (যাদের মধ্যে উপরস্থ কর্মকর্তাও রয়েছে) মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধার সনদ গ্রহন করেছে । খবরে জানা গেছে, নবম জাতীয় সংসদের সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদে এভাবে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মোট ১১ হাজার ১৪০ জন ।স্বাধীনতার পরবর্তী ৪৩ বছরে এভাবে প্রতিবছর নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হচ্ছে । ১৯৮৬-৮৭ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৮ জন । ১৯৯৭-০১ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন । ২০০১-০৬ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ১০ হাজার ৪৮১ জনে । ২০০৮ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা যে আরও বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নাই । ৪৩ বছর পূর্বে দেশের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলেও মুক্তিযোদ্ধার জন্ম এখনও শেষ হয়নি ।
যে সকল ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হয়েছে তারা রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বেশি ক্ষতি করছে দেশের শিক্ষিত সমাজের । তাদের অনৈতিকতার খেসারত দিতে হচ্ছে যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের । এ সকল ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারনে তাদের উত্তরসূরীরা চাকরির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সুযোগ গ্রহন করছে এবং অন্যদেরকে প্রতারিত করছে । কাজেই সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাবদ্ধ করে যোগ্য প্রজন্মের উপর অবিচার বন্ধ করা আবশ্যক । স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের নারীদের অবস্থান আর বর্তমান সময়ের নারীদের অবস্থান কোন অবস্থাতেই মেলানো যাবে না । সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে নারীরাও উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে । বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরা এগিয়ে গেছে । বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, নারী শিক্ষার্থীরা ছেলেদের চেয়ে ভালো করছে । কাজেই নারীর জন্য কোটা পদ্ধতি বরাদ্ধ রাখা নারীদের প্রতি করুনার শামিল । নারীরা তাদের বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে প্রমান করেছে তারা পুরুষের করুণার পাত্রী হয়ে ঘরে বসে থাকার অবস্থায় নাই । সুতরাং চাকরির ক্ষেত্রে নারীদেরকে কোটা পদ্ধতির সুযোগ দেয়ার আবশ্যকতা কতটুকু তা ভেবে দেখা আবশ্যক । কোটা পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে হাস্যকর হল জেলা ভিত্তিক কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখা । বাংলাদেশে বর্তমানে জেলার সংখ্যা ৬৫টি কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জেলার সংখ্যা ছিল মাত্র ২১টি । সে সময় এ জেলাগুলোর জন্য কোটা সংরিক্ষত ছিল । কিন্তু বর্তমানে কোন যুক্তিতে সে জেলাগুলোর জন্য কোটা বরাদ্ধ রাখা হয়েছে তার হিসেব মিলানো অসাধ্য । আদিবাসী বা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অগ্রযাত্রার জন্য কোটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । এ ব্যবস্থা প্রশংসার দাবীদার। আদিবাসিদের জন্য ৫% কোটা বরাদ্ধ রাখা হয়েছে । বাংলাদেশের ১৬কোটি মানুষের সাথে আদিবাসি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের আনুপাতিক হার করলে এ কোটা পদ্ধতির হিসেব ১.৫% নেমে আসবে ।
দেশের অধিকাংশ মানুষ কোটা পদ্ধতি সংস্কারের পক্ষে । কেউ কেউ কোটা পদ্ধতি বিলোপ করে দেয়ারও দাবী করেন । তবে আপাতত কোটা পদ্ধতির সংস্কার আবশ্যক । সরকার এবং জাতির ভবিষ্যত নির্ধারক শ্রেণী যদি জাতির নেতৃত্ব থেকে যোগ্যদেরকে দূরে রাখতে না চান তবে জাতির জাতীয় স্বার্থে কোটা পদ্ধতির সংস্কার আশু আবশ্যক । কাজেই দেশের মেধাবীদের সুযোগ করে দিতে এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য মেধাবীদের সুযোগ দেয়া আবশ্যক । মেধাবীদের সুযোগ দানে সবচেয়ে বড় অন্তরায় কোটা পদ্ধতির সংস্কার করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য অনধিক ১০% কোটার সুযোগ রেখে সর্বমোট ১৫ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা রাখা হোক । ৫৫% মধ্য থেকে বাকী ৪০ শতাংশ আনুপাতিক হারে বিলুপ্ত করা হোক । রাষ্ট্রের সিংহভাগ মানুষের মঙ্গল যে কাজের মধ্যে নিহিত সে কাজই যেন আমরা করতে পারি । রাষ্ট্র দেশের মেধাবীদের মেধা ধরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহন করুক সেটাই কাম্য । কোন বিশেষ শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে যেন অন্য মানুষকে হুমকির দিকে ঠেলে দেয়া না হয় । বিভিন্ন সময়ে কোটা পদ্ধতি নিয়ে ছাত্রদের পক্ষ থেকে দাবী উত্থাপিত হয়েছে এবং তাদেরকে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করা হয়েছে । তবে সমাধান কখনোই হয় নি । কাজেই পরবর্তী শিক্ষার্থীদের পরবর্তী কোন আন্দোলন হওয়ার পূর্বেই সরকারের নির্ধারিত প্রশাসন যেন এ কোটা পদ্ধতির ব্যাপারে ভেবে দেখেন এবং কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন সে দাবী রাখছি ।
রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।
[email protected]
©somewhere in net ltd.