নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল সংস্কৃতিকে ঢালাওভাবে অপসংস্কৃতি বলার সাধ্য নাই । পৃথিবীর কতগুলো দেশে এমন ধারার সংস্কৃতি চালু আছে যা অনুসরণ কিংবা অনুকরণ করলে মানবিক উৎকর্ষতার সর্বোচ্চ সীমায় পদার্পণ করা সম্ভব । আবার এমন কতগুলো দেশ আছে যে দেশের সংস্কৃতির অন্তরালের অপসংস্কৃতি শুধু আমাদের চিন্তা-চেতনার পরিপন্থী নয় বরং তা অনুসরণ করলে নৈতিক অবক্ষয়ের শেষ সীমায় পৌঁছে দেয় । পরিবেশ ভেদে সে সংস্কৃতি তাদের জন্য যুঁতসই হলেও আমাদের দেশের মানুষের জন্য বিশেষ করে তরুন সমাজের জন্য ‘মৃত্যুকূপ’ । বাহ্যিক প্রগতির নামে আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীরা নিজেদের ঐতিহ্য আচারের চর্চা ভূলে সে অপসংস্কৃতির বেড়াজালে সমাজকে কলুষিত করে চলছে । সামান্য অর্থের লোভে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন চালিয়ে দেশের উঠতি বয়সের তরুন-তরুনীকে নৈতিক এবং শারীরীকভাবে ধ্বংসের মূখোমূখি দ্বার করাচ্ছে । কুটিলতা,অবিশ্বাস, দ্বন্দ্ব এবং মিথ্যা ভিত্তির উপর সমাজের ইমারত তৈরি করছে । যে ইমারত আপাত দৃষ্টিতে মনো-দৈহিক সূখের সন্ধান দিলেও অচিরেই ঘোর অমানিষায় নিভিয়ে দিবে জাতির আশার প্রদীপ । বিদেশী অপসংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণের বর্তমান মাত্রা চলতে থাকলে অতিশীঘ্র সমাজে ধ্বংস স্তুপের বোঝা কেবল দীর্ঘায়ীত-ই হবে না বরং দূর্গন্ধও ছড়াবে । সময় তার আপন গতিতে বয়ে যাওয়ার সাথে সাথে অপসংস্কৃতির মূল শক্ত অবস্থানে স্থান করছে অথচ কর্তৃপক্ষ নির্বিকার । অপসংস্কৃতির এ আগ্রাসনে গা ভাসিয়ে দিয়ে যে ফল অর্জিত হবে তার কিছুটা প্রকাশ পেতে শুরু করেছে । অপসংস্কৃতির আগ্রসনের কবলে দেশীয় সংস্কৃতি বিদায়ের পথে । দেশীয় উদ্যোক্তারা কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে অনুষ্ঠান নির্মান করলেও অপসংস্কৃতির তান্ডবলীলায় তা ব্যবসায়িকভাবে সফল হচ্ছে না । কাজেই দেশীয় উদ্যোক্তারাও হাল ছেড়ে দিতে শুরু করেছে । অচিরেই যদি সকল অপসংস্কৃতির মায়াজাল থেকে মুক্তি নিয়ে দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা শুরু না হয় তবে আগামী প্রজন্ম যেমন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হবে তেমনি হাজার বছরের লালিত দেশীয় ঐতিহ্য, সভ্যতা ও কৃষ্টির ছিঁটেফোঁটাও অবশিষ্ট থাকবে না ।
প্রগতির নামে উন্নত বিশ্বের দেশ সমূহের অপসংস্কৃতি আমাদের দেশের দর্শকদেরকে যতোটা প্রভাবিত করেছে তার চেয়ে নৈতিক অবক্ষয়ের শীর্ষস্থানে অবস্থান করা ভারতের অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে দেশের সর্বনাশের ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে । ভারতের বস্তাপঁচা সকল অপসংস্কৃতির মধ্যে বিশেষ করে বাংলা চ্যানেল জি বাংলা, স্টার জলসা, ইটিভি এবং হিন্দি চ্যানেল জিটিভি ও স্টার প্লাসে প্রচারিত কুরুচীপূর্ণ সিরিয়ালগুলো নৈতিক অবক্ষয়ের পিছনে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করছে । অথচ আমাদের দেশের মানুষ বিশেষ করে মহিলারা এবং উঠতি বয়সের তরুন-তরুনীরা মন্ত্র মুগ্ধের মত সব কাজ বাদ দিয়ে দিনের বেশিরভাগ সময় এ সিরিয়ালগুলো দেখে ব্যয় করে । এ সিরিয়ালগুলোতে ইতিবাচক শিক্ষণীয় বিষয় খুব একটা না থাকলেও নেতিবাচক শিক্ষণীয় বিষয়ের অভাব নেই । উঠতি বয়সের তরুন-তরুনীরা যৌবনের সুরসুরি প্রাপ্তির আশায় এবং মিথ্যা কূট-কৌশল শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে এ সিরিয়ালগুলোতে চোখ রাখছে । অপরদিকে পরিনত বয়সের মহিলার দাম্পত্য জীবনে একে অপরের প্রতি আস্থাহীনতা, অবিশ্বাস, পরকীয়া, পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং সম্পত্তির একক অধিকারী হওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা অর্জন করছে । অপরদিকে দীর্ঘ কয়েক বছরব্যাপী চলতে থাকা সিরিয়ালগুলোতে হিন্দু ধর্মের চর্চা এবং ইসলাম ধর্মের অবমাননা অহরহই ঘটছে । এসকল সিরিয়ালগুলোতে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যে পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করে তা অনুকরণের প্রতিযোগীতায় আমাদের দেশের মানুষের আত্মহত্যা কিংবা তালাকের মত ঘৃণিত ঘটনাও ঘটেছে । এ সিরিয়ালগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রয়োগের ফলে পারিবারিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে এবং অশান্তির চরমমাত্রা যোগ হয়েছে । বিবাহ বিচ্ছেদের মাত্রা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে এবং স্বামী কর্তৃক স্ত্রী কিংবা স্ত্রী কর্তৃক স্বামী নির্যাতনের সংখ্যাও মারাত্মক আকার ধারন করেছে । ভারতীয় সিরিয়ালগুলো আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে এমনভাবে শিকড় প্রথিত করেছে যার কারনে আমাদের মধ্যে ন্যায়-অন্যায়ের বিচারবোধ লোপ পেয়েছে এবং অপরাধকর্মের দিকে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে । পরকীয়ার মত জঘন্য ব্যাভিচারের শিক্ষাও দিচ্ছে অপসংস্কৃতিতুল্য সিরিয়ালগুলো ।
সরকারী তত্ত্ববধানে পরিচালিত বিটিভি এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ডসহ দেশে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ৩০টির অধিক টিভি চ্যানেল চালু আছে । এ সকল টিভি চ্যানেল প্রতিদিন দেশ-বিদেশী সর্বশেষ খবর ছাড়াও আমাদেরকে সিনেমা, নাটক সিরিয়াল, স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান, বিনোদনমূলক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, টক শোসহ পাঠকদের চাহিদা মেটানোর জন্য তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে অনুষ্ঠান নির্মান এবং তা প্রচার করে থাকে । দর্শক শ্রোতাদের রুচির ভিন্নতার কারনে এসকল টিভি চ্যানেল তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । তবে তাতে লাভ খুব বেশি হয় না বললেই চলে । কারন দেশের টিভি দর্শকদের দুই-তৃতীয়াংশ নারী এবং তাদের প্রায় সকলেই দেশীয় টিভি চ্যানেলগুলোর প্রতি ভূলেও চোখ রাখেন না বরং সর্বদা ভারতীয় বাংলা এবং হিন্দি সিরিয়ালগুলোতেই তাদের চোখ নিবদ্ধ রাখে । নেশাগ্রস্থরা যেমন নেশা করতে না পারলে মানবিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলে তেমনি ভারতীয় সিরিয়ালগুলোর প্রতি আসক্তরা সিরিয়াল দেখতে না পারলে হিতাহীত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে । এ অবস্থায় দেখা দেয় পারিবারিক কলহ । এমন খবরও পাওয়া যায়, যারা সারাদিন ধরে চলতে থাকা সিরিয়ালগুলোর সরাসরি সম্প্রচার এবং পুনঃপ্রচারের সবগুলো পর্বই দেখে থাকেন । তাদের এ আসক্তি মাদকাসক্তদেরকেও হার মানিয়েছে । সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত চলতে থাকা বিভিন্ন সিরিয়ালগুলোর জনপ্রিয়তা ভেদে তরুন-তরুনীরা উপভোগ করে । এতে একদিকে যেমন তাদের যৌবনের দুরন্ত ঘোড়া ছুটতে চায় তেমনি তাদের পড়ালেখায়ও ভাটা পড়ে । ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা তাদের মা কিংবা পরিবারের বায়োজেষ্ঠ্যদের অনুসরণ করে শিশুকাল থেকে শিখে নেয় মিথ্যা বলা কিংবা প্রতরাণার কৌশল । তাদের এ আচরণ যখন পরিবারের গন্ডি পেরিয়ে সমাজের মানুষের সাথে ঘটতে শুরু করে তখন সমাজের ভিত্তি দাঁড়িয়ে যায় মিথ্যা কিংবা ধোঁকাবাজীর উপর । একে অপরকে প্রতারণা কিংবা ছলনার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ধ্বংস করে দেয় ।
ভারতীয় সিরিয়ালগুলো থেকে প্রাপ্ত অপসংস্কৃতির শিক্ষা প্রধানত তিনভাবে আমাদের ক্ষতি করছে । প্রথমতঃ সিরিয়ালগুলোতে ভরপুর থাকে পারিবারিক ও সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, প্রতিযোগিতা, প্রতিহিংসা এবং ঝগড়া । এ কার্যকলাপকে কেন্দ্র করে গোটা সিরিয়ালজুড়েই থাকে কূটবুদ্ধির চর্চা । প্রতিহিংসা একে অপরকে ধ্বংস বা হত্যা অথবা ষড়যন্ত্রের পর্যায় রূপ নেয় । এ সকল ঝগড়া কিংবা কূটবুদ্ধির কার্যকলাপ দেখে আস্তে আস্তে আমাদের প্রবৃত্তির মধ্যেও প্রবেশ করে ঐ সকল অনৈতিক কর্মকান্ড । ফলে দেখা যায়, প্রতিহিংসার জন্ম হয় মা বেটির মধ্যে, বোনে-বোনে, ভাইয়ে-ভাইয়ে, বাপ-বেটায়, স্বামী-স্ত্রীতে, বউ-শ্বাশুড়ীতে, বউ-ননদসহ পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের মধ্যে । সব মিলিয়ে এ পারিবারিক দ্বন্দ্ব যেন আমাদের পারিবারিক প্রথাকেই হেয় করে প্রস্ফুটিত করা এসব সিরিয়ালের উদ্দেশ্য । দ্বিতীয়তঃ পরকীয়া । এক নারীর সাথে একাধিক পুরুষের দৈহিক সম্পর্ক, বিবাহ বর্হিভূত মেলামেশা আবার একাধিক নারীর সাথে এক পুরুষের দৈহিক সম্পর্ক ও মেলামেশাকে কেন্দ্র করে কাহিনী আবর্তিত হয় এ সকল সিরিয়ালগুলোতে । এগুলোকে কেন্দ্র করে পারস্পরিক বিশ্বাসের পরিবর্তে সৃষ্টি হয় সন্দেহের । স্ত্রী স্বামীকে, স্বামী স্ত্রীকে সন্দেহ করে । ফলে সূখের সংসারে আগুন লাগে । মাতালের মত আগ্রহ নিয়ে এইসব সিরিয়ালের কাহিনী পর্যবেক্ষনের কারনে আমাদের সমাজেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে । স্বামী তার স্ত্রীকে বিশ্বাস করতে পারছে না কিংবা স্ত্রীও তার স্বামীকে বিশ্বাস করতে পারছে না । ঘরে ঘরে এমন সন্দেহ দেখা দিয়েছে কেবল এ টিভি সিরিয়ালগুলোর বদৌলতে । ভারতীয় সিরিয়ালগুলোর প্রভাবেই বিশ্বাসের জায়াগা, মহব্বতের জায়গা, একে অপরের অধিকারের জায়গাটা পূর্বের মত আর থাকছে না । মাসের পর মাস, বছরের পর বছরজুড়ে চলতে থাকে একেকটি ভারতীয় সিরিয়াল । যার পুরোটা জুড়েই আবর্তিত থাকে পরকীয়া । স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস, ভালবাসার মধ্য দিয়েই পৃথিবীতে গড়ে উঠেছে মানব সভ্যতা এবং শান্তির আবাসস্থল । বিশ্বাস না থাকলে বাস্তবে পৃথিবীতে কোন সভ্যতাই গড়ে উঠত না । মানুষের সেই ভরসাস্থল বিশ্বাসকেই যেন ভেঙ্গে দিতে চাচ্ছে অপসংস্কৃতিতে মোড়ানে এ সিরিয়ালগুলো । তৃতীয়তঃ ধর্ম । সকল দ্বন্দ্ব থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য নায়ক বা নায়িকার শেষ আশ্রয়স্থল ধর্ম । ভারতীয় বাংলা বা হিন্দি সিরিয়ালগুলোতে দেখা যায় নায়ক বা নায়িকা যখন চরম সমস্যা সঙ্কুল পরিস্থিতিতে পতিত হয় তখন সংশ্লিষ্ট চরিত্রের অভিনেতা কখনো দেবী দূর্গার কাছে, কখনো কালীর কাছে, কখনো স্বরস্বতীর কাছে, কখনো গণেশ কিংবা অন্য কোন দেবতার দ্বারস্থ হয় । সিরিয়ালের শেষ মীমাংসাও হয় ধর্মে । বাস্তবে কৌশলে সিরিয়ালগুলোতে তারা তাদের দেশের অর্থ্যাৎ হিন্দু ধর্মের আচার-অনুষ্ঠানকে প্রচার করে থাকে । ভারতীয় সংস্কৃতির প্রভাবে বাংলাদেশের মানুষেরা বিশেষ করে নারীরা ইসলাম ধর্মের নিয়মকানুন থেকে প্রতিনিয়ত দূরে সরে যাচ্ছে । অপরদিকে যত খারাপ চরিত্রের লোক হোক তাদেরকে ধর্মীয় পোশাক পরিধান করিয়ে উপাস্থাপন করা হয় । যাতে ইসলাম ধর্মের প্রতিও মানুষের খারাপ ধারনা সৃষ্টি হচ্ছে ।
সময় এসেছে সমাজকে বদলে দেবার । পাখি নামক পোশাকের চাহিদায় কারো মৃত্যু কিংবা স্বামীকে হুমকি দিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়া কোন স্বাভাবিক বিষয় নয় । এটা ভারতীয় অপসংস্কৃতির উন্মেষের সূচনা মাত্র । কোন জাতির বিবেককে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য সে জাতির সাংস্কৃতিক অঙ্গন দখল করা সর্বাগ্রে জরুরী । ভারতীয় অনুষ্ঠান নির্মাতারা তাদের সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে তাদের অনুষ্ঠান নির্মান করছে । এ সকল অনুষ্ঠান ভারতীয় নাগরিকরা না দেখলেও আমরা মাতালের মত উপভোগ করে চলেছি । যার কুফলও সমাজ পেতে শুরু করেছে । ভারতে বাংলাদেশের কোন চ্যানেল প্রদর্শিত না হলেও আমরা নির্লজ্বের তাদের ডজন খানেক চ্যানেল দেখে বৃথা সময় নষ্ট করছি এবং আমাদের মানবিক গুনগুলো ধ্বংস করছি । উপরন্তু বছর শেষে কোটি কোটি টাকা তাদের ক্যাবল ভাড়া দিতে হচ্ছে । আর কত ? নিজেদের ক্ষতির হিসাবটা যদি নিজেরা করতে না পারি তবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারব কি ? ভারতীয় এ সকল অপসংস্কৃতির প্রচারক চ্যানেলগুলো বন্ধে মাননীয় তথ্য মন্ত্রী সর্বাধিক ভূমিকা পালন করতে পারেন । শত আন্দোলন কিংবা সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান প্রচার করেও নারী এবং যুবক-যুবতীদের এ চ্যানেল থেকে বিমূখ করা যাবে না যতক্ষণ চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার চিরতরে বাংলাদেশে বন্ধ করা না যাবে । সুতরাং সবার মঙ্গল বিবেচনায় এ সকল চ্যানেলের নগ্ন আগ্রাসন বন্ধ করা সময়ের বড় দাবী । কাজেই যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যতœবান হবেন বলেই আশা রাখছি ।
রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।
©somewhere in net ltd.