নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা দেশের জাতীয় পাবলিক পরীক্ষাসমূহের । একের পর এক অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্ম দিয়ে একেকটি পাবলিক পরীক্ষার সমাপ্তি হচ্ছে । মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তার দায়িত্বকে বিতর্কমুক্ত রাখতে চাইলেও তার অধীনস্ত কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অনৈতিক পদচারণা দেশের শিক্ষা বিভাগকে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে । তবুও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী দমবার পাত্র নহে । ‘পাছে লোকে কিছু কয়’ নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে শিক্ষামন্ত্রী নিরলস পরিশ্রম করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে উন্নীত করতে চাইছেন । তিনি তার লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য কয়েক দাপ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছেন । স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের অন্য সকল শিক্ষামন্ত্রী চেয়ে তিনি নিজেকে সফলভাবে উপস্থান করে দেশবাসীর কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছেন । দেশে শিক্ষিতের হার বাড়াতে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য । শিক্ষার মান বেড়েছে কিংবা কমেছে সে প্রশ্নের উত্তর না খুঁজে যদি প্রশ্ন করা হয় দেশের বর্তমান শিক্ষা পরিস্থিতি কেমন ? তবে কোন প্রকার চিন্তা ছাড়াই বলা যাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের তরুন প্রজন্মের শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত হবে । প্রশ্নফাঁস, নকলসহ আরও কিছু ভয়াবহ বিতর্ক প্রতিটি পরীক্ষার সাথে ওঁৎপ্রতোভাবে জড়িয়ে থাকার কারনে দেশের অনেক শিক্ষাবিদদের মধ্যেই শঙ্কা কাজ করছে । অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী মনেপ্রাণে চেষ্টা করছেন তার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রনালয়ের সকল বিতর্ককে ধুঁয়ে মুছে দেশের শিক্ষাকে তিনি মানসম্মত ভিত্তির উপর দাঁড় করাবেন। শিক্ষামন্ত্রীর এ প্রচেষ্ট মহোত্তম কিন্তু যতদিন পারিপার্শ্বিক দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব না হবে ততদিন কোন সমস্যাই চিরতরে উৎখাত করা আদৌ সম্ভব হবে না । যারা প্রশ্নপ্রণয়নসহ পরীক্ষা পরিচলানার সাথে সম্পৃক্ত তারা যতদিন নিজেদেরকে শোধরাতে না পারবে ততদিন নুরুল ইসলাম নাহিদসহ আগামীতেও যতজন শিক্ষামন্ত্রী আসবেন তাদের কারো একক প্রচেষ্টাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা নকল প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না ।
চলতি বছরের ৩রা এপ্রিল থেকে ১৬ই জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা । এ পরীক্ষায় ৮ হাজার ১০৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৩৫২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছিল । ১৩ই আগষ্ট প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৮লাখ ৮৫ হাজার ৭০ জন পরীক্ষার্থ কৃতকার্য হয়েছে । এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ হাজার ৬০২ জন পরীক্ষার্থী । এ বছরের পাশের হার ছিল ৭৮.৩৩% । প্রকাশিত ফলাফলে সবচেয়ে আশাজাগানিয়া হল, মেয়েদের পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ পক্ষান্তরে ছেলেরা ৭৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ । তবে পাশের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এ বছর ২ লাখ ৪৪ হাজার পরীক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হয়েছে । বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হওয়া যে কোন মুল্যায়নে হতাশাজনক । মাত্র দুই বছর পূর্বে যারা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে তাদের কলেজ জীবনের প্রথম পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া প্রমান করে এ সময়ের পড়াশুনায় কোথাও না কোথাও ঘাটতি ছিল । ২০১৩ সালের চেয়ে এ বছর পাশের হার বেড়েছে ৪.৩% এবং জিপিএ-৫ সংখ্যা বেড়েছে ১২ হাজার ৪০৫টি । ২০১৪ সালের এইচএসসি ও সমামানের পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৮ কর্মদিবসের পরে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ১০টি শিক্ষা বোর্ডের পাশের হার ছিল যথাক্রমে, ঢাকা বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ , রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৪ দশমিক ১৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭১ দশমিক ৭৫ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭০ দশমিক ১৪ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭০ দশমিক ০৬ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৬০ দশমিক ৫৮ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৯ দশমিক ১৬ শতাংশ, কারিগরি বোর্ডে ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৯৪ দশমিক ০৮ শতাংশ । দেশের দশটি বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে যথাক্রমে- ঢাকা বোর্ডে ৩১ হাজার ৯০২ জন, রাজশাহী বোর্ডে ৭ হাজার ৬৪১ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ২ হাজার ৬৪৬ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ২ হাজার ৬০০ জন, যশোর বোর্ডে ৪ হাজার ২৩১ জন, বরিশাল বোর্ডে ২ হাজার ২২৫ জন, সিলেট বোর্ডে ২ হাজার ৭০ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৪ হাজার ৪৭৪ জন, কারিগরি বোর্ডে ৬ হাজার ৩৯৩ জন এবং মাদ্রাসা বোর্ডে ৬ হাজার ৪২০ জন । শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সবচেয়ে বড় প্রমান হল এবছর পাসের হার এবং জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে, অপরদিকে কমেছে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা । গতবছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৮৪৯টি কিন্তু এবার এ সংখ্যা বেড়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৪৭টি । শুন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গতবছর ২৫টি থাকলেও এ বছর তা ২৪টিতে নেমে এসেছে । এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে অনেক সফলতা ও আশার প্রতিফলন থাকলেও শহর এবং গ্রামের শিক্ষার মানে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষনীয় হয়েছে । পাশের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে শহরের পরীক্ষার্থীদের থেকে গ্রামের পরীক্ষার্থীরা অনেকে পিছিয়ে রয়েছে ।
প্রশাসনিক দূর্বলতার কারনে শিক্ষাব্যবস্থা ও পরীক্ষা পদ্ধতি সমালোচিত হলেও যে সকল শিক্ষার্থীরা ২০১৪ সালের ১৩ই আগষ্ট প্রকাশিত এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানানো রাষ্ট্রের একান্ত কর্তব্য । যারা এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছ তাদেরকে গোটা দেশবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা । তোমাদের সর্বোচ্চ সফলতা যেমন তোমাদের আগামী জীবনকে নির্ভার করবে তেমনি তোমাদের অভিভাবকসহ শিক্ষকমন্ডলীও তোমাদের কারনে ধন্য হয়েছে । তোমাদের শিক্ষক, পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজনের মূখে হাসির যে ফল্গুধারা তোমরা এনে দিয়েছে যে ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও ধারাবাহিক রাখবে বলে প্রত্যাশা থাকবে । জীবনে চলার পথের প্রথম সিঁড়ির দ্বিতীয় ধাপে তোমরা মজবুতভাবে পদার্পণ করেছে কিন্তু এখনো সিঁড়ির অনেকগুলো ধাপ পাড়ি দিতে হবে একথা কখনো ভূলে যেওনা । তোমাদের সার্বিক সফলতাই সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রত্যাশা । শিক্ষাজীবন সমাপান্তে রাষ্ট্রের কাছে তোমরা অনেকটা দায়বদ্ধ থাকবে সেটা স্মরণ রেখে তোমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সাজানোর জন্য অনুরোধ রইল । অন্যদিকে যে সকল শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করতে পারো নি কিংবা অকৃতকার্য হয়েছ তারা ভেঙ্গে পরোনা কিংবা হতাশ হয়োনা । পারিবারিক, সামাজিকসহ সকল প্রতিবন্ধকতা পায়ে ঠেলে দিয়ে আবারও দৃঢ় হও । যে সফলতা এ বছর তোমাদের নাগালে আসেনি সে সফলতা নিশ্চয়ই আগামীবার তোমাদের হাতের মুঠোয় আসবে । বর্তমান বিফলতাকে তোমাদের জন্য শিক্ষা হিসেবে নিয়ে এখান থেকে তোমরা ভালভাবে শিক্ষা গ্রহন করতে পার । বাস্তব শিক্ষার চেয়ে অন্য কোন শিক্ষা ততোটা কার্যকরী নয় । তোমাদের জীবনের এ ধাক্কা তোমাদেরকে বাকি জীবনে সফলতা এনে দিতে সাহায্যকারী হবে যদি তোমরা বুদ্ধিমান হও । অন্ধকারের পিছনেই আলোর অবস্থান জেনে আগামীর জন্য প্রস্তুত হও । তোমাদের বিফলতার দায়ভার কেবল তোমাদের নয় বরং রাষ্ট্রের প্রচলিত নীতিমালাও বহুলাংশে দায়ী । কাজেই সকল হতাশা বিদায় করে নিজেকে শক্ত করো এবং সফলতা অর্জনের যুদ্ধের জন্য আবারও প্রস্তুতি নাও ।
প্রত্যেকটি সফলতা অর্জনের পরেই মানুষের প্রত্যাশা বেড়ে যায় । শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাকরা তাদের সন্তানদেরকে উচ্চ এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছেন । এ বছর যে সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে তাদের সকলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ । জিপিএ-৫ প্রাপ্ত এবং জিপিএ-৫ এর কাছাকাছি পেয়ে যে সকল শিক্ষার্থীরা আছে তাদের সংখ্যার বিপরীতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যার পার্থক্য অনেক । কাজেই একথা বলতে দ্বিদ্বা নেই যে, জিপিএ-৫ পাওয়া সকল শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারবে না । একারনে অনেক শিক্ষার্থী জীবনের মূল্যবান একটি বছর বৃথা নষ্ট করবে কিংবা ইচ্ছার অমতে অন্যকোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে । সেশনজটের কারনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকতেই চায় না । বিত্তশালীদের অনেকেই তাদের সন্তানদেরকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করালেও সেখানকার শিক্ষার মান নিয়ে জন্মেছে নানা প্রশ্ন । শিক্ষামন্ত্রী জোড় দিয়ে বলেছেন, সিটের অভাবে কোন শিক্ষার্থী শিক্ষাহীন থাকবে না । মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কথা ঠিক কিন্তু তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভরসায় যেভাবে জোড় দিয়েছেন সেভাবে এখানে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথাগুলো কখনো বিবেচনা করেছেন কি ? সেশনজট, পরিবহন সমস্যা, ক্লাস রুমের সমস্যা, শিক্ষার পরিবেশ, আবাসিক সমস্যা, পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবসহ নানাবিধ সমস্যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জর্জরিত । কাজেই শিক্ষামন্ত্রী যদি উদ্যোগী হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন তাহলে তার প্রদত্ত চ্যালেঞ্জের মুল্য থাকবে ।
অতীতের সমস্যাগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুনো প্রতিটি বুদ্ধিমান মানুষের কর্তব্য । শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, প্রশ্নফাঁসের কোন প্রভাব রেজাল্টে পড়ে নি এবং সৃজনশীলতার জয় হয়েছে । এ বাক্যের কিছু অংশ মানা গেলেও পুরোটা মানা প্রায় অসম্ভব । এ বছর বিভিন্ন বোর্ডে যে ফলাফল অর্জিত হয়েছে তা আরও ভাল হত যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস না হত । প্রশ্নপত্র ফাঁস না হলে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কিছু কমে আসলেও পাশের হার কিছুটা বৃদ্ধি পেত । কেননা ভালছাত্ররা প্রশ্নপত্র ফাঁসের কল্যানে ভালো রেজাল্ট করেছে কিন্তু দুর্বল ছাত্রটি জন্য ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে যখন দেখেছে গত পরীক্ষাটির মত আজকের পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন পড়ে নি তখন সে ভেঙ্গে পড়েছে এবং ঐ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার যোগ্যতাও তার ছিল না । সুতরাং যে কোন মূল্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করে জাতির মেরুদন্ডকে রক্ষা করতে হবে । যেভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা এগুচ্ছে তাতে শিক্ষিতের হার শতভাগ নিশ্চিত করা গেলেও শিক্ষার মান নিশ্চিত হবে না । কাজেই বিশেজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহন এবং প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে কালো ভূতের কবল থেকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচাতে হবে । সকল বিতর্কের উর্ধ্বে অবস্থান করে বলা যায় ফলাফল সন্তোষজনক কিন্তু বিতর্ক যদি যৌক্তিক হয় তখন সন্তোষের শক্তি কমে আসে । কাজেই শিক্ষার সাথে সম্মৃক্ত সকল বিতর্ককে দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে । প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ সে চিন্তায় থেমে থাকলে চলবে না । সকল কাজের শুরুতেই সমালোচনা করা বাঙালির চিরাচরিত চরিত্র । কাজেই সমালোচনার জবাব দিয়েই সামনের দিয়ে এগুতে হবে । কিন্তু সে সমালোচনা যদি আলোচনার চেয়ে শক্তিশালী হয় তবে সে সমালোচনার পথ থেকে কিভাবে পরিত্রান পাওয়া যায় তার উপায় খুঁজতে হবে । মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তবে বিতর্কও কম হয়নি । সুতরাং শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগেই সকল বিতর্কের অবসান হবে বলে আশা রাখি । আগামীদিন থেকে শিক্ষাক্ষেত্রকে সকল বিতর্কের উর্ধ্বে কিভাবে রাখা যায় সে প্রচেষ্টাই যেন হয় আমাদের লক্ষ্য । জাতি যেন শুধু স্বাস্থ্যেই বেড়ে না ওঠে । স্বাস্থ্যের সাথে কিভাবে তার মেরুদন্ডকেও শক্তিশালী করা যায় সে ভাবনাই হোক সকলের ।
রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।
[email protected]
©somewhere in net ltd.