নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুগে যুগে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঙ্গনে অনেক বিস্ময়কর প্রতিভাবান মানুষের আগমন ঘটেছে । তারা তাদের প্রতিভার দ্যুতিতে সমাজ সংসারকে আলোকিত করেছেন । এ সকল প্রতিভাবানরা আপন কর্মের মাধ্যমে নিজেদেরকে যেভাবে অমর করে রেখেছেন তেমনি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রকে দিয়েছেন সঠিক গন্তব্যের দিশা । তবে সব ক্ষেত্রে কিছু কিছু ব্যতিক্রম নিয়ে সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে । এটা শ্বাশ্বত । সমাজে মানুষ বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে । মানুষের সে প্রতিষ্ঠার মাধ্যম যেমন ইতিবাচক হতে পারে তেমনি নৈতিবাচকও হতে পারে । শুধু রাজনৈতিক অঙ্গন ব্যতীত অন্য সকল ক্ষেত্রে মানুষকে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে প্রতিষ্ঠিত হতে হয় । তবে রাজনৈতিক অঙ্গনেও দু’ভাবেই মানুষ প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় । নৈতিবাচক পন্থায় রাজনীতিতে তাদের প্রতিষ্ঠা অনেক সময় তাদের উচ্চ মার্গে পৌঁছে দেয় । সমাজ কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বও পেয়ে বসে । তবে অযোগ্য লোক যখন রাষ্ট্রের গুরু দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় তখন তার মাধ্যমে সমাজের কল্যানের বিপরীতে অকল্যানই বেশি হয় । যদি সে ব্যক্তি সমাজে কল্যান প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে থাকে তবুও । তবে রাজনীতির অঙ্গনে সবাই নৈতিবাচকভাবে পদার্পণ করে না । বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনৈতিক পরিমন্ডলে এমন কিছু গুনী ব্যক্তিদের আবির্ভাব হয়েছিল কিংবা এখনো হচ্ছে যাদের কারনে মূলত সমাজের শৃঙ্খলা টিকে আছে। রাজনীতিতে এসকল গুনী ব্যক্তির সংখ্যাই বেশি । এসব তারকা ব্যক্তিত্ব তাদের কর্মের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থানকে গণমানুষের হৃদয়ের মণি কোঠায় পৌঁছাতে পেরেছে । শিক্ষা, বাক-সচেতনতা, সৌজন্যতা, কল্যানকামীতা, বংশীয় আভিজাত্য তাদেরকে তাদের স্বীয় কর্মস্থলে সফলতা পেতে সর্বোচ্চ সহায়তা করেছে । এরকম গুনী মানুষের সংখ্যা সমাজে নিছক কম নয় । এদের বদন্যতার কারনে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী মানুষের উল্লম্ফনের পরেও সমাজ কিংবা রাষ্ট্র ব্যবস্থা এখনো শক্তমূল নিয়ে টিকে আছে । তবে এসকল উদ্ভট শ্রেণীর মানুষের আচারণের কুফল থেকে সমাজের মানুষকে যদি মুক্ত রাখা না যায় তবে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি, রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা এবং গ্রহনযোগ্যতা, শ্রদ্ধা এবং মানগণ্যতা থেকে যোগ্য ব্যক্তিরাও বঞ্চিত হবে । কেননা সমাজিক ব্যবস্থার প্রগতিতে নগন্য সংখ্যক মানুষের অবিবেচনামূলক কার্যকলাপের দায়ভার গোটা সমাজের ভালো মানুষের কাঁধে ভর করে । দোষী ব্যক্তিদের কারনে নির্দোষ ব্যক্তিদেরকেও বিভিন্নভাবে খেসারত দিতে হয় । যখন এ ধরনের অনাকাঙ্খিত আচরণ রাজনৈতিক কোন দলের প্রথম সারির ব্যক্তিদের মাধ্যমে ঘটে তখন আকাশস্পর্শী জনপ্রিয়তা থাকার সত্ত্বেও সে রাজনৈতিক দলটিকে পিছনে ছিটকে দেয় । সমাজকে কলুষমুক্ত রাখতে কিছু ব্যক্তিদেরকে লাগামবদ্ধ করা দায়িত্বশীলদের কর্তব্য ।
মানুষের কথা তার জ্ঞানের মাপকাঠি । মানুষের রসনাকে তরবারীর সাথে তুলনা করা হয়েছে । কথা দিয়ে একজন মানুষকে হত্যা করা কিংবা জীবন দান করা যায় । মানুষের কথা বলার শক্তি তাকে অন্যান্য জীব থেকে পৃথক করেছে । বুদ্ধিবৃত্তির সাথে বাকশক্তির সমন্বয় মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব ঘোষণা করেছে । কথা বলার সে শক্তিকে অপব্যবহার করে যদি কোন ব্যক্তি নিজের পান্ডিত্য এবং কর্তৃত্ব জাহির করতে গিয়ে লাগামহীনভাবে কি বলছেন তার খেয়াল না রাখেন তবে তাকে কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করা যায় ? এ ব্যক্তিটি সাধারণ শ্রেণীর মানুষ হলে তাকে কিছু বলা যেত কিন্তু তিনি যদি মন্ত্রীপদমর্যাদার হন তবে তাকে কিছু বলার সাধ্যি এই ভূমে কার আছে ? বাংলাদেশের প্রায় সকল মন্ত্রী অল্প বিস্তরে সমালোচনার গন্ডির মধ্যে অবস্থান করলেও মাননীয় সমাজকল্যানমন্ত্রীর হালে একেবারেই পানি নাই । তার বিভিন্ন কর্মকান্ড এবং লাগামহীন কথামালার ফুলঝুড়িতে তিনি সমালোচনা মুক্ত হতে পারছেন না । হয়ত তিনি না চাইলেও সমালোচনা তার পিছনে দুর্বার গতিতে ছুটছে । সমাজকল্যানমন্ত্রী মহোদয়ের অসর্তকতায় এসকল কিছু ঘটছে নাকি তিনি আলোচনায় থাকার জন্য ইচ্ছা করে এমন প্রশ্নবিদ্ধ আচারণ করছেন তা একমাত্র তিনিই ভাল জানেন । অন্যান্য মন্ত্রীদের মত সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর আলোচনায় থাকার সুযোগ কম থাকায় এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা ব্যাপক আলোচনায় থাকায় তিনি ঈর্ষান্বিত হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু করছেন কীনা তাও অজানা ? তবে তার ইচ্ছা কিংবা মানসিক অবস্থায় যাই হোক, তিনি যা করছেন এবং বলে বেড়াচ্ছেন তা শুধু তার সুনাম ক্ষুন্ন করছে না বরং আওয়ামীলীগের একজন কর্মী এবং সরকারীদলের মন্ত্রী হিসেবে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন করছে । নিজের স্বার্থে না হোক অন্তত আওয়ামীলীগের স্বার্থেই তার এহেন আচরণ থেকে প্রত্যাবর্তন করা উচিত । বাংলাদেশের স্বণামধন্য, প্রাচীন এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের একজন প্রেমিক হিসেবে সঠিক প্রেম দিয়ে আওয়ামীলীগের মর্যাদা রক্ষা করা তার অবশ্য কর্তব্য । বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে সমাজকল্যানমন্ত্রীর বর্তমান কর্মকান্ড সত্যিই বেমানান ।
বিশেষ কয়েকটি কর্মকান্ড গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সমাজকল্যানমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীকে দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটে থাকবেন । তবে তাতে ভালবাসার চেয়ে ঘৃণার ছোঁয়াই বেশি । ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর এটা কোন পাগলে না জানে । অথচ কিছুদিন পূর্বে আমাদের সমাজকল্যানমন্ত্রী মহোদয় স্কুলের বাচ্চাদের একটি অনুষ্ঠানে হাজার মানুষের সামনে মঞ্চে বসে আরমসে ধুমপান করছিলেন । গ্রাম্য ভাষায় যাকে সুখটান বলা হয় । তিনি সিগারেট না বিড়ি টানছিলেন সেটা বড় কথা নয় তবে তিনি কোন স্থানে বসে এহেন গর্হিত কাজ করেছেন সেটাই মূখ্য বিষয় । ধুমপানের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় প্রকাশ্য ধুমপানকারীকে নগদ অর্থদন্ড বিধান করে বাংলাদেশে একটি আইন আছে । এ আইনটি প্রনয়ন করার অন্যতম কারন ছিল, ধুমপান শুধু ধুমপায়ীদের ক্ষতিগ্রস্থ করে না । ধুমপানে ধুমপায়ী যতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় ধুমপায়ীর পার্শ্বে অবস্থানকারী শিশু, নারী এবং অন্যান্যরা । কাজেই মানুষকে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সরকার উদ্যোগী হয়ে প্রকাশ্য এবং জনবহুল স্থানে ধুমপানকারীদের শাস্তি বিধান করছে । সরকারের প্রণীত এ আইন যদি সরকারের ভেতরকার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অবহেলা করে তবে দেশের অন্যান্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরকার কি আশা করতে পারে ?
কিছুদিন আগে দেশের একটি প্রাচীন পতিতালয় উচ্ছেদ করা হয়েছে । পতিতাদের অন্য কোন পেশায় স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত না করে কোন অবস্থায় পতিতালয় উচ্ছেদ করা উচিত হয় নি । কেননা আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এতটা উদার নয় যে, সমাজ পতিতাদের স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে, পতিতারা স্বাভাবিকভাবে সমাজের অন্যান্য মানুষের মত জীবন যাপন করতে পারবে কিংবা অন্যদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, সমালোচনামুক্ত থাকতে পারবে । পতিতাদের নৈতিক দাবীর পক্ষে অন্যকোন ব্যক্তি সমাজকল্যানমন্ত্রীর মতো আন্তরিক উদ্যোগ নেয়নি । কাজেই যৌক্তিক দাবী আদায়ের পক্ষে মত দিয়ে তিনি যেমন ধন্যবাদ পাওয়ার দাবীদার তেমনি আমাদেরও উচিত তাকে ধন্যবাদ দেয়া । তবে তিনি পতিতাদের কল্যান করতে গিয়ে এমন কথা বলে ফেলেছেন যা তার সকল অর্জনকে মুছে ফেলেছে । তিনি বলেছে, ‘যারা পতিতালয় উচ্ছেদ করেছে তাদেরকে ইসলামি আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিরোঃচ্ছেদ করা উচিত । অন্যকেউ না বুঝলেও তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, ইসলামী আইনের মাধ্যমেই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব । তবে তার আরও একটু বুঝা উচিত ছিল, ইসলাম পতিতালয় স্থাপন কিংবা পতিতাদের পক্ষে অবস্থান করা সমর্থন করে না । কাজেই যার ইসলাম ধর্ম সম্মন্ধ্যে অল্পবিস্তর ধারনা আছে তিনি পতিতাদের উচ্ছেদকারীদের ইসলামী আইনের মাধ্যমে শিরোঃচ্ছেদ করার আশা পোষণ করতে পারেননা । তবে সমাজকল্যানমন্ত্রী হিসেবে সমাজের কল্যানেই তিনি পতিতাদের সমাজের অন্য কোন সম্মানজনক পেশার জন্য বিবেচনা করতে পারেন । এটা করলেই তিনি সমাজের কল্যানকামী মন্ত্রীর সম্মান এবং শ্রদ্ধা সবার কাজ থেকে আশা করতে পারেন । স্রষ্টার পক্ষ থেকে ঘুম মানুষের এক পরম নেয়ামত । দেশের অনেকে আছেন যারা অনিদ্রায় ভোগেন । তবে সৈয়দ মহসীন আলী মাশাআল্লাহ ! দেশের অন্যতম সূখী মানুষ হিসেবে তাকে ধরা যেতে পারে । কেননা যিনি নিয়মিত ঘুমাতে পারেন না তিনি তো সূখী নন । পত্রিকা এবং টিভির মাধ্যমে দেশবাসী বারবার দেখেছে মাননীয় সমাজকল্যানমন্ত্রীর গভীর ঘুমের দৃশ্য । তবে এ দৃশ্য রাতে কিংবা বিছানায় নয় । সরকারী কিংবা দলীয় বিভিন্ন সভা-সেমিনারে প্রধান অতিথি, সভাপতি কিংবা আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে তিনি বারবার দেশবাসীকে শিখিয়েছেন কিভাবে ঘুমোতে হয় । সম্প্রতি অটিষ্টিক শিশুদের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি নির্বিঘ্নে ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন । অবশ্য তার এ ‘ঘুমন্ত’ উপস্থিতিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র তনয়া সালমা ওয়াজেদ পুতুল ভালো চোখে দেখেননি ।
অতীতেকৃত তার সকল কর্মকান্ড এবং কথাবার্তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে এক মহৎবানী ! তিনি গর্বভরে এবং কণ্ঠস্বরকে উঁচু করে বুক ফুলিয়ে দেশের সাংবাদিকদের চরিত্রহীন, লম্পটসহ আরও কিছু কুৎসিত ভাষায় গালি দিয়েছেন। তিনি দেশের একজন বিশাল ক্ষমতাধরমন্ত্রী । কাজেই তিনি যাকে যা ইচ্ছা তা বলতে পারেন ! তাকে আটকায় কে ? তবে সাংবাদিকরা তার অশ্রাব্য মন্তব্যকে সহজভাবে নিতে পারেননি । বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে সাংবাদিকরা তার পদত্যাগসহ প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবী করেছে । সরকারের উপরমহলের চাপ এবং সাংবাদিকসহ নিচু মহলের পরামর্শে অতীতের মত হয়ত তিনি আবারও ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যাবেন ! তবে তিনি যে সাংবাদিকদের লম্পট এবং চরিত্রহীন বলেছেন তার একটা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা আবশ্যক । সাংবাদিকরা কি আসলেই লম্পট এবং চরিত্রহীন ? ব্যাপারটি উল্টোভাবে ব্যাখ্যা করলে অবশ্যই সমাজকল্যানমন্ত্রীর দাবি সঠিক । লম্পটদের কার্যকলাপ এবং চরিত্রহীনদের চরিত্র উম্মোচিত করেন বলে সাংবাদিকরা এসকল উপাধি পাওয়ার যোগ্য ! কোন শক্তির কাছে মাথা নত না করে এবং কোন ক্ষমতাকে ভয় না করে সাংবাদিকরা আপন প্রানের শঙ্কা জেনেও সত্য সংগ্রহ এবং তা প্রকাশে অটল থাকেন । সাংবাদিকদের এ কর্মকান্ডে অনেক মূখোশধারী ভালো মানুষের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা ভন্ডের মুখগুলো প্রকাশ পায় । এসব ভন্ডদের অনেকেই বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের আত্মীয় স্বজন কিংবা আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ার কারনে আতে ঘাঁ লাগা অস্বাভাবিক নয় । সমাজকল্যানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তার প্রত্যাবর্তন আশু আবশ্যক । যে যাই বলুক সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীরা এদেশের সোনার সন্তান । তারা শত বাধা পেরিয়ে দূরকে আমাদের কাছে টেনে আনে । সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে । তাদের ত্যাগের মাধ্যমে আমরা ভালো মন্দের পার্থক্য জানতে এবং বুঝতে পারি । চরিত্রহীন এবং লম্পট শব্দদ্বয় আর যাদের সাথে হোক অন্তত সাংবাদিকদের সাথে যায়না ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের যোগ্য নেত্রী । নিশ্চয়ই তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আওয়ামীলীগের এবং তার সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হতে দিবেন না । কাজেই সমাজকল্যানমন্ত্রীসহ অন্য যে নেতাকর্মীদের কারনে আওয়ামীলীগের মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে তাদেরকে অচিরেই সাবধান হওয়ার সমন জারি করা আবশ্যক । যারা শপথ করেই দলের ক্ষতি করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে দল থেকে বহিস্কার করা আবশ্যক । গুটিকয়েক মানুষের জন্য গোটা আওয়ামীলীগের দুর্নাম হোক সেটা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয় । প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামীলীগের অন্যান্য নীতি নির্ধারকরা যতদ্রুত এটা অনুধাবন করতে পারবে ততই আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তার পরিসীমা দীর্ঘায়িত হবে । সুতরাং সিদ্ধান্ত ক্ষমতাশীনদের তবে মতামত জনতার ।
রাজু আহমেদ । কলাম লেখক ।
©somewhere in net ltd.