নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু আহমেদ । এক গ্রাম্য বালক । অনেকটা বোকা প্রকৃতির । দুঃখ ছুঁয়ে দেখতে পারি নি ,তবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুভব করেছি । সবাইকে প্রচন্ড ভালবাসি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারি না । বাবা এবং মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী ।

সত্যকা

সত্যকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ন্যায়সঙ্গত দাবীই ওদের অপরাধ ?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

রাইফেলের বাট দিয়ে মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন যায়গায় আঘাতের ওপর আঘাত করা, বেধরক লাঠিপেটা করে শরীররকে রক্তাক্ত করে ফেলা, দু’হাত দিয়ে শক্ত করে গলা চেপে রাখা, মেরে শরীরের জামা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে খুলে নেয়া, কথা বলার জন্য কোথাও দাঁড়াতে না দেয়া কিংবা গ্রেফতার করে হাজতে ভরে রাখা-পত্রিকার পৃষ্ঠা, টেলিভিশনের পর্দা এবং বাস্তব চোখে প্রত্যহ এমন দৃশ্যের স্বাক্ষী হচ্ছে হতে হচ্ছে এদেশের ১৬ কোটি মানুষকে । ওরা তো কোন অপরাধী-সন্ত্রাসী কিংবা রাজদ্রোহী নয়, তবে কেন ওদের সাথে এমন আচরণ করা হচ্ছে ? আমাদের সন্তান, ভাই-বোনদের কেন মারা হচ্ছে এ প্রশ্বের উত্তর কার কাছে পাওয়া যাবে ? যেহেতু ওদেরকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে সেহেতু ওরা নিশ্চয়ই অপরাধী ! ওদের অপরাধ ওদের যোগ্যতার পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তার হতে চায়, ওদের অপরাধ ওরা সারা বছর পড়া-লেখা করেছে কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্ন কিনতে সামর্থ হয়নি কিংবা কিনতে যায়নি । ২০১৫-১৬ সালের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তিচ্ছুদের কতিপয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ম্লান হয়ে গেছে । প্রতি বছর দেশের যে সংখ্যক শিক্ষার্থী সরকারী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়ে ডাক্তার হওয়ার সুযোগ পায় তার চেয়ে হাজারগুন বেশি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন বৈধভাবেই ম্লান হয়ে যায় । কিন্তু এ বছর ঘটেছে উল্টো ঘটনা । এ বছর অনেক শিক্ষার্থী ফাঁস হওয়া প্রশ্নের কল্যানে ডাক্তার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে এবং অনেক যোগ্য শিক্ষার্থীর স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে স্বয়ং রাষ্ট্র ! বিগত বছরগুলোতে দেশে ন্যাক্কারজনকভাবে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অসংখ্য ঘটনা ঘটলেও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে কোন ভর্তি পরীক্ষায় বিশেষ করে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় এমন বৃহদাকারে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা এটাই প্রথম । কাজেই যাদের লালিত স্বপ্নের অপমৃত্যু রাষ্ট্র ঘটিয়েছে তাদের প্রতিবাদ-আন্দোলনের মুখে রাষ্ট্রকে দাঁড় করানো অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে । এটা শুধু স্বপ্ন ভঙ্গদের আন্দোলন নয় বরং সামান্য নীতিবোধ যাদের আছে তাদের প্রত্যেকের এ আন্দোলনে শরীক হয়ে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে রাষ্ট্রকে রাজি করানো এবং ভবিষ্যতে আর যেনো কোনভাবেই কোন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে না পারে তার নিশ্চয়তা নিতে হবে । আশার কথা, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের বিমাতাসূলভ অবস্থানের পরেও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবী থেকে পিছু হটেনি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবি, লেখক-কলামিষ্টবৃন্দ মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এবং তারাও রাজপথে নেমে এসে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ।

১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল কিনা এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন বিবৃতি গণমাধ্যমে এসেছে । দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রনালয় দাবী করেছে, ভর্তিপরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি ।শিক্ষার্থীরা দাবী করছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে । সুতরাং বাইরের মানুষ বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে । প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল কিনা সে রহস্যের সমাধান সর্বাগ্রে প্রয়োজন । একজন শিক্ষার্থী মিডিয়াকে জানিয়েছে, তিনি পরীক্ষার আগেই ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পেয়েছেন এবং পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখেছেন সে প্রশ্নই শতভাগ নিশ্চত । সে শিক্ষার্থীর এ দাবীর ওপর আমাদের বিশ্বাস রাখা উচিত কিন্তু সত্য উদঘাটনের খাতিরে আমরা তার কথা আপাতত বিশ্বাসের বাইরে রাখলাম । এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয় ও মাননীয় মন্ত্রীর বিবৃতিকে যদি আলোচনায় আনি তবে দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন বিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ভর্তিপরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি । স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে সর্বশেষ যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতেও তারা বলেছে ভর্তিপরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন ঘটনা ঘটেনি । অন্যদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে এ সংশ্লিষ্ট একজন সহকারী পরিচালক, কয়েকজন ডাক্তারসহ বেশ কয়েকজনকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করেছে । তাদের কয়েকজনে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে । দূর্ভাগ্যজনকভাবে সেই সহকারী পরিচালক র‌্যাবের হেফাজতে মৃত্যু বরণ করেছে । কাজেই যারা গ্রেফতার হয়েছে, বিচারালয়ে তাদের স্বীকারোক্তি কিংবা অস্বীকারের পূর্ব পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল কিনা । কিন্তু এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তৃতা আপাতত গ্রহনযোগ্য । তিনি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন । যেহেতু রাষ্ট্রের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সকল দায়িত্ব তার কাঁধে ন্যস্ত কাজেই তার বিবৃতি সর্বাগ্রে প্রণিধানযোগ্য । অর্থ্যাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র নিশ্চিতভাবেই ফাঁস হয়েছিল । যেহেতু ভর্তি পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল কাজেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কোনভাবেই অযৌক্তিক কিংবা আইনবির্হভূত নয় । যে দাবী অযৌক্তিক নয় সে দাবী আদায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর রাষ্ট্র কেন লাঠিপেটা করবে ? যারা অন্তত পাঁচ-সাত বছর অদম্য স্পৃহা বুকে লালন করে সরকারী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে ডাক্তারী পড়ার স্বপ্ন আঁকড়ে রেখেছিল তাদের সে বৈধ সুযোগটুকু তো রাষ্ট্র দিলোই না বরং আহত হয়ে তাদেরকে একাংশকে হাসপাতালেই অবশেষে ভর্তি হতে বাধ্য করলো । হাসপাতলে এ ভর্তি ডাক্তার হওয়ার জন্য নয় বরং ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয়ার জন্য !

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বছরে ডাক্তারী পড়ার সুযোগ প্রাপ্তদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের কটুক্তি, হাসি-তামাশার ব্যঙ্গচিত্রসহ বহু ধরণের ইঙ্গিতপূর্ণ কথা প্রত্যহ প্রকাশ করছে এবং আমরা দেখছি-শুনছি । এমন ঢালাও কটাক্ষের মোটেই পক্ষপাতী আমি নই । যারা ডাক্তারীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে তাদের মধ্যে সবাই যে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের কল্যানে এ সুযোগ পাচ্ছে এমনটা ভাবার অবকাশ নাই । এদের মধ্যে বেশিরভাগেই মেধা ও যোগ্যতার বলে সুযোগ পেয়েছে বলে দৃঢ় বিশ্বাস । যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের কল্যানে ডাক্তার হওয়ার সুযোগ পেয়েছে তাদের সংখ্যাটা নেহায়েত কমই হবে কিন্তু মাত্র গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর জন্য পুরো ব্যাচটাকে দোষারোপ করা আদৌ উচিত হবে না । অবশ্য প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে যদি একটি মেধাহীন-অদক্ষ ছেলে আরেকটি মেধাবী-দক্ষ ছেলের জায়গা দখল করে তবে সে দায় অবশ্য অবশ্যই রাষ্ট্রের । এক্ষেত্রে রাষ্ট্র তার স্বচ্ছতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে । কাজেই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবী মেনে নিয়ে আবার নতুন করে ভর্তি পীরক্ষার আয়োজন করলে সেটাতে দায়িত্বশীলদের কোন পরাজয় ঘটবে বলে মনে করা উচিত নয় বরং নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার সদিচ্ছা যে কর্তৃপক্ষের রয়েছে সেটাই নতুনকরে প্রমাণ হবে । প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে মূলত মেধাবীদের গলায় ফাঁস দেয়া হয়-স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটানো হয় । কল্যানকামী কোন রাষ্ট্র থেকে এমন ঘটনা আশা করা যায়না অথচ কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় আমরা বারবার এমন অনাকাঙ্খি ঘটনার কালো অধ্যায়ের স্বাক্ষী হচ্ছি ।

‘ধুমপায়ীরা ডাক্তারীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে না’-মন্ত্রী মহোদয়ের মুখ থেকে এ কথা শোনার চেয়ে আমরা শুনতে চাই-ফাঁস হওয়া প্রশ্নের আশীর্বাদে যারা ডাক্তার হওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছে তাদের কেউ ডাক্তারীর মত গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যা অধ্যয়ণের সুযোগ পাবে না । কলা বা ব্যবসা অনুষদের মত ডাক্তারী বিদ্যা নয় । এ বিদ্যা মানুষের জীবন বাঁচানোর বিদ্যা । সুতরাং এখানে ছেলেখেলার কোন সুযোগ নাই কিংবা রাখতেও দেয়া উচিত নয় । ফাঁস হওয়া প্রশ্নের কল্যানে না হয় রাষ্ট্র মেধাহীনদের ডাক্তার পদমর্যাদায় উন্নীত করল কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচানোর অপারেশন, সুস্থ করার প্রেসক্রিপশন তো আর ফাঁস হওয়া কোন মাধ্যমে দেয়া যাবে না ! সুতরাং গণমানুষের স্বার্থ বিবেচনায় মেধাবী-দক্ষদের ডাক্তার হওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হোক । ‘যদি হয় প্রশ্ন ফাঁস, পড়ব কেন বারো মাস’-শিক্ষার্থীরা যখন এই ধরণের স্লোগান ব্যানারে লিখে তা নিয়ে রাজপথে নামে তখন তা দেশের শিক্ষা ও ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক শঙ্কার ইঙ্গিত দেয় । আমরা এদেশের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত হতে চাই না বরং সম্ভাবনা দেখতে চাই । তবে সে সম্ভাবনার দ্বার কোন অবস্থাতেই ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারীতে সুযোগ পেয়ে কিংবা অনৈতিকভাবে ডাক্তার হওয়াদের দ্বারা উম্মোচিত করা যাবে না ।

মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ন্যায় ও যৌক্তিক আন্দোলনের পরিণতি কি হবে তা অচিরেই জানা যাবে কিন্তু কোন অবস্থাতেই যেন শিক্ষার ওপর কলঙ্কের আছড় লাগতে দেয়া না হয় । শিক্ষায় ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনের সময় যেমন ছাত্রলীগের নেতৃবর্গ ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন তেমনি আবারও তাদের যৌক্তিকতার পক্ষে চাই । শিক্ষার্থীদের রক্তে যেন রাজপথ রঞ্জিত করা না হয় । যারা আজ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত করছেন, আহত করে হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন তাদের কোন এক দূর্বল অবস্থায় এই সব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন যে হবে না তার নিশ্চয়তা কে দিতে পারে ? কাজেই আর মারবেন না । কাদেরকে মারছেন ? ওরা আমাদের সন্তান আমাদের ভাই-বোন । আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়নি এমন কোন সমস্যার জন্ম আজ অবধি পৃথিবী হয়নি । এ সমস্যারও সমাধন হবে । মাঝপথে যেন ক্ষত সৃষ্টি না হয় । সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকুক যাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বই-খাতা, কলমের সান্নিধ্যে যেতে পারে । ওরা পড়তে চায়, চায় মানুষের মত মানুষ হতে । রাষ্ট্র যেন ওদের সে স্বপ্ন কেড়ে না নেয় । এ সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি । আমরা দেখেছি, অন্যান্য কতিপয় বড় নেতাদের মত সর্দি-জ্বড় হলেই প্রধানমন্ত্রী বিদেশি ডাক্তারদের কাছে ছুটে যাননা । কাজেই তিনি নিশ্চয়ই বুঝবেন, কারা ডাক্তার হলে দেশের মানুষের মঙ্গল হবে ।

রাজু আহমেদ । কলামিষ্ট ।
facebook.com/rajucolumnist/

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

কানিজ রিনা বলেছেন: আসলে আমাদের মায়ের মনতো,তাই রাসতায় কষট
করে দাবী আদায় করতেগিয়ে মারদর খাছচে। আমাদের মায়েদের বুক ফেটে চৌচীর হয়ে হয়ে চোখ
দিয়ে রকত ঝড়ছে। মাননীয় শেখহাসীনা অতিসওর
আপনার হসতখেপ আশা করছি। আপনার নাতীদের
আর মশকরা করেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.