![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাই পরিবর্তন , চাই নতুন চিন্তা চেতনা, চাই ১৬ কোটি মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা, চাই ভন্ড প্রতারকদের চির অবসান, দুর্নীতি সন্ত্রাস ভন্ডামি যুক্ত রাজনীতি মুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ। এগিয়ে এসো ৭১ পরের প্রজন্ম । মেলাও হাত, কর পন । দেশ আমার মাটি আমার । আমরা দেশ মাটি ও মানুষকে । প্রচলিত নোংরা রাজনীতি থেকে রক্ষা করব। আসুন পুরাতন আবর্জনা পরিষ্কার করে রাজনীতিতে । মেধাবী শিক্ষিত যোগ উপযোগী মন মানসিকতা সম্পন্ন ।নতুন মুখের সন্ধান করি । গরে তুলি আধুনিক সোনার বাংলা ।
কিউবায় কমিউনিস্ট বিপ্লবের ৫৬ বছর চলছে। বিপ্লবীরা অনেকেই এখন কর্মজীবন থেকে অবসরে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তাঁদের স্মৃতিতে সুখের পাশাপাশি কিছু পরিতাপও আছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির সঙ্গে আলাপকালে ৬৯ বছর বয়সী সাংবাদিক-লেখক ম্যানুয়েল হুয়ান সোমোজা বলেন, ‘আমরা সেই প্রজন্মের অংশ ছিলাম, যারা সবকিছু বদলে দিয়েছে, তা ছিল রোমান্টিক, এ নিয়ে বিতর্কও ছিল।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেসাস আর্বোলিয়া (৬৭) স্মৃতির দুয়ার খুলে বলতে থাকেন, কিউবাকে ভিন্নভাবে গড়তে তরুণ আইনজীবী ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে বিপ্লবী প্রজন্ম কঠোর সংগ্রাম করে। এরপর কিউবাকে তারা আমেরিকার একমাত্র কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করে।
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের ভাষ্য, জয়ের ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন। তাঁরা যা করেছেন, তা সঠিক ছিল বলে মনে করেন তিনি।
ষাট ও সত্তরের দশকে বিপ্লবী প্রজন্ম কিউবার বিভক্ত ও অসম সমাজকে সমতায় আনতে চেষ্টা করে। তারা অশিক্ষা দূর করতে জাতীয় পর্যায়ে প্রচার শুরু করে। ছাত্রদের সংগঠিত করে। খাদ্য সংগ্রহ করে।
কিউবার সেই বিপ্লবী প্রজন্মের সদস্যদের বয়স এখন ষাটের কোঠায়। দেশটিতে পরিবর্তন আনতে পেরে তাঁদের অনেকেই গর্বিত। কিন্তু তাঁরা যে সব ঠিকমতো করতে পেরেছেন, তা তাঁরা মনে করেন না। কিছু ভুল যে হয়েছে, তা তাঁরা বুঝতে পেরেছেন।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেসাস আর্বোলিয়ার ভাষ্য, ‘আমরা সত্যিকার অর্থেই প্রতিশ্রুতিশীল ও আশাবাদী প্রজন্ম ছিলাম।’
জনসংখ্যাতাত্ত্বিক অ্যান্তোনিও আজা (৬১) বলেন, ‘আমাদের প্রজন্মের অনেক লক্ষ্য ছিল। অনেকই হবে। কিন্তু এর মধ্যে আমরা কিছু অর্জন করেছি।’
১৯৫৯ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিউবার সুসম্পর্ক ছিল। লাতিন আমেরিকার মান বিবেচনায় তখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে ছিল কিউবা। তবে সমতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো সামাজিক বিষয়গুলোতে পিছিয়ে ছিল দেশটি।
ঠান্ডাযুদ্ধের যুগে ওয়াশিংটনের চক্ষুশূলে পরিণত হয় হাভানা। দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে এই শত্রুতা জিইয়ে ছিল। এই কঠিন সময়ে বিপ্লবী প্রজন্মই ছিল কিউবার পরিবর্তনের সারথি।
দেশটিতে ১০ লাখেরও বেশি বিপ্লবী প্রজন্মের সদস্য আছেন। এই সংখ্যা কিউবার মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ। তাঁদের অনেকেই এখন প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ট্রো সরকারে আছেন।
বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় বিপ্লবী প্রজন্মের হাজারো সদস্য আছেন, যাঁরা তাঁদের পরিবারের প্রথম পড়তে জানা ব্যক্তি। শুধু পড়তে জানার মধ্যেই তাঁরা থেমে থাকেননি, উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখে তা অর্জনও করেছেন।
বিপ্লবে জয়ী কাস্ট্রোরা ২০১৮ সালে তাঁদের উত্তরসূরি প্রজন্মের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন এই প্রজন্ম সম্পর্কে বলা হচ্ছে ‘প্রতিষ্ঠানিক বিপ্লব। এই দলে নেতৃত্বে আছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডায়াজ-ক্যানেল। আছেন অর্থমন্ত্রী মারিনো মুরিলো ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজ।’
কিউবার অর্থনীতি এখন সংকটে আছে। হাভানার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিত্র ভেনেজুয়েলাও ঝামেলায় আছে।
কিউবার বিপ্লবী প্রজন্ম ন্যায়সংগত অবসরভাতা প্রত্যাশা করেন। দেশটির মানুষ বছরের পর বছর ধরে উন্নত জীবনযাত্রা আশা করেন। কিন্তু দেশটির সরকার সামাজিক পার্থক্যের অবনতি যেমন চায় না, তেমনি চায় না বিপ্লবের রাজনৈতিক অর্জনকে অবহেলা করতে।
গত বছরের ডিসেম্বরে হাভানার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ঘোষণা আসে। এরপর অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আশাবাদী হয়ে ওঠে কিউবা। কিন্তু দেশটির ওপর এখনো মার্কিন অর্থনৈতিক অবরোধ বলবৎ আছে। সামনে কী হবে, তাও অনিশ্চিত। যা কিছুই হোক না কেন, কিউবানরা এখনো কমিউনিস্ট নেতৃত্বে অবিচল। আর এর জন্য অন্তত তারা অনুতপ্ত নয়।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
রাজুমেহদী বলেছেন: আপনকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: বেশ তথ্য বহুল লেখা , আপ্নাকে ধন্যবাদ তথ্যগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।