![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাদিধে প্রক্রিতির একজন মানুষ। নিজে পুরোপুরি পজেটিভ তাই সবকিছু পজেটিভভাবেই চিন্তা করি। সৃষ্টিশীলতার প্রতি সম্মান দেখানো এই অধমের স্বভাব। সবার সুখে আমি সুখী আর সবার দুখে বড়ই কতর। পরিশেষে আবারো বলতে চাই সৃষ্টিশীলতার প্রতি সম্মান দেখানো এই অধমের স্বভাব ।
দেখতে দেখতে একটি বছর! সেই কবে ফেলে এসেছি শরতের শিশির ভেজা তৃণ আচ্ছাদিত শুভ্রস্নাত শীতের সকাল। ঘাসের ডগায় কয়েক ফোঁটা শীতের শিশির মনে করিয়ে দেয় 'জীবন সে তো পদ্মপাতার শিশির বিন্দু'। যখন হেমন্তের অলস সূর্যটা আরও কিছুটা হেলে পড়ে দক্ষিণ আকাশে। রোদের তাপে নেই সেই রাগী উত্তাপের ছোঁয়া। পরক্ষণেই রাতের কালো আকাশ চিরে নিঃশব্দে নেমে আসে কুয়াশার চাদর। হিম হিম ঠাণ্ডা আমেজ জড়িয়ে থাকে সকাল অবধি। খিড়কি খুলতেই চোখে মুখে পাই কনকনে হিম ভেজা বাতাসের ধাক্কা। সূর্যিমামা পূবাকাশে উকি দিতেই বাড়ির উঠোনে গিয়ে যখনই বসি। দেখি সঙ্গী হতে চায় রাতের বেলা টুপটাপ করে ঝরে পড়া নিশির শিশির। তার আরো নৈকট্য পাবার আশায় ছুটে যাই আমন ক্ষেতের পানে। দেখি গাছের ডগায় জমে থাকা শিশিরগুলো সূর্যালোক পেয়ে হিরকের ন্যায় জ্বলজ্বল করছে আর দূর হতে আমায় ইশারা দিচ্ছে। আমিও সাড়া না দিয়ে পারতাম না। তাইতো হেমন্তের সাড়াটা সকাল শুধু শিশির কনাই খুজেছি। আর আজ মনে হচ্ছে মনের কথাটি বুঝতে পেরেই কবি ঠিক বলেছিল বহুদিন ধরে, বহু ক্রোশ দূরে, বহু ব্যয় করি, বহু দেশ ঘুরে, দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু, দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে শুধু দু'পা ফেলিয়া, একটা ধানের শীষের উপর, একটি শিশির বিন্দু।
©somewhere in net ltd.