নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তাই এখন বলতেই পারি বেকার জীবন শুরু হয়ে গেছে ।

মোঃ এনামুল হক রাকিব

আমি এখনো বেকার

মোঃ এনামুল হক রাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাম নেই

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্ত ছেলেদের জীবনে অনেক গোপন চাওয়া থাকে । কিন্তু পরিবারের অবস্থা দেখে আর চাওয়ার সাহস হয়ে উঠে না । আর এই জিনিসটা আমাদের ছোটবেলা থেকেই করে আসি । এটা আমাদেরকে কেউ শিখিয়ে দেয় না এটা আমরা নিজে থেকেই শিখে নেই । অনেক বাস্তব কথা বলে ফেললাম এবার মূল কথায় আসি ।
আমার নাম গল্প । এখন বয়স প্রায় ২৪ । আমার যখন জন্ম হয় তখন আমার বাবা একটা ব্যাংকে চাকুরীরত । যা বেতন পেতেন তা দিয়ে আমাদের পরিবার কোন মত টেনেটুনে চলত । মা বেশি আদর করতেন যা এখনও করেন ।আর বাবা আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসলেও কখনও তেমন একটা প্রকাশ করতেন না যা এখনও চলছে ।

ছোট বেলার খেলনা গাড়ি কেনার খুব শখ ছিল কিন্তু বাবার কাছে ভয়ে চাইতে পারতাম না । কিন্তু সব আমার মা জানতো তিনিও টানাটানির সংসারে কথা ভেবে বাবাকে বলতে পারতো না । কিন্তু গাড়িতো একটা দরকার কি করা যায় তখন দেখলাম এলাকার কিছু পোলাপাইন তালের মাঝখান দিয়া লাঠি ঢুকিয়ে একধরণের গাড়ি বানায় । আমিও একটা এই রকমের গাড়ি বানিয়ে নিলাম । ভালোই চলল ২দিন । সমস্যাটা বাঁধলো এর পর ।বাবা আমাকে এই অবস্থায় দেখে আমার স্বাধের গাড়ি ফেলে দিলো আর আমাকে দিলো ভালো এক দফা মাইর । এ দেখে কোথায় মা থামাবেন তা না তিনিও দিলেন বাবার সাথে রাগ করে আমাকে মাইর । এ অবস্থা দেখে বাবা চলে গেলেন আর মা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো । তখন কি আর এই সব বুঝতাম । মজার কথা আমি প্রায় আমার বাবা মায়ের এই রকম রাগের শিকার হয়ে মাইর খাইতাম । পরে দেখতাম হয় মা নতুবা বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে । এখন মজা লাগে এই সব কথা মনে পড়লে ।

স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ক্রিকেট খেলা শিখলাম ।তখন মনে আছে আমার বাবা আমাকে একটা টেনিস বল কিনে দিছিলো কিন্তু ব্যাট কিনে দেয় নাই । খেলতে হলেতো ব্যাট ও প্রয়োজন । আমি তখন পোলাপাইনের দেখা দেখি নারকেল গাছের ডাল কেটে আমার ব্যাট বানিয়ে নিলাম । কিন্তু সেই ব্যাট আর আমার ২৩ বছর পর্যন্ত আর কেনা হয় নি সেটা কেনা হলো কিছুদিন আগে । আমার ছোট বেলার একটা স্বপ্ন পূরণ হলো ।একটা ব্যাডমিন্টন র‍্যাকেটের খুব স্বপ্ন ছিল তা আজও পূরণ করতে পারলাম না ।
আমি যখন প্রথম শ্রেণী তে তখন একবার তিনতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে পড়লাম নিচতলা তে । তখন আমার সামনের ৪টা দাঁত পড়ে গেছিলো । আমার বাবা অফিস হতে কাদঁতে কাদঁতে আসছিলো । আর মা কে বলছিলো ছেলেটাকে দেখে রাখতে পারো না । আমার মা কাদঁছিলো কিন্তু কিছু বলেন নাই । আমি আমার বাবার এই চেহারা আর কখনও দেখি নাই । তখনি ঐ ছোট্ট বুকে আর মাথায় ঢুকিয়ে নিছিলাম এরাই আমার পৃথিবী ।

আমাদের মতো ছেলেদের অনেক কিছুই না পাওয়া থাকে । এতে আমরা মাঝে মাঝে রেগে বলি কেন তারা দিতে পারে না কিংবা বলি কেন আমাকে এই পরিবারে পাঠালে আল্লাহ্‌ ? আমাদের এতো না পাওয়ার মাঝে ও সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো আমাদের কখন ও ভালোবাসার অভাব হয় না । অনেকে অপ্রাপ্তির মাঝেও আমাদের বড় প্রাপ্তি এটা । আমরা কখন ও ভালোবাসার অভাব বোধ করি না ।

আমার আছে মা বাবার অগাধ ভালোবাসা আরও আছে বোনাস স্বরূপ ছোটবোনদের ভালোবাসা । আর কি চাই । আমি এখন এতেই খুশি ।আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্ত ছেলেদের জীবনে অনেক গোপন চাওয়া থাকে । কিন্তু পরিবারের অবস্থা দেখে আর চাওয়ার সাহস হয়ে উঠে না । আর এই জিনিসটা আমাদের ছোটবেলা থেকেই করে আসি । এটা আমাদেরকে কেউ শিখিয়ে দেয় না এটা আমরা নিজে থেকেই শিখে নেই । অনেক বাস্তব কথা বলে ফেললাম এবার মূল কথায় আসি ।
আমার নাম গল্প । এখন বয়স প্রায় ২৪ । আমার যখন জন্ম হয় তখন আমার বাবা একটা ব্যাংকে চাকুরীরত । যা বেতন পেতেন তা দিয়ে আমাদের পরিবার কোন মত টেনেটুনে চলত । মা বেশি আদর করতেন যা এখনও করেন ।আর বাবা আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসলেও কখনও তেমন একটা প্রকাশ করতেন না যা এখনও চলছে ।

ছোট বেলার খেলনা গাড়ি কেনার খুব শখ ছিল কিন্তু বাবার কাছে ভয়ে চাইতে পারতাম না । কিন্তু সব আমার মা জানতো তিনিও টানাটানির সংসারে কথা ভেবে বাবাকে বলতে পারতো না । কিন্তু গাড়িতো একটা দরকার কি করা যায় তখন দেখলাম এলাকার কিছু পোলাপাইন তালের মাঝখান দিয়া লাঠি ঢুকিয়ে একধরণের গাড়ি বানায় । আমিও একটা এই রকমের গাড়ি বানিয়ে নিলাম । ভালোই চলল ২দিন । সমস্যাটা বাঁধলো এর পর ।বাবা আমাকে এই অবস্থায় দেখে আমার স্বাধের গাড়ি ফেলে দিলো আর আমাকে দিলো ভালো এক দফা মাইর । এ দেখে কোথায় মা থামাবেন তা না তিনিও দিলেন বাবার সাথে রাগ করে আমাকে মাইর । এ অবস্থা দেখে বাবা চলে গেলেন আর মা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো । তখন কি আর এই সব বুঝতাম । মজার কথা আমি প্রায় আমার বাবা মায়ের এই রকম রাগের শিকার হয়ে মাইর খাইতাম । পরে দেখতাম হয় মা নতুবা বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে । এখন মজা লাগে এই সব কথা মনে পড়লে ।

স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ক্রিকেট খেলা শিখলাম ।তখন মনে আছে আমার বাবা আমাকে একটা টেনিস বল কিনে দিছিলো কিন্তু ব্যাট কিনে দেয় নাই । খেলতে হলেতো ব্যাট ও প্রয়োজন । আমি তখন পোলাপাইনের দেখা দেখি নারকেল গাছের ডাল কেটে আমার ব্যাট বানিয়ে নিলাম । কিন্তু সেই ব্যাট আর আমার ২৩ বছর পর্যন্ত আর কেনা হয় নি সেটা কেনা হলো কিছুদিন আগে । আমার ছোট বেলার একটা স্বপ্ন পূরণ হলো ।একটা ব্যাডমিন্টন র‍্যাকেটের খুব স্বপ্ন ছিল তা আজও পূরণ করতে পারলাম না ।
আমি যখন প্রথম শ্রেণী তে তখন একবার তিনতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে পড়লাম নিচতলা তে । তখন আমার সামনের ৪টা দাঁত পড়ে গেছিলো । আমার বাবা অফিস হতে কাদঁতে কাদঁতে আসছিলো । আর মা কে বলছিলো ছেলেটাকে দেখে রাখতে পারো না । আমার মা কাদঁছিলো কিন্তু কিছু বলেন নাই । আমি আমার বাবার এই চেহারা আর কখনও দেখি নাই । তখনি ঐ ছোট্ট বুকে আর মাথায় ঢুকিয়ে নিছিলাম এরাই আমার পৃথিবী ।

আমাদের মতো ছেলেদের অনেক কিছুই না পাওয়া থাকে । এতে আমরা মাঝে মাঝে রেগে বলি কেন তারা দিতে পারে না কিংবা বলি কেন আমাকে এই পরিবারে পাঠালে আল্লাহ্‌ ? আমাদের এতো না পাওয়ার মাঝে ও সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো আমাদের কখন ও ভালোবাসার অভাব হয় না । অনেকে অপ্রাপ্তির মাঝেও আমাদের বড় প্রাপ্তি এটা । আমরা কখন ও ভালোবাসার অভাব বোধ করি না ।

আমার আছে মা বাবার অগাধ ভালোবাসা আরও আছে বোনাস স্বরূপ ছোটবোনদের ভালোবাসা । আর কি চাই । আমি এখন এতেই খুশি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.