স্মরণীয় একটা সকালের মুহুর্ত

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

সকালে নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে টেবিলের উপর থেকে টুপিটা হাতে নিয়ে মসজিদের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হলাম। তার পর হাটতে হাটতে দরজা এসে পূর্ব আকাশের দিকে তাকাতেই বুজে গেলাম নামাজের সময় শেষ।
ভাবছি, এখন আবার ঘরে পিরে যাব, নাহ ! এরকম একটা সময় ঘরে বসে কাটায়ে দেয়া ঠিক হবে না, আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় আকাশ যেন আমাকে ডাকছে সূর্যের রুপকে আমাকে দেখানোর জন্য। তাই সামনের দিকে আরো হেটে মসজিদের পথে না গিয়ে অন্য পথে হাটা শুরু করলাম।
দুই পাশে সবুজ ধান ক্ষেত সবেমাত্র ধান ধরতে শুরু করছে। ধান ক্ষেতকে পিছনে রেখে আর একটু সামনে আগালাম। দেখি, সূর্যটা আরো দারুণ ভাবে অন্ধকার কে কাটিয়ে উপরের দিকে উঠতেছে। সাথে সাথে পৃথিবীর চেহারাটাও পরিবর্তিত হয়ে অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। এরকম একটা মূহুর্ত যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
আমার ভিতর টা যেন কেমন লেগে উঠল।
তারপর, সূর্যের দিকে মুখ করে রাস্তার উপরই বসলাম। আকাশের দিকে তাকিয়ে পৃথিবীকে প্রাণ ভরে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি ই মনে হল যেন অন্য একটা পৃথিবীতে এসেছি।
কিছুক্ষণ পর দূরে রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখি সুন্দর একটা ‘‘নীল পরি”। যাকে আমি সবসময় কল্পনার মধ্যে রাখি এ রকম একজন রঙিন পোশাক পরে রাস্তায় হেটে অামার দিকে আসছে।
আমি অবাক হয়ে গেলাম ! সে এখন এ জায়গায় কিভাবে আসল ? তাও খুব ভোর বেলা। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘুম থেকে এত তারাতারি উঠবেনা।
আমার থেকে কয়েক হাত দূরে, দেখি ঐ মুহুর্তের সূর্যের আলো তার উপর পরে অন্য রকম লাগছে। যেই মাত্র আমার একবার পাশে আসল..!
তখন শুনি রাকিব ! ওই..রাকিব উঠ্ খেলা দেখবি নাকি...? একটা বেজে গেছে...!!!!!!

০ টি +০/-০