![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুখী হওয়ার কি সত্যিই কোনো উপায় আছে? নেদারল্যান্ডসের ইরেসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্র বলছে, উপায় আছে। কিন্তু এ পথ চিরচেনা নয়, বরং একটু অচেনা, একটু অদ্ভুত।
বিবিসি বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ডেটাবেজের (বিশ্ব সুখ উপাত্ত-ভান্ডার) পরিচালক রুট ভিনহোভারের মতে, এত দিন সুখী মানুষ খুঁজতে সংগৃহীত উপাত্ত থেকে যে ফল নির্বাচন করা হয়েছিল, নতুন গবেষণা অনেক ক্ষেত্রে তার বিপরীত। অধ্যাপক রুট দীর্ঘদিন থেকে মানুষের সুখী হওয়ার সামাজিক শর্ত নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, সুখী হওয়ার জন্য এত দিন নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকার যে আবশ্যিক শর্তের কথা বলা হয়েছিল, তা নতুন গবেষণার ফলের সঙ্গে কিছু মাত্রায় সাংঘর্ষিক।
অধ্যাপক রুট বলেন, ‘সাধারণত লোকে ভাবে যে সুখী হওয়ার জন্য এক ধরনের লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। গবেষণায় দেখা গেছে, অসুখী মানুষেরা তাঁদের লক্ষ্য নিয়ে বেশি সচেতন। কারণ জীবনে আরও ভালো কিছু পেতে তাঁরা উদগ্রীব।’
তবে বিস্তর উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে কৌতূহলোদ্দীপক যে বিষয়টি পাওয়া গেছে তা হলো, জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়া ও সুখী হওয়ার মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। অধ্যাপক রুট বলেন, ‘অবাক করার বিষয়, আমি এ দুটির মধ্যে কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাইনি। এ গবেষণা থেকে জানা গেছে, কর্মময় জীবনই সুখী হওয়ার সবচেয়ে মোক্ষম উপায়।
রুট বলেন, জীবনে সুখী হতে, কিছু পেতে আপনাকে কর্মময় হতেই হবে। কেন, কেন আমরা এখানে—এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেয়ে কর্মময় হওয়াই সুখী হওয়ার মূল উপাদান।
তবে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ডেটাবেজ সবচেয়ে বড় যে সুখবরটি এনেছে তা হলো, সুখী হওয়ার জন্য বাহ্যিক শর্ত (যেমন: অর্থ) জরুরি নয়। অধ্যাপক রুট বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা নিজেদের সুখী করতে পারি। কারণ সুখ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। এ জন্য ভালো পারিপার্শ্বিক অবস্থা নয়, ভালো জীবন দরকার। বয়স্ক মানুষেরা অপেক্ষাকৃত জ্ঞানী হন, তাই তারা বেশি সুখী।’
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ডেটাবেজ থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, নিচের বিষয়গুলো ঘটলে আপনি সুখী:
* কারও সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ধরে রাখলে
* রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলে
* কাজে ব্যস্ত থাকলে
* অবসরে খেতে-ঘুরতে গেলে
* ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব (অবশ্য বন্ধুর সংখ্যা বাড়লে বন্ধুত্ব বাড়ে না) লালন করলে
এসব তথ্য থেকে সুখী হওয়ার আরও বিস্ময়কর কিছু তথ্য মিলেছে
* যাঁরা একেবারে মদ পান করেন না, তাঁদের চেয়ে যারা অল্প পরিমাণ মদ পান করেন, তাঁরা বেশি সুখী
* যে সমাজে নারীরা বেশি অধিকার ভোগ করে, সে সমাজে পুরুষেরা অপেক্ষাকৃত বেশি সুখী
* নিজেকে সুন্দর ভাবা পুরুষেরা নিজেকে সুন্দর ভাবা নারীদের চেয়ে বেশি সুখী
* যদি আপনি মনে করেন, আপনি দেখতে যেমন তার চেয়ে বেশি সুন্দর, তবে আপনি সুখী ।
* বাচ্চাকাচ্চা হলে সুখের পরিমাণ কমে যায়। কিন্তু তারা যখন বড় হয়ে বাড়ি ছাড়ে তখন আপনার সুখের পরিমাণ বেড়ে যায়।
অধ্যাপক রুট বলেন, তাঁরা প্রায় ২০ হাজার মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে এ গবেষণাপত্র তৈরি করেছেন।
আপনাদের আরো কোন উপায় জানা থাকলে শেয়ার করুন ,, এড করে দেব।
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৯
রাখালছেলে বলেছেন: সুখী হওয়ার চাইনিজ কোন কমদামী পদ্ধতি নাই । যেমন দুই টাকা দিয়ে একটা ট্যাবলেট খেলাম আর আধাঘন্টা সুখে থাকলাম ।
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৮
মাক্স বলেছেন: আছেতো। সরকারী স্বাস্থকেন্দ্রে গিয়া সুখী বড়ি দিতে বইলেন, দিয়া দিবে @রাখালছেলে!
৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৪৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: সুখী হওয়ার সবচেয়ে বড় জিনিস হলো আপনার সুস্বাস্থ্য আর শ্রষ্ঠার কাছে একাগ্রচিত্তে প্রার্থণা।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫১
অপাপবিধ্য বলেছেন: good job , keep it up