নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জল দুপুর

রাকিবুল ইসলাম শ্রাবণ

আমি বাঙ্গালী এই পরিচয়ে আমি গর্বিত

রাকিবুল ইসলাম শ্রাবণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরব ব্যথা

২০ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

অনেকদিন পর আবির খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলো।কতদিন ধরে আবির সকালে ওঠে না তা মনে পড়ছে না ।একটা সময় আবির খুব ভোরে উঠতো।হঠাত একটা ঝড়ো হওয়া আবিরের সবকিছু তসনস করে দিয়েছে।গতরাতে আবির ওর মা কে কথা দিয়েছে আজ থেকে আবার কলেজ যাবে।হঠাত আবিরের মা এসে অশ্রুভরা ছলছল চোখে বললো যা হয়েছে বাবা ভুলে যা।কলেজে যায় ভালো লাগবে।আবির মার অসহায় করুণাময় মুখের দিকে একদৃষ্টিতে কিছুখন তাকিয়ে থেকে হঠাত চোখের জল লুকানোর জন্য ঘুরিয়ে দাড়িয়ে ব্রাশ খোজারর ছলে বললো যাবো মা।তুমি এখন যাও।আবিরের মা চোখ মুসতে মুসতে চলে গেলো রান্নাঘরে।আবির আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল দেখে ভাবছিল নিশির খুব অপছন্দ এই এলোমিলো চুল ও সব সময় আবিরকে বলতো আবির তুমি কখন চুল এলোমিলো রাখবা না।আবিরের সাথে কত ওর ঝগড়া লেগেছে এই চুল নিয়ে।আবির আর নিশি মাধ্যমিক থেকে একসাথেই পড়তো আবির ও নিশির পরিচয় ভর্তি পরীক্ষা থেকে।দুইজনি মেধাবি শিক্ষার্থী।তাই ওরা ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিল।শিক্ষকরা বিভিন্ন ক্লাসে ওদের নিয়ে দুই জন প্রতিদ্বন্দ্বী যে ভালো বন্ধু হতে পারে তার উদাহরণ দিতো।ধিরে ধিরে ওরা পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলে।মাধ্যমিক পাশ করার পর অনেক বলেও আবিরের বাবা আবিরকে ঢাকাতে পড়তে পাঠাতে পারেনি।দুইজন একি কলেজ ভর্তি হয়।ভালো চলছিল ওদের সম্পর্ক।হঠাত নিশির বিয়ে ঠিক হয়।আবির কী করবে বুঝতে পারছিল না।শেষমেশ নিশি ওর মাকে সব খুলে বলে কিন্তু নিশির মা অস্বিকার করে।আবির নিশিকে নিয়ে পালাতে চাই কিন্তু নিশি মায়ের ইচ্ছা বিরুদ্ধে যেতে অস্বিকার করে।তারপর নিশি বিয়ে সাতদিন আগে আবিরকে ডাকে পার্কে
-আবির আমাক ক্ষমা করে দিও
-আমি জানতাম তুমি এই কথাই বলবে।
-আমি অসহায়।
-তুমি সুখি হও,আসি
সেই শেষ দেখা হয়েছিলো নিশির সাথে আসার সয়ম নিশি পিছন থেকে কয়েক বার ডেকেছিল কিন্তু আবির ফিরে তাকায় নি।তারপর থেকে প্রায় দুই মাস আবির ঘরের বাহির হয়নি।আবিরের পরিবার প্রথম প্রথম ভেবেছিল আবিরের হয়তো অসুখ হয়েছে।কিন্তু পরে ওর বন্ধুদের কাছ সব জানতে পেরেছে।কিন্তু নিশি প্রথম কয়েক দিন কলেজে আসেনি তারপর থেকে কলেজে শাড়ি পড়েক আসে।কারো সাথে কথা বলে না।একাএকা আছে দুই একটা ক্লাস করে চলে যায়।সবাই ভাবে হয়তো ওর স্বামী কারো সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছে আবিরের বোন আবিরের বন্ধুদের কাছ থেকে এই তথ্য গুলো নিয়ে আবির কে জানিয়েছে।গতরাতে আবিরের মা আবির কে তার কসম দিয়ে স্বিকার করেছে আবির আজ কলেজে যাবে।আবির কথাগুলো ভাবতে চোখে কখন জল এসে গিয়েছে বুঝতে পারেনি।আবিরের মা পিছন থেকে কাধে হাত দিয়ে বললো বাবা চল খাবি।আবির তাড়াতাড়ি চোখ মুসে বললো চলো।কলেজ গেটের কাছে আসতে পিছন থেকে একজন আবির আবির বলে ডাকছে শোনতে পেলো আবির পিছনে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে,চিকন,শাড়ি পড়া কাছে আসতে বুঝতে পারলো নিশি।আবির অবাক হয়ে ভাবছে এ কি অবস্থা নিশির?কিন্তু আবির কিছু না বলে চলে যাবার চেষ্টা করতেই নিশি হাত টেনে ধরলো।
-আবির শুধু দশ টা মিনিট আমার কথা শোন।
-ছাড়ো হাত।
-প্লিজ আবির দশ মিনিট।
-এখানেই বলো।
-আমি সরি আবির
-কিছের সরি।আমি ভুলে গিয়েছি সব।
-আবির আমার ভুল হয়েছিল।আবির আবার কি আমরা এক হতে পারিনা
-না।তোমার স্বামী আছে।তাছাড়া আমি তোমাকে ভুলে গিয়েছি।
আবির নিশিকে ছেড়ে ক্লাসে চলে গেলে।নিশি চোখের জল মুসতে মুসতে বললো আবির তুমি আজও বুঝতে পারলে না আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করতে পারবো না...........
চলবে
রচনা কাল:২০/৬/১৬দুপুরবেলা

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হোসেন বলেছেন: ভাল লাগলো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.