![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে জানার একটা মাধ্যম হচ্ছে লিখে যাওয়া।লেখালেখি করার অভ্যাস নেই বললেই চলে,মাঝে মাঝে "আউল ফাউল"লেখার চেষ্টা করি একটু.....
কোল্ড ওয়ার নিয়ে লেখা পূর্বের পোস্টে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভুমিকা এবং সমর পদ্ধতি নিয়ে লেখার পরে অ্যামেরিকার ভুমিকা এবং তাদের সমর পদ্ধতি নিয়ে লিখতে গিয়ে বেশ বিপদে পড়ে গিয়েছি।আপনারা অনেকেই জানেন বিশ্বের অধিকাংশ ইন্টারনেট সার্ভার অ্যামেরিকান সরকার নিয়ন্ত্রণ করে।গুগল,উইকিপিডিয়া এবং এবং তথ্য জানার অধিকাংশ সুত্র অ্যামেরিকানরা কন্ট্রোল করছে।তাই তাদের বিতর্কিত কাজগুলো নিয়ে লেখা রিভিউ তারা বেশ সুকৌশলেই মুল সার্ভার থেকে সরিয়ে ফেলে বলে তাদের সমরপদ্ধতি এবং তাদের কোল্ড ওয়ারের সময়কার কাজকর্ম সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া অনেক কঠিন।তাই প্রচলিত পদ্ধতিতে তথ্য খুজে না পেয়ে একটু উল্টো পথে বেশ কিছু তথ্য যোগার করতে পেরেছি।মূলত অ্যামেরিকার ব্যাপারে যা লিখব সেটা আপনাদের অনেকেরই বিশ্বাস নাও হতে পারে,অনেক তথ্য সম্পর্কে সঠিক উৎস পর্যন্ত পৌঁছানো নাও যেতে পারে,কিন্তু নিচের উল্লেখিত তথ্যগুলো আমার ধারনা মতে সত্য।এই তথ্যসমূহ মাসুদ রানার প্রেতাত্মা,কিলার ভাইরাস,চাই ঐশ্বর্য,শুভ্র পিঞ্জর,ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে মুভি,এরিয়া ফিফটি ওয়ান,দ্যা রিক্রুট মুভি,এক্স ম্যান-ফার্স্ট ক্লাস মুভি,ডেড জোন,ডাইরি অফ বাস্তিল থারসিয়া,বিভিন্ন মিলিটারি জার্নাল,হোয়াট ক্যাস্ট্রো থিঙ্কস,অ্যামেরিকা বিরোধী বিভিন্ন দেশের তৎকালীন পত্র পত্রিকা,মেডিক্যাল জার্নাল থেকে নেয়া হয়েছে।তবে সবচেয়ে বেশি সাহায্য পেয়েছি রাশিয়ান কাউণ্টার মেজার টেকনিক নিয়ে চিন্তা করে......
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেই সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে দুইটি মহাশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠে,এরা হচ্ছে অ্যামেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়ন।সতেরশ শতক থেকে ইংল্যান্ড যা করে আসছিল,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অ্যামেরিকাও ঠিক সেই কাজটাই করতে চায় অর্থাৎ অ্যামেরিকার স্বপ্ন হয়ে উঠে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা।যদিও যুদ্ধের পরে সবাই ধরে নিয়েছিল অ্যামেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়নের হাতেই পৃথিবীর শক্তিমত্তার ভার থাকবে,কিন্তু অ্যামেরিকা চাচ্ছিল একচ্ছত্র ক্ষমতা।তাই '৫০ এর পরে অ্যামেরিকা হাইড্রোজেন বোমা বানানো শুরু করে এবং রাশিয়ার শত বিরোধ সত্ত্বেও সেটা পরীক্ষা করে।অ্যামেরিকা খুব ভালো করেই জানতো রাশিয়া কখনো তাদের উপর এয়ার স্ট্রাইক চালাতে না পারলেও রাশিয়ান নেভি একাই অ্যামেরিকাকে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিতে সক্ষম।অ্যামেরিকা এইটাও জানতো যে ফ্রন্টাল এটাকের ক্ষেত্রেও তারা রাশিয়ার সাথে পেরে উঠবে না।এই ব্যাপারটা তারা যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই জানতো।তাই তারা ইজরায়েল নামের এমন এক বাফার রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করে যেইটা একঢিলে তিন পাখি মারতে সক্ষম।আর এই তিন পাখি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য,জার্মানি এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন।যারাই মনে করেন ব্রিটেন তৈরি করেছে এই ইজরায়েল,তাদের ভুল ধারনা ভেঙে দিয়ে জানাতে চাই,কোল্ড ওয়ারের সূচনা অ্যামেরিকাই করেছিল ইজরায়েল তৈরির মাধ্যমে যেখানে শুধুমাত্র কাগজে কলমে ব্রিটেন ইজরায়েলের নির্মাতা............
অ্যামেরিকার সমর কৌশল ছিল অনেক নিচু মানসিকতার।রাশিয়া যেখানে নিজেদের নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে নিজেদের আধিপত্য সমুদ্রে বিস্তার করতে চেয়েছিল,সেখানে অ্যামেরিকা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নৌ-ঘাটি তৈরি করে অ্যাটল্যান্টিকের পূর্ব অংশে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায় যদিও এই ক্ষেত্রে তারা তেমন সফল হতে পারেনি।তারা জানতো তৎকালীন সময়ে পৃথিবীর নজরে তাদের শক্তি বেশি হলেও সোভিয়েত ইউনিয়ন হামলা চালালে তারা মুহূর্তের মধ্যে হেরে যাবে।তাই তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের মনোযোগ অন্যদিকে রাখার চেষ্টা করে এবং রাশিয়ান বন্ধু দেশ,যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী,সেই সকল দেশের সরকার প্রধানকে সরিয়ে নিজের অনুগত সরকার প্রধান বসানোর চেষ্টা করে।এই পদ্ধতিতে তারা কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে হত্যার চেষ্টা করে সবচেয়ে বেশিবার।এমনকি অ্যামেরিকান সরকারী হিসেবেই ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে মারার জন্য ৭ বার সিআইএ চেষ্টা করে।আর এই সংখ্যাটা ৩৮ পার হয়ে যায় রাশিয়া এবং কিউবার মতে............
অ্যামেরিকার এই প্রচেষ্টার সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল আফগান মুজাহিদ এবং তালেবান প্রতিষ্ঠা করা।এই দুইটি বিষ তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করে এসেছে এবং তারা এই ক্ষেত্রে অনেকাংশেই সফল.........
অ্যামেরিকার স্থলবাহিনী রাশিয়ার তুলনায় দুর্বল হলেও এই বাহিনীতে অনেক বৈচিত্র্য থাকার কারনে ন্যাটোকে লিড করার ক্ষমতা অ্যামেরিকান মিলিটারি অর্জন করে।অ্যামেরিকার বিশেষত্ব ছিল তাদের অসাধারন এয়ারফোর্স।তারা রাশিয়ার মতো কোস্টাল ডিফেন্স তৈরি করেনি,তবে তাদের চারপাশের সমুদ্রে নিয়মিত মহড়া এবং পেট্রোলিং করার মাধ্যমে তারা সারা বিশ্বকে একটা তথ্য জানিয়ে দেয়,তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত............
মধ্য অ্যামেরিকার বিস্তীর্ণ প্রেইরিভূমিতে অ্যামেরিকার সাড়ে ছয় হাজারের বেশি নিউক্লিয়ার মিসাইল বাঙ্কার রয়েছে।যেই মুহূর্তে রাশিয়া নিউক্লিয়ার হামলা চালাবে,ঠিক সেই মুহূর্তে অ্যামেরিকা এই সকল মিসাইল একে একে রাশিয়ার দিকে লঞ্চ করে দিবে।এই নিউক্লিয়ার জুজু অ্যামেরিকাতে বাইরের দেশের হামলা না হওয়ার একটা অনেক বড় কারন.....................
অ্যামেরিকার জনবহুল শহরগুলোতেই এয়ারবেস এবং মিলিটারি বেস বেশি।তারা রাশিয়ার মতো জনমানবহীন শহরের মাঝে এয়ারবেস তৈরি করেনি।এই দিক থেকে অ্যামেরিকার জনপদ অনেক বেশি নিরাপদ রাশিয়ানদের তুলনাতে............
আর সবশেষে অ্যামেরিকা কোল্ড ওয়ারে নিজেরদের সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে দেয়ার মাধ্যমে।সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখে অ্যামেরিকা,আর নতুন রাশিয়া শক্তিশালী হয়ে উঠার আগে পুরো পৃথিবী চলে আসে অ্যামেরিকার হাতের মুঠোয়.........
এতক্ষন যা লেখলাম সেইগুলো হচ্ছে ইন্টারনেট ঘেঁটে পাওয়া তথ্য।এখন আমি এমন কিছু তথ্য লিখবো যেটা পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন অ্যামেরিকা কেন তাদের বিতর্কিত ভুমিকা প্রচার হতে দেয় না............
কোল্ড ওয়ারের শুরু থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়ন চাইলে অ্যামেরিকাকে ধুলোতে মিশিয়ে ফেলতে পারত।কিন্তু তারা কখনো অ্যামেরিকান মাটিতে পা রাখার চেষ্টা করেনি কারন সমগ্র অ্যামেরিকা হচ্ছে একটা বায়োলজিক্যাল মাইন ফিল্ড।অ্যামেরিকা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই বিভিন্ন রকমের জীবাণু আবিশকার করে যা কিনা এরোসল কন্টেইনার হিসেবে তারা শত্রু দেশের মিলিটারি ক্যাম্পে তারা পৌঁছে দিয়েছিল।কোরিয়ান যুদ্ধে যতো কোরিয়ান সৈনিক যুদ্ধে মারা গিয়েছিল,তারচেয়ে বেশি সৈনিক মারা গিয়েছিল ফাঙ্গাসের আক্রমনে যা কিনা অ্যামেরিকান মিলিটারির মেরিল্যান্ড ক্যাম্প ডেটরিকে তৈরি করা হয়েছিল।সোয়াইন ফ্লু,ইনফ্লুয়েঞ্জা,কিলার রেবিজ,এনথ্রাক্স,ম্যাড কাউ ভাইরাস,৯ রকমের ক্যান্সারের ভাইরাস,ইয়েলো ফিভার,ডেঙ্গু-এইসব আমাদের প্রাণপ্রিয় অ্যামেরিকান ভাইদের কীর্তি!!!!!!!!!!!!
আপনারা অনেকেই পড়েছেন যে সবুজ বানরের দেহ থেকে এইডস এর সুত্রপাত হয়েছে।
কিন্তু আমি যদি বলি এইডস ভাইরাস বানানো হয়েছে অ্যামেরিকান মাটিতে, কোল্ড ওয়ারের জন্য, শুনে ধাক্কা খাবেন?
প্রথমেই জানিয়ে রাখি এইডস ভাইরাসের ডিএনএ সুত্রক পরীক্ষা করে দেখলে পানির মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে এই ভাইরাসটা মানুষের বানানো।এই ভাইরাসের জিন ভিসনা এবং HTLV-1 এর সঙ্করায়ন মাত্র............
অ্যামেরিকান গে সমাজে প্রথম এইডস ধরা পড়ে। এই গে রা কি আফ্রিকা থেকে এসেছিল? অবশ্যই না। তাহলে এই ভাইরাস তাদের দেহে কিভাবে আসলো? মিসিসিপি কারাগারে আটক থাকা দুই গে বন্দিকে পরীক্ষণের নামে তাদের দেহে সর্ব প্রথম এইডস এর ভাইরাস প্রবেশ করানো হয়।তাদের আর নয় বছরের সাজা হলেও বিচিত্র কারনে চার মাস পরেই তাদের মুক্তি দেয়া হয়।ছাড়া পেয়ে তারা গে সোসাইটিতে গিয়ে এই ভাইরাস নারী পুরুষের গায়ে ছড়িয়ে দিতে থাকে।অ্যামেরিকানরা জানতো যে মানুষের দেহে এই ভাইরাস কিভাবে এল,এই নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।তাই তারা আফ্রিকার এমন একটা গ্রাম বেছে নিল যেই গ্রামের কাছে বিলুপ্তপ্রায় সবুজ বানর পাওয়া যায়।১৯৭০ সালের দিকে সেই গ্রামে গুটিবসন্তের টীকা দেয়ার নাম করে অ্যামেরিকানরা পুরো গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতার মাঝে এইডস ছড়িয়ে দিয়ে আসে।পরের দুইটি বছর আফ্রিকার অনেক দেশেই এইভাবে এইডস ছড়িয়ে দেয়া হয়।মজার ব্যাপার হচ্ছে তখন আফ্রিকার যেই দেশগুলোতে গৃহযুদ্ধ চলছিল,সেইসব দেশে এইডস এর ভাইরাস অ্যামেরিকা ছড়াতে পারেনি,এমনকি দেখা যায় গৃহযুদ্ধের সময় কেউ এইডসে আক্রান্ত না হলেও গৃহ যুদ্ধ শেষ হওয়ার দুই বছরের মাথাতে অনেকেই এইডসে আক্রান্ত।এর কারন হিসেবে যুদ্ধের পড়ে আসা অ্যামেরিকান ত্রাণ আর টীকাকেই একমাত্র দায়ী করা যাবে............
রাশিয়া শুধুমাত্র এই বায়োলজিক্যাল অস্ত্রের ভয়ে অ্যামেরিকাতে হামলা চালানোর সাহস করে উঠতে পারেনি.........
এইনিয়ে আর অনেককিছু লেখা যেতো,কিন্তু পোস্ট অতিরিক্ত বড় হয়ে যাওয়ার কারনে লেখা শেষ করে দিচ্ছি।আর এই বিষয়গুলো নিয়ে যারাই কথা বলেছে,তারাই কোন এক কারনে আর বেঁচে নেই।তাই আপনাদের প্রতি উপদেশ,এই পোস্ট শুধুমাত্র গল্প হিসেবেই পড়ে জ্ঞান বাড়িয়ে তুলুন,কিন্তু এইটা নিয়ে উচ্চবাচ্য করার মানে হয়না কারন আমাদের কাছে তথ্য থাকলেও প্রমান নেই বললেই চলে.........
©somewhere in net ltd.