নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনের রাফখাতা

পিছন ফিরে তাকানোর বদলে সামনে তাকানোই বেশি সহজ

ট্রিপল এ

নিজেকে জানার একটা মাধ্যম হচ্ছে লিখে যাওয়া।লেখালেখি করার অভ্যাস নেই বললেই চলে,মাঝে মাঝে "আউল ফাউল"লেখার চেষ্টা করি একটু.....

ট্রিপল এ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোল্ড ওয়ার ৩

১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

কোল্ড ওয়ার নিয়ে লেখা গত দুই পর্বে অ্যামেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ কিছু তথ্য আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।এরাই ছিল এই ভয়ানক যুদ্ধের দুই মহারথী।কোল্ড ওয়ারের পুরো সময়টা ব্রিটেন,ফ্রান্স,ইটালি,চীনের মতো শক্তিশালী দেশগুলো একেকটি পক্ষে থেকে জোট বাঁধার চেষ্টা করে যেন দুই মহাশক্তির এই যুদ্ধে তারা নিরাপদে থাকে।কিন্তু কোল্ড ওয়ার কখনই সহজ কোন যুদ্ধ ছিলনা।এই যুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি,তবুও এই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছিল বিশ্বজুড়ে সমস্ত টেকনোলোজিক্যাল ক্ষেত্রে,সমরাস্ত্রের কথা নাহয় বাদই দিলাম।এই সময়টা ছিল ইউরোপের জন্য অদ্ভুত এক সময় এবং পুরো সময়টা জুড়ে উপরে উল্লেখ করা দেশগুলো এমন সব অদ্ভুত কাজ করে গেছে যা সাধারন মানুষের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অর্থহীন হলেও সমগ্র পৃথিবীর শক্তিমত্তার ভারসাম্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট ছিল।এই কথাগুলো শোনার পরে অনেকেই তথ্যগুলোর উৎস সম্পর্কে জানতে চান,তবে আমরা জানি যে আপনারা চেয়ে বসবেন লিঙ্ক।তাই লিঙ্ক চাওয়ার আগে নিচের প্যারাগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখেন............



বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে আমরা সবাই নিজেকে অনেক স্বাধীন মনে করি কারন আমরা চাইলেই ইন্টারনেট থেকে যেকোনো তথ্য জানতে পারি।হোলি রোমান নাইটদের সাথে নাইট টেম্পলারদের সম্পর্ক থেকে শুরু করে হেকলার এন্ড কচ জি নাইনের কেস কারট্রিজ-কোন কিছুই এই যুগে আমাদের চোখ এড়িয়ে যেতে পারেনা।দুনিয়ার যাবতীয় তথ্য ইন্টারনেট থেকে যাচাই করে নেয়া সম্ভব বলেই আমরা মনে করি।কিন্তু এই তথ্যটা কি আসলেই কোন তথ্য নাকি সম্পূর্ণ ভুয়া কোন অর্থহীন লাইনের সমষ্টি-সেটা আমরা কিভাবে যাচাই করতে পারি?সেটা যাচাই করার আদৌ কোন উপায় আমাদের কাছে আছে?রাশিয়ানরা অভিযোগ করে আজ পর্যন্ত অ্যামেরিকা সাড়ে চারশোর বেশি নিউক্লিয়ার ডিভাইস ডেটোনেট করেছে,কিন্তু এই সকল নিউক্লিয়ার ডিভাইস কোথায় পরীক্ষা করা হয়েছে,সেটার জবাব কি আমরা ইন্টারনেট থেকে পাবো?যেখানে বিশ্বের অধিকাংশ ডাটা সার্ভার অ্যামেরিকানরা নিয়ন্ত্রণ করে,সেখানে এইরকম তথ্য আশা করা নেহাত বোকামি।তারপরেও কেন এতো গোপনীয় তথ্য ফাস হয়?কিভাবে?কিভাবেই বা একজন সাধারন মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের থলের বেড়াল বের করে আনে?



আমি কখনোই বলবোনা যে এইরকম কোন কিছু খোঁজ করলে সেটা খুজে পাওয়া মুশকিল।সেটার জন্য প্রয়োজন অসম্ভব খুঁতখুঁতে মানসিকতা,সন্দেহ করার বাতিক,দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর মানসিকতা এবং বিশ্ব রাজনীতি।এবং এইভাবে তথ্য বের করতে লিঙ্কের বদলে দরকার হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের রেফারেন্স।একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি।আপনাদের মাঝে হয়তো অনেকেই শুনেছেন সত্তরের দশকে অ্যামেরিকার হোপ কাউন্টিতে একটা ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটে যেটা কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল একটা আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যাস চেম্বার বিস্ফোরন যার ফলে শহরের অধিকাংশ মানুষ মারা যায়।অ্যামেরিকার ভুপ্রাকৃতিক গঠন চিন্তা করলে সেটা অস্বাভাবিক না,কিন্তু তার এক মাস পরেই ফ্রেঞ্চ গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্তা কিছু তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহ করে যে হোপে একটা বায়োলজিক্যাল পরীক্ষা চালানো হয়েছে যার গিনিপিগ ছিল সেই শহরের সকল বাসিন্দা।আমাদের কারও কাছে এইরকম একটা তথ্য আসলে আমরা সেইটা নিয়ে কিই বা করতে পারি?কিন্তু ফ্রেঞ্চ সরকার এই বিষয়টা নিয়ে আর মাতামাতি না করে ভুলে যাওয়ার ভান করে।কারন তারা জানতো যে কেনেডি প্রশাসন এবং গল প্রশাসনের মধ্যকার আন্তরিক সম্পর্ক নষ্ট হবে-এমন কিছু করা ঠিক হবেনা।কিন্তু তারা কিন্তু ঠিকই গোপনে তদন্ত করতে পাঠায় বিষয়টা নিয়ে।ফলশ্রুতিতে দেখা গেলো অ্যামেরিকার মিসিসিপিতে ২৭ জন ফ্রেঞ্চ "টুরিস্ট" সহ একটা বাস খাদে পড়ে গেলো।ফ্রেঞ্চ সরকার ঠিকই বুঝে গেলো যে হোপ নামের শহরে অ্যামেরিকা কি করেছে।তারা এই তথ্যটা জাস্ট গিলে ফেললো এবং ব্রাসেলসের অখ্যাত একটা ট্যাবলয়েড পত্রিকার কাছে খবরটার একটা ভগ্নাংশ পাঠিয়ে দিলো।সেই খবরটা হয়তো তখনকার সময় ব্রাসেলসের ঘরে বসে সময় কাটানো কিছু ভুঁড়ি গজানো বৃদ্ধ মানুষের মনোরঞ্জন করেছে,কিন্তু এই খবরটা নিয়ে কেউ তখন মাতামাতি করেনি কারন একটা ফালতু ট্যাবলয়েড পেপার বিক্রি বানানোর জন্য কতো কিছুই না করতে পারে,যতসব গুজব!!!!!!!!!



আপনারা বলতে পারেন খবরটা আসলেই গুজব হতে পারে,ফ্রান্স এতো বড় একটা খবর শুনে চুপ করে বসে থাকবে কেন অথবা তারা এইটা কে একটা ট্যাবলয়েডের কাছে কেন দিবে ইত্যাদি।আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি,পেপারের কাগজে খাল দূষণের ঘটনা শুনে আমাদের মনে যেই প্রতিক্রিয়া হয়,ফ্রান্সের কাছেও খবরটা সেরকম মনে হয়েছে।এমনকি ২৭ জন ফ্রেঞ্চ এজেন্ট মারা যাওয়ার পরেও তারা কোন উচ্চবাচ্য করে নি।বরং এই খবরটা একটা অখ্যাত পত্রিকাতে দিয়ে তারা অ্যামেরিকাকে ছোট একটা খোঁচা দিয়ে বুঝাল,"তোমাদের এই খবরটা আমরা জানি,কিন্তু যেহেতু আমরা কিছু করছি না তাই আমাদের পরবর্তী কাণ্ডটা নিয়ে তোমরা বেশি ঘাঁটিয়ো না"।এইরকম ঘটনাগুলো ছিল তখন আন্তর্জাতিক রাজনীতির অংশ যেখানে বিশ্বমানবতা ছিল বুটের নিচে পিষে যাওয়া তেলাপোকা......



আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট চার্লস দ্যা গলকে হত্যা করার জন্য অসংখ্যবার চেষ্টা করা হয়েছে,এমনকি কেনেডি প্রশাসন গলের নিরাপত্তার জন্য একটা নিরাপত্তা মডেলও পাঠিয়েছিল।যদিও ফ্রেঞ্চ সরকারের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স সেটাকে গ্রহন করেনি।কারন ফ্রান্স যখন ন্যাটোর নিরাপত্তা সদস্যপদ প্রত্যাহার করে তখন থেকেই অ্যামেরিকান সরকার গলকে জীবিত রাখতে চায়নি।সিআইএ তিন বার গলকে হত্যার জন্য আততায়ী পাঠায়,এই তথ্যটা ফ্রান্স সরকার পেয়েছিল জার্মান সরকারের স্পাই উইং থেকে।মজার ব্যাপার হচ্ছে কেনেডি যেই নিরাপত্তা মডেল পাঠিয়েছিল গলের জীবন রক্ষার্থে,সেই নিরাপত্তা ব্যূহ অকার্যকর প্রমান করেই হত্যা করা হয় কেনেডিকে।এইটা আজও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রহস্য যে কোন দেশ খুন করতে পারে অ্যামেরিকার এই প্রেসিডেন্টকে।জানিনা এই রহস্য কবে খুলবে বা কোনদিন সত্যি জানা হবে কিনা তবে কেজিবি ধারনা করে এই খুনের পিছনে দায়ী হচ্ছে সিআইএ...............



কোল্ড ওয়ারের সময় অ্যামেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে যতোবার সংঘর্ষ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি হয়েছে ব্রিটেনের সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের। ব্যাপারটা একটু অদ্ভুত কিন্তু এর পিছনের কারনটা খুব সাধারন।ব্রিটেনের পক্ষ হয়ে এই সকল সংঘর্ষ,বিমানযুদ্ধ,নৌ উত্তেজনা লড়ে দিয়েছে অ্যামেরিকা,ব্রিটেনের ট্যাগ ব্যাবহার করে।এমন অনেক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছিল ইয়োরোপে,যেখানে অ্যামেরিকা নাক গলাতে না পারলেও ব্রিটেনের এখতিয়ার ছিল।সেই সকল ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের নাম নিয়ে অ্যামেরিকা সেই ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে।এখন অনেকেই ভ্রু কুঁচকে তাকাচ্ছেন যে ব্রিটেন কেন অ্যামেরিকাকে একচেটিয়া সুযোগ দিচ্ছে?এর বিনিময়ে ব্রিটেনের সকল প্রকার সামরিক ক্ষেত্রে অ্যামেরিকা বিভিন্ন প্রযুক্তি দিয়ে ব্রিটেনকে সহায়তা করে।এমনকি ব্রিটেনের তৈরি অধিকাংশ ফাইটারের ইঞ্জিনের মডেল অ্যামেরিকার উপহার-এই অভিযোগ করতে করতে রাশিয়া ওয়ারশ প্যাক্টে সই করা সকল দেশের কান ঝালাপালা করে দিয়েছে.........



সেই সময়টা ছিল সকল দেশের জন্য অদ্ভুত এক প্রতিযোগিতার।এই দেশগুলো চাচ্ছিল নিজেদের সামরিক শক্তি যতোটা সম্ভব বাড়িয়ে তুলতে,কিন্তু কেন,তা কেউ জানতো না।সবাই আশংকা করেছিল,তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যদি বাধে তাহলে সোভিয়েত ইউনিয়ন হিটলারের মতো পুরো ইউরোপ দখল করে ফেলবে।তাই তখন ওয়েস্টার্ন ইউরোপের দেশগুলো ন্যাটোতে যোগ দেয় শুধুমাত্র সম্ভাব্য এক নতুন হিটলারের আক্রমন ঠেকাতে।অ্যামেরিকা চাচ্ছিল সমগ্র বিশ্বে সেরা ওয়ারলর্ড কান্ট্রি হিসেবে মাথা তুলতে,সোভিয়েত ইউনিয়ন চাচ্ছিল অ্যামেরিকার সমান পাওয়ার অর্জন করে এশিয়া এবং পূর্ব ও মধ্য ইউরোপ শাসন করতে।পাঠকেরা হয়তো এতক্ষনে চিন্তা করছেন যে এই কোল্ড ওয়ারে ব্রিটেন সরাসরি অ্যামেরিকার পক্ষে ছিল,ফ্রান্স নিজেরাই কিছু করার চেষ্টা করছিল যদিও তারা অ্যামেরিকার সাথে বন্ধুত্ব ভাঙেনি,সোভিয়েত ইউনিয়ন এশিয়ার দেশগুলোকে নিজের পক্ষে রাখতে চাচ্ছিল যেইখানে চীন ছিল তার সবচেয়ে বড় মিত্র,সোভিয়েত ইউনিয়ন উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য করেছিল অ্যামেরিকাকে খাটো করার জন্য।বাইরে থেকে সমগ্র ব্যাপারটা এইরকম মনে হলেও বাস্তবে এই ব্যাপারগুলো আরও গভীরে ছড়িয়ে আছে।সমগ্র আফ্রিকার ট্রাইবাল যুদ্ধে রাশিয়ান অস্ত্র আর অ্যামেরিকান ইনফ্লুয়েন্স,দক্ষিন-পূর্ব এশিয়াতে অ্যামেরিকার হস্তক্ষেপ এবং চীন ও রাশিয়ার প্রতিউত্তর,সাইবেরিয়া,এন্টার্কটিকাতে আইস স্টেশন বসানো এবং উত্তর ও দক্ষিন সমুদ্রে মিনারেল উঠানো নিয়ে দুই পক্ষের কামড়াকামড়ি-এই সব কিছুই কোল্ড ওয়ারের প্রভাব।এই সকল ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সকল সংঘর্ষের বিস্তারিত কখনোই আমাদের স্বাভাবিকভাবে জানা সম্ভব না,তবে এইরকম কিছু ঘটলে কোন না কোন পক্ষ সেটা জেনে যায় এবং সেটা নিয়ে তারা কেঁচো খুঁড়াখুঁড়ি শুরু করলেই এই খবরগুলো কোন না কোন মাধ্যমে চলে আসে,সেটা কোন অখ্যাত পত্রিকার সম্পাদকীয় নাকি কোন লেখকের মতামত-সেটা মুখ্য ব্যাপার না।মুল ব্যাপার হচ্ছে এই তথ্যগুলো তারা কোথায় পেল এবং তারা তথ্যগুলোকে কি চোখে দেখছে।এইরকম একহাজার তথ্যের মাঝে হয়তো এক থেকে দুইটি তথ্য সত্য,সেই তথ্যগুলো হয় সবচেয়ে বেশি খাপছাড়া এবং এই বিদঘুটে তথ্য গুলো নিয়ে তখনকার পরিবেশের সাথে মিলানোর চেষ্টা করলে সম্পূর্ণ তথ্যটা না মিলে গেলেও কিছু কিছু বিষয় অনুমান করা যায়,যেমনটা কিনা হয়েছে ইউএফও নামের গুজবের ক্ষেত্রে...............



আজ থেকে ছয় হাজার বছর আগে থেকেই লিখিত আকারে ইউএফওর অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও পৃথিবীতে অর্বিটাল স্যাটেলাইট লঞ্চ হওয়ার পর থেকে আজ ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ পর্যন্ত কেউ ইউএফও দেখেছে?কোন পত্রিকাতে গুজব এসেছে?এই জিনিসটা নিয়ে এতো কাহিনী,উপন্যাস,সিনেমা,কিন্তু এর মানে কি আসলেই এই বিশ্বজগতে বুদ্ধিমান প্রাণী আছে?হাজার হাজার তত্ত্ব-উপাত্তের মাঝে সব কিছু পড়ে আমরা ধরে নিতে পারি ব্যাপারটা আসলে মাল্টি ডাইমেনশনাল একটা কো ইউনিভার্সাল সম্ভাবনা যাকে কিনা আমরা এতো রঙচং মাখিয়ে পৃথিবীর সামনে তুলে এনেছি।কোল্ড ওয়ারের শুরু থেকেই পুরো বিশ্বজুড়ে গুজব ছড়িয়ে যায় যে এরিয়া ৫১ তে এলিয়েনদের ফ্লাইং সসার আছে যেটা নিয়ে গবেষণা হয়।কিন্তু আমরা কি কখনো এইভাবে চিন্তা করে দেখি যে এরিয়া ৫১ এর ভিতরে মার্কিন এয়ারফোর্সের সবচেয়ে উন্নত প্লেনগুলোর মডেল নিয়ে গবেষণা করা হয় যেটা তারা ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিয়েছে?ঘণ্টায় দুই হাজার মাইল বেগে ছুটে চলা মাখ ৫ গতিবেগের কোন কিছু একটা যে ফ্লাইং সসার না লকহেডের এফ -৩৫-সেটা আমরা কিভাবে জানি?তারা তাদের গবেষণা শান্তিমত চালানোর জন্য এই গুজবের প্রবর্তন করেনি সেটার পক্ষে যুক্তি খোঁজা বেশ কঠিন।হেকলার এন্ড কচের জি ১১ সম্ভবত এর সবচেয়ে বড় উদাহারন............



আজ থেকে ১০ বছর পরেও অ্যামেরিকার আবিষ্কৃত যেকোনো রাইফেলের চেয়ে ২০ বছর এগিয়ে থাকবে জি ১১।জি ১১ কে তুলনা করা হয় সায়েন্স ফিকশনের লেজার গানের মতো।২০০ টা রাইফেল তৈরির পরে এই রাইফেল উৎপাদন বন্ধ হয়েছিল কেন?কারন সবাই জানতো এই প্রজেক্ট যুগের চেয়ে ৫০ বছর ভবিষ্যতের প্রজেক্ট।এমনকি হেকলার এন্ড কচের সেরা সময়-নামের কনভেনশনে এইটার মডেল না আনা হলে আমরা এই রাইফেলের কথা কল্পনা করতে পারতাম না।এইরকম কিছু আমাদের চোখের সামনে এসেছে বলেই আমরা সেটা মেনে নিয়েছি,আর এইরকম অসংখ্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নিজেদের লাগিয়েছিল ব্রিটেন,ফ্রান্স,জার্মানির মতো দেশগুলো............



মূলত আজকের পোস্টে তত্ত্বগত ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি বেশি যা আপনাদের হয়তো তেমন ভালো লাগবে না।এর পরের পোস্টগুলোতে সেটা পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো।আর কোল্ড ওয়ার নিয়ে প্রথম পোস্টটা ঝোঁকের বশেই করেছিলাম।এরপর এইটা নিয়ে পড়তে পড়তে এমন সকল তথ্য পাচ্ছি যে নিজের এতদিনের সংগ্রহ করা নলেজের উপরে সন্দেহ হচ্ছে আমার(শরমের কথা)..................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.