![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে জানার একটা মাধ্যম হচ্ছে লিখে যাওয়া।লেখালেখি করার অভ্যাস নেই বললেই চলে,মাঝে মাঝে "আউল ফাউল"লেখার চেষ্টা করি একটু.....
আজকে দুপুর ১২ টার দিকে টিভি অন করে দেখলাম HBO তে "শুটার" মুভিটা হচ্ছে।এই মুভিটা আমার অনেক প্রিয় একটা মুভি।সাধারনত যেইসব মুভিতে স্নাইপিং রিলেটেড কোন দৃশ্য থাকে মুভির সেই অংশটুকু আমার বেশ ভালো লাগে।কিন্তু "শুটার" মুভিটার কথা আলাদা।এই মুভিটাকে আমি মূলত পছন্দ করার পাশাপাশি একটা রেফারেন্স মুভি মনে করি তাই এই মুভিটার ব্লু-রে ভার্সন নামিয়ে নিয়েছি নেট থেকে(সাড়ে সাত গিগাবাইটের মতো সাইজ,বাপস!!!!!!!)তো মুভিটা দেখে ভাবলাম স্নাইপিং সম্পর্কে নিজের জ্ঞান নতুন করে একটু ঝালাই করে নেই।আসলে অনেকদিন ধরেই স্নাইপিং নিয়ে আলোচনা থেকে একটু দুরেই ছিলাম।মনোযোগী পাঠকেরা হয়তো খেয়াল করে থাকবেন,পেজের অন্য এডমিনরা যেখানে সকল টেকনিক্যাল তথ্য,ওয়েব রেফারেন্স সহ পোস্ট দিয়ে থাকেন,সেখানে আমি শুধু মাত্র তত্ত্ব,ধারনা এবং মতবাদের গোঁজামিল দিয়ে আপনাদের জন্য পোস্ট লিখি(ফাঁকিবাজি করার মজাই আলাদা)।সুতরাং বরাবরের মতোই ফাঁকিবাজি ধরনের মানসিকতা নিয়ে আজকে আপনাদের জন্য এমন একটা পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করছি যেখানে অ্যামেরিকান গানকালচার এবং স্নাইপিং নিয়ে মজার,একইসাথে অদ্ভুত কিন্তু সিরিয়াস কিছু তথ্য আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে।সো,পোস্ট শুরু করা যাক,নেমে যান নিচের প্যারায়...............
অ্যামেরিকাকে একটা আজব দেশ হিসেবে ভাবার অন্যতম একটা কারন হচ্ছে তাদের সংস্কৃতির সাথে আগ্নেয়াস্ত্রের একটা অদ্ভুত বন্ধন।সমগ্র অ্যামেরিকাকে উত্তর এবং দক্ষিন-যদি এই দুইটা ভাগে কল্পনা করা হয় তবে অ্যামেরিকার দক্ষিন হচ্ছে রগচটা,অস্ত্রপ্রেমী,সরল,আন্তরিক,মফঃস্বলের আন্তরিক মানসিকতা সম্পন্ন।অ্যামেরিকান স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এই দক্ষিন অংশ দিয়েছে রক্ত এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অসংখ্য যুদ্ধ।অপরদিকে অ্যামেরিকার উত্তর হচ্ছে কুটিল,সূক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন,কর্পোরেট,শীতল এবং কাগজের ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করা লোকে ভর্তি।ব্রিটিশদের কাছে থেকে স্বাধীনতা নেয়ার ক্ষেত্রে তারা তাদের মেধার প্রায় সবটুকু ব্যায় করেছে।অ্যামেরিকান স্বাধীনতার শুরু থেকেই এই উত্তর ও দক্ষিনের মাঝে একটা সূক্ষ্ম বৈষম্য দেখা গেছে।দক্ষিনীরা চায় "ফ্রিডম বাই 'ল" আর উত্তরের সবাই চায় "লিবার্টি বাই 'ল"।ফলে এই কর্পোরেট অ্যামেরিকাতে যেখানে নিউ-ইয়র্কে আনন্দের অর্থ কোম্পানির হলরুমে সকলের সাথে ড্রিঙ্কিং,সেখানে অ্যামেরিকান কাউন্টিগুলোতে আনন্দ বলতে বোঝায় টাউন ফেয়ার যার পরিবেশ আমাদের দেশের মেলার মতোই।আর অ্যামেরিকান এই কাউন্টি অঞ্চলগুলো থেকেই সৃষ্টি হয়ে এসেছে বিশ্বের সেরা গানকালচার যা কিনা আগ্নেয়াস্ত্রকে অস্ত্রের বদলে বানিয়েছে একটা আবেদনময়ী শিল্পতে............
যুদ্ধের জন্য অস্ত্র তৈরি করা আর সাধারন মানুষের জন্য অস্ত্র তৈরি করার মাঝে অনেক পার্থক্য রয়েছে।অ্যামেরিকান মিলিটারির জন্য তৈরিকৃত অস্ত্র যুদ্ধের উপযোগী করে তৈরি করা হয়।সেখানেও রয়েছে কয়েক রকমের আলাদা ধরন।একটা M16A1 একইসাথে মরুভূমিতে ব্যাবহার করার জন্য,আর্কটিকে ব্যাবহার করার জন্য,পার্বত্য হালকা বাতাসের মাঝে ব্যাবহার করার জন্য উপযোগী করে তোলা একবারে সম্ভব না।তাই একেক অঞ্চলের সৈন্যদের জন্য একই অস্ত্রের একেকরকম মডিফিকেশন পাঠানো হয়।।মূলত সামরিক ক্ষেত্রে ব্যাবহার করার জন্য অস্ত্রের সিলেকশন খুব বেশি বড় না।কিন্তু সাধারন মানুষের কাছে অ্যামেরিকান অস্ত্র উৎপাদনকারীরা অস্ত্রের সাথে বিক্রি করে অস্ত্রের শৈল্পিক আবেদনময়তা।তাই সাধারন মানুষের জন্য অস্ত্র তৈরি করার সময় একই অস্ত্রের হাজারো রকমফের দেখা যায়।।আমাদের দেশে হার্ডওয়ারের দোকান বলতে আমরা বুঝি যন্ত্রপাতির দোকান যেখানে অ্যামেরিকান অর্থে হার্ডওয়ারের দোকান হচ্ছে অস্ত্রের দোকান।বিশেষত অ্যামেরিকান যেইসকল কাউন্টিতে বনভূমি আছে,যেইসকল প্রেইরি অঞ্চলে শিকার করার সুবিধা রয়েছে,সেইসকল অঞ্চলে প্রত্যেকটি শপিংমলে অস্ত্র বিক্রি করা হয়।শুটিং রাইফেল,স্পোর্টস রাইফেল,হান্টিং রাইফেল বিক্রির হার অ্যামেরিকাতে সবচেয়ে বেশি এবং অ্যামেরিকার কিছু স্টেটে একজন মানুষ কোন আইনি বিধিনিষেধ ছাড়াই ১৮টির মতো হান্টিং রাইফেল রাখতে পারে।আপনারা যদি মনে করে থাকেন হান্টিং রাইফেল দিয়ে তো খালি শিকার করা হয়ে থাকে,এটা তো ক্ষতিকর না-তাহলে আপনাদের জন্য একটি তথ্য যোগ না করলেই নয় যে ৮০% হান্টিং রাইফেল প্রথম শ্রেণীর স্নাইপিং রাইফেল এবং অ্যামেরিকান সামরিক বাহিনীতে আজ পর্যন্ত যতগুলো স্নাইপার তৈরি করা হয়েছে তার চেয়ে ১০ থেকে ১২ হাজারগুন বেশি মানুষ শিকার করতে করতে তাদের চেয়ে বেশি ভালো স্নাইপিং শিখেছে.....................
মূলত অ্যামেরিকান কাউন্টি অঞ্চল গুলোতে অস্ত্র সংগ্রহ করা আর পেইন্টিং সংগ্রহ করার মাঝে তেমন কোন পার্থক্য নেই।তবে এই অস্ত্র সংগ্রহ করার মাঝে কিছু আইনি প্রক্রিয়া আছে।আপনি চাইলে ভিকারস মেশিনগান,এলিফ্যান্ট গান, .৫০ ক্যালিবার,.৩০৫ ক্যালিবারের মার্কসম্যান রাইফেল,অ্যাসল্ট রাইফেলের স্পোর্টস মডেল যেমন একে ব্র্যান্ড এবং এআর ব্র্যান্ড এর বিভিন্ন রাইফেল সংগ্রহ করতে পারেন।তবে প্রশাসনকে আপনার বিশ্বাস করাতে হবে যে আপনি আসলেই এইসকল অস্ত্র শুধুমাত্র অস্ত্রের প্রতি আবেগের কারনে সংগ্রহ করছেন।এইজন্যই অ্যামেরিকান দক্ষিনী অঞ্চল যেমন অ্যারিজোনা,টেক্সাস,ওকলাহামা,ক্যানসাস,ওহাইও,আরকানসাস,ইয়েলোস্টোন প্রভিন্স,ন্যাসভিলের মতো শহরগুলোতে বাস করা অধিবাসীরা যারা অ্যামেরিকান সিভিল ওয়ার,কনফেডারেশন ওয়ারের স্মৃতি ধারন করা যাদের ঐতিহ্য,অ্যামেরিকান সরকার তাদের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ এবং অস্ত্র ধারন করা পানির মতো সহজ করে দিয়েছে।এমনকি শুধু অস্ত্রই না,প্রত্যেক ধরনের অস্ত্রের জন্য আপনি যতোটুকু পারেন ততো পরিমানের অ্যামিউনিশন পর্যন্ত কিনতে পারবেন।অ্যামেরিকার এইসব অঞ্চলগুলো থেকেই আজ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে বিশ্বসেরা সব শুটার,হান্টসম্যান,রাইফেলম্যান এবং সর্বোপরি অসাধারন মানের স্নাইপার।মূলত আমেরিকাতেই সিভিলিয়ানদের হাতেই তৈরি হয়েছে স্নাইপিং করার সমস্ত নিয়ম,শুটার হওয়ার সমস্ত রুলস,ভালো স্নাইপিং করার কৌশল এবং হান্টিং রাইফেলের সমস্ত সৃজনশীলতা...............
অস্ত্র ব্যাবহার করা আর অস্ত্রকে বুকে ধারন করার মাঝে বিস্তর ফারাক রয়েছে।বর্তমানে অ্যামেরিকান যেই অস্ত্র কোম্পানিগুলো মিলিটারি গ্রেড অস্ত্র উৎপাদন এবং সরবরাহ করে তাদের মাঝে অস্ত্র শুধুমাত্র একটা বিক্রয়ের বস্তু।আর্মালাইট ধরনের কোম্পানি প্রতিবছর ৩ মিলিয়নের মতো অস্ত্র অ্যামেরিকান মিলিটারি এবং ন্যাটোর কাছে সরবরাহ করে।আধুনিক এই কোম্পানিগুলো অস্ত্র "উৎপাদন" করে।কিন্তু রেমিংটন,কোল্ট,স্মিথ এন্ড ওয়েসনের মতো কোম্পানিগুলো যারা শত শত বছর ধরে অ্যামেরিকাকে অস্ত্রের প্রেমে পড়তে সাহায্য করেছে,তারা অস্ত্র উৎপাদনের বদলে অস্ত্র "সৃষ্টি" করে।আর এই সৃজনশীলতার জন্য তারা সাহায্য নিয়ে থাকে অ্যামেরিকার উক্ত শহর,কাউন্টিগুলোর প্রবীণ,জ্ঞানী,যুগের সেরা শিকারি,অস্ত্র বিশেষজ্ঞ,ব্যাক্তিগত অস্ত্রনির্মাতা,গানস্মিথদের।এইসকল কোম্পানির বেশিরভাগ অস্ত্রের পিছনে রয়েছে এইসকল মানুষের অবদান এবং তাদের এই অবদান কোম্পানিগুলোর অস্ত্রের তৈরির ইতিহাসে তুলে ধরা হয়েছে।ফলে দেখা গেছে অ্যামেরিকার অস্ত্রের ইতিহাসে এই ব্যক্তিরা অনেক বেশি গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে............
অ্যামেরিকান সিভিলিয়ান শুটার যারা বংশপরম্পরায় হান্টিং এবং স্নাইপিং শিখে এসেছে তাদের প্রতিভা এবং যোগ্যতা অনেক সময় অ্যামেরিকান মেরিন ফোর্স রিকনের স্নাইপারদের চেয়েও বেশি যেখানে আমরা জেনে এসেছি যে অ্যামেরিকান ফোর্স রিকন বিশ্বের সেরা স্নাইপারদের তৈরি করে।মূলত একজন সিভিলিয়ান শুটার এবং একজন মিলিটারি স্নাইপারদের মাঝে মূল পার্থক্য হচ্ছে তাদের ট্রেনিং।একজন লংহর্ন ডিয়ার শিকারিকে মেরিন রিকনের মতো অমানুষিক আর্মি ট্রেনিং নিতে হয়না,কিন্তু তাদের একটা টার্গেটের দিকে দিনের পর দিন একটানা তাকিয়ে থাকা শিখতে হয়।একজন সিভিলিয়ানকে নেভি সিল স্নাইপারের মতো কমান্ডো ট্রেনিং করতে হয়না কিন্তু দুইজনকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা একচুল না নড়ে স্কোপের দিকে তাকিয়ে থাকা শিখতে হয়।মূলত স্নাইপিং একটা শিল্প এবং এই শিল্পের মর্যাদা দেয়া সম্ভব যদি রাইফেলের সাথে একটা সত্যিকারের বন্ধন তৈরি করা সম্ভব হয়.....................
সিভিলিয়ান হোক আর মিলিটারি গ্রেড,স্নাইপারদের মাঝে বেশ কয়েক ধরনের শ্রেণীবিভাগ রয়েছে।এর মধ্যে একটি শ্রেণীবিভাগ তৈরি করা হয় টার্গেটের দূরত্বের উপর।সাধারনত যেসকল স্নাইপার ৪০০ থেকে ৫০০ মিটারের দূরত্বে শট নিতে এক্সপার্ট তাদেরকে মূলত ক্লোজ কোয়ার্টার কমব্যাট মিশন যেমন ব্যাংক রবারি প্রিভেনশন,ডোমেস্টিক ড্রাগ ডিলিং প্রিভেনশন টিমে যেখানে স্নাইপার মূলত দুই থেকে তিন বিল্ডিং দূরত্বে অবস্থান করে,সেখানে এই রেঞ্জের স্নাইপারদের নিয়োগ করা হয়ে থাকে।তাদের ট্রেনিং এর অধিকাংশ সময় তাদের এই দূরত্বে টার্গেট প্র্যাকটিস করতে হয়।SWAT,FBI, রেঞ্জার পুলিস-সাধারণত এই ধরনের টিমগুলো এই রেঞ্জের স্নাইপারদের ট্রেনিং পেয়ে থাকে এবং তারা সাধারণত রেমিংটন ৭০০ এবং একিউরেসি ইন্টারন্যাশনাল এআর কে স্ট্যান্ডার্ড স্নাইপিং রাইফেল হিসেবে গণ্য করে.........
মিলিটারি মিশনগুলোতে সাধারণত ৫০০ মিটারের পাশাপাশি ৭০০ মিটারের দূরত্ব পর্যন্ত স্নাইপশট নেয়ার উপযোগী রাইফেল এবং স্নাইপের লাগে।মূলত মিলিটারি গ্রেড স্নাইপারদের মাঝে দুই ধরনের শুটার নির্বাচন করা হয়।একদল হচ্ছে সাইলেন্ট যাদের মিশনে সাইলেন্সারযুক্ত স্নাইপিং রাইফেল ব্যাবহার করা জরুরি,অপর দলটি মূলত লাউড সাউন্ড মেইনটেইন করতে পছন্দ করে।তবে মিশনের সফলতার জন্যই সাধারণত এই দূরত্বের বেশি তারা শট নিতে চায়না।এর কারন অনেক.........
স্নাইপিং কোন সহজ কৌশল না।একজন স্নাইপারের জন্য ৭০০ মিটার দূরত্বের একটা টার্গেটে গুলি পৌঁছে দিতে অনেক হিসেব মাথাতে রাখতে হয়।দূরত্ব,উচ্চতা,প্রাস,ব্যালাস্টিসিটি,অভিকর্ষ,আদ্রতা,বাতাসের গতিবেগ,বাতাসের দিক,বুলেটের ওজন,বুলেটের স্পিন এমনকি মাঝে মাঝে পৃথিবীর ঘূর্ণনও তাদের বিবেচনা করতে হয়।তাই অধিক দূরত্বের একটা স্নাইপশট অনেকটা ভাগ্যের সাথে জুয়া খেলার মতো।তাই আর্মির রেগুলার স্নাইপাররা এতো দূরত্বের শট নেয়ার সাহস সাধারনত দেখায় না।মূলত শত্রু এলাকায় রিকনিং,স্কাউটিং,ফোর্স রিক্রুট করার সময় আর্মি স্নাইপাররা ৬০০ থেকে ৭৮০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত শট নেয়ার ট্রেনিং পেয়ে থাকে......
সাধারনত একটা শুটিং রেঞ্জে ৮৮০ মিটার পর্যন্ত টার্গেট শট নির্ণয় করার ব্যাবস্থা থাকে।কিন্তু একটা লং রেঞ্জ এন্টি মেটেরিয়াল স্নাইপিং রাইফেলের গুলি আমার জানা তথ্যানুসারে ৩৫০০ মিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রমন করতে পারে।কিন্তু একজন সাধারন স্নাইপার ১০০০ মিটার দূরত্বের কোন টার্গেটে শট নেয়ার গ্যারান্টি দিতে পারবে না।সেইখানেই এসে পড়ে পূর্বে উল্লেখিত মেরিন রিকন স্নাইপার এবং অরিজিনাল গানস্মিথদের প্রসঙ্গ।একজন এলিট লং রেঞ্জ শুটার চাইলে ২৬৮৩ মিটার দুরের একটা টার্গেটকে শট করতে পারে।এই শটটা আজ পর্যন্ত জানা সবচেয়ে বেশি দূরত্বসম্পন্ন শট যা কিনা নিশ্চিত হওয়া গেছে।২০০৫ সালে এই শটটা আফগানিস্তানের কুনান প্রভিন্সে নেয়া হয়েছিল একটা ব্যারেট এম ১০৭ দিয়ে যা কিনা একজন রকেট লঞ্চার অপারেট করা একজন জঙ্গির বিরুদ্ধে নেয়া হয়।যদিও শটটা অফিশিয়ালি ডিক্লেয়ার করা হয়নি,তবে অপটিক্যাল রেঞ্জ ফাইন্ডার দিয়ে দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়েছিল.........
এইরকম দূরত্বের একটা শট নেয়ার ৪-৫ সেকেন্ড পড়ে গুলিটা গিয়ে টার্গেটে পৌঁছায়,তাই স্নাইপারকে মাথাতে রাখতে হয় যে ৪ সেকেন্ড পরে তার টার্গেট কোথায় থাকবে।আর এইসকল ক্যালকুলেশন করার জন্য একজন স্পটার অত্যন্ত জরুরি।যদিও কিছু মিশনে একজন স্নাইপারের সাথে স্পটার থাকে,কিছু মিশনে স্নাইপারকে একাই সব কাজ করতে হয়।তবুও একজন স্পটার একটা পারফেক্ট শট নেয়ার পিছনে অনেক বড় একটা প্রভাবক হতে পারে।মজার বিষয় হচ্ছে ক্যানসাসের ঐতিহ্য অনুসারে শিকার করতে যাওয়ার সময় লংরেঞ্জ শট নেয়ার সময় বাবা স্পটার হয় আর ছেলে সেই শটগুলো নেয়।এইভাবে শট নিয়ে শিকার করা লংহর্ন ডিয়ারের মাথার খুলিই শুধুমাত্র তাদের ফ্যামিলি কেসে স্থান পেয়ে থাকে.........
মূলত এতক্ষন যা পড়লেন সেটা ছিল সূচনা মাত্র।স্নাইপিং এবং অ্যামেরিকান গানকালচার নিয়ে একটা সিরিজ পোস্টের ইচ্ছা আছে,আপনাদের প্রতিক্রিয়া কেমন সেটা দেখে সিরিজে আমি বিষয় এবং তথ্য যোগ করবো।ঠিক দুপুর ১২ টা বেজে ১০ মিনিটে লেখা শুরু করেছি এবং ঘড়িতে এখন ১০ টা বেজে ৬ মিনিটে পোস্টের সূচনা শেষ করছি।হায়রে শুটার মুভি,তোর কারনে আমারে এতক্ষন একটানা চেয়ারে বসে পড়তে আর লিখতে হয়েছে।আমার কোমর শেষ আজকে......
©somewhere in net ltd.