![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার জীবন বৈচিত্রময় ! জীবনের প্রতিটা পদে পদে বাধা পেয়েছি কিন্তু এসব বাধা গুলো খুব সফল ভাবেই উত্তিণ্ণ হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ ।
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য হাতে সময় আছে প্রায় ৩ মাস। প্রিলি হল স্রেফ পাস করার পরীক্ষা, জাস্ট রিটেন দেয়ার পাসপোর্ট। এর কাছে ওর কাছে শুনে অন্ধের মতো না পড়ে একটু বুঝেশুনে প্রিপারেশন নিলে প্রিলিতে ফেল করা সত্যিই কঠিন। এবার প্রিলি দিচ্ছেন প্রায় আড়াই লাখ ক্যান্ডিডেট। পিএসসি বলেছে, এই সংখ্যাটা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ আপনারা যারা সত্যি সত্যি প্রিপারেশন নিয়ে পরীক্ষা দেবেন, আপনাদের কম্পিটিটর খুব বেশি হলে ২৫ হাজার ক্যান্ডিডেট। বাকিরা কেউ ঠিকভাবে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দেয় না। এই কথাটা বুঝেশুনেই বলছি। তাই ওই সংখ্যাটা দেখে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। অবশ্য কিছু ক্যান্ডিডেট প্রিলি পাস করবেন ‘ঝড়ে বক মরা’র মতো। এদের অনেকেই ক্যাডারও হয়ে যাবেন। ওদের প্রিপারেশন নাই, এই কথাটা ঠিক না। ওদের প্রিপারেশন আপনার আমার চাইতেও বেশি। সাধারনত ওদের বেসিক অনেকবেশি ভালো হয়। সেই অর্থে ওদের প্রিপারেশন ১০ বছরের! ওদের কথা মাথায় এনে লাভ নেই। আমি মনে করি, এই ৩ মাসে ঠিকভাবে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে ঠিকমতো পড়াশোনা করলে অন্তত ২বার প্রিপারেশন নেয়া সম্ভব। প্রিলি পরীক্ষা যেহেতু স্রেফ পাস করার পরীক্ষা, সেহেতু প্রিলি পরীক্ষাকে একটা ছকে ফেলে দিতে পারলে, প্রিলিতে ফেল করা সত্যিই কঠিন। এক্ষেত্রে সবকিছু পড়ে বেশি খুশি হওয়ার অভ্যেস বাদ দিতে হবে। কী কী পড়বেন, সেটা ঠিক করার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল, কী কী বাদ দিয়ে পড়বেন সেটা ঠিক করা। যাকিছুই পড়ুন না কেন, আগে ঠিক করে নিন, সেটা পড়া আদৌ দরকার কিনা। চাকরি পেয়ে গেলে জ্ঞানী হওয়ার জন্য ৩০ বছরের মতো সময় পাবেন; এতোটাই জ্ঞানী, জ্ঞান রাখার জায়গা পাবেন না। জ্ঞান অর্জন করলে জ্ঞানী হবেন আর মার্কস অর্জন করলে ক্যাডার হবেন, এটা মাথায় রাখুন। সিভিল সার্ভিস নিয়ে আপনার যে প্রচণ্ড ইচ্ছে আর আবেগ সেটার সাথে একটু বুদ্ধিশুদ্ধি যোগ করলেই হয়ে যাবে, যেটাকে আমরা বলি, ইমোশনাল ইন্টিলিজেন্স। এই সময়টাতে আপনি যা যা করতে পারেনঃ
# প্রথম দেড় মাস প্রিলি + রিটেন পরীক্ষার জন্য একসাথে প্রিপারেশন নিতে পারেন। ২-১ সেট রিটেনের গাইড বই কিনে ফেলুন। প্রতিদিনের পড়ার মোট সময়ের এক-তৃতীয়াংশ সময় রিটেনের জন্যে দেবেন। তবে, রিটেনের সব পড়া না পড়ে ২ ধরণের পড়া এইসময়ে রেডি করে রাখতে পারেন। এক। যে যে অংশগুলো প্রিলির সিলেবাসের সাথে মিলে, সেগুলো পড়ে ফেলুন। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, টীকা, শর্ট নোটস্, ব্যাকরণ সহ আরোকিছু অংশ পড়ে ফেলতে পারেন। দুই। যেসব সেগমেন্টে ক্যান্ডিডেটরা সাধারণতঃ কম মার্কস্ পায় কিন্তু বেশি মার্কস্ তোলা সম্ভব, সেগুলো নির্ধারণ করুন এবং নিজেকে ওই সেগমেন্টগুলোতে ভালোভাবে প্রস্তুত করে কম্পিটিশনে আসার চেষ্টা করুন৷ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, টীকা, শর্ট নোটস্, সারাংশ, সারমর্ম, ভাবসম্প্রসারণ, অনুবাদ, ব্যাকরণ ইত্যাদি ভালোভাবে পড়ুন৷ এই সময়ে বড় প্রশ্ন পড়ার কোনো দরকার নেই।
# সময় বাড়ল বলেই যে গভীরভাবে পড়াশোনা শুরু করতে হবে এমন কোনো কথা নাই। আপনি আম খাওয়ার আগে আমের বৈজ্ঞানিক নাম জেনেও আম খেতে পারেন। কোনো সমস্যা নাই। তবে আমি মনে করি, আগে আম খেয়ে নিয়ে পরে আমের বৈজ্ঞানিক নাম জেনে নেয়াটা ভালো। যদি আমের চৌদ্দগুষ্ঠির খবর নিতে গিয়ে আম খাওয়াটাই না হয়, তাহলে তো বিপদ! যা যা পড়া দরকার, সেগুলো পড়ে শেষ করতেই বারোটা বাজে, আজাইরা ফালতু জিনিসপত্র পড়ার টাইম কোথায়?
# বাইরে ঘুরে ঘুরে না পড়ে বইপত্র গাইডটাইড কিনে বাসায় বেশি বেশি সময় দিন। আমি মনে করি, পড়াশোনার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নিজের কাছে। আপনি পাবলিক লাইব্রেরির সামনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থাকলেন, খুশি হয়ে গেলেন অনেককিছু পড়ে ফেললেন ভেবে, কিন্তু যা যা দরকার তা তা পড়লেন না, এর চাইতে বাসায় ৪ ঘণ্টা ঠিকভাবে পড়ে বাকি সময়টা গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঘোরাঘুরি করা কিংবা স্রেফ ঘুমানোও অনেক ভালো। মনমেজাজও ভালো থাকবে। বাইরে যতই ঘুরবেন, ততই আপনার চাইতে বেশি পণ্ডিত লোকজনের সাথে দেখা হবে, আর মেজাজ খারাপ হবে। আপনার মেজাজ খারাপ করে দেয়া লোকজন সবাই যে প্রিলি পাস করবেন, তা কিন্তু কিছুতেই না! আমি মনে করি, সাকসেস ইজ অ্যা সেলফিস গেম! ‘টুগেদার উই বিল্ড আওয়ার ড্রিমস’ এটা ভুলে যান। লাইফটা তো আর ডেসটিনি কোম্পানি না। বাসায় বেশি বেশি সময় দিন।
# নিজেকে যাচাই করার জন্য জব সল্যুশন সলভ করার পাশাপাশি মডেল টেস্টের গাইড থেকে বেশি বেশি মডেল টেস্ট দিন। যত বেশি প্রশ্ন সলভ করবেন, ততই লাভ। (প্রিপারেশন টেকনিক নিয়ে বিস্তারিত আমি আমার সেমিনারগুলোতে বলি। যা যা বলি, তার কিছু কিছু নিচের লিংকগুলোতে আর আমার ফেসবুক নোটগুলোতে পাবেন। আমার ফেসবুক প্রোফাইল পাবলিক প্রোফাইল। তাই আমার ফ্রেন্ডলিস্টের বাইরে যারা ফলোয়ার আছেন, তারাও আমার ফেসবুকের সবকিছুই চাইলেই অ্যাক্সেস করতে পারবেন।)
আমি গত ০১/১১/২০১৪ তারিখ চট্টগ্রামের মুসলিম হলের সেমিনারে যা যা বলেছি, তার শতকরা ৩০ভাগ নিচের লিঙ্কদুটোতে দেয়া আছে। আমার নোটের কথাগুলোকে আইবিএ ভর্তি পরীক্ষা আর বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিকৌশল কিংবা এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারেন।
https://www.facebook.com/notes/sushanta-paul/à¦à§à¦¯à¦¾à¦°à¦¿à§à¦¾à¦°-à¦à¦¡à§à¦¡à¦¾-মà§à¦¸à¦²à¦¿à¦®-হল-à¦à¦à§à¦à¦à§à¦°à¦¾à¦®-১ম-à¦
à¦à¦¶/10152346056917038
https://www.facebook.com/notes/sushanta-paul/à¦à§à¦¯à¦¾à¦°à¦¿à§à¦¾à¦°-à¦à¦¡à§à¦¡à¦¾-মà§à¦¸à¦²à¦¿à¦®-হল-à¦à¦à§à¦à¦à§à¦°à¦¾à¦®-২à§-à¦
à¦à¦¶/10152346058542038
যারা সেদিনের ক্যারিয়ার আড্ডায় থাকতে পারেননি, তারা চলে আসতে পারেন আগামী ২২ নভেম্বর শনিবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রামের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে। আমার সব সেমিনারের মতো ওটাতেও অংশ নিতে কোনো রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না, কোনো এন্ট্রি ফি লাগবে না। সবার জন্যে উন্মুক্ত। শুধু এলেই হবে। ওইদিনের প্রোগ্রামটা আয়োজন করেছে চিটাগাং রোটারী ক্লাব। এই প্রোগ্রামটার জন্যে ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের অ্যাডিশনাল কমিশনার Badal Syed স্যারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইভেন্ট পেজটা নিচে শেয়ার করছি। আপনাদের বন্ধুদের ইনভাইট করে জানিয়ে দিন।
https://www.facebook.com/events/1503467849923811/
আমি আগের ক্যারিয়ার আড্ডাগুলোতে কথা বলার সময়ে এটা মাথায় ছিল যে ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে প্রিলি পরীক্ষা। এখন সময় বেড়েছে। তাই আমি পরের সেমিনারগুলো একটু ভিন্নভাবে সাজানোর প্ল্যান করেছি। যারা থাকতে পারবেন না, তাদের জন্যে আমি ফেসবুকে সেমিনারের স্লাইডগুলোর কনটেন্ট শেয়ার করে দেবো।
অনেকেই আমাকে প্রায়প্রায়ই অনুরোধ করেন যাতে আমি উনাদের শহরে গিয়ে ক্যারিয়ায় আড্ডায় কিছু কথা বলি। এক্ষেত্রে আমার একটু সীমাবদ্ধতা আছে। আমি তো আর এই আড্ডার আয়োজনটা করতে পারি না; সময় আর সুযোগের অভাবে। আপনারা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আড্ডার আয়োজন করে আমাকে আমন্ত্রণ জানালে আমি সময় দেবো। তবে ক্যারিয়ার আড্ডাটা হতে হবে সম্পূর্ণ অবাণিজ্যিক। ভাই, আমার জন্য আপনাদেরকে গাড়িভাড়াটাও দিতে হবে না। তাই আমি চাই, এতে অংশ নিতে যেন কারোর এক পয়সাও খরচ করতে না হয়। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি এইসব ফ্রি মোটিভেশনাল সেমিনার কেন নিই? এতে আমার কী লাভ? আমি উত্তরটা দেই বাইবেল থেকেঃ ম্যান ডাজ নট লিভ বাই ব্রেড অ্যালৌন।
(এই পোস্টটা শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিতে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।)
©somewhere in net ltd.