নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
অভিশপ্ত 'ম্যানিলা ফিল্ম সেন্টার' ও স্বৈরাচারী মার্কোসের পতন
--------------------------------------------- ডঃ রমিত আজাদ
ফিলিপাইনের একটি মর্মান্তিক ঘটনার কথা মনে পড়লো। ১৯৮১ সালের ১৭ নভেম্বরের কথা। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রক্ষমতায় তখন ছিলো জান্তা ফার্দিনান্দ মার্কোস। দেশের জনগণের কাছে যার কোন জনপ্রিয়তাই ছিলনা। তারপরেও বহাল তবিয়তে সিংহাসনে বসে ছিলো খুটির জোড়ে। একবার তার খ্যাতির লক্ষ্যে ভাবলেন, তাক লাগানো একটি ফিল্ম সেন্টার তৈরী করবেন তিনি। যথারীতি শুরু করলেন ব্যয়বহুল 'ম্যানিলা চলচ্চিত্র কেন্দ্র'-এর নির্মাণ। নির্মাণ চলাকালীন সময়ে তিনি এবং তার রূপসী স্ত্রী ইমেল্দা মার্কোস কয়েকদফা নির্মাণ পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন। এর ফলে একদিকে যেমন কাজে বারবার বাধা আসছিলো আবার সেই বাধা মেক-আপ করার জন্য আসন্ন ফিল্ম ফেস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য করে বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য তাড়াহুড়োও করা হচ্ছিলো প্রচুর। এসময় দুর্ভাগ্যবশত একটি scaffold ধ্বসে পড়ে, আর শ্রমিকরা পতিত হয় ভেজা সিমেন্টের মধ্যে যার উপরে ধ্বসে পড়েছিলো ভারী ভারী ইস্পাতের বার। অনেকেরই জীবন্ত কবর হয় ওখানে। বেঁচে থাকা অনেকেই ট্র্যাপ্টড হয়ে যায় । যেহেতু মৃতদেহ ও জীবিতদের উদ্ধার করতে যথেস্ট সময়ের প্রয়োজন ছিলো, তাই ইমেল্দা মার্কোস নির্দেশ দিলো, "উদ্ধার করার প্রয়োজন নেই, দেহগুলোকে সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দাও। কন্সট্রাকশন ওয়ার্ক চলুক।" এই দুর্ঘটনায় ১৬৯ জন মারা যায়। এবং তাদের দেহাবশেষ ঐ ইমারতেই রয়ে যায়। এই ভয়াবহতা ও নির্মমতার সংবাদ সকল ম্যানিলাবাসীই জানতো। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মার্কোসের নির্দেশে ফিলিপিনি কোন সংবাদ মাধ্যেমেই তা প্রচারিত হয়নি। হায়রে নিস্ঠুরতা! স্বৈরাচার থাকলে যা হয় আরকি!!
ঐ অভিশপ্ত ভবনটির চারপাশ দিয়ে ভয়ে কেউ হাটতে চাইতো না। লোকে বলতো, নিহত হতভাগ্য শ্রমিকদের আত্মার দীর্ঘশ্বাস শোনা যায় ওখানে। পুরো ভবনের বাতাস ভারী হয়ে থাকে অকালে ঝরে পড়া অতৃপ্ত আত্মাদের চাপা কান্নার শব্দে। এর ফল অবশ্য ক্ষমতার দাপটে অন্ধ মার্কোস পরিবার পেয়েছিলো। কয়েক বৎসর পরে এই সাধারণ মানুষগুলোই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ক্ষমতা থেকে ফেলে দিয়েছিলো ফার্দিনান্দ মার্কোস ও ইমেল্দা মার্কোসকে। ক্ষমতার জোরে অনেকেই অনেক কিছু করে আর বেমালুম ভুলে যায় ইতিহাসের শিক্ষা যে, ‘ক্ষমতা চিরকাল থাকেনা’।
তথ্যসূত্রঃ
উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেটে প্রাপ্ত বিভিন্ন আর্টিকেল। সকল লেখকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রাকাশ করছি।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ক্ষমতার জোরে অনেকেই অনেক কিছু করে আর বেমালুম ভুলে যায় ইতিহাসের শিক্ষা যে, ‘ক্ষমতা চিরকাল থাকেনা’।
কেউ কেউ আবার বেসামালও হয়ে যান।
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
জাতির চাচা বলেছেন: আমার দেশ বন্ধ,নয়া দিগন্ত,দিনকাল,সংগ্রাম,ইনকিলাব,মানব জমিন দিগন্ত টিভি,ইসলামিক টীভি এই কয়টাকে বন্ধ করে দিতে পারলে ব্যাস কেল্লা খতম।শাহবাগীরা চুপ কেনো ? অবিলম্বে এিগুলা বন্ধ করা হোক । প্রশাসন কন্ট্রোলে,আর্মির সব বেয়াদব সাইজ করা শেষ, বিচার বিভাগতো দ্বিতীয় শাহবাগ।।মার্কোস!!! ও তো আমাদের জনের কাছে নাবালক।
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
রানা িসরাজুল বলেছেন: ক্ষমতার জোরে অনেকেই অনেক কিছু করে আর বেমালুম ভুলে যায় ইতিহাসের শিক্ষা যে, ‘ক্ষমতা চিরকাল থাকেনা’
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ক্ষমতার জোরে অনেকেই অনেক কিছু করে আর বেমালুম ভুলে যায় ইতিহাসের শিক্ষা যে, ‘ক্ষমতা চিরকাল থাকেনা’!
২০০৫ সালে সাভার জামগড়ার স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ধসে মাত্র ৮১ জনের লাশ উদ্ধার করতে পেরেছিল। মারা গেছিল কমপক্ষে ১০০০। সাধারন মানুষকে তো দুরের কথা সাংবাদিকও যেতে দেয়া হয় নাই,
টিভি মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত ভাবে গেছিল মাত্র ৩ টা NTV, Channel I ও ATN। এদের বেশী কাভার করতে দেয়া হয় নাই। এরা দুইদিন দায়সারা রিপোর্ট করে শেষ।
এদের BNP সমর্থক দাড়ীওয়ালা মালিককে গ্রেফতারের কোন দাবি উঠলেও কোন লাভ হয় নাই।
মানুষ অল্প কয়েক বছরেই বেমালুম ভুলে যায় ইতিহাসের শিক্ষা!
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
আহলান বলেছেন: হুমমম ...