নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
দি পাওয়ার অব ম্যাথমেটিক্স
----------------------------------------------------- ডঃ রমিত আজাদ
ঘটনা ১: একবার এক গণিতের অধ্যাপক আমাকে বললেন যে, তিনি বাংলাদেশের যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন সেখানে গণিতের শিক্ষকদের অপেক্ষাকৃত কম বেতন দেয়া হয়। আমি প্রশ্ন করলাম, "কেন?" তিনি বললেন, "কর্তৃপক্ষ মনে করে, বিজনেস সাবজেক্টগুলোর ডিমান্ড ভালো, ঐ সাবজেক্টগুলোর অধ্যাপকদের বেশী বেতন দেয়া উচিৎ।" আমি বললাম, "কিন্তু গণিত ছাড়া তো বিজনেসের সাবজেক্টগুলোও অচল।" তিনি বললেন, "কর্তৃপক্ষ সেটা বুঝতে চায় না।"
ঘটনা ২: ষাটের দশক, বিশ্ব তখন দুটি শিবিরে বিভক্ত, কম্যুনিস্ট ও ক্যাপিটালিস্ট। এক শিবিরের নেতা সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া) আরেক শিবিরের নেতা আমেরিকা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে শুরু হয়েছে নতুন যুদ্ধ, এর নাম ঠান্ডা যুদ্ধ (cold war)। শ্রেষ্ঠত্বের দাবী নিয়ে চলছে লড়াই ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা । যেমন চলছে অস্ত্রের দৌড় (arms race), তেমনি পাল্লা দিয়ে চলছে জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির নানা আবিষ্কার উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় একটি বড় স্থান করে নিলো মহাকাশ জয়ের পাল্লা। কেবল পৃথিবীতে নয় আকাশেও আধিপত্য চাই। ১৯৫৭ সালে সমগ্র বিশ্ববাসীর নজর ছিলো, কে আগে মহাকাশে পাঠাতে পারবে কৃত্রিম উপগ্রহ, যা পৃথিবীর সব বাধা ভেঙে উড়ে যাবে সুদূর ভুবনে, সুনীল আকাশে পৌছে দেবে মানবজাতির বার্তা, সেই সাথে প্রমানিত হয়ে যাবে, কোন জাতি সেরা, রাশিয়া না আমেরিকা। রুশ শিবিরের সদস্য রাষ্ট্রগুলো মনে প্রাণে চাইছে রাশিয়া জয়ী হোক, আর মার্কিন শিবিরের সদস্যরা আত্মপ্রত্যয়ের সাথে অবিরাম বলে চলছে এই জয় আমেরিকার ঘরেই আসবে। অবশেষে ১৯৫৭ সালের ৪ঠা অক্টোবর সকল জল্পনা-কল্পনার অবশান ঘটিয়ে সফলভাবে মহাকাশে উড়ে গেলো রাশিয়ার উৎক্ষেপিত কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক-১। হেরে গেলো দাম্ভিক ধনকুবের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুধু বিশ্ববাসী নয় তারা নিজেরাও হতবাক হয়ে গেলো।
যাহোক প্রথম প্রতিযোগিতায় না হয় হেরে গেলাম, কিন্তু পরেরটিতে জিততে হবে এই সংকল্প নিয়ে আবারো তোড়জোড় শুরু করলো যুক্তরাষ্ট্র। এবারের প্রতিযোগিতা, কে প্রথম মহাকাশে পাঠাতে পারবে নভোচারী। আবারো ঘটলো একই ঘটনা, ১৯৬১ সালের ১২ই এপ্রিল মার্কিনীদের আরো একধাপ পিছে ফেলে ভস্তোক – ১ (প্রাচ্য-১) -এ চড়ে মহাকাশে উড়ে গেলেন রুশ নভোচারী ইউরি গ্যগারিন। আরো একবার হতবাক হলো বিশ্ববাসী, পরাজয়ের গ্লানি মেনে নিতে হলো যুক্তরাষ্ট্রের। এরপর একের পর এক সাফল্য প্রদর্শন করলো রাশিয়া - প্রথম মহিলা নভোচারী, প্রথম স্পেস স্টেশন সেট আপ, প্রথম ওপেন স্পেস ওয়াকিং, প্রথম চাঁদে রকেট প্রেরণ, ইত্যাদি। সমগ্র বিশ্ববাসী ভ্রু কুঁচকে তাকালো আমেরিকার দিকে। আমেরিকানরা নিজেরাও বিস্মিত হয়ে ভাবছে, কেন এমন হচ্ছে। খোঁজ নাও তাহলে। কি তাদের রহস্য? কোন যাদুবলে কম অর্থ-বিত্ত থাকার পরও রুশরা মহাকাশ প্রতিযোগিতায় তাদের হারিয়ে দিচ্ছে। অবশেষে উদঘাটিত হলো রহস্য - রাশিয়ায় (সোভিয়েত ইউনিয়নে) স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি যত্ন সহকারে পড়ানো হয় গণিত (ম্যাথমেটিক্স)। গণিতে প্রবল মেধা নিয়ে বড় হয়ে ওঠে তাদের শিশু-কিশোর-তরুণরা। আর এটাই রাশিয়া (সোভিয়েত ইউনিয়নে)-এর সাফল্যের মূল কারণ। একেই বলে দি পাওয়ার অব ম্যাথমেটিক্স।
পৃথিবীর ইতিহাস বিশ্লেষণ করে পাওয়া গিয়েছে যে, যে জাতি গণিতে যত পারদর্শী ছিলো, সেই জাতি ততই উন্নতি করেছে। বর্তমান পৃথিবীতেও এটা লক্ষ্যণীয় যে, কোন জাতি যখনই গণিতের প্রতি যত্নবান হয়ে উঠছে তখনই তার উন্নয়ন শুরু হচ্ছে। রাশিয়া, আমেরিকা, জার্মানী, জাপানের কথা তো আমরা সকলেই জানি। ইদানিং সেই পথ ধরে চমক সৃষ্টি করছে চীন।
এই মহাবিশ্বকে অধ্যায়নরত সর্বস্তরের বিজ্ঞানীরা তার পরতে পরতে গণিতের ''অদ্ভুত কার্যকারিতা' দেখে বিস্ময়বিহ্বল হয়ে ওঠেন - প্রকৃতির সবচাইতে জটিল প্রতিভাসগুলোর পিছনে লুকানো প্রচ্ছন্ন শৃঙ্খলাগুলোকে উদঘাটন করার অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে এই গণিতের। শুধু তারাই নয়: অর্থনীতিবিদ, সমাজবিদ, রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানীই গণিতের বিস্ময়কর শক্তির মুখোমুখি হয়েছেন। বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে গণিতের ব্যবহারের পদ্ধতিকে বলা হয় ফলিত গণিত (Applied Mathematics)। গণিত সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যে ধারণা রয়েছে যে, গণিত বাস্তব জগৎ থেকে অনেক দূরে জ্ঞানের একটি বিমূর্ত শাখা, তা অনেকটাই সঠিক নয়। আসুন নিম্নলিখিত ধারণাগুলো (ideas)-র উল্লেখযোগ্য উপকারীতা বিবেচনা করি:
N-কায়ার সমস্যা: স্যার আইজাক নিউটন থেকে শুরু করে, N -সংখ্যক কায়ার একটি সেট মাধ্যকর্ষণ শক্তির প্রভাবে কি রকম আচরণ করবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করার প্রচেষ্টা থেকে জন্ম নেয় গাণিতিক ও ভৌত প্রতিভাসের বিশাল সংখ্যক পরিজ্ঞান (insights )। একটি ফলাফল হলো ক্যাওয়াস থিওরী।
টরাসঃ ডোনাট আকৃতি বিশিষ্ট কায়ার বৈশিষ্ট্যকে বলা হয় টরাস যা গ্রহ থেকে শুরু করে ব্যবসা চক্র পর্যন্ত আলো ছড়িয়ে দেয়। মানব মস্তিষ্ক কি করে আবেগ পাঠ করে, কিভাবে বর্ণ দৃষ্টি (color vision) কাজ করে, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্টন স্কীম কেমন হবে ইত্যাদিও ব্যখ্যা করে টরাস।
আ্যরো-এর অসম্ভাব্যতা উপপাদ্য (Arrow's impossibility theorem): কোন নির্বাচনে যদি তিন বা ততোধিক প্রার্থী থাকে, নির্বাচনকে ন্যায়সঙ্গত করার জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়ক ( crucial criteria ) পূরণ করা সম্ভব নয়। যার অর্থ হলো কোন নির্বাচন পদ্ধতিই ন্যায্য নয়। এই বিস্ময়কর ফলাফলের রয়েছে সামাজিক পছন্দের তত্ত্বের উপর ব্যাপক প্রয়োগ।
উচ্চতর মাত্রা (Higher dimensions): কোন ক্ষেত্রে যখনই একাধিক চলক চলে আসে, এই সমস্যা উচ্চতর মাত্রার পদ্ধতিতে সমাধান করার চেষ্টা করা যেতে পারে। সালভাদর ডালির কিছু চিত্রকর্মে উচ্চতর মাত্রার বিষয়টি দেখা গিয়েছে।
দর্শন ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর গণিতের প্রভাব অত্যন্ত গভীর। জ্যামিতির অবরোহী পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রকৃতি জগতের অনেক কিছুই আবিষ্কার করা সম্ভব। এই মতবাদ প্লেটো থেকে শুরু করে কান্ট পর্যন্ত অনেক দার্শনিকদের প্রভাবিত করে। যখন স্বাধীনতার ঘোষনায় বলা হয়, "এসব সত্যকে আমরা স্বতঃপ্রমাণিত বলে মনে করি।" তখন ঘোষণাটি ইউক্লিডের স্বতঃসিদ্ধই অনুসরণ করে বলে মনে হয়। অষ্টাদশ শতকে প্রাকৃতিক অধিকারের মতবাদ রাজনীতিতে ইউক্লিডিয় স্বতঃসিদ্ধ অনুসন্ধানেরই একটি প্রচেষ্টা। স্যার আইজাক নিউটনের প্রিন্সিপিয়াও ইউক্লিডিয় স্বতঃসিদ্ধের ধারণা দ্বারা প্রভাবিত। প্রকৃতি (জ্যোতিষ্ক, স্থান, কাল, সময়, প্রাণ, চৈতন্য, মানবজীবন, সমাজ, অর্থনীতি, রাষ্ট্র) অপার রহস্যময়। পিথাগোরাস, প্লেটো, কণাদ, আর্যভট্ট ইত্যাদি কালজয়ী দার্শনিকদের রহস্যোদঘাটন গাণিতিক পদ্ধতি দ্বারা সম্পুর্ণরূপে প্রভাবিত ছিলো।
গণিতের বিমূর্ততাকে ভয় করার কিছুই নাই। বরং তাকে লালন-পালন করা ও তাকে কল্পনার সাহায্যে ব্যবহার করা অতীব প্রয়োজন। গণিত আমাদের অভিজ্ঞতার উর্ধ্বে উঠে যাওয়ার ক্ষমতা এনে দিয়েছে। অতীতের সমস্যা সমাধান করার আমাদের প্রয়োজন নেই, বরং আমরা সমাধান করব সেই সমস্যা যার পূর্বঅভিজ্ঞতা আমাদের নেই এবং যার পূর্বজ্ঞানও আমাদের নেই, ঠিক এ কারণেই আমাদের প্রয়োজন দি পাওয়ার অব ম্যাথমেটিকাল থিংকিং।
(চলবে)
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। গণিত বিষয়টার দিকে আমাদের দেশে নজর অনেক কম, আমাদের পশ্চাদপদতার পিছনে এটা একটা বড় কারণ।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
লাবিব ইত্তিহাদুল বলেছেন: গণিত! মারাত্বক মজার একটা বিষয় যখন ছোট ছিলাম।
বড় হয়া বুঝলাম জিনিসটা ভেজাইল্লা। কারণ ততদিনে আমার ব্রেন পইচ্যা শেষ
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
রমিত বলেছেন: ইন্টারেস্টিং। আমার হয়েছে উল্টো, ছোটবলায় গণিত খুব বোরিং মনে হতো, শিখতে হয় তাই শিখেছিলাম। কিন্তু এখন খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগছে। চলুক।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১০
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: আমাদের ছাত্ররা অনেকেই ম্যাথমেটিকস ছাড়া সাইন্স পড়ে। ম্যাথমেটিকস ফোর্থ সাবজেক্ট হিসাবে রাখে। সাইন্স পড়তে ম্যাথমেটিকস বাধ্যাতামূলক করা উচিত।
আমাদের গনিতের ভালো শিক্ষকের অভাব আছে, যারা গণিতকে ভয় না পেতে সাহায্য করবে। বরং অনেকেই আছে যারা গণিতের ভয় দেখায় - ও গণিত এটা তোমার কম্ম না, তোর মত গাধাকে দিয়ে আর যায় হোক গনিত হবে না ইত্যাদি।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
রমিত বলেছেন: আমাদের দেশের সব চাইতে বড় সমস্যা - ভালো শিক্ষক নেই (যে কোন অর্থেই)। থাকবে কি করে বলুন? পেশাজীবিদের মধ্যে সবচাইতে অবহেলিত এই শিক্ষক সমাজ, না আছে অর্থনৈতিক না আছে সামাজিক মর্যাদা। ফলে এই পেশায় মেধাবীরা যায়না। আর জাতি গঠনও হয়না।
৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার। চলুক।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
রমিত বলেছেন: আমার লেখাটি নির্বাচিত পাতায় দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
ইখতামিন বলেছেন: সুন্দর
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩১
রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩২
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
আহমাদ-২০০৫ বলেছেন: লেখাটি স্টিকি পোষ্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হোক.
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
রমিত বলেছেন: স্টিকি পোষ্ট হওয়ার মত অত ভালো হয়নি বোধহয়। যাহোক আপনার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
বিদ্রোহী রাজা বলেছেন: বেশ লাগলো
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
তোমোদাচি বলেছেন: গনিতের মানুষ, গণিতের প্রশংসা শুনলে ভালই লাগে, চলুক!
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । আপনার সাথে আমার মিল রয়েছে, আমিও গণিতের মানুষ।
১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
শাওণ_পাগলা বলেছেন: চলুক। অপেক্ষায় থাকলাম।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: জীবনের অনেক বড় স্বপ্ন আছিল ঢাবিতে ম্যাথ বা থিউরিটিক্যাল ফিজিক্স পরুম, :#> :#> ইন্টার পাস দিবার পর বাপ আর মামারে যেই কইলাম এই কথা; দিল দাবড়ানী । কইল রোমান্টিক কথা বার্তা না কইতে, দুনিয়াদারির কিছু খবর রাখতে, মাটির দুনিয়ার ফিরা আইতে; আমি মাটির দুনিয়া চইলা আইলাম :#> :#> । পরে ঘেটি ধইরা ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি কইরা দিল । আর জাতি বঞ্চিত হইল বাংলার আইনস্টাইন থেকা
স্বপ্ন এখনও মরে নাই, আমি হইবার পারি নাই, মাগার পূলারে ঠিকই পড়ামু । এই ধরনের পোষ্টগুলা খুব ভালা পাই, পরের পর্বের অপেক্ষাই রইলাম। শুভেচ্ছা।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫১
রমিত বলেছেন: ইন্টারেস্টিং! আমার অভিজ্ঞতা অনেকটা আপনার মতোই তবে উল্টা দিক থেকে। আমার ভীষণ ইচ্ছা ছিলো থিউরিটিক্যাল ফিজিক্স পড়বো, আর অভিভাবকের ইচ্ছা ছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানোর। বিদেশে স্কলারশীপ হয়ে গেলো ফিজিক্স-এ, চোখ বন্ধ করে চলে গেলাম। অভিভাবক কয়েকবার চেষ্টা করেছিলো কনভিন্স করতে, যেন চেন্জ করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি। কাজ হয়নাই। আমি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম। এখনো সেই পথেই আছি। আফসোস নাই, ভুল করি নাই।
দোয়া করি আপনার মনের ইচ্ছা যেন পূরণ হয়।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার। দারুন একটা সিরিজ হবে বলে মনে করছি। চালিয়ে যান। বাকি পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমাদেরতো এসএসসি আর এইচএসসিতে ৪০০ নম্বরের গনিত শিখিয়েই শেষ
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৫
রমিত বলেছেন: জ্বী তাই। আবার সেই শিখানোতেও অনেক গলদ আছে।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গনিত আমার অতি আগ্রহের একটি বিষয়।
পোষ্ট চলতে থাকুক। সাথে আছি
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৬
রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
এম মশিউর বলেছেন: প্রাণের মাঝে গণিত বাজে!
ইন্টারমিডিয়েট থাকতে মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মুনির হাসান, কায়কোবাদ, সৌমিত্র চট্টপাধ্যায়, আসিফ এবং আরো অনেকের ১৫-২০টা গণিতের মজার মজার বই পড়ি। সেই থেকে গণিতের প্রেমে পড়ে গেছি।
গণিতের আরো আরো তথ্য চাই।
পর্ব চলুক। সাথে আছি।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
রমিত বলেছেন: গণিতের প্রতি আপনার অনুরাগ দেখে ভালো লাগলো।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
চলতি নিয়ম বলেছেন: ভালো লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২২
রমিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
১৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৬
সানড্যান্স বলেছেন: ইন্টার এক্সামে ফারসস্ট পার্টে কমন পড়ছে ১০, সেকেন্ড পার্টে পনেরো, পাশের জনে না দেখাইলে কি হইত ভাবলেই ডর করে!
তবে ম্যাথমেটিক্সের ট্রিকি পার্ট গুলো খুব ভালো লাগে,!
কন্টিন্যু প্লীজ!
২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৬
রমিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩২
নিষ্কর্মা বলেছেন: আমাদের গণিতের জ্ঞান মাশাল্লাহ অনেক ভালো। কতখানি ফরমালিন মিশাইলে মাছের কাছে আপ্নে আমি গেলেও টের পামু না যে এই মাছে ফরমালিন দেওয়া আছে, এইডা রাশান বিজ্ঞানিরাও বাইর করবার পারবো না। কি বলেন স্যার?
২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৮
রমিত বলেছেন: হ্যাঁ, কুবুদ্ধিতে শুধু গণিত না সব সাবজেক্টেই আমরা এ প্লাস।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চলুক সাথেই আছি। চমৎকার একটি ধারাবাহিক হবে বলেই মনে হচ্ছে।