নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
পলাশীর যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই মীরজাফরকে সরিয়ে দেয়া উচিৎ ছিলো
--------------------------------- ডঃ রমিত আজাদ
যে মহান ব্যক্তিটির সাথে আমাদের বাঙালী জাতির ভাগ্য গাঁথা হয়ে গেছে তিনি হলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। আগ্রাসী কূটকৌশলী ইংরেজ ও দেশীয় বিশ্বাসঘাতকদের হাতে নবাবের পতন কেবল একটি ব্যক্তির পতন ছিলো না, উনার পতনের সাথে সাথে আমাদের জাতিরও পতন ঘটে। একটি জাতির যখন উন্নয়ন ও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে তখন জাতিটিকে স্বাধীন জাতি বলা যাবে, কিন্তু জাতিটির যদি ক্রমাগত অবনতি ঘটতে থাকে তখন সেই জাতিটিকে পরাধীন জাতি বলতে হবে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যুর পর থেকে জাতির ক্রমাগত অবনতি ঘটতে থাকে ও আমরাও ধীরে ধীরে শ্রীহীন হয়ে যেতে থাকি। এটাই পরাধীনতা। এভাবেই নবাবের ভাগ্যের সাথে আমাদের ভাগ্য গাঁথা হয়ে গেছে। বর্তমান বাংলাদেশের দৈন্যদশা দেখে চারিদিকে কেবল নবাবের অভাব বোধ করি। মনে মনে কেবলই কামণা করি মীরজাফরেরা দূরিভুত হয়ে সিরাজউদ্দৌলার মত দেশপ্রেমিকে দেশ ভরে উঠুক।
এখন প্রশ্ন হলো, কেন নবাবের পতন ঘটলো? উত্তরটা এক কথায়ই দেয়া যায়, মীরজাফরের বেঈমানীর কারণে। মীরজাফর যদি মসনদের লোভে ইংরেজদের সাথে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হতো তবে আমরা দেশ হারাতাম না। আমাদের বাহুবল, অর্থবল কোনটারই কোন অভাব ছিলো না। পলাশীর প্রান্তরে নবাব সমাবেশ ঘটিয়েছিলেন পঞ্চাশ হাজার পদাতিক ও আঠারো হাজার অশ্বারোহীর। বিপরীতে ইংরেজদের ছিলো মাত্র তিন হাজার সৈন্য। এই তিন হাজারের মধ্যে আবার মাত্র আটশত ছিলো ইউরোপীয় সৈন্য, বাকীরা ছিলো স্থানীয় ভাড়াটে সৈন্য। আমাদের আটষট্টি হাজার সৈন্য কেবল তীর ছুঁড়ে মারলেই ঐ তিন হাজারের দফা রফা হয়ে যেত। কিন্তু তীর তো দূরের কথা কমান্ডের অভাবে তারা ঢিলও ছুঁড়ে মারেনি। হাজার হাজার সৈন্য পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে ছিলো। এই নীরবতা নিশ্চুপতার সুযোগ নিয়ে ঐ তিন হাজারই তিন/চার কোটি মানুষের দেশ দখল করে নিলো।
শুধুই কি মীরজাফর? না মীরজাফর একা ছিলো না। আমাদের সভাসদের আরো অনেকেই বেঈমান ছিলো। ঘসেটি বেগম, জগৎ শেঠ, উমিচাঁদ, রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ, কৃষ্ণবল্লভ, মীরণ এরাও বেঈমানীর তালিকাভুক্ত। কেন তারা বেঈমানী করেছিলো? ব্যক্তিগত লোভে পড়ে। তারা দেশের কথা একবিন্দুও ভাবেনি।
ফল কি হয়েছিলো। পলাশীর ট্রাজেডির পরে দেশের সাথে সাথে তারাও সব কিছু হারিয়েছিলো। ইংরেজরাও মীরজাফরকে বিশ্বাস করেনি। ইংরেজরাও বুঝেছিলো বেঈমান বেঈমানই, যে নিজ দেশের সাথে বেঈমানী করতে পারে, ইংরেজদের সাথে তার বেঈমানী করতে কতক্ষণ? যেই নবাবীর জন্য মীরজাফর এতো কিছু করলো সেই নবাবী এক বছরের বেশী টেকেনি। তার পুত্র মীরণ (যার নির্দেশে সিরাজকে হত্যা করা হয়েছিলো) নিহত হয়েছিলো বজ্রাঘাতে। ঘসেটি বেগম মারা গিয়েছিলো বুড়িগঙ্গার পানিতে ডুবে। বিশ্বের অন্যতম ধণাঢ্য ব্যক্তি জগৎ শেঠের সব সম্পদ কেড়ে নিয়েছিলো ইংরেজরা। তালিকাভুক্ত সব বেঈমানই কোন না কোন অপঘাতে নিহত হয়।
যদি পলাশীর যুদ্ধের আগেই মীরজাফরকে সরিয়ে দেয়া হতো, তাহলে এই এত কিছুর কোন কিছুই ঘটতো না। আর আমাদের সোনার দেশে ভীনদেশী (বৃটিশ) পতাকাও উড়তো না। মীরজাফরকে সরিয়ে দেয়া ছিলো জরুরী, সেটা নবাবই করুন বা অন্য কোন দেশপ্রেমিকই করুন।
আমার ফুপা ছিলেন ইতিহাসের অধ্যাপক। তিনি আমাকে ছোটবেলায় একটা কথা শিখিয়েছিলেন, "ইতিহাসের শিক্ষাটা হলো এই যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয়না।" তখন কথাটার গুরুত্ব তেমন বুঝতে পারিনি, এখন বুঝি যে, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়াটা অতীব জরুরী।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
ইন্টারেস্টিং আইডিয়া।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৮
রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১৩
HHH বলেছেন: স্পষ্ট করে বলুন, যা বলতে চান
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
রমিত বলেছেন: বেঈমানকে বেঈমানী করার সুযোগ দিতে হয়না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভালো বলেছেন, "মীরজাফরেরা দূরিভুত হয়ে সিরাজউদ্দৌলার মত দেশপ্রেমিকে দেশ ভরে উঠুক"।