নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

সক্রেটিসের এ্যাপোলজি - ৩

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

সক্রেটিসের এ্যাপোলজি - ৩



মূল বক্তৃতাঃ সক্রেটিস

লিখেছেনঃ প্লেটো



অনুবাদঃ ডঃ রমিত আজাদ






(যে কয়েকটি সংলাপ ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছে তার মধ্যে একটি হলো এ্যপোলজি (Apology)। আধুনিক ইংরেজীতে Apology অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা করা। কিন্তু গ্রীক ভাষায় Apology-অর্থ ভিন্ন। সেখানে Apology-অর্থ defense। আদালতে বিচারের সময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে সক্রেটিস যে ভাষণ দেন এ সংলাপ তারই বর্ণনা। নিচে মহাজ্ঞানী সক্রেটিসের বক্তৃতা হুবুহু তুলে দেয়া হলো।)



(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)



হে বিচারকগণ! আমি সাহস করে বলতে পারি যে, আপনাদের মধ্য থেকে কেউ হয়তো আপত্তি তুলে বলবেন, "ঠিকআছে সক্রেটিস, কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলোর উৎস কি? আপনি যদি স্বতন্ত্র কোন কিছু নিয়ে কাজ না করতেন, তাহলে তো আপনার সম্পর্কে এতো নিন্দা ছড়ানো হতো না। আপনিই অনুগ্রহপূর্বক বলে দিন যে এটা কি ছিলো, যাতে আমাদের আর শুধু শুধু কষ্ট করে তা খুঁজে বের করতে না হয়।" আমার মনে হয় এটাই ঠিক হবে যে, আমি নিজেই আপনাদেরকে বলার চেষ্টা করবো যে, ‘আমাকে প্রজ্ঞাবান বলার ও আমার এইরূপ দুর্নাম থাকার কারণ কি?’ দয়া করে শুনুন আমার কথা। আপনাদের মধ্য থেকে যদি কারো মনে হয়ে থাকে যে আমি রসিকতা করছি, তিনি ভুল করছেন, নিশ্চিত থাকেন যে, আমি যা বলবো তা নির্ভেজাল সত্য। হে বিচারকগণ এই খ্যাতি আমি পেয়েছি আমার প্রজ্ঞার গুনে। যদি প্রশ্ন করেন, "এটা কোন প্রজ্ঞা?" এটা মানবীয় প্রজ্ঞা। ঐ দিক থেকে দেখলে আমি প্রজ্ঞাবানই। যেখানে, সেই ব্যক্তি যার কথা আমি বলেছিলাম, নিজেকে ঘোষনা করেছে অতিমানব প্রজ্ঞাবান বলে, জানিনা কি বলবো, আমার কথা যদি বলেন, তবে বলবো, সেইরকম কোন প্রজ্ঞা আমার নেই। আর যে উল্টোটা বলে, সে মিথ্যাই বলে এবং সে এটা আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করার জন্যই বলে। এবং এখানে, হে বিচারকগণ! আমি অনুরোধ করবো যে, আমাকে বিরত করবেন না, যদি আমি অতিশয়োক্তি করে থাকি। এই উদ্দেশ্যে আমি যা বলবো তা আমার কথা নয়। বরং আমি একজন সাক্ষীকে রেফার করবো, সেই সাক্ষী হলেন ডেলফির উপাসনালয়ের দেবতা -- তিনি আপনাদের আমার প্রজ্ঞা সম্পর্কে বলবেন, যদি আমার তা থেকে থাকে এবং তা কিরকম। আপনারা নিশ্চয়ই কায়রেফোন (Chaerephon )-কে চেনেন; তিনি আমার বন্ধু ছিলেন এবং আপনাদেরও বন্ধু ছিলেন। তিনি দ্বীপান্তরে গিয়েছিলেন এবং আপনাদের সাথে ফিরেও এসেছিলেন। আপনারা জানেন যে কায়রেফোন সব কাজেই দুর্বার ছিলেন, এবং একবার তিনি ডেলফির মন্দিরে গেলেন এবং দৈববাণীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, বিচারকগণ! আমি আপনাদের অনুরোধ করবো হৈচৈ না করতে -- তিনি দৈববাণীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'সক্রেটিস অপেক্ষা বিজ্ঞতর কোন ব্যক্তি আছে কি না।' পিথিয়ান ভাববাদিনী বলেছিলেন, 'সক্রেটিস অপেক্ষা বিজ্ঞতর কোন ব্যক্তি নেই'। কায়রেফোন এখন আর বেঁচে নেই, কিন্তু তার ভাই বেঁচে আছেন, তিনি এই আদালতেই উপস্থিত আছেন, তিনি আমার কথার সত্যতা প্রতিপাদন করবেন।



কেন আমি বিষয়টি উল্লেখ করছি? কারণ আমি আপনাদের ব্যাখ্যা করতে চাই কেন আমার এতো দুর্নাম রয়েছে। যখন আমি এটা শুনলাম, আমি সম্পূর্ণরূপে হতবুদ্ধি হয়ে পড়লাম। উনার এই হেঁয়ালির কি ব্যাখ্যা হতে পারে? কেননা আমি জানি যে, আমার কোন প্রজ্ঞাই নেই, কম হোক বা বেশি হোক, তাহলে তিনি কি বলতে চাইছেন, যখন বলছেন যে আমিই সবচাইতে প্রজ্ঞাবান ব্যাক্তি। আবার যেহেতু তিনি ইশ্বর, তিনি মিথ্যা কথাও বলতে পারেন না, সেটা তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ হবে। অনেক চিন্তা-ভাবনার পর, এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্যে আমি একটি উপায় খুঁজে বের করলাম। যদি আমি এমন কোন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে পারি যিনি আমার চাইতে প্রজ্ঞাবাণ, তবে আমি ঐ কথা সঠিক নয় সেই প্রমান হাতে নিয়ে ইশ্বরের কাছে যেতে পারবো। আমি তখন ইশ্বরকে বলতাম, "আপনি বলেছিলেন যে, আমিই সবচাইতে প্রজ্ঞাবান, অথচ এই দেখুন আমার চাইতে প্রজ্ঞাবান একজন ব্যক্তি আছে।" এই উদ্দেশ্যে আমি এমন একজনার কাছে গেলাম যার প্রজ্ঞাবান বলে খ্যাতি আছে, এবং তাকে পর্যবেক্ষণ করলাম -- তার নাম আমি আর উল্লেখ করলাম না। তিনি ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, যাকে পরীক্ষার জন্য আমি বেছে নিয়েছিলাম। আর ফলাফল ছিলো এরকম: সেই রাজনীতিবিদ নিজেও নিজেকে জ্ঞানী বলে মনে করতেন, এবং অন্য অনেকেই তাকে জ্ঞানী বলে মনে করতো। কিন্তু তার সাথে আলোচনা করে আমি খুব শীগগিরই বুঝতে পারলাম যে, সেই রাজনীতিবিদ মোটেও জ্ঞানী নন। তারপর আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম যে, তিনি যদিও নিজেকে জ্ঞানী বলে মনে করেন, কিন্তু আসলে তিনি জ্ঞানী নন। এর ফলে তিনি আমাকে ঘৃণা করতে শুরু করেন, আমার প্রতি তার এই ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ে আরো অনেকের মধ্যে, যারা সেই সময় উপস্থিত ছিলো এবং আমার কথা শুনেছিলো। আমি তার কাছ থেকে চলে এলাম। আসার পথে আমি ভাবতে শুরু করলাম: আচ্ছা যদিও আমি মনে করি যে আমাদের দুজনার মধ্যে কেউই প্রকৃত সত্য অথবা সুন্দর ও ভালো কিছু জানেনা, তারপরেও আমি উত্তম, কেননা সে কিছুই জানেনা, কিন্তু সে মনে করে যে, সে অনেক কিছুই জানে, পক্ষান্তরে আমি অজ্ঞ এবং আমি বুঝতে পারি যে আমি অজ্ঞ। তাহলে ঐ বিচারে আমি তার চাইতে সামান্য কিছুটা শ্রেয়তর বলে মনে হয়। তারপর আমি আরও একজনার কাছে গেলাম প্রজ্ঞাবান হিসাবে যার অধিকতর দুরহঙ্কার ছিলো। তার বিষয়েও আমি একই সিদ্ধান্ত নিলাম। এবারও আমি একজন শত্রু তৈরী করলাম, এবং পাশাপাশি তার নিকটবর্তিরাও আমার শত্রু হলো।



তারপর আমি একের পর এক বিভিন্ন মানুষের কাছে যেতে শুরু করলাম, মনের অজান্তে যে শত্রুতা আমি প্ররোচিত করেছিলাম, যার জন্য আমার মধ্যে অনুতাপ ও ভীতি ছিলো; কিন্ত একই সাথে আবার আমি ভেবেছিলাম যে, ইশ্বরের কথাকে সবকিছুর উর্ধে স্থান দেয়া উচিৎ। আমি নিজের মনকে বললাম, জ্ঞানী বলে সুনাম রয়েছে এমন প্রত্যেকটি মানুষের কাছেই আমার যাওয়া উচিৎ, এবং দৈববাণীর অর্থ খোঁজা উচিৎ। এবং আমি শপথ করে বলছি, হে বিচারকগণ, কুকুরের নামে শপথ করে বলছি -- আমি আপনাদের কাছে নিশ্চিত সত্য কথা বলবো -- আমার মিশনের ফলাফল ছিলো ঠিক এইরকম: আমি আবিষ্কার করলাম যে, যেই ব্যক্তির খ্যাতি যত বেশি সে তত বেশি নির্বোধ। আর খ্যাতির মাত্রা যত কমতে থাকে জ্ঞানের মাত্রা তত বাড়তে থাকে। এখন আমি আপনাদের আমার দীর্ঘ পরিক্রমার এবং হারকিউলিয়ান পরিশ্রমের কথা বলবো, যা আমাকে সহ্য করতে হয়েছে এবং পরিশেষে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, দৈববাণী সত্য ছিলো। রাজনীতিবিদদের পর আমি কবিদের কাছে গেলাম; বিয়োগান্তক, মহোল্লাসপূর্ণ, এবং সব রকমই। আমি নিজের মনে বলেছিলাম যে, 'তুমি তাৎক্ষণিকভাবেই সনাক্ত হবে; এবং তুমি আবিষ্কার করবে যে, তুমি তাদের চাইতে অনেক বেশি অজ্ঞ।' এইভাবে, আমি তাদের স্বলিখিত কিছু বড় অনুচ্ছেদ তাদের কাছে নিয়ে গেলাম এবং সেগুলোর সঠিক অর্থ তাদের কাছে জানতে চাইলাম - ভেবেছিলাম তারা আমাকে কিছু শিখাবেন। আপনারা কি আমাকে বিশ্বাস করবেন? সত্যিকথাটা স্বীকার করতে আমার লজ্জ্বা হচ্ছে, তারপরেও বলতে হচ্ছে, সেখানে অন্ততপক্ষে একজনকেও খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছিলো যিনি তাদের লেখা কবিতা একটু ভালো করে বোঝাবেন। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে কবিগণ প্রজ্ঞা দ্বারা কবিতা লেখেন না, বরং তারা সৃজনী ক্ষমতা এবং অনুপ্রেরণা দ্বারাই কবিতা লেখেন, তারা জ্যোতিষী ও দৈবজ্ঞদের মতো অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলে থাকেন, কিন্তু এর অর্থ কিছুই বোঝেন না। কবিদেরকে আমার তেমনই মনে হয়েছে, আরো লক্ষ্য করলাম যে তাদের কবিতার গুনে তারা নিজেদেরকে সকলের চাইতে জ্ঞানী বলে মনে করে অন্যসব বিষয়েও যেগুলো সম্পর্কে আসলে তারা জ্ঞান রাখেনা। সুতরাং আমি প্রস্থান করলাম, নিজেকে তাদের চাইতে উচ্চতর মনে করে ঐ একই কারণে, যে কারণে আমি নিজেকে রাজনীতিবিদদের চাইতে শ্রেয় মনে করেছিলাম।



পরিশেষে আমি কারিগড়দের কাছে গেলাম। আমি এই বিষয়ে সচেতন ছিলাম যে, আমি কিছুই জানিনা, এবং আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, তারা অনেক সুন্দর সুন্দর বিষয় জানে; এবং এবার আমি ভুল করিনি, দেখলাম তারা এমন অনেক কিছুই জানেন যেই বিষয়গুলোতে আমি একেবারেই অজ্ঞ। এবং ঐসব বিষয়ে তারা অবশ্যই অনেক কিছু জানেন যা আমি একেবারেই জানিনা। এবং ঐসব বিষয়ে তারা অবশ্যই আমার চাইতে জ্ঞানী। কিন্তু আমি লক্ষ্য করলাম যে, এমনকি ভালো কারিগড়রাও কবিদের মতো ঐ একই ভুল করছে, -- যেহেতু তারা ভালো কারিগড়ি জ্ঞান রাখে, সেই সুবাদে তারা মনে করে যে, তারা সর্ব বিষয়েই অনেক জ্ঞান রাখে। এবং তাদের মধ্যকার এই ত্রুটি তাদের জ্ঞানকে ঢেকে ফেলেছে। অতএব আমি দৈববাণীর পক্ষ থেকে নিজেকে প্রশ্ন করলাম, আমি যেমন আছি তেমনই কি থাকতে চাই, না অর্জন করতে চাই তাদের জ্ঞান না তাদের অজ্ঞতা, অথবা তাদের মত উভয়ই। এবং আমি আমার জন্য ও দৈববাণির জন্য উত্তর তৈরী করলাম, আমি যেমন আছি তেমনই উত্তম।



এই জেরা আমার জন্যে তৈরী করেছে সবচেয়ে খারাপ এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরনের অনেক শত্রু এবং তার পাশাপাশি জন্ম দিয়েছে আমার অনেক দুর্নাম। আমাকে প্রজ্ঞাবাণ বলা হয়, আমার শ্রোতাগণ সবসময়ই ভাবে যে আমি প্রজ্ঞাবাণ যার তুলনায় আমি অন্যদেরকে নির্জ্ঞান মনে করি: কিন্তু সত্যটা হলো এই যে, হে বিচারকগণ! ইশ্বরই একমাত্র প্রজ্ঞাবাণ; এবং উনার উত্তরের দ্বারা তিনি এই বোঝাতে চেয়েছেন যে, ইশ্বরের জ্ঞানের তুলনায় মানুষের জ্ঞান খুবই সামান্য বা কিছুই নয়; তিনি আসলে সক্রেটিসের কথা বলেন নি, তিনি ব্যখ্যার জন্য সক্রেটিসের নাম ব্যবহার করেছেন মাত্র। ইশ্বর যেন বলছেন, 'হে মানবগণ, তিনিই মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী, যিনি সক্রেটিসের মত এ বিষয়ে জানেন যে, প্রকৃতপক্ষে তার জ্ঞান কিছুই নয়।' সুতরাং আমি ইশ্বরের প্রতি অনুগত হয়ে পৃথিবীর পথে ঘুরতে শুরু করলাম, এবং নাগরিক হোক আর আগন্তুক হোক যে কারোরই জ্ঞানের সন্ধান ও জেরা করতে থাকলাম, যাকেই জ্ঞানী বলে মনে হয়েছিলো; আর যখন দেখেছি যে সে জ্ঞানী নয়, তখন দৈববাণীর প্রমান হিসাবে আমি তাকে বলেছি যে তিনি জ্ঞানী নন। দৈববাণীর সত্যতা প্রমান করাকে আমি আমার কর্তব্য জ্ঞান করেছি, এবং এর ফলে আমার নিজের প্রয়োজনে অথবা সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করার সময় আমার ছিলোনা, ইশ্বরের প্রতি আমার এই ভক্তির ফলে আমি কঠোর দারিদ্রের মধ্যে নিপতিত হই।



আর একটি বিষয় আছে -- অধিকতর বিত্তশালী শ্রেনীর যুবকদের তেমন করণীয় কিছু না থাকার ফলে তারা আমার কাছে এসেছে এবং আমার কথা আগ্রহের সাথে শুনেছে, এবং জনগণের কাছে জ্ঞানের ভানকারীদের অজ্ঞতা প্রকাশ করে দিয়েছে। অতি দ্রুতই অনেক সংখ্যক লোক বুঝতে পারে যে, তারা মনে করতো যে তারা কিছু জানে, আসলে তারা কিছুই জানেনা। এতে করে তারা নিজের প্রতি ক্ষুদ্ধ হওয়ার বদলে আমার প্রতি ক্ষুদ্ধ হতে শুরু করে। তারা বলেছে, সক্রেটিস নামে একজন বিভ্রান্তকারী রয়েছে, বর্তমান যুবসমাজের বিপথগামীতার জন্য তিনিই দায়ী! -- এবং তারপর কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে যে, কেন? কি শয়তানী কার্য সে করে বা শিখায়? তারা জানেনা এবং বলতে পারেনা; কিন্তু তারা নিজেদের লোকসান না করতে চেয়ে, তারা রেডী-মেড অভিযোগগুলোই পুনরাবৃত্তী করতে থাকে, যা ইতিপূর্বে সকল দার্শনিকদের বিরুদ্ধে ও তাদের শিক্ষার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিলো, যিনি স্বর্গ সম্পর্কে অনুধ্যানী চিন্তা করেন ও মর্ত্যের গোপন বিষয় সম্পর্কে অনুসন্ধান করেন, দেবতাদের স্বীকার করেননা। এবং যা ভালো তাকে মন্দ বলে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন।' যেহেতু তারা জনগণের সামনে তাদের জ্ঞানের ভান ধরা পড়ে যাওয়াকে কবুল করে নিতে চায়না - যেটা আসলে সত্যি; এবং যেহেতু তারা সংখ্যায় অনেক বেশি, উচ্চাভিলাষী, এবং কর্মশক্তিপূর্ণ, তাই তারা প্ররোচনার যুদ্ধে অবনিত হয়েছে, তারা আপনাদের কর্ণসমূহে উচ্চ ও পক্ক বিষ ঢেলেছে।



(চলবে)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

রমিত বলেছেন: সক্রেটিসের এ্যাপোলজি - ২
নিচের লিংকে পাবেন

Click This Link

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ বেশ।+।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৩

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: ক্লাসিক! :D

আইজকার পোলাপাইনেরা এসব পড়ে না।


আপনি কোন বিষয়ে পি.এইচ.ডি? জানতে পারি?


ডক্টর এর সংক্ষিপ্ত রূপ কিন্তু ড., বিসর্গ (ঃ) বাংলা বর্ণমালার একটি স্বাধীন বর্ণ। বাংলা হোক, বা ইংরেজী, - সংক্ষিপ্ত রূপ প্রকাশক করতে হবে ডট (.) দিয়ে। :)

সক্রেটিস সমকামী ছিল। তাই না?


পোষ্টে প্লাস। না-পড়েই। B-)


আপনার এখানে - "মহোল্লাসপূর্ণ", "কর্মশক্তিপূর্ণ", "আপনাদের কর্ণসমূহে উচ্চ ও পক্ক বিষ ঢেলেছে" - এসব শব্দ/শব্দগুচ্ছ অনুবাদ হিসেবে ভাল লাগেনি।

অনুবাদ করা সহজ কাজ নয়, তা' আমি জানি। তবুও আমার ব্যক্তিগত কয়েকটি পয়েন্ট দিলাম।

ডোন্ট টেক ইট টু হার্ট, প্লীজ। সমালোচক একজন বন্ধু। মানেন নিশ্চই।

ধন্যবাদ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৯

রমিত বলেছেন: আমি জানি সমালোচক একজন বন্ধু, তাই সমালোচনা আমি পজেটিভলিই নেই।

আমি ফিজিক্স-এ পি. এইচ. ডি.

ইতিপূর্বে বিসর্গ দিয়ে প্রকাশ করা হতো, তাই আমি পুরনো রীতিটিই ফলো করছি। ঠিকআছে এরপর থেকে ডট দিয়ে লিখবো।

অনুবাদ করা কঠিন। আর আমি যথার্থ অর্থে অনুবাদক নই। আবার দর্শনেরও ছাত্র নই। তারপরেও একটা প্রচেষ্টা। তাই অনুবাদের দুর্বলতা ও কিছু ত্রুটি রয়েছে আমি জানি। চেষ্টা করবো ত্রূটিগুলো দূর করতে।

আমার লেখা পড়ার জন্য ও দীর্ঘ মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২০

রমিত বলেছেন: আমার লেখাটি নির্বাচিত পাতায় দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সামহোয়্যারিন ব্লগের জন্য এটা ক্লাসিক সিরিজ। আমি মুগ্ধ হয়ে একটানে পড়লাম।

এ পোস্টের একটা অংশ পড়ে বিস্মিত হলাম। আমি আজ একটা পোস্ট পাবলিশ করেছি। কবিদের ব্যাপারে এত আগেও এই অভিন্ন মনোভাব ছিল মানুষের মনে!!!

“রাজনীতিবিদদের পর আমি কবিদের কাছে গেলাম; বিয়োগান্তক, মহোল্লাসপূর্ণ, এবং সব রকমই। আমি নিজের মনে বলেছিলাম যে, 'তুমি তাৎক্ষণিকভাবেই সনাক্ত হবে; এবং তুমি আবিষ্কার করবে যে, তুমি তাদের চাইতে অনেক বেশি অজ্ঞ।' এইভাবে, আমি তাদের স্বলিখিত কিছু বড় অনুচ্ছেদ তাদের কাছে নিয়ে গেলাম এবং সেগুলোর সঠিক অর্থ তাদের কাছে জানতে চাইলাম - ভেবেছিলাম তারা আমাকে কিছু শিখাবেন। আপনারা কি আমাকে বিশ্বাস করবেন? সত্যিকথাটা স্বীকার করতে আমার লজ্জ্বা হচ্ছে, তারপরেও বলতে হচ্ছে, সেখানে অন্ততপক্ষে একজনকেও খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছিলো যিনি তাদের লেখা কবিতা একটু ভালো করে বোঝাবেন। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে কবিগণ প্রজ্ঞা দ্বারা কবিতা লেখেন না, বরং তারা সৃজনী ক্ষমতা এবং অনুপ্রেরণা দ্বারাই কবিতা লেখেন, তারা জ্যোতিষী ও দৈবজ্ঞদের মতো অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলে থাকেন, কিন্তু এর অর্থ কিছুই বোঝেন না। কবিদেরকে আমার তেমনই মনে হয়েছে, আরো লক্ষ্য করলাম যে তাদের কবিতার গুনে তারা নিজেদেরকে সকলের চাইতে জ্ঞানী বলে মনে করে অন্যসব বিষয়েও যেগুলো সম্পর্কে আসলে তারা জ্ঞান রাখেনা। সুতরাং আমি প্রস্থান করলাম, নিজেকে তাদের চাইতে উচ্চতর মনে করে ঐ একই কারণে, যে কারণে আমি নিজেকে রাজনীতিবিদদের চাইতে শ্রেয় মনে করেছিলাম।”

অনেক অনেক ভালো লাগা ও অভিনন্দন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২০

রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার লেখাটিও পড়লাম। ভালো লেগেছে।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০১

চিরতার রস বলেছেন: বুকমার্ক করে রাখলাম। পরে মন দিয়ে পড়বো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২১

রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: উচ্চমার্গের একটি লেখা।




সুন্দর হয়েছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

রমিত বলেছেন: মহাজ্ঞানী সক্রেটিসের বক্তৃতা - উচ্চমার্গেরই হওয়ার কথা। আপনাকে ধন্যবাদ।

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: কষ্টসাধ্য কাজ। ভাষাটা আরও একটুখানি সহজ করার দিকে মনোনিবেশ করলে পাঠক প্রিয়তা লাভ করবে।
একই সময়ে আপনি আর আমি ফিলোসফি নিয়ে লেখা শুরু করলাম, ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগলো।
শুভকামনা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫০

রমিত বলেছেন: ভাষা আরো সহজ করার চেষ্টা করবো।
আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.