নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

তদুপরী ফুলের এ ঘর ভাঙলো কেন আমার?

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

তদুপরী ফুলের এ ঘর ভাঙলো কেন আমার?

------------------------------------ ড. রমিত আজাদ



ভালোবেসেই ঘরতো আমি বেধেছিলাম তোমার,

তদুপরী ফুলের এ ঘর ভাঙলো কেন আমার?



তোমার চোখে দেখেছিলাম , আমার হাসির আলো,

সেই সে হাসি কেমন করে কান্না হলো বলো?

সেই যে সেদিন প্রথম দেখার মধুর কোমল ক্ষণে

বলেছিলে মিষ্টি হেসে, আজও পড়ে মনে,

"এতো রূপের ঝলক নিয়ে গড়া যাহার অঙ্গ,

চাঁদের দ্যুতি মায়াবতি, কি করে নিঃসঙ্গ ?"

কি অদ্ভুত শব্দাবলী! কর্ণে মধুর জ্যোৎস্না ঢালি,

স্বপ্নপূরীর ইন্দ্রজালি, বীণার তারে সুতান তুলি।



হায় সে রূপের ঝলক বুঝিই হলো আমার কাল ,

সেই লাবণ্য ভোগের লোভে চেলেছিলে চাল।

এতো মিথ্যা, প্রবঞ্চনা, এতো প্রকার প্রতারনা?

বিশ্বাসীলাম নিঃসংশে অবোধ আমি সরল মনা!





ভেবেছিলাম ভালোবেসেই চাইছো আমার সঙ্গ,

জীবনসাথী হয়ে তোমার সঁপে দেবো অঙ্গ।

অবশেষে পেলাম আমি আমার চিরসাথী,

কাটিয়ে দেবো বাহুপাশে হাজার তারার রাতি।





সেই সে মধুর প্রথম দেখা, সেই সে প্রথম স্বপ্ন আঁকা,

সেই সে উষ্ণ তপ্ত ছোঁয়া, সেই হৃদয়ের আবেগ ধোয়া,

শিহরণে জেগে ওঠা কোষে কোষে দগ্ধ কায়া,

সীমার বাইরে বেরিয়ে এসে সীমাহীনের মত্ত হওয়া ।





উপেক্ষা নয় অপেক্ষাতে কেটে যেত কত বেলা!

মেঠোপথের সাঁঝের বাঁকে জোনাকীদের আলোর মেলা।

অবশেষে উঠলো বেজে বিয়ের বাঁশী তীব্র সুরে

স্বপ্ন দেখায় মগ্ন থাকা ভাবনাগুলো হৃদয় জুড়ে।

আমার দুয়ার ফেলে রেখে, তোমার ঘরের দ্বারে গেলাম,

হ্যামিলনের বংশিবাদক সত্য করে তোমায় পেলাম।

তবু কেন বংশী আমার ভেঙে গেলো বেসুর সুরে,

আলিঙ্গনের আগোল থেকে চলে গেলাম অনেক দূরে?



বলেছিলে তুমি আমায় চোখ রেখে চোখে,

মরে যেন না যাই আমি তোমায় একা রেখে,

"মরতে চাই তোমার সাথেই", বলেছিলাম আমি

তুমি জানো আমার সে মন, জানেন অন্তর্যামী,

দেখতো এখন বেঁচে থেকেও কেমন আমি মরা,

নিঃশেেষিত জীবন আমার বিষন্নতায় ভরা।





অচেনা থেকে চিরচেনা হয়েও আবার পর,

শান্তির নীড় খুঁজে পেয়েও, উঠলো ফুঁসে ঝড়?

মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় রোজনামচা রেখে,

যাদুটোনা করছিলো কেউ সুখ আমাদের দেখে?





সরল শৈশবের মতো শ্বেত সিত কাঁশবন,

সেই পথ চাওয়া, সেই নিষ্পাপ মনের অনুরনন,

জোয়ারের জলস্রোতে জ্বলে ওঠা জ্বলন্ত জোনাকীর জ্যোতি,

পথের দুপাশ ছেয়ে থাকা অলকানন্দা আর কৃষ্ণচূড়ার দ্যূতি,

সেই প্রতিটি দিনের শেষে, ফিরে ফিরে আসা অবুঝ আকুল মন,

ঘন তমশায় নিশি জেগে থাকা, কেঁপে কেঁপে ওঠা কায়ার শিহরণ!





প্রতিফোটা অশ্রু তুমি মুছে দিতে চেয়েছিলে অনুরাগ স্পন্দনে,

সেই লোচনে এখন কেবলই বৃষ্টি ঝরে,

কই তুমিতো আসনা আজ, অভিমানে ক্রন্দনে!

সুখের কান্না কেঁদে আমি উঠেছিলাম তোমার ঘরে

দুঃখের কান্না কেঁদে ফিরি আজ আমার নিজের দ্বারে।

শোকের স্রোতে ভাসে আজ সেই মায়াবতী,

বুঝি অবিশ্রান্ত কান্নাই ছিলো আমার নিয়তি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৫

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
রমিত,
আপনার লেখা কবিতাটি ভালো লেগেছে।

২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৪

রমিত বলেছেন: আপনি প্রথম মন্তব্য করলেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:১৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
নিজেকে ছোট লাগছে।
এতদিন কেন আপনাকে একটিও মন্তব্য করিনি।

লেখাটি খুব ভাল লাগল।

২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

রমিত বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে এটাই বড় কথা।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
তৃপ্তি পেলাম ৷ ভাল লাগল ৷

২২ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২১

রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.