নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
১৯৮১ সালের ৩০শে মে, একটি নক্ষত্রের ঝরে পড়া, শোকে মূহ্যমান জাতি – পর্ব ৮
------------------------------------------------ ডঃ রমিত আজাদ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর থেকে)
http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/29893013
পূর্ববর্তি পর্বে লিখেছিলাম, '৭ই নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে শুরু হলো আরো একটি ঘটনা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে একটি কথা আছে, 'বিপ্লবের পর প্রতি বিপ্লব আসে'।' এবার এখান থেকে শুরু করবো।
৩ রা নভেম্বরের অভ্যুত্থানকরেছিলেন খালেদ মোশাররফ, ৭ ই নভেম্বরে তাকে হিট করলো পাল্টা-অভ্যুত্থান এই কাউন্টার হিটে তিনি পর্যুদস্ত হন।
একটি কথা প্রায়ই শোনা যায়, '৭ই নভেম্বরে কর্ণেল তাহের জিয়ার জীবন রক্ষা করেছিলো'। ব্যপারটা কি ১০০% তাই? আর কেউ কি জিয়ার জীবন রক্ষা বা জিয়াকে মুক্ত করায় ভূমিকা রাখেনি?
১৯৭৫ যারা জিয়ার জীবন রক্ষা করেছিলেন
৪ ই বেংগল রেজিমেন্ট কমান্ডিং অফিসার কর্ণেল আমিনুল হক বীরবিক্রম...........
৪ ই বেংগল রেজিমেন্ট অ্যাডজুটেন্ট মেজর মুনীর.........
২ ফিল্ড আর্টিলারীর সুবেদার মেজর আনিস প্রমুখ
(গত পর্বে আমি উনাদের নাম উল্লেখ করেছি)
আসলে তাহের এবং তৎকালীন জাসদ নেতৃবৃন্দ জিয়াকে সামনে রেখে , জিয়ার মুক্তিযুদ্ধকালীন ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে সুচতুরভাবে ক্ষমতা দখলের প্রয়াস নেন ৭ ই নভেম্বরের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে.......কিন্তু এত কিছুর পরও চেইন অফ কমান্ড এবং সেনাপ্রধান পদের অন্তর্নিহিত শক্তি ও আনুগত্যের কাছে তারা পরাজিত হন....... তাহেরকে এর জন্য চরম মূল্যও দিতে হয়
-------------- এই কথাগুলো বীরবিক্রম শাফায়াত জামিলের
সেসময়কার সব ঘটনার স্বাক্ষি কর্ণেল হামিদের কাছেঃ
জাসদের উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক শ্রেনীহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা , যদিও কর্ণেল তাহেরের লক্ষ্য ছিল অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল। তাহের সৈনিকদের ১২ দফা দবি প্রণয়ন করে........তাহেরের মতে , জিয়ার সাথে তার আগেই এসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল। তাহেরের ভেবেছিল সে-ই অধিক বুদ্ধিমান । জিয়াকে ব্যবহার করে সে ক্ষমতায় আরোহন করবে ! কিন্তু তার সেই ক্যাল্কুলেশন ভুল হয়েছিল
জিয়ার জীবন কি বিপন্ন ছিলো ?
যদি বিপন্ন হয়েই থাকে তবে কার হাতে বিপন্ন হয়েছিলো ?
এই প্রশ্নের উত্তরে সেই সব ইতিহাস ঢুলীরা ঢোল ঝোলায় পুরে বাশীতে মিহি সুর তোলেঃ
খালেদ মোশাররফের হাতে.........
আসলেই কি তাই ?
৭ ই নভেম্বরের সিপাহী বিপ্লবের ইমপালসে মুক্তি পাওয়ার পর জিয়া তার বন্দিত্বের মুল কুশলী শাফায়াত জামিলকে ফোন করে বলেছিলেনঃ
ফরগিভ অ্যান্ড ফরগেট / লেটস ইউনাইট দা আর্মি...............
জবাবে শাফায়াত জামিল রুক্ষ রূঢ় ভাবে জিয়ার সেই উদার আহ্বান ছুড়ে ফেলেন............
অথচ প্রাণ নিয়ে পালানোর সময় ভাঙ্গা পা নিয়ে অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে নারায়নগঞ্জ থানা থেকে টু ফিল্ড রেজিমেন্টে জিয়ার কাছেই তাকে উদ্ধারের জন্য ফোন করলেন শাফায়াত জামিল............
শাফায়াত জামিল নিজেই বলেছেন, "নারায়নগন্জ থেকে দ্বিতীয় ফিল্ড রেজমেন্টে জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। জিয়ার পক্ষে মীর শওকত আমাকে বললেন, তুমি ওখানেও থাকো, আমি লে, কর্ণেল আমিনুল হককে পাঠাচ্ছি। সে তোমাকে নিয়ে আসবে। ঘন্টা দুয়েক পরে আমিনুল হক এলো। তার সঙ্গে দুই তিনটি গাড়ীতে ৪র্থ বেঙ্গলের কিছু সৈন্য। ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম আমরা। ঢাকা পৌছে আমাকে সি,এম,এইচ-এ ভর্তি করা হলো। এখানে এসে শুনি খালেদ হায়দার ও হুদার নির্মম হত্যাকান্ডের খবর। পরে শুনি মুক্তি পেয়ে দ্বিতীয় ফিল্ড রেজিমেন্টে আসার পর জিয়া নিজে বলেছিলেন, There should not be bloodshed. No retribution, nobody will be punished……………………”
শাফায়াত জামিল আরো বলেছেন, "৬ই নভেম্বর রাতে খালেদ মোশাররফ চলে যাওয়ার পরও আমি বঙ্গভবনে থেকে যাই তারই নির্দেশে। খালেদের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি তারপরতো সিপাহী বিপ্লব ঘটে গেলো। রাত তিনটার দিকে (৭ই নভেম্বর) জিয়া ফোন করলেন আমাকে, বললেন, "Forgive and forget, lets unite the army.”
জিয়াও তাকে উদ্ধার করে এনে সিএমএইচে ভর্তি করেন............
ঠিক এই জায়গাটাতেই আলো ফেলেছেন কর্ণেল শাফায়াত জামিল নিজেইঃ
ইতিমধ্যে দুপুর দুটোর মধ্যে জিয়া তার পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তিনি আমাকে একবার তার সাথে দেখা করার জন্য খবর পাঠান ; কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে আমার জন্য সেটা হতো কিছুটা বিব্রতকর। জিয়ার সাথে আমার একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলো । একাত্তরে এক সংগে যুদ্ধ করেছি আমরা ............তবে জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ভার আমার উপর ছিলো। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম , নিজেদের ক্ষমতা সংহত করার পর জিয়াকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ি প্রতিনিধি করে পাঠিয়ে দেবো........
৭ই নভেম্বর ১৯৭৫ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কি ঘটেছিলো ঐ দিন? কারা ঘটিয়েছিলো সেই কাউন্টার ক্যু? সিপাহী বিপ্লব কি? বিপ্লবী সৈনিক পরিষদ কি? কি লেখা ছিলো বারো দফায়? কি ভূমিকা ছিলো কর্নেল তাহেরের? নিরিহ-নিরাপরাধ অফিসারদের কেন হত্যা করা হয়েছিলো? ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের এই চৌকষ অফিসারদের বিরুদ্ধে এতো আক্রোশ কার থাকতে পারে? কারা মুক্ত করেছিলো জিয়াউর রহমানকে? বরাবরের অনুগত সৈনিকদের একটা অংশ হঠাৎ এত উশৃংখল হয়ে উঠলো কেন? সহজ-সরল সৈনিকদের কেউ কি উশকে দিয়েছিলো? উশৃংখল সৈনিকদের কে শান্ত করেছিলো? কি ঘটেছিলো তার পরে? কি কি রাজনৈতিক আদর্শ-মতাদর্শ কাজ করেছিলো সেখানে? আন্তর্জাতিক প্রভাব সেখানে কাজ করেছিলো কি? এমন হাজারটা প্রশ্ন রয়েছে ৭ই নভেম্বর ১৯৭৫-কে ঘিরে।
৭ ই নভেম্বর বিকাল পর্যন্ত ছিলো তাহেরের শান্ত ও কৌশলী রূপ। কিন্তু কিছুতেই যখন তাহের জিয়াউর রহমানকে নিজের পথে আনতে পারলেন না বা নিজের উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যবহার করতে পারলেন না তখন ধীরে ধীরে তার মুখমন্ডলে কালো মেঘের ছায়া পড়তে শুরু করলো। বিকাল চারটার দিকে কর্ণেল হামিদ গেলেন জিয়ার কাছে টু ফিল্ড আর্টিলারিতে। বারান্দায় ঢুকতেই দেখলেন তাহের বসে আছেন ভীষণ গম্ভীর মুখে। কর্নেল হামিদ প্রশ্ন করলেন, "কি ব্যাপার তাহের? তুমি এতো গম্ভীর কেন?" উত্তের তাহের বললেন, "স্যার আপনারা কথা দিয়ে কথা রাখবেন না, মন খারাপ হবে না?" তিনি তাহেরের কথার মাথামুন্ডু কিছু বুঝতে পারলেন না। কর্নেল আমিন কর্নেল হামিদকে একপাশে নিয়ে গিয়ে বললেন, "স্যার বুঝলেন না, তাহের এখন জিয়া স্যারকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বারগেন করছে। এখন সে জিয়া স্যারকে মেরে ফেলতে চায়।" (কর্নেল তাহের সামরিক জীবনে জিয়াউর রহমান ও কর্নেল হামিদের ছয় বছরের জুনিয়র ছিলেন।)
সাথে সাথে বিদ্যুৎ খেলে গেলো জিয়াউর রহমান-এর একান্ত বন্ধু কর্নেল হামিদের শরীরে। তিনি বুঝতে পারলেন যে, গতকাল সৈনিকের বেশে এলোমেলো যে সব অচেনা লোকদের দেখতে পেয়েছিলেন তারা আসলে সৈনিক নয়, তারা তাহেরের বিপ্লবী বাহিনীর লোক। কোন অদৃশ্য শক্তির অঙ্গুলি হেলনে ঐ তথাকথিত বিপ্লবীরা সেনানিবাসে ভয়াবহ কিছু ঘটিয়ে ফেলতে পারে। তিনি মুহুর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিলেন। কর্নেল আমিনকে বললেন, "ফোর বেঙ্গল তোমার কন্ট্রোলে আছে তো?" কর্নেল আমিন বললেন, "অবশ্যই।"
কর্নেল হামিদঃ তাহলে তুমি তোমার সৈন্যদের নিয়ে ডিফেন্স পেরিমিটার তৈরী করো। আমার কাছে তো অবস্থা গোলমেলে মনে হচ্ছে।
কর্নেল আমিনঃ জানিনা স্যার আজ রাতে কি হবে। তাহের তো উল্টাসিধা কথা বলছে। তবে আমার লোকজন ঠিক আছে।
কর্নেল হামিদঃ এখানে টু ফিল্ড-এর খবর কি?
কর্নেল আমিনঃ টু ফিল্ড তো সুবেদার মেজর কমান্ড করছে। কোন অফিসার নেই। বিপ্লবীতে ভরে গেছে। দেখছেন না আশেপাশে?
কর্নেল হামিদঃ জিয়া ভিতরে আছে?
কর্নেল আমিনঃ জ্বী, স্যার ভিতরে আছেন। আপনি গিয়ে একটু বুঝিয়ে বলুননা । রাতে গোলমাল হতে পারে।
কর্নেল হামিদঃ হ্যাঁ, যাচ্ছি।
কর্নেল হামিদ ভিতরে গিয়ে দেখলেন ভারী মেজাজ নিয়ে বসে আছেন জিয়াউর রহমান। তাঁর হাতে কাগজ। তিনি মনযোগ সহকারে তা পড়ছিলেন। এটাই ছিলো সেই তাহেরের প্রস্তাবিত বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত বারো দফা দাবী। কর্নেল হামিদকে দেখে জিয়া বললেন, "কি অবস্থা! যেখানেই যাই সেখানেই দাবী।"
কর্নেল হামিদঃ দাবী কয়টা?
জিয়াউর রহমানঃ (মেজাজ খারাপ করে বললেন) একশোটা।
কর্নেল হামিদঃ আজ রাতে গোলমাল হতে পারে, তোমার এখানে থাকা ঠিক হবেনা।
জিয়া বিপদ কিছুটা আচ করতে পেরেছিলেন। হামিদের কথা শুনে তিনি আরো গম্ভীর হয়ে গেলেন। সেনাপ্রধান হিসাবে তার তখন দায়িত্ব ছিলো বিশৃংখলার হাত থেকে দেশকে ও সেনাবাহিনীকে বাঁচানো।
জিয়াউর রহমানঃ কিপ ওয়াচ। আমিন-কে বলো চোখকান খোলা রাখতে। তুমিও যাও টু ফিল্ডের সুবেদার আনিসকে তো চেনো। উনার সাথেও আলাপ করো।
কর্নেল হামিদ বাইরে এসে সুবেদার আনিসকে কোথাও খুঁজে পেলেন। বরং টু-ফিল্ডে প্রচুর জটলা দেখতে পেলেন। তারা কে কোন পক্ষের বিঝা মুশকিল ছিলো। অবস্থা বেশ ঘোলাটে মনে হলো। কর্নেল তাহেরের থমথমে মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিলো, তিনি ভীষণ ক্ষিপ্ত, যেকোন মুহুর্তে ভয়াবহ কিছু ঘটিয়ে ফেলবেন। এতক্ষণে তাহেরের আসল রূপ ধরা পড়লো। তাহের হয় নিজের ক্ষমতা অথবা কোন রাজনৈতিক মতাদর্শকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। রক্তক্ষয়ী সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠলো।
কর্নেল আনিসকে বারান্দায় পায়চারি করতে দেখা গেলো। তার মুখও থমথমে কপালে চিন্তার রেখা। হামিদকে দেখে প্রশ্ন করলেন
কর্নেল আনিসঃ চীফ-এর সাথে কথা হয়েছে? কিছু বললেন না তো?
কর্নেল হামিদঃ অবস্থা ভালো নয় চীফ তোমাকে চোখকান খোলা রাখতে বলেছেন। খুব সাবধান থাকো তোমার ফোর বেঙ্গল রেডী রাখো। সুবেদার আনিস-কে দেখেছো? চীফ কেন জানি উনার সাথে কথা বলতে বলেছেন।
কর্নেল আনিসঃ উনাকে এখানে পাবেন না। আমিও তাকে খুঁজছি। তাদের টু-ফিল্ডে এখন মিটিং চলছে। বিপ্লবীরা শুনেছি আজ রাত্রে অফিসারদের উপর হামলা চালাবে। আপনি চলে যান স্যার আমি সব সামলে নেবো।
বিপদ আঁচ করতে পারলেও ৭-৮ নভেম্বর রাতটি বাংলাদেশের সেনানিবাসের ইতিহাসে অফিসারদের জন্য যে কি রক্তাত রাত হবে তা বোধহয় কেউ ধারনাই করতে পারেনি।
(চলবে)
সাহায্যকারী সূত্রঃ
১। মিশ্র কথন - মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক।
২। দাসত্ব-এর ব্লগ
৩। তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা - কর্নেল এম এ হামিদ।
৪। সাতই নভেম্বর, জেনারেল জিয়া ও কর্নেল তাহের : নির্মল সেন
৫। ইন্টারনেটে প্রাপ্ত বিভিন্ন আর্টিকেল
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৫
রমিত বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৭০ জন পঠিত!
একটাও মন্তব্য নেই!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ইতিহাসের ফাক ফোকর কি তবে এমনই!! কেউ ভরতে চায় না... অবস্থান হারানোর ভয়ে!!!!!????
সিরিজটা প্রিয়তে রাখলাম।
@ লেখক -সিরিজ কপি করে রাখলে আপনার আপত্তি নেইতো?