নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
আমি যেদিন জাগব, সমগ্র পৃথিবী প্রকম্পিত হবে -- তৈমুর লং
------------------------------------------ ড. রমিত আজাদ
তৈমুর লং-এর জন্ম ১৩৩৬ সালের ৮ই এপ্রিল কেশ নগরীর স্কারদু নামক শহরে, এর বর্তমান নাম শহর-ই-সবজ মানে সবুজ শহর। বর্তমান উজবেকিস্তান রাষ্ট্রের সমরকন্দ শহরের ৫০ মাইল দক্ষিণে এই শহর-ই-সবজ অবস্থিত। সেই সময় তা ছিল চাঘতাই খানশাহীর (Chagatai Khanate) অন্তর্ভুক্ত। তাঁর পিতা ছিলেন বারলাস উপজাতির ছোট মাপের ভূস্বামী। এই বারলাস হলো তুর্কী-মঙ্গোল উপজাতি, অথবা মূলতঃ মঙ্গোল উপজাতি যাকে পরবর্তিতে টার্কিফাই করা হয়েছিল। Gérard Chaliand-এর মতে তৈমুর মুসলমান ছিলেন। তৈমুরের মনে চেঙ্গিস খানের সাম্রাজ্যকে পুণঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস জাগে।
তৈমুর ছিলেন একজন মিলিটারি জিনিয়াস এবং ট্যাক্টিশিয়ান, যা তাকে বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী শাসকে পরিণত করে। তৈমুরের সৈন্যবাহিনী ছিল বিশ্বের ত্রাস। যে স্থানই জয় করত সেখানেই ধ্বংসযজ্ঞের প্রলয় তুলত। এই সৈন্যদলের হাতে ১৭ মিলিয়ন মানুষ নিহত হয়। যা ছিল সেই সময়ের পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার শতকরা পাঁচ ভাগ। হিটলারের আগমনের পূর্বে তৈমুরই ছিল বিশ্বের সবচাইতে বড় ত্রাস।
আবার এই তৈমুরই ছিলেন আর্ট ও কালচারের একজন বড় পৃষ্ঠপোষক। তিনি সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রতিষ্ঠাতা ইবনে খলদুন ও পার্শী কবি হাফিজের মত মুসলিম পন্ডিতদের সংস্পর্শে আসেন।
১৩৬০ সালে তৈমুর সেনা অধ্যক্ষ হিসাবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। পরবর্তিতে ১৩৬৯ সালে সমরকন্দের সিংহাসনে আরোহন করেন। সে সময় যেকোন শাসকই সিংহাসনে আরোহনের পর দ্বিগিজ্বয়ে বের হতেন, তৈমুরও তাই করেন। তার সৈন্যাপত্যের গুনে তিনি পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিমে কাস্পিয়ান থেকে শুরু করে উরাল ও ভলগা পর্যন্ত, দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে পারশ্য, বাগদাদ, কারবালা ও ইরাকের কিয়দংশ দখল করেন। ১৩৯৮ সালে তৈমুর দিল্লি সুলতানাত আক্রমণ করেন। এবং কয়েকমাসের মধ্যে দিল্লি জয় করেন। এখানে তিনি এক লক্ষ যুদ্ধবন্দিকে হত্যা করেন। তিনি অটোমান সাম্রাজ্য, মিশর, সিরিয়া, আর্মেনিয়া, জর্জিয়া ইত্যাদি দেশেও সামরিক অভিযান চালান। সব জায়গাতেই ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয় ও অনেক জনপদ বিরান করে ফেলা হয়।
- তার নামের শেষে লং থাকার অর্থ কি? এটা কি তার পদবী?
- না। তার পদবী ছিল গুরগান, পুরো নাম তৈমুর গুরগান। এক যুদ্ধে আহত হয়ে পায়ে আঘাত পেয়ে তিনি খোঁড়া বা ল্যাংড়া হয়ে যান। সেই থেকে তাঁর নাম হয় তৈমুর লং অর্থাৎ ল্যাংড়া তৈমুর।
- তৈমুর মারা গেল কবে?
- তৈমুর চীন জয় করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তখন সেখানে রাজত্ব করছিল মিং ডাইনাস্টি। তিনি মিং-দের আক্রমণের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হলেন, কিন্ত শির দরিয়া পর্যন্ত পৌছে ছাউনি স্থাপন করার পরপরই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। বিশ্বজয়ী কঠোর শাসকের এটিই ছিল শেষ অভিযান। সেই ছাউনিতেই ১৪০৫ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী তিনি দেহত্যাগ করেন।
তৈমুরের মৃত্যুর অনেকগুলো বছর পর। ১৯৪১ সালে তদানিন্তন সোভিয়েত সরকার সিদ্ধান্ত নিল যে, তৈমুরের মৃতদেহ তুলবে। উদ্দেশ্য, দেহাবশেষ থেকে তার সত্যিকারের চেহারার ছবি আঁকা। কোন কঙ্কাল বা দেহাবশেষ থেকে সেই ব্যক্তিটি জীবদ্দশায় দেখতে কেমন ছিল তার চিত্র অংকন করার বিজ্ঞানটি ইতিমধ্যেই সোভিয়েত ইউনিয়নে যথেষ্ট উন্নতি লাড করেছিল। এটা প্রথম করেছিলেন সোভিয়েত প্রত্নতত্ববিদ ও নৃবিজ্ঞানী মিখাইল গেরাসিমোভ (Soviet anthropologist Mikhail M. Gerasimov)। তিনি অতি যত্ন সহকারে অধ্যয়ন করে দুই শত জনেরও অধিক ব্যক্তির দেহাবশেষ থেকে তাদের চেহারা অংকন করেছিলেন।
সেই উপলক্ষে তদানিন্তন সোভিয়েত একনায়ক জোসেফ স্তালিন (ইউজেফ যুগাশভিলি) একটি টীম গঠন করেন যার নেতৃত্বে ছিলেন গেরাসিমোভ । কিন্ত এই মিশন করতে গিয়ে প্রথম যেই বিপত্তিটি ঘটল তাহলো তৈমুরকে যে ঠিক কোথায় দাফন করা হয়েছিল তা সঠিকভাবে কারোই জানা ছিলনা। তৈমুরের টোম্ব সম্পর্কে একাধিক শ্রতি ছিল। এটা খুব সম্ভবতঃ ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছিল, যাতে তার টোম্ব কেউ খুঁজে না পায়। প্রথমে তারা এক জায়গায় যান। সেখানে খোড়াখুঁড়ি করে যা পেলেন তা হলো একটি শূণ্য কবর। তারপর তারা অন্য একটি জায়গায় যান। সেখানেও তৈমূরের টোম্ব থাকার সম্ভাবনা ছিল। এবারেও হতাশ হন গেরাসিমোভ ও তার নৃবিজ্ঞানী দল। এবার ইতিহাস একটু ঘাটাঘাটি করে মনযোগ দি্যে পড়ে, সমরকন্দের একটি জায়গা তারা চিহ্নিত করলেন, যেখানে তৈমুরের মৃতদেহ থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে তারা উপস্থিত হয়ে খোড়াখুঁড়ি শুরু করলেন এবার পূর্বের চাইতে বেশী আত্মবিশ্বাস নিয়ে। কিন্তু খোড়াখুঁড়ির শেষ হওয়ার পর আগের চাইতে আরো বেশী হতাশ হলেন নৃবিজ্ঞানীরা। আবারও পেলেন শূণ্য কবর। সন্ধ্যা নাগাদ ঘরে ফিরে গেলেন তারা। কি করবেন ঠিক বুঝতে পারছিলেন না। খোজাখুঁজি করার কিছুই বাকী রাখেননি তারা। আর কোন সম্ভাব্য জায়গা আছে বলেও মনে হয়না। আরেকবার ইতিহাস ঘাটলেন। না আর কোন জায়গা নেই, হলে এটাই হবে। কিন্তু এখানে তো তারা শূণ্য কবর পেয়েছেন! হঠাৎ বিদ্যুৎ খেলে গেল গেরাসিমোভের মাথায় - 'আমরা থেমে গেলাম কেন? আরো গভীরে খুঁড়িনা। দেখিনা, কি আছে সেখানে।'
পরদিন তারা ফিরে গেলেন টোম্বে। নব উদ্যমে কাজ শুরু করলেন। খুঁড়তে খুঁড়তে আরো গভীরে গিয়ে আবিষ্কার করলেন, কিছু একটা আছে ওখানে। এবার ভারী কয়েকটি পাথরের পাটাতন নজরে পড়ল। স্পস্ট হলো যে, কবরটি কৌশলে নির্মিত। প্রথমে একটি ফাঁকা কবর তারপর আরো গভীরে কিছু আছে। ঐ পাটাতন সরালে কিছু একটা পাওয়া যেতে পারে। ওগুলো সরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এরকম সময়ে গেরাসিমোভের কাছে সংবাদ এলো যে, আপনার সাথে তিন বুড়ো দেখা করতে চায়।
কিছুটা বিরক্ত, কিছুটা বিস্মিত হলেন গেরাসিমোভ, কে এলো আবার এই চূড়ান্ত সময়ে। সংবাদদাতা জানালেন, এটা খুব জরুরী, আপনাকে তাদের সাথে দেখা করতেই হবে। কাজ রেখে বাইরে বেরিয়ে এলেন তিনি। নিকটবর্তী একটি চাইখানা (মধ্য এশিয়ায় প্রচলিত বিশেষ ধরনের অতি জনপ্রিয় চায়ের ক্যাফে)-য় তাকে নিয়ে গেল সংবাদদাতা। সেখানে তিনজন বৃদ্ধ বসে আছে। সেই প্রাচীন কালের রূপকথার মত দেখতে তারা । আবার তিন বৃদ্ধ দেখতে ছিল একই রকম, যেন মায়ের পেটের তিন ভাই। তারা রুশ ভাষা জানত না। ফারসী ভাষায় কথা বলতে শুরু করল। অনুবাদক অনুবাদ করে দিল।
: আপনারা কাজ বন্ধ করুন। তৈমুরের মৃতদেহ তুলবেন না। (বলল এক বৃদ্ধ)
: কেন? (গেরাসিমোভ প্রশ্ন করলেন)
: যেটা বলছি সেটা করুন। বাড়তি প্রশ্নের কি প্রয়োজন? (আরেক বৃদ্ধ বলল)
: আমাদের মিশন আছে। কাজটা আমাদের করতে হবে।
: মিশন বন্ধ রাখুন। কাজটা না করাই ভালো।
: সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী স্বয়ং স্তালিন আমাদের পাঠিয়েছেন। মিশন শেষ না করে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
: স্তালিন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী নয়। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী উপরওয়ালা। স্তালিনের কথা না শুনলেও চলবে।
: এই সোভিয়েত রাষ্ট্রে বসবাস করে জোসেফ স্তালিনের আদেশ অমান্য করার সাহস আমাদের নেই। তাছাড়া আমরা বিজ্ঞানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে যাচ্ছি।
: বাদ দেন আপনার বিজ্ঞান। মানুষের কথা ভাবুন, পৃথিবীর কথা ভাবুন।
: বুঝলাম না! আপনারাই বা এত জেদ ধরেছেন কেন? একটা সামান্য মৃতদেহ তুলব। এর সাথে মানুষ, পৃথিবী ইত্যাদির সম্পর্ক কি?
: সামান্য মৃতদেহ নয়। এটি স্বয়ং তৈমুর লং-এর মৃতদেহ। আপনাদের স্তালিনের চাইতেও বহু বহু গুনে শক্তিধর ছিলেন তিনি। ভয়াবহ কিছু ঘটে যাওয়ার আগেই তাকে থামানো প্রয়োজন।
: কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছেন আপনারা? কি ঘটতে পারে?
: বাছা এই দেখ আমার হাতে বই। (গেরাসিমোভ তাকালেন বইটার দিকে, অতি প্রাচীন একটি বই, নিঁখুত হস্তলীপিতে আরবী লেখায় ভরা। বইয়ের একটি জায়গায় আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বললো শান্ত সৌম্য তৃতীয় বৃদ্ধটি) এই দেখ এখানে লেখা - তৈমুর লং-এর ঘুম ভাঙালে পৃথিবীতে এমন একটি রক্তাত ও ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হবে যা মানব জাতি ইতিপূর্বে কখনো দেখেনি।
: কিযে বলেন! (পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই মনে হলোনা গেরাসিমোভের)
: আমি দুঃখিত। আপনাদের কথা রাখা সম্ভব নয় আমার পক্ষে। আপনারা যেতে পারেন আমার হাতে এখন অনেক কাজ। (বললেন গেরাসিমোভ )
তিক্ষ্ণ দৃষ্টিতে গেরাসিমোভের দিকে তাকালেন তারা। এরপর ফারসী ভাষায় গালমন্দ করতে শুরু করলেন গেরাসিমোভকে। দ্বিগুন বিরক্তিতে তাদের দিকে তাকিয়ে রইলেন গেরাসিমোভ। গালমন্দ করতে করতে চলে গেল তিন বৃদ্ধ। যে উৎফুল্ল মনে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি তা আর রইল না। মেজাজটাই খিঁচড়ে গেল। দিনটি ছিল ১৯৪১ সালের ২০শে জুন।
(ভূতপূর্ব রুশ সাম্রাজ্যে চালু হয়েছে নতুন শাসন। জারকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে কম্যুনিস্টরা। কেবল রুশ সাম্রাজ্যই নয়, আশেপাশের পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোকেও প্রভাব বলয়ের মধ্যে নিয়ে এসেছে তারা। আত্মবিশ্বাস দিনদিনই বাড়ছে তাদের। স্বপ্ন দেখছে বিশ্ববিপ্লবের নামে সমগ্র পৃথিবী দখল করার। রহস্য, অতিন্দ্রিয়, অতিপ্রাকৃত কোন কিছুই বিশ্বাস করেনা তারা। বড় বেশী প্রাকটিকাল। মান্ধাতার আমলের পোষাক-আশাক পড়া, ফারসী ভাষা বলা, আনইমপ্রেসিভ ঐ তিন বৃদ্ধের আজগুবী কথায় কান দেবে সেই ধাতুতে গড়া নয় কম্যুনিস্টরা।)
ভিতরে ঢোকার সময় হঠাৎ টোম্বের গায়ে নজর পড়ল গেরাসিমোভের, গুর-ই-আমীর (তৈমুরের সমাধী)-এ ফারসী ও আরবী ভাষায় লেখা, "আমি যেদিন জাগব, সমগ্র পৃথিবী প্রকম্পিত হবে।" ("When I rise from the dead, the world shall tremble.") বোগাস! ভাবলেন তিনি। ভিতরে গিয়ে আরো কিছু কাজের নির্দেশ দিলেন তিনি। পুরো কাজ শেষ হতে আরো দুদিন সময় লাগলো। অবশেষে ১৯৪১ সালের ২২শে জুন পাটাতনগুলি সরানো হলো আর সাথে সাথে মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল বিজ্ঞানীদের। বহু প্রতিক্ষিত কফিন শুয়ে আছে সেখানে। পনের শতকের পৃথিবী কাঁপানো শাসক তৈমুর লং-এর কফিন। গভীর আগ্রহ নিয়ে কফিনের ডালা খুললেন তারা। পাঁচশত বছর আগে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়া, মহাশক্তিধর তৈমুরের নিথর-নীরব দেহ শুয়ে আছে। হঠাৎ মৃতদেহের পাশে কিছু একটার দিকে নজর গেল গেরাসিমোভের। একটি ফলকে সেখানে লেখা, "যেই আমার টোম্ব খুলুক না কেন, সে আমার চাইতেও ভয়াবহ এক টেরর-কে পৃথিবীতে ডেকে আনলো" ("Who ever opens my tomb, shall unleash an invader more terrible than I.) । কিছুটা ভুরু কুঞ্চিত হলো গেরাসিমোভের। একটু চিন্তিত মনে হলো তাকে।
ঃ স্যার কি ভাবছেন? (তরুণ এক বিজ্ঞানী প্রশ্ন করল তাকে)
ঃ উঁ। না কিছুনা।
ঃ বাইরে, কেউ কিছু বলেছে?
ঃ ব্যাপার না। (ছোট একটি শ্বাস ফেলে বললেন তিনি)
ঃ এখন কি কাজ হবে স্যার?
ঃ দেহটাকে আমার এপার্টমেন্টে নিয়ে চল। মুখচ্ছবি তৈরী করতে হবে আমাকে।
তাই করা হলো।
এপার্টমেন্টে নিয়ে গভীর মনযোগের সাথে কাজ শুরু করলেন তিনি। দারুন একটা সুযোগ হয়েছে তাঁর। ইতিহাসের খ্যতিমান এক ব্যাক্তির সত্যিকারের মুখচ্ছবি তৈরী করতে পারবেন তিনি। আঁকা বা কাল্পনিক ছবি নয়, একেবারে আসল। কাজ শেষ হলে পৃথিবীবাসী কেমন বাহবা দেবে তাকে! কিন্তু বাহবা পাওয়ার আগেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। সেই দিনই নাৎসী জার্মানী হামলা চালালো সোভিয়েত ইউনিয়নে, পৃথিবী প্রকম্পিত করা এই অপারেশনের নাম অপারেশন বারবারোসা (Nazi Germany launched Operation Barbarossa, its invasion of the U.S.S.R.)। হতবাক হয়ে গেলেন গেরাসিমোভ। টোম্বের গায়ের লেখাটি মনে পড়ল তার। ছুটে গেলেন ঘনিষ্ট বন্ধু ও এই মিশনে তার সঙ্গী ক্যামেরাম্যান মালিক কাউমোভার কাছে। খুলে বললেন সব। বন্ধু বললেন,
ঃ এরকমও হয়! বৃদ্ধ তিনজন তো তাহলে, সবার ভালোই চেয়েছিল।
ঃ কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। এটা কাকতালীয়ও হতে পারে।
ঃ খোঁজ করব ঐ তিন বৃদ্ধের?
ঃ কোথায় পাবে ওদের? আর বলবই বা কি?
ঃ তারপরেও চলো যাই।
সেই চাইখানায় আবার গেলেন গেরাসিমোভ ও মালিক কাউমোভা।
ঃ আচ্ছা, দুদিন আগে এখানে তিনজন বৃদ্ধ এসেছিল না? (চাইখানার দোকানীকে প্রশ্ন করলেন মালিক কাউমোভা)।
ঃ ঃ হ্যাঁ, আমি দেখেছি, আপনাদের সাথে কথা বলছিল তিন বৃদ্ধ (উত্তর দিন দোকানী)।
ঃ আপনি তো স্থানীয়, ওদের হদিস একটু দিতে পারবেন কি?
ঃ না কমরেড, আমি নিজেই একটু অবাক হচ্ছিলাম। ওদেরকে আমি ঐদিনই প্রথম দেখি এবং ঐদিন শেষ।
একই সাথে হতাশ ও বিস্মিত হলেন গেরাসিমোভ ও মালিক।
ওদের কথাই যদি ঠিক হয়, তাহলে সব দোষ তো আমারই। না, এই মুখ আমি দেখাতে পারব না। আচ্ছা আমরা যেখানে হন্যে হয়ে খুঁজে অনেক কষ্টে সন্ধান পেলাম তৈমুরের আসল টোম্বটি, সেখানে ওরা এই সব কিছু জানলো কি করে বলতো?
ঃ দুপাতা বিজ্ঞান পড়ে আমরা সব জেনে গিয়েছি মনে করি। বিজ্ঞানের বাইরেও তো অনেক কিছু থাকতে পারে।
ঃ ঠিক, এমনও হতে পারে, বংশ পরম্পরায়ে এই সিক্রেট রক্ষা করছিল কেউ। অথবা কোন গ্রন্থে গ্রন্থিত আছে সব, যা সিলেক্টিভ লোকদেরই পড়া আছে।
ঃ কি যেন লেখা ছিল ডালার ভিতরের ফলকটিতে?
ঃ "Who ever opens my tomb, shall unleash an invader more terrible than I.
ঃ পৃথিবী কি তাহলে নতুন টেররের পদভারে কাঁপছে?
ঃ এডলফ হিটলার। বিংশ শতাব্দির ত্রাস! তার ক্ষমতাশীন হওয়ার সাথে সাথেই অশনী সংকেত শুনতে পাচ্ছিল পৃথিবী। চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে, আমার কারণেই ঘটল সব কিছু, তিন বৃদ্ধের অনুরোধ ও সাবধান বাণী, টোম্বের লেখা, কফিনের ভিতর ফলকের লেখা, কিছুই আমি গ্রাহ্য করলাম না।
ঃ থাক মন খারাপ করোনা। এখন পাপের প্রায়শ্চিত কর।
ঃ কি করে?
ঃ তৈমুরের দেহ তার টোম্বে ফিরিয়ে দাও। পুণরায় সমাহিত কর।
ঃ আর ওঁর মুখচ্ছবি? স্তালিন নিজে আমাকে পাঠালেন!
ঃ স্তালিনকে ফোন কর। পুরো ব্যপারটা খুলে বল। আশাকরি বুঝতে পারবে।
ঃ আরেক টেরর। কি জানি শোনে কিনা আমার কথা।
রাতের বেলায় গেরাসিমোভ ফোন করলেন স্তালিনকে। সব কিছু শুনে কি প্রতিক্রিয়া হলো তার বোঝা গেল না। শুধু বললেন, “আপনি মুখচ্ছবিটি তৈরী করুন” ।
একমনে কাজ করে গেলেন গেরাসিমোভ। এদিকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। বিংশ শতকের ত্রাস হিটলার বাহিনীর কাছে একের পর এক ব্যাটেলে পরাজিত হচ্ছে সোভিয়েত বাহিনী। এদিকে মনের মধ্য থেকে খুতখুতানি কিছুতেই দূর করতে পারছেন না গেরাসিমোভ। সারাক্ষণ কেবল মনে হয়, এই শোচনীয়তার জন্য দায়ী কবর থেকে উথ্থিত তৈমুরের দেহ আর তিনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দিলেন তিনি। অবশেষে তৈরী হলো তৈমুরের মুখচ্ছবি বিশ্ববাসী প্রথমবারের মতো দেখলো লৌহমানব (চাঘতাই ভাষায় তৈমুর শব্দের অর্থ লৌহ) তৈমুরের কঠোর মুখচ্ছবি। যুদ্ধ দিনদিন ভয়াবহ রূপ ধারন করতে শুরু করল, এক পর্যায়ে মালিক কাউমোভা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ঝুকোভ-এর সাথে সাক্ষাৎ করে, তাকে সব কিছু খুলে বললেন। তিনি ঝুকোভকে বোঝাতে সমর্থ হলেন যে তৈমুরের দেহ কবরে ফিরিয়ে দেয়া উচিৎ। অবশেষে তাই করা হলো। ১৯৪২ সালের ২০শে নভেম্বরে পূর্ণ মর্যাদায় ইসলামী রীতি অনুযায়ী তৈমুরের মৃতদেহ পুণরায় দাফন করা হয় গুর-ই-আমীর সমাধীতে (Gur-e-Amir Mausoleum)। ঠিক তার পরপরই স্তালিনগ্রাদ যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে এলো প্রথম আনন্দ সংবাদ - অপারেশন ইউরেনাস-এ হিটলার বাহিনীকে পরাস্ত করেছে সোভিয়েত বাহিনী। এটিই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট।
যিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন, তার ঘুম ভাঙাতে হয়না।
তথ্যসূত্র:
১। http://e-samarkand.narod.ru/1941_1.htm
২। Click This Link
৩। https://en.wikipedia.org/wiki/Timur
৪। Click This Link
৫। Mark & Ruth Dickens. "Timurid Architecture in Samarkand". Oxuscom.com. Retrieved 2012-05-22.
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৬
রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: তৈমুর লংও ২য় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে লেখাটি আসলেই ব্লগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ । আমি খুশি হব যদি এটা নির্বাচিত পাতায় নেয়া হয় ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৭
রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২০
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ভীষন ভীষন ভালো লাগা একটি পোষ্ট
আরো আরো চাই
অনেক ধন্যবাদ
প্রিয়তে
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৩
রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিস্মিত হয়ে পড়লাম! এসব কীভাবে সম্ভব? চমৎকার লেখা । চেঙ্গিস খান সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে চাই ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৪
রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫
ইছামতির তী্রে বলেছেন: অসাধারণ! এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেছি মনে হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে আপনি যতটা না পদার্থ বিজ্ঞানী তার চেয়ে বেশী ইতিহাস বিশ্লেষক। যাক, লেখার রেফারেন্স দিলে খুব উপকার হত। কারণ এমন একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার জানার আগ্রহ অনেকেরই আছে।
চমৎকার একটা ঘটনা জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। যদিও অনেক পাঠকই হয়ত এটাকে 'বোগাস' মনে করতে পারে। আর একটা কথা, ঐতিহাসিকগণ অবশ্য তৈমুর লং কে নামমাত্র মুসলিম হিসেবেই জানে। তিনি মুসলিমদের উপর চরম কঠোর ছিলেন। অনেক স্থানে তিনি বিনা কারণে সাধারণ মানুষ হত্যা করেছিলেন। ১৭ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করা কি কোন মানুষের কাজ? আল্লাহই ভাল জানেন তার কপালে কি ঘটেছে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৮
রমিত বলেছেন: ঘটনাটা সম্পর্কে আমি প্রথম জানতে পারি একটি রুশ ডকুমেন্টারি ফিল্ম থেকে। তারপর কিছু পড়ালেখা করি। অনেকগুলো আর্টিকেল পড়েছি রুশ ও ইংরেজীতে। রেফারেন্স দেইনি, পরবর্তিতে দিয়ে দেব।
বিনা কারণে সাধারণ মানুষ হত্যা কখনোই ভালো কাজ নয়, অথচ সেই যুগে দেশ জয়ের নামে প্রায় সব রাজারাই এটা করেছিলো। আজও তো কতো হচ্ছে!!!
বন্ধ হওয়া উচিৎ এইসব ক্ষমতার লড়াই।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হিটলারের আবির্ভাব তবে তৈমুরের কারণে?
মজার কো-ইন্সিডেন্স! পৃথিবীতের সকল যুদ্ধগুলোকে কো-ইন্সিডেন্স দিয়ে ঢেকে দিলে কিছুটা সান্ত্বনা পাওয়া যেতে পারে!
মজা পেলাম লেখায়...
টোম্ব= টুম (tomb)
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২০
রমিত বলেছেন: জ্বী, ইন্টারেস্টিং কো-ইন্সিডেন্স।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
সুলতানা রহমান বলেছেন: ভাল লাগলো। তবে একটু খটকা। কবর থেকে লাশ তুলে আনা, হিটলার বাহিনীর ত্রাস..।এটা কি সত্যি? সত্যি বলে মানতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২১
রমিত বলেছেন: ঘটনাটা সম্পর্কে আমি প্রথম জানতে পারি একটি রুশ ডকুমেন্টারি ফিল্ম থেকে। তারপর কিছু পড়ালেখা করি। অনেকগুলো আর্টিকেল পড়েছি রুশ ও ইংরেজীতে। রেফারেন্স দেইনি, পরবর্তিতে দিয়ে দেব।
৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২
সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই অন্যকিছু লাগেনা। শুধুমাত্র আপনি যে নাম করন টা করেছেন সেটা দেখলেই পোস্টটা পড়তে ইচ্ছা করে। "A beautiful name is better than a lot of wealth!" আর পড়ার পরে তো মন্তব্য করার জন্য হাত নিশপিশ করছে!!
তবে ভাই যেটা আমার চোখে ধরা পড়লো তা হলো আপনার ব্যবহৃত (ঃ) চিহ্নটা পোস্টের সৌন্দর্য্য অনেকটাই নষ্ট করে ফেলেছে! আপনি যদি পোস্টটা এডিট করে পরিবর্তে এই (-) চিহ্নটা ব্যবহার করেন তাহলে মনে হয় ভাল হবে!!
সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২২
রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জ্বী, নাম খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ওই চিহ্নটা আমি এডিট করে দেব।
৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
ময়না বঙ্গাল বলেছেন: শুভেচ্ছা নিবেন । ইতিহাসের কিছু মহা নায়ককে আপনার বর্ণণ ভঙ্গিতে জানতে চাই । চনদ্রগুপ্ত মৌর্য কৌটিল্য জুটির ইতিহাস, সম্রাটকুল শিরোমণি অশোক -বাংলার প্রাচিন ইতিহাসের নায়কদের নিয়েও লেখা চাই । আপনার সাথে পরিচিত হতে চাই । ০১৫৫৬৪৬৫৯৭৩ আমার নাম্বার । আপনারটা লিখে দিয়েন প্লিজ ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৭
রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সম্রাট অশোক-কে নিয়ে আমি লিখেছি। নীচে লিংক দিলাম
চেতনায় একেশ্বরবাদ, হৃদয়ে বুদ্ধের বাণী - পর্ব ৩
http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/30062984
মহাজ্ঞানী অতীশ দিপংকর-কে নিয়ে লিখেছি : 'ওম মনিপদ্মে হুম' Click This Link
আমার ফেসবুক আইডি
https://www.facebook.com/ramit.azad
১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
জাহিদ ২০১০ বলেছেন: বর্ণনা খুব ভাল লাগল। কিন্তু পুরো ঘটনা কি আসলেই সত্যি???
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৮
রমিত বলেছেন: ঘটনাটা সম্পর্কে আমি প্রথম জানতে পারি একটি রুশ ডকুমেন্টারি ফিল্ম থেকে। তারপর কিছু পড়ালেখা করি। অনেকগুলো আর্টিকেল পড়েছি রুশ ও ইংরেজীতে। রেফারেন্স দেইনি, পরবর্তিতে দিয়ে দেব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
নবাব চৌধুরী বলেছেন: ভয়াবহ সুন্দর একটা নাটকের কাহিনী!হিটলারের আবির্ভাব আর তৈমুরের এরকম ভবিষ্যৎবাণীর মধ্যে সাদৃশ্য আছে বটে তবে সত্যতা সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ আছে আমার।
লেখককে ধন্যবাদ লেখাটা ভালো হয়েছে বলে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:২৯
রমিত বলেছেন: ঘটনাটা সম্পর্কে আমি প্রথম জানতে পারি একটি রুশ ডকুমেন্টারি ফিল্ম থেকে। তারপর কিছু পড়ালেখা করি। অনেকগুলো আর্টিকেল পড়েছি রুশ ও ইংরেজীতে। রেফারেন্স দেইনি, পরবর্তিতে দিয়ে দেব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: জনাব মাঈনউদ্দিন মইনুলের মন্তব্যে সহমত। তবে লেখাটা পড়ে উনার মত আমি মজা পাইনি বরং বিরক্তই হলাম। কি সব গাঁজাখুরি লেখা !!! ভাই আপনি কোন বিষয়ে ডঃ ? লেখাটার কোন সূত্র উল্লেখ করবেন কি, প্লিজ ?
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৩
রমিত বলেছেন: Timur's body was exhumed from his tomb in 1941 and his remains examined by the Soviet anthropologist Mikhail M. Gerasimov. The bones were also examined by Lev V. Oshanin and V. Ia. Zezenkova. It was determined that Timur was a tall and broad-chested man with strong cheek bones. At 5 feet 8 inches (1.73 meters), Timur was tall for his era. The examinations confirmed that Timur was lame and had a withered right arm due to his injuries. His right thighbone had knitted together with his kneecap, and the configuration of the knee joint suggests that he had kept his leg bent at all time and therefore would have had a pronounced limp.[62][63] Gerasimov reconstructed the likeness of Timur from his skull and found that Timur's facial characteristics displayed Mongoloid features with some Caucasoid admixture. Oshanin also concluded that Timur's cranium showed predominately the characteristics of a South Siberian Mongoloid type.[63] Timur is therefore considered to have been close to the Mongoloid race with some Caucasoid admixture.
https://en.wikipedia.org/wiki/Mikhail_Mikhaylovich_Gerasimov
http://polit.ru/news/2014/09/15/gerasimov/
http://old.archeo-news.ru/2012/09/blog-post_3420.html
আমি পদার্থবিজ্ঞানে ডক্টরেট। আমার নামটা Dr. Ramit Azad লিখে গুগলে সার্চ দিলেই কিছু তথ্য পাবেন আশা করি। আমার লেখা বইগুলোও পাবেন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৬
রমিত বলেছেন: It is alleged that Timur's tomb was inscribed with the words, "When I rise from the dead, the world shall tremble." It is also said that when Gerasimov exhumed the body, an additional inscription inside the casket was found, which read, "Who ever opens my tomb, shall unleash an invader more terrible than I."[64] In any case, the same day Gerasimov begun the exhumation, Adolf Hitler launched Operation Barbarossa, the largest military invasion of all time, upon the USSR.[65] Timur was re-buried with full Islamic ritual in November 1942 just before the Soviet victory at the Battle of Stalingrad.[66]
Mark & Ruth Dickens. "Timurid Architecture in Samarkand". Oxuscom.com. Retrieved 2012-05-22.
"Uzbekistan: On the bloody trail of". The Independent (London). 9 July 2006. Retrieved 25 May 2010.
১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইতিহাস নির্ভর লেখা। চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৭
রমিত বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
জুন বলেছেন: তৈমুর আর চেঙ্গিস খান সেই মধ্যযুগের ত্রাস । হালাকু খানের কথা আর নাই বা তুল্লাম ।
এমনি একটি কথা টুটেনখামুনের সমাধি নিয়ে প্রচলিত । হয়তো কবরের অক্ষুন্নতা বজায় রাখার জন্যই, আর সেক্ষেত্রে লোকজন কে ভয় দেখানোর জন্যই তারা হয়তো এমন একটি সাবধান বানী খোদাই করে রাখে ।
আর টুটের কবর যারা খুড়েছিল তাদের ও নানা রকম অপঘাতে মৃতু হয়েছিল তাতো আপনি জানেন ই ।
হয়তো সবই কো ইন্সিডেন্স । তবে আপনার লেখা অত্যন্ত বৈচিত্রময় এবং তথ্যপুর্ন যা ইতিহাসের ছাত্রী হিসেবে অনেক ভালোলাগে ।
+
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৯
রমিত বলেছেন: বরাবরের মতই সুদীর্ঘ ও সুন্দর মন্তব্য।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অজানা অসাধারন এক ঘটনা জানানোয় ধন্যবাদ।
++++++++++++++++++++++++++++
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৯
রমিত বলেছেন: আপনাকেও কষ্ট করে পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৮
রমিত বলেছেন: লেখাটিকে নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! +++
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৩
রমিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
ইতিহাস অংশটা ভাল লেগেছে, তিন বুঁড়োর পর থেকে অংশটা কি কারো কল্পিত?
ঠিক মেনে নিতে পারলাম না।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫
রমিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
না কল্পিত নয়, উপরে রেফারেন্স দিয়েছি।
কত কিছুই তো আমরা মেনে নিতে পারিনা, কিন্তু তারপরেও তো ঘটে।
লাইফ ইজ নট অলওয়েজ র্যাশনাল!
১৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার পো্স্ট।
অজানা ইতিহাস জানলাম।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫
রমিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দারুন পোষ্ট রমিত ভাই। আমার তৈমুরকে নিয়ে পোষ্ট লেখার ইচ্ছা ছিলো। এখন আর দরকার নাই। চেঙ্গিস খান বললাম আমার অধিকারে, ওইদিকে হাত দিয়েননা, খবরদার।
ভালোলাগা রইলো।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬
রমিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত। ঈদের ব্যাস্তায় আর সামুতে ঢোকা হয়নি।
২১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৮
রাশেদুজ্জামান তুষারর বলেছেন: আমি অনেক দিন যাবৎ তৈমুর লং এর ইতিহাস জানার ইচ্ছা ছিল,আজ কিছুটা জানলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৭
রমিত বলেছেন: আপনাকও অনেক ধন্যবাদ।
দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত। ঈদের ব্যাস্তায় আর সামুতে ঢোকা হয়নি।
২২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
নামবিহীন বলেছেন: রমিত আজাদ সাহেবের অপকর্মের উপযুক্ত ট্রিটমেন্ট দেখুন
http://www.cadetcollegeblog.com/ramit/53016
সবার স্বার্থেই উনার কান্ডকীর্তি এক্সপোজ করা দরকার।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী নয়। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী উপরওয়ালা। স্তালিনের কথা না শুনলেও চলবে
অপারেশন ইউরেনাস-এ হিটলার বাহিনীকে পরাস্ত করেছে সোভিয়েত বাহিনী। এটিই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট।
"আমি যেদিন জাগব, সমগ্র পৃথিবী প্রকম্পিত হবে।" ("When I rise from the dead, the world shall tremble."
চমৎকার লেখা ।