নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞানীর লেখা কবিতা - ১: জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল

১১ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২



বিজ্ঞানীর লেখা কবিতা - ১

'বিজ্ঞানী' শব্দটি উচ্চারণ করলেই সবার চোখে ভেসে ওঠে গবেষণাগারে দাঁড়ানো সাদা এ্যাপ্রোন পড়া এক নিরাবেগ মানুষ। যার মাথায় গণিত আর অবোধ্য-জটিল কিছু ফর্মুলা ছাড়া আর কিছুই ঘোরাঘুরি না। কিন্তু এই পৃথিবীতে অনেক বিজ্ঞানীই ছিলেন অত্যন্ত আবেগময় মানুষ; যেমন ওমার খৈয়াম ছিলেন একাধারে কবি ও বিজ্ঞানী, উনার রচিত রুবাইয়াৎ আজ কয়েক শতাব্দী পরেও কাব্যপ্রেমীদের উদ্বেলিত করে। আলবার্ট আইনস্টাইন চমৎকার বেহালা বাজাতেন। রিচার্ড ফেইনমান বাজাতেন ড্রাম। মিখাইল লোমোনোসোভ ও এরভিন শ্রোডিঙ্গের (Erwin Schrödinger) দুজনই চমৎকার কবিতা লিখতেন। আবেগপূর্ণ কবিমনা তেমনি আর একজন বিজ্ঞানী ছিলেন জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল। স্কটিশ এই পদার্থবিজ্ঞানীর জন্ম ১৩ই জুন, ১৮৩১ সালে তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন ৫ই নভেম্বর, ১৮৭৯ সালে। বিজ্ঞানের জগতে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন তড়িচ্চুম্বকীয় তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্য। আবিষ্কারের মৌলিকত্বের বিচারে আল হাইয়াম, নিউটন ও আইনস্টাইনের পাশাপাশি উনার নামও রাখা যায়। পৃথিবীর প্রথম রঙিন ফটোগ্রাফী-র প্রদর্শনও (demonstration of colour photography, 1861) উনার অবদান। শনি গ্রহের চতুর্দিকের রহস্যময় বলয়গুলো যে অগণিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খন্ডের দ্বারা গঠিত যারা প্রত্যেকেই স্বতন্ত্রভাবে গ্রহটির চারদিকে ঘুরছে এটাও ম্যাক্সওয়েলই প্রথম বর্ণনা করেন। তিনি তাদের নাম দিয়েছিলেন "brick-bats"। এই প্রতিভাস এক শতাব্দী পরে ব্যবহারিকভাবে প্রমাণিত হয়েছিলো শনি গ্রহের খুব কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়া 'ভয়েজার'-এর তোলা ছবি থেকে। জগতবিখ্যাত এই বিজ্ঞানী মাঝে মাঝে অবোধ্য-জটিল ফর্মুলার জগত থেকে নেমে আসতেন আবেগময় কবিতার জগতে। আজ উনার লেখা একটি কবিতার অনুবাদ উপস্থাপন করবো।

তুমি কি আমার সাথে আসবে?
মূল: জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল
অনুবাদ: রমিত আজাদ

তুমি কি আমার সাথে আসবে,
নতুন বসন্ত দিনে,
আমার সান্ত্বনা হতে
এই সুবিশাল বিশ্বজগত জুড়ে?
তুমি কি আসবে সেই মার্গগুলো শিখতে
যেভাবে একজন ছাত্র তার দিন গুজরান করে,
লাবণ্যময় পাহাড়ের ঢালে
আমাদের ঝর্ণার পাশে?

মেষশাবকেরা শীঘ্রই এখানে আসবে,
নতুন বসন্ত দিনে;
যেমন প্রতি বছরই তারা আসে
আমাদের ঝর্ণার পাশে।
আহা বেচারারা, তারা থাকবে না,
কিন্তু আমরা ধরে রাখবো সেই দিনটি
যখন আমরা প্রথম দেখেছি তাদের খেলা,
আমাদের ঝর্ণার পাশে।

আমরা উম্মুখ হয়ে
স্ফুটনোন্মুখ তরূদের দেখবো
নতুন বসন্ত দিনে,
যখন বাতাসের কলনাদ
পিছলে যাবে শাখাদের ফাঁকে।
যেখানে বুলবুলি বাঁধে নীড়,
আর খুঁজে পায় কাজ আর ঘুম,
ঝোপে-ঝাড়ে সে ভালবাসে,
আমাদের ঝর্ণার পাশে।

এবং যে জীবন তখন আমরা কাটাবো
নতুন বসন্ত দিনে,
তোমাকে একান্তই আমার করে নেবে,
যদিও জগত সুবিশাল।
কোন আগন্তুক-এর নিন্দা বা প্রশংসা
কোনকিছুই সে পথ থেকে
ফিরাতে পারবে না আমাদেরকে,
যা আমাদের জন্য বয়ে নিয়ে আসবে
সীমাহীন সুখময় দিন,
আমাদের ঝর্ণার পাশে।

(অনুবাদের দুর্বলতার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। পাঠকদের গঠনমূলক সমালোচনা আশা করছি)



Will You Come Along With Me?.

I.

Will you come along with me,
In the fresh spring-tide,
My comforter to be
Through the world so wide?
Will you come and learn the ways
A student spends his days,
On the bonny, bonny braes
Of our ain burnside?

II.

For the lambs will soon be here,
In the fresh spring-tide;
As lambs come every year
On our ain burnside.
Poor things, they will not stay,
But we will keep the day
When first we saw them play
On our ain burnside.

III.

We will watch the budding trees
In the fresh spring-tide,
While the murmurs of the breeze
Through the branches glide.
Where the mavis builds her nest,
And finds both work and rest,
In the bush she loves the best,
On our ain burnside.

IV.

And the life we then shall lead
In the fresh spring-tide,
Will make thee mine indeed,
Though the world be wide.
No stranger’s blame or praise
Shall turn us from the ways
That brought us happy days
On our ain burnside.
James Clerk Maxwell :


Translated by: Ramit Azad

কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
http://www.barnesandnoble.com/review/james-clerk-maxwell-physicist-poet-2

http://strangebeautiful.com/other-texts/maxwell-poems.pdf

http://www.poemhunter.com/best-poems/james-clerk-maxwell/lines-written-under-the-conviction-that-it-is-no/

https://books.google.com.bd/books?id=8_iS-4ec9wwC&pg=PA24&lpg=PA24&dq=James+Clerk+Maxwell+and+burn+stream&source=bl&ots=07cipeVVP3&sig=-mgUfKqPH7ZUmMtdNCXB8mnntzY&hl=en&sa=X&redir_esc=y#v=onepage&q=James Clerk Maxwell and burn stream&f=false

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


"তাজা বসন্তের জোয়ারে, "

-এ লাইনটি মানায়নি

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

রমিত বলেছেন: গঠনমূলক সমালোচনার জন্যে ধন্যবাদ।

২| ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

অঘ্রান প্রান্তরে বলেছেন: কোন আগন্তুক-এর নিন্দা বা প্রশংসা
কোনকিছুই সে পথ থেকে
ফিরাতে পারবে না আমাদেরকে,

গভীর প্রেম ছাড়া পৃথিবীতে কিছুই সৃষ্টি হয়নি। বিজ্ঞানীরা যা কিছু সৃষ্টি করে গেছেন___ বা করছেন, মুলত সে বস্তু গুলির উপরে ছিল তাদের নিবিড় প্রেম আর............।

ভালো কবিতা... ভালো থাকুন।

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

রমিত বলেছেন: "গভীর প্রেম ছাড়া পৃথিবীতে কিছুই সৃষ্টি হয়নি। বিজ্ঞানীরা যা কিছু সৃষ্টি করে গেছেন___ বা করছেন, মুলত সে বস্তু গুলির উপরে ছিল তাদের নিবিড় প্রেম আর............। "
চমৎকার বলেছেন!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন ভিন্নধারার একটা বিষয় তুলে ধরায় অনেক ধন্যবাদ।

বিজ্ঞানীরাও তো মানুষ। তাদেরও আবেগ অনুভূতি আছে। কবিতা লিখতেই পারে;)

দারুন অনুবাদে +++

তাজা বসন্ত জোয়ারে কে আক্ষরিক অর্থ না করে যদি কাব্যিক অনুবাদে এভাবে আমি বলতে চাই তা কি সুন্দর হবে...
নতুন বসন্ত দিনে / নব বাসন্তি লগ্নে---
কবির প্রতি পূর্ন শতভাগ শ্রদ্ধা রেখেই স্রেফ আমার অনুভবটা শেয়ার করলাম। । আশা করি মনে অনুযোগ রাখবেন না :)

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

রমিত বলেছেন: ভৃগু ভাই চমৎকার মন্তব্য করেছেন!
ঠিক তাই, আর দশজন মানুষের মত বিজ্ঞানীদেরও প্রেম-ভালোবাসা-আবেগ-অনুভূতি আছে। তাই তাদের কলম থেকে ফর্মুলার পাশাপাশি কিছু কবিতাও বের হওয়ার কথা।
আপনার পরামর্শটি গ্রহন করলাম, এডিট করে 'নতুন বসন্ত দিনে' লিখলাম।
আসলে অনুবাদের সময় সতর্ক থাকতে হয়। চলমান বাংলা সাহিত্যের সাথে মিল রেখে ভাবানুবাদ করলে শ্রুতিমধুর ও টাচি কবিতা হতে পারে, আবার তাতে মূল লেখার অর্থ হারিয়ে বা পরিবর্তিতও হয়ে যেতে পারে। অনুবাদ কর্মটি তাই বেশ কঠিন। পেশাদার অনুবাদকরা হয়তোবা এটা ভালো বোঝেন। আমি তো এ্যামেচার অনুবাদক! এ কারণেই ব্লগে লেখা দে্যা, এ কারণেই পাঠকদের গঠনমূলক মতামতের অপেক্ষায় থাকা।

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:১১

রমিত বলেছেন: আমি একজন সুপরিচিত অনুবাদককে চিনি। তিনি রুশ সাহিত্যের বইগুলোকে বাংলায় অনুবাদ করতেন। আমি নিজে রুশ ভাষা জানি বলে উনার অনুবাদের কিছু লিমিটেশন ধরতে পেরেছিলাম। একদিন উনাকে প্রশ্ন করলাম, "আপনি তো রুশ ভাষা জানেননা, তাহলে অনুবাদ করতেন কি করে?" উত্তরে তিনি বললেন, "আমি ইংরেজী থেকে অনুবাদ করতাম।"
এই আবার একটা বিষয়, অনুবাদের অনুবাদ অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়। আরো একটি বিষয় আছে, যেই দেশের সাহিত্য অনুবাদ করছি, সেই দেশের কালচার-টা জানাও জরুরী। তাই ঐ ভাষা জানে ও ঐ দেশে দীর্ঘকাল ছিলো এমন একজন অনুবাদক অনুবাদ করলে অনুবাদ অনেক প্রাঞ্জল হতে পারে।

৪| ১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

ক্লাউড বলেছেন: দারুন প্রয়াস এবং চমৎকার শেয়ার। ভালোলাগা রইলো। :)

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

রমিত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

৫| ১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

ডরোথি গোমেজ বলেছেন: মূল কবিতাটাই বেশি ভালো লাগেনি। নাম এবং কবিতার শেষ অংশ টা ভালো। আপনার অনুবাদের চেয়ে ভালো এখনো ভাবতে পারছি না।
শুভকামনা থাকলো।

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

রমিত বলেছেন: শত বছর আগে লেখা একজন জগতবিখ্যাত বিজ্ঞানীর কলম থেকে বেরিয়ে আসা আবেগঘন কবিতা, গুরুত্বটা সেখানেই। কবিতার আবেগটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ছবির ঝর্ণাটিই সম্ভবত ম্যাক্সওয়েলের বাড়ীর কাছের সেই ঝর্ণাটি (ইন্টারনেটে পেয়েছি)।
আমার অনুবাদের প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

৬| ১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

রমিত বলেছেন: লেখাটিকে নির্বাচিত পাতায় স্থান দেয়ার জন্য সামু কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

ডরোথি গোমেজ বলেছেন: ঝর্ণার কথা জেনে ছবিটা আবার দেখলাম। এসব পুরানো জিনিস বা স্থানগুলো বা কোন বিশেষ মানুষের সাথে জড়িয়ে থাকলে সেগুলো অন্যরকম ফিলিংস তৈরি করে।

১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

রমিত বলেছেন: জ্বী, যথাযথ বলেছেন।

৮| ১৩ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অন্ত্যমিল যুক্ত হলে ভালো হতো যেহেতু মূল কবিতাটা তাই

১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

রমিত বলেছেন: অর্থ বজায় রেখে অন্তমিল করাটা কঠিন। যাহোক, পরামর্শটি ভালো, আমি পরবর্তিতে এই বিষয়ে সতর্ক থাকবো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কবিতার অনুবাদ সর্ব ই জটিল কর্ম। এ কবির ক্লাসিক্যাল থিউরির প্রবহণ/অনুবাদ করা হয়তো তার চাইতেও অনেক সহজ। আবার আবেগের ভাষা নিদারুনভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হয়! যেমন, ম্যাক্সওয়েলের কবিতাগুলোর মধ্যে Lectures To Women টি আমার বেশ পছন্দের।

গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারছিনে, পাঠক ব্যস্ত। হাহ হাহ। অনুবাদে ধন্যবাদ জানাই।

১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

রমিত বলেছেন: সুন্দর বলেছেন সবকিছু।
কবিতার অনুবাদ কর্ম আসলেই জটিল ।
পরবর্তিতে Lectures To Women কবিতাটি অনুবাদ করবো আশা রাখি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লেগেছে !!!

১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

রমিত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মনিরা আপা। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.